নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের সন্তান
মুমিনত্বের বীর আমাদের মুজাহিদ ভাইদের নৈতিকতার স্খলন এতোটাই বেগবান হয়ে উঠেছে যে, আপোন পন্থীদের পাপাচারকে জায়েজের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের প্রাণটাকে পর্যন্ত বাজি রাখতে রাজি। তাদের এহেনকর্মের আলাদাভাবে উদাহরণ টানতে গেলে তাদেরকে অপমান করা হয়ে যায়। তাছাড়া তারা তো আমাদের দেশের ইমানত্বের বীর মুজাহিদ তাদের বিরোদ্ধে কথা বললে তো আমাদের জিহবা খসে পড়বে, আমাদের ইমানত্বের গেরান্টি তো তাদের জবানে ছোট্ট একটা বাক্যের উপর নির্ভর করে। বলৎকারীকে রক্ষায় যেমন তারা কৌশলী তেমনি নিজেদের পাপিষ্ঠদেরকে উঁচু আসনে বসিয়ে অকর্মকে নিজেদের জন্য জায়েজ করণে তারা খুবই পারদর্শী।
যারা পীর/আমীরকে গালি দেওয়া মানে ইসলামকে গালি দেওয়া বুঝেন তারা স্পষ্টতই সেই পীর/আমীরকে দেবতার আসনে বসিয়েছেন। এমন কুধর্ম প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকেই সকল ধর্মভিত্তিক সংগঠনের আশিকানরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেব। যা প্রকৃত ভাবে ইসলামকে ধ্বংস করা ছাড়া অন্য কিছু নয়। মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু এই মানুষের (তাদের পীর/আমীরের) দ্বারা ভুল হওয়াকে তারা মোটেও স্বীকার করতে রাজি নয়। তারা নিজ পীর/আমীরকে না বলছে ফেরেশতা না নবী-রাসুল। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড দাবী করে ইহা দেবতার পূজা। পৃথিবীর সব মানুষের দ্বারা ভুল সংঘটিত হলেও তাদের পীর/আমীরদের দ্বারা ভুল হয় না। তারা যাই করে তাহাই জায়েজ। এগুলো হেকমতি ফজিলতি কারবার-সারবার। এরকমই বিশ্বাস লালন করেন আমাদের পীর/আমীরের আশিকানেকুল। আর বাংলাদেশের ধর্ম বিশ্বাসী শ্রেণির বিরাট একটি অংশ এই পীর/আমীরদের দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে আছেন। যার কারণে এই অধিকাংশদের দ্বারা সাধারণ ধর্মালম্বীরাও প্রভাবিত হচ্ছেন। যা আমাদের মধ্যে প্রকৃত ধর্মাবলম্বী সৃষ্টির প্রধান অন্তরায়।
বাংলাদেশের সবরকমের প্রতিষ্ঠানই নিজেদের সুনাম রক্ষায় সুষ্ঠু বিচারকে দাফন করে নিরব ছায়ায়। মনে করুন, ধর্ষণ বা এই রকমের জঘন্য অপরাধের বিচার করার পরিবর্তে গোপনে নাম-কা-ওয়াস্তে কোন রকমে বিচারকার্য পরিচালনার মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারকে দাফন করছে তারা। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের বিশ্বাসের দাবী থাকে ধর্মভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এই যেমন, মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও তাদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অন্তত পক্ষে এসব কুকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে। কিন্তু আসলেই আফসোসের বিষয়, যে ঔষধ আপনাকে দেওয়ার কথা নিরাময় সেটাই আপনাকে নিয়ে যায় অন্ধকার জীবনের গভীর গর্তে।
নিজেদের ক্যাম্পাসে ঘটিত ধর্ষণের ঘটনা ঢাকতে যেমন কৌশলী আমাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি তেমনি নিজেদের আঙ্গিনায় ঘটা বলৎকারের কাহিনী ঢাকতেও চতুর আমাদের ধর্মভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটি। ধারণা থেকে বলা যায়, এটা তাদের পাপ গোপন করার অভ্যাসের কারণেও হতে পারে। কেউ থেকে কেউ কম না। কিন্তু সাধারণ মানুষের আশা থাকে ধর্মভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তত এসবের কঠোর প্রতিবাদ হোক। হোক কঠোর বিচার। হোক তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসার কৌশলী প্রচেষ্টার প্রয়োগ। তারা যা দাবী করে তার সত্যিকার অর্থের প্রকাশ ঘটুক।
