নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব পজেটিভ মানুষ। যা আমাকে পোড়ায় তা নিয়ে মাঝে-সাঝে লিখি। তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে একটা উপস্থিত কবিতা লেখা প্রতিযোগীতায় পুরস্কৃত হওয়ার মধ্য দিয়ে কলম ধরার যাত্রা শুরু

তামান্না তাবাসসুম

মিষ্টি হাসির আকাংক্ষা

তামান্না তাবাসসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মা\' শব্দটার সাথে সবসময় দুঃখি দুঃখি ট্যাগ কেন?

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

গর্ভিধারিনী মা জমম দুখিনী মা, মায়ের কান্দন যাবৎজীবন, আম্মাজান মুভি, মাকে নিয়ে কবিতা,গান সবখানেই মাকে দুঃখী দেখানো হয় কেন বা আমাকদের মায়েরা সবসময় দুঃখীই বা হন কেন? তার কারন কি আমরা কেউ খুঁজে দেখি? নাকি এটাকে টেইকেন ফর গ্রান্টেড করে নেই? ভাবি এটাই স্বাভাবিক?




ইসলাম ধর্ম মতে, সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় যদি মায়ের মৃত্যু হয় তা শহীদি মৃত্যু,সে বিনা বিচারে জান্নাত পায় ।
কিন্তু মা’টা ভাবে আমি মরলে বাবুটার কি হবে? বাবুটার কথা ভাবলে তার কাছে স্বর্গ ও তুচ্ছ মনে হয় !

সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য মাকে সেই ১৩ বছর বয়স থেকেই সহ্য করতে হয় প্রচুর শারিরিক কষ্ট।

অনেক শিশুই দুর্বল স্বাস্থ্য , সল্প মেধা, দৃষ্ট শক্তিতে সমস্যা ইত্যাদিতে ভোগে গর্ভাবস্থায় মায়ের মানুষিক অশান্তির কারনে, প্রতিবন্ধী হওয়ার কথা নাহয় বাদই দিলাম।বর্তমানে মায়ের শারিরিক ব্যপারে খেয়াল রাখা হলেও মানুষিক স্বাস্থ্যর ব্যপারে আমারা এখনো উদাসীন।

সরকারী ভাবে মায়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুযোগ সুবিধা পেলেও বেসরকারি চাকরীতে তার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত মায়েরা।

কর্মজীবী মায়েদের এত দুর্দশা থাকতো না, যদি না কর্পোরেট প্রভূরা তাদের প্রতিষ্ঠানের মায়েদের শিশুদের জন্য ছোট্ট করে ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা রাখতো।

প্রথম অবস্থায় প্রেগনেন্ট নারীকে দেখলেও বোঝা যায় না, আর সে তখন রিস্কএও থাকে বেশি । অফিস যাওয়া আসায় বেশির ভাগের বাসেই চড়তে হয়। সে সব বিশেষ অবস্থার কথা বিবেচনায় আনলে আমি নারীর জন্য সংরক্ষিত আসনের বিরোধিতা করতে পারি না।

প্রেগন্যান্সির সময় প্রয়োজনয়ীয় হরমোন ১০০ - ১০০০ গুন (100- 10000 fold decrease) কমে যাওয়া এবং MAO - A হরমোনের হঠাত বেড়ে যাওয়া যা ব্রেইন সেলে বিষন্নতা উতপন্নকারী হরমোন বাড়িয়ে দেয় ।'প্রসব পরব্ররতীকালীন বিষন্নতা' বাচ্চা জন্মের দুই বছর পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে।
কারণ ছাড়ামন খারাপ হয় , কারণ ছাড়াই বিরক্তি লাগে , মেজাজ খিটখিটে থাকে , বাচ্চা ও বাচ্চার যত্ন নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন হয়, নিজের উপরে নিজের অসন্তোস , নিজের ক্যারিয়ার + নিজের রূপ সবকিছু নিয়ে হিনমন্যতায় ভোগা, নিজের জীবনের প্রতি মায়া চলে যাওয়া এসব সমস্যা হয়।
এর প্রতিকারে বাচ্চার বাবারা সদ্য মায়ের প্রতি রাখতে হবে বিশেষ খেয়াল। শুধু মিস্টি ব্যাবহার , সহানুভূতীপূর্ণ কথা ও ব্যাবহার, কাছে কথাও ঘুরে আসা, রোমান্টিকতা এসবই যথেষ্ট এটা কাটিয়ে উঠতে।
নেপোলিয়ন বলেছেন," একজন বাবার সন্ততানকে দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে তার মাকে ভালবাসা।"

