![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
কবিতা-তুমি কে হে যুবক?
কবিতা আঁতেল- চিনলে না আমাকে! আমিই সেই কবিতা আঁতেল, পড়তে এসেছি তোমাকে।
কবিতা- তোমার ডান হাতে ধরা ওটা কি?
কবিতা আঁতেল- আতস কাঁচ। জ্যোতিষের হাতে দ্যাখোনি?
কবিতা- কি করবে ওটা দিয়ে?
কবিতা আঁতেল- কি করবো মানে! দেখতে হবে না তোমার ঠিকুজি।
কবিতা- বেশ। তা, বুকের কাছে ধরা ঐ বইটি?
কবিতা আঁতেল- ওহো! বইটি বুঝি এখনো দ্যাখোনি? এটি হলো গিয়ে 'ভট্টাচার্যির কবিতা বোধন'। এখানে আছে নানা কবিতাসূত্র।
কবিতা- কবিতাসূত্র? এটা আবার কি? বিজ্ঞানে নিউটনের সূত্র, অর্থনীতিতে ইলাস্টিসিটি সূত্র শুনেছি। মায় কামসূত্রের কথাও জানি। কিন্তু কবিতা সুত্র?
এটি কার আবিস্কার হে?
কবিতা আঁতেল- (চোখ কপালে তুলিয়া) হায়! নিজে কবিতা হয়েও এখন পর্যন্ত কবিতাসূত্রের কথা শুনো নাই? (লাজুক হাসিয়া) এ অভাজনেরই আবিস্কার সূত্রগুলো। এগুলো দিয়েই তো তোমার চুলচেরা বিশ্লেষণ করব .. দেখব তুমি কবিতা না অকবিতা..
কবিতা- আমাকে বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব তোমাকে কে দিয়েছে?
কবিতা আঁতেল- আমাকে কে আবার দায়িত্ব দেবে! কবিতাকে ঠিক ট্র্যাকে চলার জন্য স্বউদ্যোগেই নিয়েছি এ দায়িত্ব। বুঝতে পারছি তুমি সত্যিসত্যিই আমাকে চিনতে পারোনি। আমার মেধা সম্পর্কে ধারনা আছে তোমার? স্বর্গবাসী কবিগুরু রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ, শক্তি সহ তা্বদ কবিকূল আমাকে গুরু মানে।
আর কেন করছি কবিতা বিশ্লেষণ? শালার ভোদাই পাবলিক কবিতা বোঝে না। আমি সার্টিফিকেট দিলেই ওরা বুঝতে পারবে কোনটা কবিতা আর কোনটা অকবিতা..
কবিতা- খামোশ! তবে শোনরে! কবিতার লাগে না কোন আইএসও সার্টিফিকেট। চাঁদের জ্যোছনা, হৃদয়ের সুর, নদীর ঢেউ ভাঙ্গা থোড়াই কেয়ার করে তোর সার্টিফিকেটের।
দূর হ, অর্বাচীন আঁতেল আমার চোখের সামনে থেকে!
পাদটীকা- সংলাপটির চরিত্র দুটো সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবু আপন দর্পণে কেউ যদি সংলাপের কোন একটি চরিত্রের সাথে মিল খুঁজে পান তবে তা হবে কাকতালীয়
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হি হি এইসব অর্বাচীন আঁতেলে দুনিয়া সয়লাব এখন।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্লাস
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১ নং প্লাস