নাপাক বাহিনীর মিথ্যা ন্যারেটিভ বনাম প্রকৃত বাস্তবতা-২

০২ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১

প|কি/স্তান আ*র্মির পক্ষ থেকে বহুল প্রচারিত একটি ন্যারেটিভ হলো, প|কি/স্তানের সে^নাবা^হিনীর বিরুদ্ধে যু%দ্ধ করা মানে সরাসরি র|ষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, পুরো র|ষ্ট্রটাকেই দুর্বল করে দেওয়া। বহিঃশত্রুকে সুযোগ করে দেওয়া। সম্প্রতি মুফতী আব্দুর রহিম সাহেবের শাগরেদ মাওলানা তারেক মাসউদ সাহেবও বাস্তবতাবিরোধী এই ন্যারেটিভ প্রচার করছেন।
মনে রাখতে হবে, হামিদ কারজাই কিংবা আশরাফ ঘানির আ*র্মির বিরুদ্ধে যু%দ্ধ করার কারণে আ ফ গা নি স্তান র|ষ্ট্র দুর্বল হয়নাই। বরং আ/মে-রিকার গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে সত্যিকারের আজাদী পেয়েছে, সেক্যুলারিজম থেকে পবিত্র হয়ে ইসলামী শ^রীয়ার ছায়াতলে এসেছে। গোলামিই হলো কোনো একটা জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা। আ/মে-রিকার মত কাফের পরাশক্তিগুলো মুসলিম র|ষ্ট্রগুলোতে পুতুল সরকার বসিয়ে সমস্ত সম্পদ লুটে নেয়, অবনতি ও পশ্চাৎপদতার অতল গহ্বরে নিয়ে যায়, মুসলিমদের র|ষ্ট্রশক্তিকে দুর্বল করে রাখে। এই গোলামদেরকে সরিয়ে দিলে র|ষ্ট্র কখনোই দুর্বল হয়না, বরং এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীন হওয়াটা র|ষ্ট্রের সবলতা, উন্নতি ও অগ্রগতির সবচেয়ে বড় শর্ত।
ত|লে^ব|ন মু/জ|হিদরা সে বাঁধা অতিক্রম করেছেন বলেই আজকের আ ফ গা নি স্তান অত্যন্ত সীমিত রিসোর্স দিয়ে ভয়াবহ অবরোধ সত্ত্বেও জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্প-প্রযুক্তি সহ দ্বীন দুনিয়ার সকল অঙ্গনে দৃঢ়পদে অগ্রসর হতে পারছে, আলহামদুলিল্লাহ। বাশশার আল আসাদকে উৎখাত করার কারণে সিরিয়ার বিরাট কোনো লস হয়ে যায়নি। বাশশারের পক্ষেও তার অনুগত লোকেরা এই ন্যারেটিভ প্রচার করতো, যে বাশশারের বিরুদ্ধে যু%দ্ধ করা মানে সিরিয়াকে দুর্বল করে ফেলা, সিরিয়াকে আ/মে-রিকার হাতে হাতে তুলে দেওয়া।
অথচ বাশশার নিজেই সাধারণ জনগণের মিছিলে আগে গু&লি চালিয়েছে, আগে যু%দ্ধ শুরু করেছে, যু%দ্ধ শুরু করার পর মার খেয়ে প্রথমে হিজবুল্লাহ, তারপর ইরান, সবশেষ রাশিয়াকে ডেকে এনে সিরিয়ার ভূমি তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আর সিরিয়ার ভূমি কাফেরদের হাত থেকে আংশিকভাবে যতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সেতা মু/জ|হিদদের রক্তের বিনিময়েই হয়েছে।
সুতরাং বাস্তবতা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট। কাফেরেদের মোকাবেলায় সেক্যুলাররা কখনোই মু/জ|হিদ এবং ইসলামপন্থীদের চেয়ে বেশি আন্তরিক না। আহমাদ শাহ মাসুদ কিংবা হামিদ কারজাই কখনোই ত|লে^ব|নের মত শ^রীয়ার প্রতিও অনুগত ছিল, উম্মাহ এবং ইসলামী র|ষ্ট্রের প্রতিরক্ষায়ও আন্তরিক ছিলনা।
মনে রাখতে হবে, আশরাফ গনির পতনের ফলে আ ফ গা নি স্তান ইন্ডিয়ার পেটে চলে যায়নি, চীনের পেটেও চলে যায়নি। বরং হামিদ কারজাই-আশরাফ ঘানি-বাশশার আল আসাদরাই সবসময় উম্মাহর ভূমিগুলোকে আ/মে-রিকা এবং রাশিয়ার মত বহিঃশত্রুর হাতে তুলে দিয়েছে। প|কি/স্তানের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত সেক্যুলার শাসক এবং সেক্যুলার আ*র্মিই প|কি/স্তানের মাটিকে প্রথমে ব্রিটিশদের হাতে, অতঃপর আ/মে-রিকার হাতে বর্গা দিয়ে রেখেছে। সুতরাং, আ/মে-রিকার প্রক্সি বাহিনীর বর্বর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মূলত আ/মে-রিকান হেজেমনির বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ, আ ফ গা নি স্তানের মত প|কি/স্তানেও এটাই আজাদীর সর্বপ্রথম এবং সর্বপ্রধান শর্ত

০ টি +০/-০