নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব মুসলিমের প্রাণের চাওয়া- প্রতিষ্ঠিত হোক ইসলামী শরীয়াহ

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭



বিশ্বের প্রতিটি তাওহীদবাদী মুমিনের দিলের তামান্না হল শরী@য়াহর ছায়াতলে জীবনযাপন করা এবং সবাই এক হয়ে খিলা@ফাহ আলা মিনহাজিন নুবুয়্যাহ প্রতিষ্ঠা করা। কারণ আমরা মানুষেরা হলাম দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার খলিফা বা প্রতিনিধি, প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের কাজ হল জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করা এবং নিজেরা মেনে চলা। মানবজাতির ইহকাল ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ এই শরী@য়াহর মধ্যেই নিহিত রয়েছে। বর্তমানে দুনিয়াতে যে এত এত অন্যায় অপরাধ, চারদিকে মারামারি হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা, এর সমাধান একমাত্র শরী@য়াহর মধ্যেই রয়েছে। শরী@য়াহ ছাড়া অন্য কোন উপায়ে এই অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তাআলা।
আর স্রষ্টাই ভাল জানেন, কিভাবে চললে তার সৃষ্টি ভাল থাকবে, কোন ধরণের আইন প্রতিষ্ঠিত হলে দুনিয়াতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তিনিই ভাল জানেন কোন উপায়ে তার সৃষ্টিকে অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত রাখা সম্ভব, কোন উপায়ে ধনী গরীবের বৈষম্য দূর করে সম্পদের সুষম বন্টন করা সম্ভব। তাই তিনি সেই অনুপাতেই আমাদের জন্য বিধি বিধান দিয়েছেন।
.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খোলাফায়ে রাশেদীন এবং পরবর্তী খলিফাগণ এই শরী@য়াহর মাধ্যমেই দুনিয়া থেকে সকল অন্যায় অবিচার দূর করে মানবজাতিকে এক শান্তিময় পৃথিবী উপহার দিয়েছিলেন। তাদের ন্যায় ইনসাফের ফলে দুনিয়া থেকে যাবতীয় অন্যায় ও বৈষম্য বিদায় নিয়েছিল। মানুষে মানুষে হানাহানি মারামারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, অন্যায় অপরাধ কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল, সবার মনে আল্লাহর ভয় জাগ্রত ছিল। যাকাতভিত্তিক অর্থব্যাবস্থার ফলে সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিদায় নিয়েছিল।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, লোকেরা যাকাত দেয়ার জন্য গরীব খুঁজতো, কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানায় গরীব খুঁজে পাওয়া ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। সেসময় ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত এত বেশি মজবুত ছিল যে, কাফেররা মুসলিমদের উপর হামলা করা তো দূরের কথা চোখ তুলে তাকানোর সাহসও পেতোনা।
মুসলিমদের সাহসিকতা ও বীরত্ব দেখে তারা সর্বদা ভীত সন্ত্রস্থ থাকতো। চারদিকে ইসলামী রাষ্ট্রের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, কাফের দেশের নাগরিকরা তাদের রাজাদের জুলুম থেকে মুক্তির জন্য মুসলিম বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানাতো।
.
পরবর্তীতে আমাদের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার ফলে যখন খিলাফার পতন হল এবং এর স্থলে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র নামক জুলুমতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল, তখন জালিমরা তাদের জুলুমকে স্থায়ী করার জন্য ইসলামী শরী@য়াহর ব্যাপারে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালাতে শুরু করলো।
.
শরী@য়াহ শাসন ও ইসলামী দণ্ডবিধিকে তারা মানুষের সামনে বাঘ ভাল্লুকের চেয়েও ভয়ংকর বস্তু হিসেবে তুলে ধরলো। যেন মানুষ ভুলেও ইসলামী শরীয়া ফিরিয়ে আনার চিন্তা না করে। এখন হয়েছেও তাই, মানুষ কয়েক বছর পর পর নতুন জালিম নির্বাচন করে। তাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গেলে আবার নতুন কাউকে নির্বাচন করে। এভাবেই জুলুমের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে উম্মাহ, কিন্তু শরীয়া ফিরিয়ে আনার ফিকির কারো মাথায় আসছেনা।
.
হে প্রিয় উম্মাহ! আর কতকাল আমরা এভাবে ধোঁকা খাবো? আর কতকাল কুফফারদের বানানো পদ্ধতিতে ধরায় শান্তি ফেরানোর অলিক স্বপ্ন দেখবো? আমাদের কি এখনো বোধোদয় হয়নি যে, এসব তন্ত্র মন্ত্র শুধুই ধোঁকা, জনতাকে নিপীড়ন করার হাতিয়ার?
.
হে দ্বায়ী ভাইয়েরা! আসুন আমরা সবাই মিলে মানুষের সামনে ইসলামী শাসনের সৌন্দর্য্য তুলে ধরি। সবাইকে ইসলামী শাসনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তুলি। মসজিদের মিম্বার এবং বয়ানের স্টেজগুলোতে অন্যান্য দ্বীনি বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি এইসব ব্যাপারেও বয়ান করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.