নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের সন্তান
শেয়ারবাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হলে আপনার পোশাক পরিবর্তনের প্রয়োজন পরে না। একই ভাবে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনার লেবাস পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। ধর্মীয় জ্ঞান এমন একটি সহজ বিষয়, যা যে কেউ অর্জন করতে পারে। জ্ঞান অর্জন পরবর্তী তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা বা না করার অধিকার তার নিজের। এজন্য তার জ্ঞান কোনভাবেই দায়ী নয়।
ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন ছাড়া নিজেকে ধর্মীয় জ্ঞানে জ্ঞানী ভাবতে যাওয়া নির্বোধ সেই ব্যাক্তির মত, যে নিজের অর্থসম্পদ শেয়ার বাজারে নিয়োগ করছে ঠিকই তবে সে নিজে শেয়ারবাজার সম্পর্কে মোটেও ওয়াকেফহাল নয়। এমন ব্যক্তিদের প্রায় অধিকাংশই পত্রিকার রাশিফল কিংবা ধর্মান্ধতার আশ্রয়ে ঠিকে থাকেন। এরা তো কোন না কোন ভাবে নিজেদের টিকিয়ে রাখছেন, যদিও দিনশেষে এদের অধিকাংশদেরকে আমরা শূন্যতার হাত নিয়ে ফিরতে দেখি।
ধর্মীয় জ্ঞানহীন ব্যক্তিজন এদের চেয়ে অসম্ভব রকমের ক্ষতিকর তার নিজের ও সমাজের জন্য। তারা আবেগ ও নিজেদের স্বল্প বিবেচনা শক্তি দিয়ে ধর্মীয় বিষয়গুলোকে বিবেচনা করেন। এটা যে ধর্ম ও সমাজের জন্য কী পরিমাণ বিপজ্জনক তা তারা চিন্তাও করতে পারেন না।
যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন না বা যারা নাস্তিক তাদের চেয়েও এই সম্প্রদায় খুবই বিপজ্জনক। কারণ এরা নিজেদেরকে ধর্মীয় জ্ঞানী ভাবার পাশাপাশি ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে ফেলেন, যার ক্ষতিকর দিকটি তাদের চিন্তাশক্তিরও বাহিরে থাকে। এরা ধর্মীয় বাণী আওরানোকালে আপনি খুব সহজেই এদের ধর্মীয় জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনি এদের বর্ণীত বাণীর বিপরীতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে সঠিক দিকটি তুলে ধরলে এরা সেটাকে ব্যক্তি আক্রমণ ভেবে বসেন। তাই অনেক জ্ঞানী ব্লগার যখন এদের এরিয়ে চলেন, তখন এই ধর্মজ্ঞানহীন ব্যক্তিজন নিজেদেরকে সঠিক বলে বিবেচনা করে বসেন।
সামু ব্লগটি আমার ভালোবাসার একটা জায়গা। হ্যা, আমার স্বল্প ক'দিন হলো এখানে চলাচল। এই স্বল্প সময়ে আমি খুব অল্প ব্লগারদের পেয়েছি যারা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন; সঠিক আলোচনা। কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে ধর্মীয় পোস্টের নামে ফাউল পোস্টগুলো পেয়েছি যা ধর্মের ক্ষতি করা ছাড়া ভালো কিছু করছে না। ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে ভুল ব্যাখ্যা আসাটা স্বাভাবিক। তাদের ভুল ব্যাখ্যায় সাধারণ ব্লগার ও পাঠকদের নিকট ধর্মীয় ভুল আলোচনার প্রচার হচ্ছে। যারা অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে পড়েন, তারা এইসব ভুল ব্যাখ্যায় প্রভাবিত হওয়ার দ্বারা ধর্ম সম্পর্কে ভূল তথ্যটি জানছেন।
এরকম ধর্মীয় জ্ঞান না রেখে ধর্ম সম্পর্কে আলোচনাকারী অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলাম ধর্মীয় কিছু বই পড়ার জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা আমার কথা কেন রাখবেন! সত্যি তারা নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য হলেও একটু ট্রাই করতে পারতেন, কিন্তু তারা নিজেদের চিন্তার সেই উন্নয়নটুকু করেননি। বরং এখনো ব্লগে আসলে তাদের মধ্যকার ক'জনকে পূর্বের মতই পোস্ট দিতে দেখা যায়।
একজন সাধারণ পাঠক, যিনি সর্বদা নিরব থাকেন, হয়ত উনার ব্লগে একাউন্ট নেই। শুধু পড়তে আসেন। তিনি যে ধর্মীয় জ্ঞানে জ্ঞানী হবেন না সেটা বলা যাবে না। এমন কিছু জ্ঞানীজন যখন আমাদের ব্লগে এসে ধর্মের ভূল ব্যাখ্যা দেখতে পান তখন তাদের নিকট সামু ব্লগ সম্পর্কে কোন ম্যাসেজটি যাচ্ছে?