জনম দুঃখিনী মা, কথাটা প্রচলিত থাকতো না যদিনা বাবারা মায়েদের প্রতি আরো একটু সহানুভূতিশীল হতেন।

মায়েরা সবসময় নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ান।মায়ের প্রিয় খাবার কি এটা কয়জন জানি? এদিকে চল্লিশের পরেই মায়েদের ক্যলশিয়ামের ঘারতি জনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যেমন - হাড্ডি ক্ষয়।
ত্রিশের পর থেকে প্রতিটি মা যেন প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খান তা নিশ্চিত করলে তা প্রতিকার সম্ভব। মায়াদের কাছেতো আমরা অনেক আবদারই করি, অনেক জেদ করি। তার সুস্থতার জন্য তাকে প্রতিদিন স্বাস্থসম্মত খারাব খাওয়ানোর জেদটা আমরা করতেই পারি।

আমরা মাকে শুধু ত্যগের মূর্ত প্রতিক হিসেবেই দেখি, আমাদেরও যে মায়ের জন্য কিছু করার আছে তা ভাবি না।
ছেলেরা মায়ের প্রতি দায়িত্ব বলতে বউকে মায়ের কথা শুনে চলতে বলা পর্যন্ত বোঝে। অথচ নিজে যে সারাজীবন মাকে কত জালাইল তার হিসাব নাই।আর মেয়েরা নিজে মা হওয়ার পর বুঝে মা কি জিনিস, তার আগে না।

মা দিবসের কথা উঠলে আমাদের মাথায় শুধু বয়স্ক ইমেজ আসে কেন আর ওল্ড হোমের কথাই আসে কেন?
ছোট বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি রাফ বিহেভ করে মায়ের সাথে, পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তেমন সাহস পায় না। কেন জানেন, কারন সে ঘরের অন্যদের (বাবা, দাদা-দাদী, চাচা-ফুফি) তাকে তেমন গুরুত্ত দিতে দেখে না, সে দ্যেখে মা তাদের জন্য শুধু করেই যায় আর পান থেকে চুন খসলেই তাদের মুখ গোমড়া।তাই সেও এটাকে নরমাল মনে করে।

ছোটদের বইয়ে মাকে ভালবাসা সম্পর্কিত রচনা গুলিতে শুধু মা কে নিয়ে ভারী ভারী কথাই লেখা থাকে। লেখা থাকে আমাদের অসুখ করলে মায়ের রাত জাগার কথা, আমাদের মায়ের জন্য কি করা উচিত তা তেমন একটা লেখা থাকে না।লেখা থাকে না পরিবারে মায়ের প্রতি অন্যায় হলে প্রতিবাদের কথা।মাকে ভালোবেসে মায়ের কাজে সাহায্য করার কথা লেখা থাকে না।মায়ের যাতে কস্ট না হয় এর জন্য নিজের কাজ নিজে করার কথা লেখা থাকে না। এক কথায় লেখা থাকে মাকে যেন কষ্ট না দেয়, এদিকে মেয়েদের কষ্টের রঙ গুলো কেমন তা খোজার চেষ্টা করার সময় কই আমাদের?

এভাবেই ভাল থাকে না মায়েরা। গানে, কবিতায় তাদের কষ্টের করুণ ৈশল্পিক বর্ণণা করি আমরা। তাদের ভাল রাখার উপায় খুঁজি কজন?

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১:০৩

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।
শুভকামনা :)

২| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১:১৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: মাকে নিয়ে ভাবনাটা যখন দিবস কেন্দ্রীক হয় তখন মায়ের দুঃখ টা কি কেন্দ্রীক হবে!

