![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
আড়ে আড়ে তাকাচ্ছি খোলসটার দিকে প্রত্নতত্ত্ববিদের সময়মাপন চোখে । বয়স তো ওটির একেবারে কম হয়নি! তালিমারা খোলসটাও কি দ্যাখেছে আমায়, ধন্দ লাগে !
বাস্তবকে পিছু ফেলে এখন কি আমি পরাবাস্তবে নাকি অধিবাস্তবে --কে জানে ! তবে নিশ্চিত এখনো আছি। গায়ে চিমটি কেটে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। খানিক আগেই তো আমি বেরিয়ে এসেছি। ঐ যে নিথর দেহ, জন্ম থেকে চেনা । মায়াও লাগছে বেশ । শুয়ে আছে আইসিউ-য়ের ভয়াল বিছানায় । নাকে মুখে যন্ত্রপাতির তেলেসমাতি। কৃত্রিমভাবে বাঁচানোর কত প্রচেষ্টা।
সুন্দরী নার্সের মুখ দুঃখছোয়া, হাতে পালস মাপার ব্যর্থ প্রয়াস। প্রফেসর ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বলল, সব শেষ। বিড়বিড় করে ডাক্তার পড়ছে, শূন্যে ঝুলা আমি বেশ স্পষ্টই শুনছি, 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন'।
হঠাৎ আমি দেখতে পেলাম আইসিউয়ের করিডোর। চোখ তো নেই, তবে কি দিয়ে দেখছি আমি ! দেখছি আমার তিন আত্মজা, বাবাই, পাপাই, তাতাই কাঁদছে ব্যাকুল হয়ে। আমার বউ পড়ছে সুরা ইয়াসিন। সুরা ইয়াসিনের বাংলা অনুবাদ তো আমি জানি না ! কি আশ্চর্য তবু এর মর্মার্থ আমার বুকে গেঁথে যাচ্ছে। আমার মাকেও দেখছি। জানি না তিনি কি আদৌ এ ধকল কাটাতে পারবেন!!
সময় নেই আর। ঘন্টা বেজে গেছে। পেছন ফিরতেই দেখি, ভুল বললাম, এখন আমার পেছন আর সামনে কি! দিকশূন্য আমি। তবে দেখছি আমার বাবার মুখ, যিনি এই কিছুদিন আগেই ছুটি নিয়েছেন জীবন থেকে, একি! বাবার সাথেই আমার মরহুম দাদা-দাদী, নানা-নানী, এবং আরো অনেকে, যারা একসময় মাথায় স্নেহের হাত বুলাতেন। তারা কি আমাকে বরণ করতে এসেছে!
হঠাৎ করেই ভাবনায় ঈশ্বর, পরজন্ম ইত্যাদি প্রপঞ্চ দোলা দ্যায়। আমি জানি না, এখনো কিছু। তবে বুঝতে পারছি এ তো অনন্ত যাত্রা, সুড়ঙ্গের মুখে দেখা যাচ্ছে আলো, ট্রেন ছেড়ে দেবে নিশ্চিত।
ওরা জেনে গেছে সত্য। আমার মা, বাবাই, পাপাই তাতাই, আমার মা এবং সহধর্মিনী। বেশ কিছু বন্ধু এবং স্বজনদের মুখও দেখছি। ধীরে ধীরে ওরা দূরে সরে যাচ্ছে নাকি আমিই যাচ্ছি দূরে !
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
তাজা কলম বলেছেন: Thanks Professor
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভাল লাগল
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
তাজা কলম বলেছেন: Thanks সমুদ্র কন্যা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের নাম যথার্থ।