ছবিঃ গুগল
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রকৃত ধর্মাবলম্বী সৃষ্টির পথ হচ্ছে, কুরআন, হাদিস ও প্রকৃত আলেম। মূলত প্রকৃত আলেমের কাজ কুরআন-হাদিসের আলোকে মানুষকে সঠিক পথের দিকে আহবান করত প্রকৃত ধর্মাবলম্বী তৈরি করা।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম,
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আপনার এই কথাটিই ঠিক ----
"মুমিনত্বের বীর আমাদের মুজাহিদ ভাইদের নৈতিকতার স্খলন এতোটাই বেগবান হয়ে উঠেছে যে, আপোন পন্থীদের পাপাচারকে জায়েজের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের প্রাণটাকে পর্যন্ত বাজি রাখতে রাজি।"
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
বড়ই দুঃখের বিষয়, না আমরা নিজেরা সংশোধন হচ্ছি না অন্যের সাহায্যে সংশোধনের চেষ্টা করছি। আমাদের অন্ধত্ব এতোই শক্ত হয়ে উঠেছে যে, নিজেরা ভুল করলে সেই ভুলটাকেও তারা সহজে স্বীকার করেন না। এমনকি যারা ভুল ধরে দেয় তারাও তাদের কাছে মন্দলোক হয়ে যায়। এটাই তাদের ধ্বংসের প্রধান কারণ হবে হয়ত!
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আল্লহ মুমিনদের পাপ ঢেকে রাখতে বলেছেন আর বলেছেন,আমি বসে আছি মুমিনদের পাপ মোচন করার জন্য,আমি মুমিনদের পক্ষে।আল্লাহকে বিশ্বাস কর পাপকর্ম করো আর ক্ষমা চাও।আল্লাহ ক্ষমার সাগর।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয় মুমিনের প্রকৃত সঙ্গি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। তবে মুমিনের এই সচ্চতা আমরা কোথায় দেখবো?
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মামুনুল হক থেকে বেশী জানেন?
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই আমি সর্ব বিষয়ে স্বল্প জানি।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মামুনুল হকের কাছে দেখবেন।আরো দুই পর্ব বাকি আছে।তার পর দাসী,তার কোন শেষ নেই,যেটা প্রত্যেক খলিফাদেরই ছিল,তাইতো খিলাফত নিয়ে এতো লাফালাফি।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মামুনুল হক ইসলামী লেবাসে বাটপার । ওদের মরা ওরা মরুক
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৭
জগতারন বলেছেন:
প্রকৃত ইসলামের যুগে যে মুসলিমরা দুর্দান্ত গতিতে
অর্ধ পৃথিবী জয় করে সেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করল।
ধনে, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, শিক্ষায়, সামরিক শক্তিতে
সকল ক্ষেত্রে সবার ঊর্ধ্বে আরোহণ করল।
সেই জাতি আজ সকল জাতির গোলামে পরিণত হয়ে
অন্য জাতিগুলির দ্বারা অপমানিত, লাঞ্ছিত হচ্ছে।
এই অপমান, লাঞ্ছনা থেকে পরিত্রাণের উপায় না খুঁজে
তারা আজ অতি তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে জায়েজ, না’জায়েজের ফতোয়াবাজীতে ব্যস্ত।
কূপমণ্ডকতার গহ্বরে বসে প্রশ্ন করে,
টিভি দেখা, ছবি তোলা, গান-বাজনা করা জায়েজ না না’জায়েজ।
কী পরিহাস (!)
এই প্রবন্ধটি প্রিয় রাখলাম ও লাইক দিলাম।
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার বেশির ভাগ ধার্মিকগন ভন্ড। দরিদ্র দেশের ধার্মিকেরা ভয়াবহ ভন্ড।
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: লেখার সাথে সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
প্রকৃত ধর্মাবলম্বী সৃষ্টির পথ কি, ভাই।