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আসলে প্রত্ত্যেকটা দিবসই বিতর্ক দিবস, সেটা একদিনের না ৩৬৫ দিনের :P

আমার পুরো লেখায় কোথাও কি দিবসের কথা আছে? ভালবাসা কখনো দিবস কেন্দ্রিক হয় নাকি?
আমার মাকে নিয়ে এক দিন আমি একটু বেশি আদিক্ষেতা করতেই পারি। তার মানে এই না যে সারাবছর কেউ মাকে ভালবাসে না। তাও আবার সম্পর্ক টার নাম যদি হয় মা।
আপনি লেখাটা না পরেই মন্তব্য করায় কষ্ট পেলাম প্রিয় ব্লগার।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: মায়ের প্রতি ভালোবাসা অটুট থাকুক সারা জীবন। সবসময়।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: শুভকামনা রইল :)

৪| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

অবনি মণি বলেছেন: তাদের ভাল রাখার উপায় খুঁজি কজন?

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সেটাই কথা আপু। আমরা তো গানে, কবিতায় তাদের কষ্টের করুণ ৈশল্পিক বর্ণণা করতেই ব্যস্ত সারাক্ষণ।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। শুভকামনা :)

৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০০

এস কাজী বলেছেন: আজকে মা বিষয়ে লেখাগুলো পড়ে শুধু আবেগে আক্রান্ত হচ্ছি।

খুব সুন্দর লিখেছেন আপু!!!!

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আসলে মা শব্দটার চেয়ে আবেগ সাথে সংশ্লিষ্ট শব্দ আর কিই বা হতে পারে? :)
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।
শুভকামনা। :)

৬| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুবই চমৎকার বিশ্লেষণ সহ লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল! বিশেষ করে-
"জনম দুঃখিনী মা, কথাটা প্রচলিত থাকতো না যদিনা বাবারা মায়েদের প্রতি আরো একটু সহানুভূতিশীল হতেন।"
এই লাইনটা অসম্ভব ভাল লেগেছে!

সুন্দর লেখায় অনেক অনেক ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয় লেখকদের মন্তব্য লেখার আগ্রহকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
শুভকামনা নিরন্তর :)

৭| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

নবাব চৌধুরী বলেছেন: বেশ হয়েছে, বিশেষ করে মায়েরা বেহেস্তের আশাও বিসর্জন দেন সন্তানের জন্য এই লাইনটা। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভালো থাকুক সকল মা।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরিন্তর :)

৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

মৌমতা দীপ্তি বলেছেন: nice post, to send file/data iphone to android follow this link hope you will enjoy Click This Link

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: thanks :) :)

৯| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এভাবেই ভাল থাকে না মায়েরা। গানে, কবিতায় তাদের কষ্টের করুণ শৈল্পিক বর্ণণা করি আমরা। তাদের ভাল রাখার উপায় খুঁজি কজন?

সুন্দর লিখেছেন।প্রকৃত অর্থে মা যে সর্বশ্রেষ্ঠ, তাঁর জন্যই আমাদের পুরো স্বত্তা এটা আমরা কজনই ভাবি!পৃথিবীর সকল মা সন্তান সুখী হোক

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়্যা।
অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম।
লেখা-লেখি কেমন চলছে?

ভাল থাকুন এই কামনায় :) :)

১০| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: মা দিবস নিয়ে লেখা আপনার পোস্টটা অন্য আর দশটা পোস্টের চেয়ে ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে।

//**সরকারী ভাবে মায়েরা মাতৃ কালীন ছুটি ও সুযোগ সুবিধা পেলেও বেসরকারি চাকরীতে তার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত মায়েরা।
কর্মজীবী মায়েদের এত দুর্দশা থাকতো না, যদি না কর্পোরেট প্রভূরা তাদের প্রতিষ্ঠানের মায়েদের শিশুদের জন্য ছোট্ট করে ডে কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা রাখতো।//
-- সহমত !!!

//** বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরব্ররতীকালীন বিষন্নতা'; প্রেগন্যান্সির সময় প্রয়োজনয়ীয় হরমোন ১০০ - ১০০০ গুন (100- 10000 fold decrease) কমে যাওয়া // -- বিষন্নতা ও পরবর্তীতে তার প্রতিক্রিয়া অল্প কথায় সুন্দর তুলে ধরেছেন।

//নেপোলিয়ন বলেছেন," একজন বাবার সন্ততানকে দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে তার মাকে ভালবাসা।" // -- পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোট-খাট বিরোধ হতেই পারে, আমাদেরও হয়। একদিন আমার স্ত্রী বলল, "তুমি ছেলের সামনে আমার সাথে ঝগড়া করো না, ওর মন খারাপ হয়।"
এর পর থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি ছেলের সামনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার।

//মায়াদের কাছেতো আমরা অনেক আবদারই করি, অনেক জেদ করি। তার সুস্থতার জন্য তাকে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়ানোর জেদটা আমরা করতেই পারি। // -- খুব সুন্দর বলেছেন।

//**আমরা মাকে শুধু ত্যগের মূর্ত প্রতিক হিসেবেই দেখি, আমাদেরও যে মায়ের জন্য কিছু করার আছে তা ভাবি না।
ছেলেরা মায়ের প্রতি দায়িত্ব বলতে বউকে মায়ের কথা শুনে চলতে বলা পর্যন্ত বোঝে। অথচ নিজে যে সারাজীবন মাকে কত জালাইল তার হিসাব নাই।আর মেয়েরা নিজে মা হওয়ার পর বুঝে মা কি জিনিস, তার আগে না।//
-- মূল্যবান কথা !

//**ছোটদের বইয়ে মাকে ভালবাসা সম্পর্কিত রচনা গুলিতে শুধু মা কে নিয়ে ভারী ভারী কথাই লেখা থাকে, লেখা থাকে মা আমাদের অসুখ করলে মায়ের রাত জাগার কথা, আমাদের মায়ের জন্য কি করা উচিত তা তেমন একটা লেখা থাকে না।লেখা থাকে না পরিবারে মায়ের প্রতি অন্যায় হলে প্রতিবাদের কথা।মাকে ভালোবেসে মায়ের কাজে সাহায্য করার কথা লেখা থাকে না।মায়ের যাতে কস্ট না হয় এর জন্য নিজের কাজ নিজে করার কথা লেখা থাকে না। এক কথায় লেখা থাকে মাকে যেন কষ্ট না দেয়, এদিকে মেয়েদের কষ্টের রঙ গুলো কেমন তা খোজার চেষ্টা করার সময় কই আমাদের?// -- মায়ের প্রতি আমাদের কর্তব্য !!!


//গানে, কবিতায় তাদের কষ্টের করুণ ৈশল্পিক বর্ণণা করি আমরা। তাদের ভাল রাখার উপায় খুঁজি কজন? // -- শুধু গানে-কবিতায় নয়; সত্যিকার ভাবে মায়েদের ভাল রাখার উপায় বের করতে হবে।

ভাল থাকুন। সবসময়।


০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এত সুন্দর বিশ্লেষণধর্মি মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগনো। এমন ভাল পাঠক পেলে মনেহয় লেখার কষ্টটা স্বার্থক হল।

সব সময় ভাল থাকুন এই কামনায়। :)

১১| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি মা থাকুক হাসি আনন্দে ভরপুর। অন্তত স্বামী আর সন্তানেরা তাকে বুঝুক, তাহলেই চলবে।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৮

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: মন্তব্যটা অনেক ভাল লাগলো ভাইয়্যা। আসলেই তাই।

শুভকামনা :) :)

১২| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:



বাস্তবতার নিরিখে লেখা।


ভাল লাগল।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরিন্তর :)

