নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা এবং লেজে গোবরে সরকার

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

জামায়াত এবং হেফাজতকে নিয়ে নির্বাচনী হিসেব নিকেশ করতে যেয়েই সরকার লেজে গোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেছে।



জনমনে সন্দেহ, কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার আগে আওয়ামীলীগ-জামায়াতের সাথে গোপণ আঁতাত (বিএনপি-কে বাইরে রেখে জামায়াত নির্বাচনে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি) হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কাদের মোল্লার গুরু অপরাধে লঘু শাস্তির প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টিতে সরকার পড়ে যায় বিপাকে। শুরু হয়ে যায় সহিংসতা।



পরবর্তীতে হেফাজতকে নিয়েও নির্বাচনি হিসেব নিকেশ শুরু করে আওয়ামি লীগ । জনবিচ্ছিন্ন মাদ্রাসাভিত্তিক এ সংগঠনকে আস্কারা দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার দিকে প্রায় ঠেলে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল হেফাজতের দাবিদাওয়ায় আশ্বাস দিয়ে বিএনপি/জামাত জোটের বিরূদ্ধে নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু হেফাজতিরা যা তাদের দাবিদাওয়ার প্রতি এতোটা অনমনীয় থাকবে তা আওয়ামীলীগ ভাবতে পারেনি।



আওয়ামী নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবেই দেশে ঝরলো এত অনাকাঙ্খিত রক্তপাত।



তবে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা যে বিএনপি-র জয়ের ডুগডুগি বাজছে এ ভাবনাটি বাতুলতা । বিশেষ করে রাজনীতিতে নতুন প্রজন্ম, যারা নির্বাচনী ফলাফলের নিয়ামক তারা এখন অনেকবেশী সচেতন। দুঃশাসনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। নতুন প্রজন্ম আর ধানের শীষ কিংবা নৌকা দ্যাখে ভোট দিবে না। বরং তারা ভোট দিবে প্রার্থী দেখে। তাই আগামী নির্বাচনে যে দল তুলনামূলক সৎ লোককে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবে সেই দলেরই নির্বাচনে জয়ী হবে বলে ধারণা করা যায়

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.