হ্যাঁ, আমরা জানি এই ব্লগে লেখার সম্পূর্ণ দায় ব্লগারের নিজের। কিন্তু একজন ব্লগারের গঠনমূলক আলোচনা অবশ্যই ব্লগের সুনাম বিস্তারে ভূমিকা রাখে। একই ভাবে ভুল ব্যাখ্যায় ব্লগের বদনামেও ভুমিকা রাখে।
এখানে ব্লগ কর্তৃপক্ষের চেয়ে আমাদের সেই সহব্লগার ভাইদের কার্যকরী উদ্যোগ জরুরি, যারা ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না রেখেও ধর্ম নিয়ে কথা বলেন। আসলেই আপনাদের লেখনি শক্তি যথেষ্ট মজবুত। আপনারা যদি এই মজবুত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় জ্ঞানার্জনে একটু সময় ব্যয় করে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন,তাহলে দেখা যাবে আপনাদের আলোচনায় ধর্মীয় ভূলগুলোর যৌক্তিক বিশ্লেষণ উঠে আসছে। পাশাপাশি ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানী ব্লগার ভাইয়েরা আপনাদের ধর্মীয় পোস্টগুলো এরিয়ে যেতে পারছেন না। তখন আপনারা যেমন সঠিক বিশ্লেষণ ধর্মী আলোচনার স্বাদ উপভোগ করবেন, তেমনি ব্লগ পাবে কিছু নতুন নতুন আলোচনার বিষয়।
সবার জন্য শুভকামনা।৷
ছবি: ইন্টারনেট
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অনেকদিন যাবত এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছি প্রামানিক দা, কিন্তু প্রতিনিয়ত এর গতি বেড়েই চলেছে। আমার এই সহব্লগার ভাইদের বুঝা উচিত উনারাও এই ঐতিহাসিক ব্লগের সম্মানিত ব্লগার। যাদের মাধ্যমে ব্লগের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বদনামও রটতে পারে।
এই পোস্টটিতে আমি তাদের নিকট অনুরোধ করেছি, আশা করি তারা আমার পুরো পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আমার অনুরোধটি বিবেচনায় রাখবেন।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
সমস্যা হলো, যারা ধর্মীয় বিষয়ে না জেনে কিংবা ভাসা ভাসা জেনে জ্ঞানীর মতো ব্লগ লিখে, তারা তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা জানে না, জানতে চায়ও না। তারা মনে করে, তারা হলো এ যুগের ধর্মীয় পন্ডিত। এদের সাথে যুক্তি-তর্ক করতে যাওয়া সময়ের অপচয় মাত্র।
তবে ভালো দিক হলো..........অনেকেই কিছু না বললেও এই তথাকথিত পন্ডিতেরা যে ব্যাক্কল গোত্রের মানুষ, সেটা খুব ভালোভাবেই বোঝে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন, যদিও আমি কাউকে কটাক্ষ করার পক্ষে নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আপনার ধারণাটি সত্য।
আমি এই পোস্টটির মাধ্যমে তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি। আশাবাদী, তারা সামনে যে বিষয়েই আলোচনা করবেন সে বিষয়ে প্রথমে যতটুকু সম্ভব জ্ঞানার্জনের পরই তা প্রকাশ করবেন।
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
নীলসাধু বলেছেন: আমি রাজনীতি ও ধর্মীয় কোন বিষয়ে কোনোদিন লিখিনি।
এই দুই বিষয়ে আমার জানা খুব কম। অন্যান্যদেরটা জানার চেষ্টা করি শুধু, ব্যাস। তবে অন্যান্য সকল বিষয়ের মতোন ধর্ম নয় এটা বুঝতে হবে। বিষয়টি স্পর্শকাতর। এই বিষয়ে লিখলে যথাযথভাবে লেখাটি প্রস্তুত করা উচিত।
ধন্যবাদ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৬
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নীল দা,
অথচ এই দু'টি বিষয় নিয়েই সর্বদা আমাদের ব্লগ গরম হয়ে থাকে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে যারা এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে লেখতে দেখা যায় না। এমনকি এসব ফাউল পোস্টে তারা মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকেন। বড়জোর অল্প কথায় কিছু বলেই কেটে পড়েন।
মজার ব্যপার হলেও দু:খজনক হচ্ছে, এমন কিছু ব্লগার রয়েছেন যারা সবধরনের পোস্টে ধর্ম বা রাজনীতিকে জড়িয়ে রাখতে চান। বাস্তবে সেগুলো অদ্ভুত রকমের লজ্জাজনক!
