নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প - চাঁদ তুই পোড়াকপালী

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫০

গল্পের নায়ক নায়িকা রাব্বি ও নৈঋতা। সদ্য বিবাহিত দুজন কংক্রিট জঙ্গলে ভরা শহর ঢাকায় গড়ে ওঠা খানিকটা খোলামেলা আবাসিক এলাকা বসুন্ধরায় এক অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই ওদেরকে থাকতে হয় দৌড়ের উপর। ওরা দুজনেই যে কর্পোরেট দাস। যাপিত জীবনের এ ব্যস্ততার মাঝেও রাতটা ওদের একান্ত নিজের। আর নববিবাহিত ওদের এখন প্রতিটি রাতই সোহাগ রাত।



সেদিন ছিল পূর্ণিমা রাত। নাগরিক জীবনে কজনাই বা অমাবশ্যা, পূর্ণিমা নিয়ে ভাবে! রাব্বি ও নৈঋতার ভাবনায় চাঁদ থাকার কথা নয়। বরং নিজেদেরকে নিয়েই মশগুল ওরা। রাত এগিয়ে চলে আর বাৎসায়ানে ওদের ভালবাসা হতে শুরু করে বাঙ্ময়। শরীরি উন্মাদনায় উন্মাদ ওরা একসময় পৌঁছে যায় আনন্দমার্গের উচ্চধামে। শীর্ষসুখের তুমুল আবেশে নৈঋতা যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন তখনই রাব্বির মোবাইলটা বেজে উঠে। মেসেজ এসেছে।



নৈঋতা ঘুমিয়ে গেছে। সন্তর্পনে উঠে সাইড টেবিলে রাখা মোবাইলটা হাতে নেয় রাব্বি। ভুত দেখার মতোন চমকে উঠে সে। মোবাইল স্ক্রীনে পূর্ণ চাঁদ জ্যোছনা ঝরাচ্ছে ! হতভম্ব রাব্বি বৃদ্ধাঙ্গুলি চাপ দিয়ে খুব দ্রুত ইনবক্স খুলে। অলৌকিক! সত্যিই অলৌকিক! চাঁদ পাঠিয়েছে এস.এম.এস!! একটি মাত্র লাইনে চাঁদ লিখেছে, 'আমাকে দেখো।' চন্দ্রাহত রাব্বি মোবাইল হাতেই ওদের রুমের সাথে লাগোয়া বেলকনির দরোজা খুলে। আহ্! কী রোমান্টিক দৃশ্য ! বেলকনি ছেয়ে গেছে জ্যোছনা আলোয়। নাকে আসছে সুললিত ঘ্রাণ। ঘ্রানটিও যেন অলৌকিক! চাঁদের শরীরের সুবাস কি এটি! বুঝতে পারে না সে।



হঠাৎ চোখ পড়ে আকাশে। পূর্ণিমা চাঁদ দোল খাচ্ছে। ওর দিকে তাকিয়ে যেন হাসছে... ঝলকে ঝলকে রাব্বির গায়ে পড়ছে চাঁদের আলো। চাঁদ কি ওকে সিডিউস করছে ..রাব্বি কি আবারো জেগে উঠবে ! মনে মনে ভাবতে শুরু করে ও চাঁদকে নিয়ে। চাঁদের কী সৌভাগ্য। শেষটায় ভরা যৌবনেই থেকে যায় চাঁদ। দেবাসুরের সমুদ্রমন্থনে উঠে আসা মৃতসন্জীবনী সুধার সবটুকুই কি শুষে নিয়েছিল চাঁদ। তাই কি চাঁদের মেনোপজ হয় না! হায় নৈঋতাকেও তো মেনোপেজ একদিন নিস্প্রভ করে দেবে, যেমনটি উত্তর যৌবনে সব মানবীকেই করে। চাঁদ তুই কত ভাগ্যবতী, কেয়ামত পর্যন্ত তুই থেকে যাবি সেক্সি হয়ে!



ভাবনার মোড় ঘুরতে সময় লাগে না। আজীবন যুবতি থেকে চাঁদের কি লাভ! প্রোষিতভতৃকা রমণীর দহন জ্বালায় চাঁদ তো কাতর অহর্ণিশ ! নিঃসঙ্গ চাঁদ কি করে জুড়ায় তার শরীর দহন !



চাঁদের জন্য খুব কষ্ট হয় রাব্বি। চাঁদের এসএমএস-এর উত্তর লিখে সে, "চাঁদ তুই পোড়াকপালী। আমার ভীষণ কষ্ট তোর জন্য । নৈঋতার জন্য তো আমি আছি। হায় তোর জন্য কেউ নেই! আমি তো নিরুপায়। কী করতে পারি চাঁদ তুই-ই বল্।"



মেসেজটা লিখেই সেন্ড বাটনে দ্রুত চাপ দেয় রাব্বি।





















মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: তাজা কলম দিয়েই লিখা বলে এরকম একটা তাজা গল্প পড়ার সৌভাগ্য হলো।

২| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫

আর.হক বলেছেন: হায়রে চাদদদদদদদদদদদদদদদদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.