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৫

জাহিদ নীল বলেছেন: মায়ের মত করে সন্তানের কথা হয়ত কেউ ভাবে না। তবে বাবারা কেন যে উপেক্ষিত থাকে বুঝিনা। বাবাদের দোষ তারা আবেগী হয়ে ভালবাসা বোঝাতে পারে না। কেমন একটা রাগ রাগ ইমেজ ধরে রাখার মধ্যেই শান্তি খুজে পেতে চায়। সন্তানরা মায়ের কাছে আবদার করে। গোপনে কিন্তু সেই আবদার বাবারাই পুরন করে। সন্তানকে বকাঝকা করার পর মায়েদের সন্তানের কাছে বাবাই পাঠায় অনেক সময় আদর করে খাওয়ানোর জন্য। মা-বাবার অভাব পূরন করার মত বিকল্প কিছু আবিষ্কার হয়নি আর হবেও না। তবে একটা সন্তানের বড় হয়ে ওঠার জন্য মায়ের আবদান বেশি। মায়েরা কোমল মনের হয়, সন্তানকে বেশি ভালবাসা দিতে পারে। বাবারা যা চাইলেও পারে না। মা মৃত্যুর পর সন্তান বেশি খারাপ হয়,বেশি অবহেলা পায়। তবে বাবা মৃত্যুর পরও মায়ের চেষ্টায় অনেক শিশু প্রতিষ্ঠিত।
তবে মা না বাবা কে বড় এইটা নিয়ে কেউ কেউ বির্তক করে যা ঠিক না।
আপনার লেখা অসাধারন হয়েছে কিন্তু কমেন্ট লেখার বিষয় বস্তুর সাথে গেল কি না বলতে পারছি না। আমার মনের কথা গুলো শেয়ার করলাম সবার সাথে এই আর কি।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৩

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাবনা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এই লেখার কেন্দ্রবিন্দুই তো মা! এক লেখায় কি সবকিছু আনা যায়?এখানে তো কোন প্রতিযোগিতার কথা আসে নি! আর এমন টপিক টাই তো খুব বাজে।

ভাবনা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৮

জাহিদ নীল বলেছেন: অনেক বড় কমেন্ট হয়ে গিয়েছে যদিও..চালিয়ে যান আর যদি সম্ভব হয় নিয়মিত হবার চেষ্টা করবেন। অল্প হোক তবু সব কিছু নিয়মিত ভাল। অল্প থেকেই সিন্ধু হবে। :)

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: মাঝে পরীক্ষা ছিল, তাই ব্লগে অনেকদিন আসা হয়নি।
আসলে সেমিস্টার গ্যপ গুলোতেই শুধু আসি ব্লগে।
এখন থেকে নিয়মিত হব ইনশাআল্লাহ।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৪

অপ্রথ্যাশিত হিমু বলেছেন: মিসির আলী ভাইআপনার কথার সাথে একাত্তবোদ হতে পারলাম না। কারন আমরা সবাই জানি বিশেষ কোনো মূহর্ত বিশেষ কোনো দিন সবসময় একরকম হয় না,হবে ও না, আশা করা ও যায় না তাই স্বাভাবিক। মানুষের জীবনের কঠিন বাস্তবতা হল কোনো মানূষই সবসময় তার ভালবাসার কৃতিত্ত প্রকাশ করতে পারে না যত বড় আপন ই হোক না কেন।
ইতিহাসের পাতা খুললেই দেখা যায় ভালবাসার পৈশাচিকতার মর্মর যন্ত্রনার কাতরে বাবা-মায়ের জাইগা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। যে মা ১০টি মাস তার সন্তানকে গর্ভে ধারন করে বুকে আগলিয়ে দরে রাখেও তার শেষ নিঃশ্বাস হয় বৃদ্ধাশ্রমে,
যে মায়ের আচলের নিচে খুজি পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান,আর একসময় সে মায়ের আচল দেখতেও গা হিমশিম খাই।
যাই হোক,যদি তাই হয়,তাহলে কোন মানূষই পারে না প্রত্যেকদিন তার ভালবাসাটাকে জাগ্রিত করতে।
যেমন,
১) যেমন পারিনা প্রত্যেক দিন আল্লাহকে ভালবেসে মসজিদের আযানের সময় নামাজে যেতে।
২) যেমন পারি না প্রত্যেকদিন ঈদ করতে নতুন জামা কিনতে টুটু করতে।
৩) যেমন পারিনা লাইলাতুল কদ্বরের রাত ছাড়া অন্য কোন রাতে মাথায় টুপি লাগিয়ে হাফিজি ভাব ধরে তালেবে আলেম হতে।
৪) যেমন পারিনা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছাড়া ভেলেন্টাইন রোমান্স এস,এম,এস করতে ইত্যাদি।
ঠিক তেমনি মানুষের জীবনের প্রত্যেক দিনে ভালবাসা থাকলেউ বিশেষ কোনো দিনে বিশেষ ভাবেই পূর্ণতা পাই তাই স্বাভাবিক। যদি প্রত্যেকটি দিনই ঈদের দিন হত তাহলে আমরা ঈদের মজাটুকু থেকে বন্চিত থাকতাম টিক তেমনি মা দিবস যদি বিশেষ কোনো দিন না হত তাহলে আমরা বুজতে পারতাম না বিশেষ কোনো দিনে মায়ের বিশেষ আদরটুকু.......তাই বিশেষ দিন হতে পারে।
১) মায়ের জন্ম বার্ষিকি।
২) হতে পাড়ে মাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকি।
৩) হতে পাড়ে ভাইয়ের ম্যারিজ ডে ইত্যাদি।
বিশেষ কোনো দিনকে বিশেষভাবে নেওয়াটাই বিশেষ ভাল।
আশা করি বুজাতে পেরেছি আপনাকে