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভালো বলেছেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।
সর্বাবস্থায় আপনার মঙ্গল কামনা করি।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০
নতুন বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে ভুল ব্যাখ্যা আসাটা স্বাভাবিক। তাদের ভুল ব্যাখ্যায় সাধারণ ব্লগার ও পাঠকদের নিকট ধর্মীয় ভুল আলোচনার প্রচার হচ্ছে। যারা অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে পড়েন, তারা এইসব ভুল ব্যাখ্যায় প্রভাবিত হওয়ার দ্বারা ধর্ম সম্পর্কে ভূল তথ্যটি জানছেন।
এরকম ধর্মীয় জ্ঞান না রেখে ধর্ম সম্পর্কে আলোচনাকারী অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলাম ধর্মীয় কিছু বই পড়ার জন্য।
ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান কোন কোন বই থেকে পাওয়া যায়?
ইসলামে, শিয়া/সুন্নি তারপরে মাজহাব, তরিকা নানার রকমের মত আছে। সেই মতের ভিড়ে আপনি কোনটাকে সঠিক বলবেন?
খৃস্টান ধর্মে ও অনেক তরিকা আছে,
হিন্দুধর্মের তো তরিকার অভাব নাই।
সহী ধর্মের অনুসরন কোন কোন কিতাব থেকে করা যাবে?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে কিছু বলার পূর্বে জানিয়ে রাখি, আমি এখানে ধর্ম বলতে কেবল ইসলাম ধর্ম নিয়েই যে আলোচনা করছি তা কিন্তু নয়। আপনি যে কোন ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলার পূর্বে অন্তত পক্ষে যা বলছেন তা যথেষ্ট ভালো ভাবে যাচাই করে তারপর প্রকাশ করুন।
আপনি জিজ্ঞেস করেছেন, সঠিক ধর্ম সম্পর্কে জানা যায় কোন গ্রন্থের মাধ্যমে? দেখুন, হয়ত আমি আপনাকে বলতে পারবো পবিত্র কোরআনের কথা কিংবা বাইবেল ইঞ্জিলের কথা। কিন্তু আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজে থেকে জ্ঞানের তৃষ্ণা অনুভব করতে পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার কোন কথাই আপনার কর্ণধারে আঘাত করবে না। আপনি নিজের মধ্যে জ্ঞানের তৃষ্ণা তৈরি করতে পারলে পবিত্র কুরআন কিংবা পবিত্র বাইবেল বা অন্যসব ধর্মগ্রন্থ পাঠ করার পর তাদের মধ্যকার পার্থক্য ও সামঞ্জস্য বুঝতে পারবেন। এতে আপনার মধ্যে সঠিক ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান আসবে নিশ্চিত। এখন পূর্ব থেকেই যদি আপনি কুরআনের সত্যতাকে অন্ধভাবে ধারণ করে নিয়ে অন্যসব গ্রন্থ পাঠে যেতে চান, তবে আপনার অন্ধত্যের কারণে অন্যসব ধর্মগ্রন্থকে সহজেই অবিশ্বাস করে সেখানকার হাজারও ভুল ধরতে পারেন।
আর যদি আপনি কুরআন কিংবা বাইবেল সে যেই গ্রন্থই হোক, সচেতনতার সাথে বুঝার মাদ্যমে অধ্যয়ন করেন, তাহলে এর পরবর্তীতে যেই ধর্মগ্রন্থগুলো দেখতে যাবেন, সেখানে আপনি ভুল না ধরে তাদের মধ্যকার সাদৃশ্য ও অমিলগুলো নিয়েই নিজের বিবেকের দরবারে হাজির হতে পারবেন। এতে করে সঠিক ধর্ম সম্পর্কে আপনার নিজের জানার দরজাটি খোলবে আশা করা যায়।
