নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুত্ববাদীদের ধর্ষণ ও যৌন সন্ত্রাসঃ রুখে দেওয়ার এখনই সময়

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৯

গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্নস্থানে হি*ন্দু কতৃক মুসলিম নারীদের ধ-র্ষ"ণের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে সামনে আসে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জয়কুড়ি কতৃক চৌদ্দ বছরের মুসলিম কিশোরীকে ধ-র্ষ"ণের ঘটনা।
এরপর আরো দুটি ঘটনা সামনে আসে, একটি বিয়ানী বাজারের অপরটি পঞ্চগড়ের।
বিয়ানীবাজারের লাউতা গ্রামের বাসিন্দা হি*ন্দু পুরোহিত নবদ্বীপ বৈদ্য গত ১২ সেপ্টেম্বর বারো বছরের এক মুসলিম শিশুকে জুমার নামাজের সময় তার দোকানে নিয়ে ধ-র্ষ"ণ করে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ পাল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করলেও থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করেনি।
এই ঘটনার দুইদিন পর (১৪ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আরো একটি ঘটনা ঘটে। কনিক রায় নামে এক হি*ন্দু যুবক পাঁচ বছরের শিশুকে বাড়ির পাশের হলুদ ক্ষেতে নিয়ে ধ-র্ষ"ণ করে। এখানেও স্থানীয় নেতারা ভুক্তোভোগীর বাবাকে মীমাংসা করার জন্য চাপ দেয়।
দুঃখজনক ব্যাপার হল তিনটি ঘটনার একটি ঘটনা নিয়েও মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো কোন ধরণের সংবাদ প্রচার করেনি। পঞ্চগড়ের ঘটনায় শিশুর স্বজনদের সাথে ডাক্তারের খারাপ আচরণ নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম খবর প্রচার করলেও ধ-র্ষ"ণের ঘটনা এবং অপরাধীর বিষয়টা সবাই অজানা কারণে (পড়ুনঃ দাদাবাবুদের খুশি করতে) চেপে গেছে।
অথচ টিপকাণ্ডের মত বিষয়গুলোতে মিডিয়া হইচই শুরু করে, নারীর অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে শোরগোল শুরু করে। না/রীবাদীরা বিচারের দাবীতে মাঠে নামে। রাজনৈতিক নেতারা তথাকথিত ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাড়ীতে ছুটে যেত। অথচ শিশু ধ-র্ষ"ণের মত এত ভয়াবহ ঘটনায় সবাই চুপ, ভুক্তভোগীরা যেহেতু মুসলিম, আর অপরাধী যেহেতু হি*ন্দু তাই ইচ্ছে করেই সেক্যুলাররা চুপ করে আছে, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
-
উপরের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। এগুলো উগ্র হি*ন্দুদের হি-ন্দু*ত্ববাদী যৌন সন্ত্রাসের সামান্য নমুনা মাত্র। অনেক দিন ধরেই তারা দেশজুড়ে এই ধরণের স/ন্ত্রা/সী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তাদের একদল পরিচয় লুকিয়ে মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে, এরপর কৌশলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ভারতে পাচার করে দেয় অথবা পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে অনেক মুসলিম নারী হি*ন্দুদের এই ফাঁদে আটকা পড়ে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য লম্পট হি*ন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মুসলিম মেয়েরাও সতর্ক হওয়া জরুরি, সবধরনের হারাম সম্পর্ক থেকে বেঁচে থাকা জরুরী।
এই তো কিছুদিন আগেও এরকম একটা ঘটনা বেশ আলোচিত হয়েছিল। শুভজিত মন্ডল নামে এক হি*ন্দু যুবক পরিচয় গোপন করে নোয়াখালীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর ঢাকায় এনে ধ-র্ষ"ণ করে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। এই ঘটনার কিছুদিন পর আরো একটি লোমহর্ষক ঘটনা সামনে আসে। বারো বছরের এক শিশুকে পাচার করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিভিন্নস্থানে তাকে দিয়ে জোরপুর্বক পতিতাবৃত্তি করানো হয়।
তাদের আরেকদল মুসলিম নারীদের ধ-র্ষ"ণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কাশ্মিরে তারা এই পদ্ধতি বহুদিন ধরে ব্যবহার করছে। কাশ্মিরের মুসলিমদের প্রতিরোধস্পৃহাকে দমন করার জন্য সেখানে তারা ধ-র্ষ"ণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, তবুও তারা থামেনি।
এছাড়া দাঙ্গাকবলিত অঞ্চলগুলোতেও তারা ব্যাপকভাবে ধ-র্ষ"ণ সন্ত্রাস চালায়। ধ-র্ষ"ণকে তারা মুসলিম নির্যাতনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
-
এই দেশে হি-ন্দু*ত্ববাদীরা একের পর এক এমন ভয়ংকর অপরাধ করার সাহস পাচ্ছে কারণ তারা জানে, সংখ্যালঘু পরিচয়ের কারনে তাদের যাবতীয় অন্যায় অপরাধ এই দেশে মামুলী হিসেবে দেখা হবে। চাপের মুখে গ্রেফতার করা হলেও কিছুদিন পরই জামাই আদরে ছেড়ে দেয়া হবে।
পক্ষান্তরে মুসলিমরা যদি দ্বীন ইমানের তাগিদে হি*ন্দুদের ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সামান্য মিছিলও করে সেটাকে কঠোর হাতে দমন করা হয়, শত মানুষের জানের নজরানা দিতে হয়।
কিন্তু এভাবে আমরা আর কতকাল হি*ন্দুদের অ ত্যা চার এবং রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর দ্বিচারিতা চোখ বুজে সহ্য করে যাব। এভাবে চলতে থাকলে তো একদিন আমার আর আপনার ঘরেও স/ন্ত্রা/সীরা হানা দেবে।
তাই আসুন সবাই এই ব্যাপারে সোচ্চার হই, নিজ নিজ পরিসরে আওয়াজ উঠাই, আলেম দায়ীদেরকে এই বিষয়ে কথা বলার আহবান জানাই। উদাসীন মা বোনদেরকে হি*ন্দুদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ করি। ধ-র্ষ"ণ এবং পাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.