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: যদিও আমার লেখাটি দিবস কেন্দ্রিক না, তবুও আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

পশ্চিমা কত কিছুই তো আমরা গ্রহণ করছি। তাহলে মা দিবসে সমস্যা কোথায়? মাকে একদিন বিশেষ ভাবে খুশি করলে সমস্যা কি? আমার ব্যক্তিগত ভাবে যে কোন সেলিব্রেশনই ভাল্লাগে।
শুধু মা দিবস কেন? মাকে ভালবাসা দিবসে সারপ্রাইজ দেয়া, মায়ের জম্মদিন পালন করা, সামর্থ হলে মাকে যার যার ধর্ম অনুযায়ী তীর্থস্থান ঘুরিয়ে নিয়ে আসা। এসবি আমরা মায়ের জন্য করতে পারি। মেইন হল মানুষ টাকে খুশি করা। সেটা এমনি এমনি ও হয়। সেলিব্রেশনে কিন্তু ভেতরকার টানও বাড়ে, যা অন্যসময় বলতে পারি না, তা ওই উছিলায় বলে দিলে মনেও হাল্কা হয়।

শুভকামনা প্রিয় ব্লগার। ভাল থাকুন সবসময় :)

১৬| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

প্রামানিক বলেছেন: মা বিষয়ে অনেক সুন্দর পোষ্ট। শুভ্চেছা রইল।

১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার।
ভাল থাকুন সবসময় :)

১৭| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাকে মানব সমাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব দিয়েছে প্রকৃতি, এটাই বড় ইতিহাস

১২ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরিন্তর

১৮| ২০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন একটি পোস্ট এটি।

ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

সব মায়ের ভালো থাকুক।

শুভেচ্ছা।

২১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য এবং আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা :) :)

ভাল থাকুন সবসময় :)

১৯| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

আলিফ লায়লা ২০০০ বলেছেন: যে কথা কেউ বলেনি আগে! আসলেইতো আসলে মাকে মহান বানাতে বানাতে সেও যে একজন মানুষ, তারও যে পরিবার থেকে কিছু পাওয়ার আছে সে কথা আমরা খেয়াল ই করি না।
your post made my day :)

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
সব মায়ের ভালো থাকুক।
শুভকামনা নিরিন্তর।

২০| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর পোস্টটি দেরিতে পড়লাম ।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা :)

ভাল থাকুন সবসময় ।

২১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে আপনার এ লেখাটা, কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মীও বলা যেতে পারে।
সন্তানের জন্য বাবার শ্রেষ্ঠ উপহার হতে পারে তার মা'কে ভালোবাসা- কথাটা মনে গেঁথে র'লো।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
সব মায়ের ভালো থাকুক।
শুভকামনা নিরিন্তর।

২২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

শায়মা বলেছেন: ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মায়েরা!:)

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আরে কে এইটা!!!!!
আমার পাতায় এই প্রথম আপনার আগমন প্রিয় শায়মা আপুনি। :) :)

ভালবাসা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.