সর্বশেষ কথা হলো, আপনি প্রত্যেকটি ধর্মের মূল গ্রন্থ থেকে যখন জ্ঞানান্বেষণ শুরু করবেন, তখন ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে যত পেছনে আসবেন অর্থাৎ যতই বর্তমান সময়ের দিকে এগোবেন আপনার নিকট ততই পরিস্কার হয়ে উঠবে সঠিক ও বাতিল মতাদর্শের ইতিহাস।
আশা করি বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০২
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে জ্ঞান বলতে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান কে বুঝানো হয়েছে।বিজ্ঞানের জ্ঞান কে নয়।দর্শন এবং বিজ্ঞান চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ওকে, যদিও আপনার কথা মানার মত না, তবু থুক্কু বলে মেনে নিলাম, থুক্কু ভাঙার আগেই বলি, তাহলে যে ব্লগগুলো ধর্মীয় হওয়ার কথা নয়, সেগুলোতে ধর্মকে কেন টেনে আনা হয়; আপনার ভাষায় যেগুলো বৈজ্ঞানিক!
৫ম মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বলা সেই কথাগুলো রিপিট করতে হচ্ছে, আমি এখানে ইসলাম ধর্মের গুনগান বা রক্ষার দাবী নিয়ে আসিনি। আমি এই পোস্টে কেবল আমার সেইসব সহব্লগারদের নিকট অনুরোধ করছি যারা সঠিক জ্ঞান অনুসরণ ব্যাতিরেকে আলোচনা করেন যা আলোচিত বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস করে ফেলে। আপনি রাজনীতি নিয়ে লিখুন, কিন্তু সেখামে যদি ভুতের গল্পের বিশ্বাস ফুটিয়ে তুলেন তাহলে নিশ্চয়ই তা গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়! (আপনার নিকট পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো!)
আপনার এই বিষয়গুলো জানার কথা, তারপরেও উইকিপিডিয়ার এই লিংকে একবার রিভিশন দেওয়ার অনুরোধ রইলো, তথ্যসূত্র থেকে দেখে নিন....
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
শুধু ধর্ম নয়। যেকোন বিষয় নিয়ে লিখতে চাইলে আগে সেই বিষয়ে কিছুটা হলেও জ্ঞানার্জন করা দরকার। কিছুটা হলেও গবেষণা করে তারপর লেখা উচিত।
এতে করে লেখার গভীরতা ও জ্ঞানের বিকাশ দুটোই বাড়ে। একাউন্ট খুলে লিখে ফেল্লেই হল না। আপনি বা আমি অথবা যেই বিষয়টি আধো আধো জানি সেটার সম্পর্কে মন্তব্য করা বা কোন কিছু লেখা উচিত নয় বলেই আমার মনে হয়।
তাই লেখার আগে সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা উচিত।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
" শুধু ধর্ম নয়। যেকোন বিষয় নিয়ে লিখতে চাইলে আগে সেই বিষয়ে কিছুটা হলেও জ্ঞানার্জন করা দরকার। কিছুটা হলেও গবেষণা করে তারপর লেখা উচিত।
এতে করে লেখার গভীরতা ও জ্ঞানের বিকাশ দুটোই বাড়ে। একাউন্ট খুলে লিখে ফেল্লেই হল না। আপনি বা আমি অথবা যেই বিষয়টি আধো আধো জানি সেটার সম্পর্কে মন্তব্য করা বা কোন কিছু লেখা উচিত নয় বলেই আমার মনে হয়।
তাই লেখার আগে সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা উচিত।"
আপনার লেখাগুলো বড় করে দিলাম কারণ আমার পোস্টের সাথে এই কথাগুলোর যথেষ্ট মিল রয়েছে।
সুন্দর ও সহজভাবে বলার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫
