![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
২৬০০ স্কোয়ার ফিটের সুরম্য অ্যাপার্টমেন্টের ঘুপচি ঘর। রান্নাঘরের পেছনে এ ঘরটিতে কোন রকমে একজন শুয়ে থাকতে পারে। ঘরটির পাশেই ছোট্ট একটি বাথরুম কাম টয়লেট। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এর গালভরা নাম দিয়েছে, 'সার্ভেন্ট কোয়াটার্স'। শব্দটি ঔপনিবেশিক শ্রেণী চেতনার দূর্গন্ধ ছড়ালেও আমরা ভদ্রলোকেরা শব্দটি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দই বোধ করি।
ঢাকার এক অভিজাত এলাকায় এমনই একটি অ্যাপার্টমেন্টের সার্ভেন্ট কোয়াটার্সে কুলসুম থাকে। রান্নাঘরের কাজ শেষ হতে প্রতিদিনই রাত বারোটা বেজে যায়। আবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তার জোগান দিতে হয়। এভাবেই চলছে মাসের পর মাস। তবুও কুলসুম সুখি, গ্রামের চেয়ে বেশ ভালোই আছে সে। মাসের বেতন ৫০০০ টাকা আর সাহেবের কাছ থেকে মাসোয়ারা আরো ৫০০০ টাকা। গ্রামে এমন নির্বিঘ্ন দশহাজার টাকা আয়ের সুযোগ কি আছে ! অবশ্য সাহেবের 'মাসোহারা'-র ব্যাপারে একধরনে অপরাধবোধ কাজ করতো প্রথম প্রথম। কিন্তু সাপ্লায়ার রহিমা খালার কথায় সে এ অপরাধবোধ ধুয়ে ফেলে। রহিমা খালা সব শুনে বলে, " শুন্, গরীবের কোন ধর্ম নেই। সুযোগ যখন পেয়েছিস, ছাড়বি ক্যান্, তোর চেহারাটাও যা, পুরুষের মাথা ঘুরাইয়া দেওয়ার মতোনই! সাহেবের প্রস্তাবে রাজি হইয়া ভালোই করছোস। তালাক পাওয়া মাইয়ার এ লইয়া বেশী ভাবনের কাজ নাই। তবে সাবধানে থাকিস, প্যাট বান্ধাইয়া ফেলিস না আবার!"
ঔষধ খেয়ে ম্যাডাম যে সব রাতে গভীর ঘুমে অচেতন হয় সে সব রাতেই সাহেব আসে কুলসুমের ঘুপচি ঘরে। আজ রাতও আসবে, সাহেব এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। তন্দ্রা লেগে এসেছিলো কুলসুমের। দরোজায় মৃদু টোকায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। দরোজা খুলে দেয় সে। সাহেবই এসেছে। অনেক সময় নিয়ে সোহাগ করে সাহেব। ওরও ভালো লাগে। কিছুদিন হলো সাহেবের সাথে ও খুব ফ্রি । ওরা ফিসফিসেয়ে কথা বলে-
-আচ্ছা কও তো ম্যাডামের লগে না আমার লগে শুইয়া তুমি বেশী মজা পাও'? '
-বুঝিস না তুই, ... কেন তোর কাছে রিস্ক লইয়া আসি!
- বুজলাম। তয় একটি কতা জিগা্ইমু। তোমরা তো আমাগোরে ঘিন্না করো। আমাগোর থালা, গ্লাস আলাদা কইরা দিছো। হেইদিন ভুল কইরা আপনাগোর গ্লাসে পানি খাওয়াতে ম্যাডাম তো কতো কতা হুনাইলো্। তয় আমাগো লগে শুইতে, চুমা খাইতে কি তোমাগোর ঘিন্না হয় না?
একই সমতলে শুয়ে থাকা সাহেবের জিহ্বায় এবারে কোন সাড় নেই, থ হয়ে তাকিয়ে থাকে কুলসুমের মুখে।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভীষণ ভাল লাগলো -- আন্তরিক শুভকামনা
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
সোহানী বলেছেন: সত্য... ওদের যে মুক্তি নেই কিছুতেই.......
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহা ! সমতল কতোটা সমান ... !
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ++++
nothing to say...
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
এনামুল রেজা বলেছেন: ছোট্ট পরিসরের গল্পটা ভালো লাগলো।