নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প- ভালোবাসা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

দলছুট সঞ্জীব। মৃত্যুও পারেনি তাকে ছিনিয়ে নিতে। ওর গাওয়া অমর গানগুলো প্রজন্মান্তরেও সঙ্গীতপ্রেমীদের আলোড়িত করবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।



সঞ্জীব আমার বন্ধু। তখনো গায়ক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। ও পড়ছে গণিতে আর আমি পদার্থ বিজ্ঞানে। চুটিয়ে প্রেম করছে আমাদের ডিপার্টমেন্টের অসম্ভব মেধাবী, শান্তশিষ্ট ও পড়ুয়া মেয়ে সুলতানার সাথে। ভেবে অবাক হতাম, এমন একটি মেয়ে সঞ্জীবের মতোন উড়নচন্ডী ছেলের সাথে কী করে সম্পর্ক করতে পারে! এ বিষয়ে সুলতানাকে কিছু বললে ও হাসতো মিটিমিটি।



মেধাবী হলেও সঞ্জীবের পড়াশুনা করতে ভালো লাগতো না। বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিল ভীষণভাবে। পাশাপাশি ড্রাগের নেশায়ও। আমরা ঘনিষ্টরা চেষ্টা করতাম ওকে ফেরাতে। পারিনি। সুলতানাও পারেনি।



একদিন ক্লাস শেষে লাঞ্চ করতে বাসায় যাচ্ছি। মেয়ে কন্ঠে ডাক "বাবু ভাই, বাবু ভাই " শুনে পেছনে তাকাই। দেখি সুলতানা শক্ত করে ধরে আছে সঞ্জীবের হাত। কাছে যেতেই বললো, "পাঁচদিন ধরে ও কিছু খাচ্ছে না ঐ সব নেশা-ভাঙ ছাড়া। আপনার বাসায় কি ওকে খাওয়াতে পারবেন?" ভার্সিটির কাছেই আমার বাসা। বললাম, "বেশ তো। চলো।"



খাওয়ার টেবিলে শুরু হলো নাটক। চিৎকার করে ও বলছে, "কেন খাবো? কেন খাবো আমি? জোর করে কেন আমাকে খাওয়াবি?" আমার প্রচন্ড রাগ উঠে যায়, বলি, "খাবি না?" সঞ্জীব এবার সজোড়ে টেবিল চাপড়ে চিৎকার করে উঠে, "খাবো না, খাবো না,খাবো না।" মেজাজ সামলাতে পারি না আমি। ঠাস করে ওর গালে চড় বসিয়ে দেই।



- তুই আমাকে মারলি, মারতে পারলি!



ভেউ ভেউ করে কাঁদতে শুরু করে সে।



হতভম্ব সুলতানার চোখে দেখি জলে ছলোছলো। শান্তভাবে সঞ্জীবকে বলি খাওয়া শুরু কর্। থ্যাংকস গড! আমার কথায় এবার সে ঠিকই খেতে শুরু করে।



তাকাই সুলতানার দিকে। ওর চোখে এখন ঈদের ঝিলিক।

























মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

ডি মুন বলেছেন: ঘটনা শুনে তো মনটা খারাপ হয়ে গেল।

সঞ্জীবের গান খুব ভালো লাগত। অকালেই হারিয়ে গেলেন তিনি।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮

সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.