আরোগ্য বলেছেন: সঠিক পোস্ট। কোন কোন ধর্মীয় পোস্টে ধর্ম অধর্ম এক হয়ে যায়। সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আপনার কথাটি একেবারে সঠিক, "কোন কোন ধর্মীয় পোস্টে ধর্ম অধর্ম এক হয়ে যায়।" ৷
সকলেই নিজেদের শুভবুদ্ধি উদয়নের চেষ্টা করুক।
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০০
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: ২০১১তে যখন সামুতে আসি তখন এইসব তেমন একটা দেখিনি। অনেক দারুণ আলোচনা হতো ধর্মীয় পোস্ট গুলিতে। রেফারেন্স বা সঠিক সোর্স ছাড়া আজগুবি বিশ্লেষণ কম পেতাম। পেলেও সেগুলোই যথার্থ গঠনমূলক মতবিনিময় হতো মন্তব্যে।
মাঝে সামুতে কিচ্ছু কাঠমোল্লা হুজুর ডুকে পড়ে। জুম্মার খুতবার আগে যেমন কিছু খতিব কুরআন মাজিদের আয়াত আর হাদিসের মনগড়া ভুল ব্যাখ্যার শ্রুতিমধুর খুতবা দেন তেমনটা হয়ে গিয়েছিলো সামুর অবস্থা। বেশ কয়েক বছর পর সামুতে সচল হলাম সপ্তাহ পেরইনি আর চোখে পড়ল কিছু তেমন পোস্ট।
দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন আশঙ্কার জায়গাটা। ধন্যবাদ গঠনমূলক লেখার জন্য। সহমত পোষণ করছি আপনার সাথে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: ২০১১তে যখন সামুতে আসি তখন এইসব তেমন একটা দেখিনি। অনেক দারুণ আলোচনা হতো ধর্মীয় পোস্ট গুলিতে। রেফারেন্স বা সঠিক সোর্স ছাড়া আজগুবি বিশ্লেষণ কম পেতাম। পেলেও সেগুলোই যথার্থ গঠনমূলক মতবিনিময় হতো মন্তব্যে।
আপনার মন্তব্যের এই অংশের মাধ্যমে ফুটে উঠে, একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম যখন গবেষণা ও চর্চার জায়গা হয়ে যায় তখন সেটা সকলের কাছেই পবিত্র হয়ে উঠে। আসলেই সেই সময়টি ছিল অনেকটা এগিয়ে। অথচ এতোদিনের পথচলায় আমাদের গতি অগ্রগামী না হয়ে পশ্চাদগামীতে রূপ নিচ্ছে। যা বস্তুত আমাদের জন্য লজ্জার।
আবার আমরা কিন্তু চাইলেই সেই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে পারি, যারা এমন গবেষণা বহির্ভূত পোস্ট করে থাকেন তারা যদি গবেষণা তথা রিসার্চ পরবর্তী লেখা প্রকাশ করেন, তবেই আলোচনা জমে যায়, আবিস্কার হয় নতুন কিছুর। এর জন্য সঠিক জ্ঞানী ব্লগারদেরও মাঝেমধ্যে এসব বিষয়ভিত্তিক লেখা প্রকাশ করতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৯
অগ্নিবেশ বলেছেন: মতের মিল না হলেই মুছে ফেলবেন, ব্লক করে দেবেন। এ আর নতুন কি? আপনিও ভালো থাকবেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, আমি জানতাম আপনি একজন সচেতন ব্লগার। আর সচেতন ব্লগারদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনা করা। কিন্তু আপনি সেটা না করেও নিজের ভুলটি দেখতে পাচ্ছেন না! অদ্ভুতভাবে আপনি নিজেই আমার বিপরীত মদালম্বীদের দলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন!
আপনি কিভাবে নির্ধারণ করলেন, আমাকে আপনার বিপরীত মতাদর্শ ধারণ করতেই হবে? দয়া করে পোস্টটি পড়ুন!
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধর্মীয় জ্ঞান বিষয়টা যে আসলে কী এটা যদি আসলে আপনি ব্যাখ্যা করতেন তাহলে বোধহয় বুঝতে সুবিধা হতো।
আমার ধারনা ধর্মীয় জ্ঞান বলে কোন বিষয়ই নেই। যেটা আছে সেটা হলো ধর্মীয় অনুভুতি। কারো কারো ক্ষেত্রে এই ধর্মীয় অনুভুতি স্থূল, কারো সূক্ষ্ম। সূক্ষ্ম ধর্মানুভূতির মানুষগুলোকে আমরা বলি ধার্মিক। তার মানে এই নয় যে, তারা অনেক বই পুস্তক তত্ত্ব বিচার করে ধার্মিক হয়েছেন।
অপরদিকে জ্ঞান বিষয় ভিত্তিক - সেই বিষয় দর্শন হতে পারে, অর্থনীতি, ইতিহাস বা বিজ্ঞান হতে পারে, এমন কি ধর্মশাস্ত্রও হতে পারে। ধর্মশাস্ত্র বিষয়ে জ্ঞানী ধার্মিক নাও হতে পারেন। যেমন ভাষাতত্ত্ববিদ এবং প্রাচ্যবিদ ম্যাক্স মুলার (Max Müller)
এখন একটা একটা প্রশ্ন করা যাক। হিন্দু ধর্মের দুজন বিখ্যাত ধর্মগুরু শ্রী চৈতন্য বা রামকৃষ্ণ পরমহংস (যারা ধর্মকে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দিয়ে লাভ করেছেন, বই পড়ে নয়) কে কি ধর্মীয় জ্ঞানে জ্ঞানী বলবেন নাকি ম্যাক্স মুলার কে যিনি সারা জীবন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র গুলোে অধ্যয়ন করেছেন?
১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
নতুন বলেছেন: সর্বশেষ কথা হলো, আপনি প্রত্যেকটি ধর্মের মূল গ্রন্থ থেকে যখন জ্ঞানান্বেষণ শুরু করবেন, তখন ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে যত পেছনে আসবেন অর্থাৎ যতই বর্তমান সময়ের দিকে এগোবেন আপনার নিকট ততই পরিস্কার হয়ে উঠবে সঠিক ও বাতিল মতাদর্শের ইতিহাস।
আশা করি বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।
আপনি পোস্টে বলেছেন যে সঠিকটা জেনে লিখতে।
একজন হিন্দু ধমালম্বির কাছে সনাতন ধর্মই সহী বাকী সকল ধর্মই ভুল পথে আছে...
দুনিয়াতে কোন ধর্মেরই ১০০% সত্যতা বলে কিছুই নাই। সকল ধর্মই বিশ্বাসের উপরে দাড়িয়ে আছে।
তাই ধর্মের কোন বিষয়ই সঠিক সেটা আপনি ১০০% প্রমানিত কিছু দেখাতে পারবেনা না।
আপনি হিন্দু হিসেবে সঠিক জেনে যেটা লিখবেন সেটা মুসলমান হিসেবে ভুল। তেমনি শিয়াইজমের কথাগুলি কাহিনি গুলি আপনার সুন্নি বিশ্বাসে ভুল বলে জানে...
তাই ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক বলে কিছু নাই। সবই মানুষের বিশ্বাস মাত্র।
১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: যে যা জানে লিখুক।
ভুল লিখে লিখেই তো নিজেকে শুধরে নিবে।
১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১১
সত্যপীরবাবা বলেছেন: ফিরে ফিরে আসি এই পোস্টে ব্লগার শ্রাবণধারা আর নতুনের কমেন্টের উত্তর দেখার আশায়।
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: চেষ্টা ভালোই করেছেন, তবে লেখাটা তেমন কনভিন্সিং মনে হলো না।
একজন লেখক যা কিছুই লিখেন না কেন, তার উচিত লেখার তথ্যগুলো যেন সঠিক হয়। এজন্য একটা লেখা পোস্ট করার আগে কয়েকবার রিভিশন করা উচিত তথ্য, ভাষা, বানান, ব্যাকরণ ইত্যাদি নির্ভুল কিনা, তা যাচাই এর জন্য।
ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য ব্যাপক পড়াশুনা করা প্রয়োজন। এজন্য ইতিহাস জানা ও ঘাটাঘাটি করারও প্রয়োজন রয়েছে। দর্শন শাস্ত্র সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকাও একান্ত দরকার।
১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জ্ঞানগর্ভ পোস্ট
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
আরাফআহনাফ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট ।
আপনার সাথে সব যোগাযোগ মাধ্যম হারিয়ে ফেলেছি।
ভালো থাকুন সুহৃদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট