নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগ্রাসী শত্রুর মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি কতখানি?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

আগ্রাসী শত্রুর মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি কতখানি?
-
বিশ্ব পরিস্থিতি দিন দিন ঘোলাটে হচ্ছে, ক্রমশ এক ভয়ংকর যু*দ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কুফরী শক্তিগুলো মুসলিম ভূখণ্ডগুলোকে ধ্বংস করে কুফরী বিশ্ব গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একদিকে ভারত মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে, আরেকদিকে আমেরিকা, ই"সর|য়েল ও অন্যান্য কুফরি শক্তি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যু*দ্ধে নেমেছে।
ভারত চায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ উপমহাদেশের সব দেশ ও অঞ্চল দখল করে অখণ্ড হি*ন্দুরাষ্ট্র গঠন করতে। যেখানে তারা মুসলিমদের নাম নিশানাও বাকি রাখবেনা। মসজিদ মাদ্রাসা সহ সব ইসলামী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। কুরআন হাদিস সহ সব ইসলামী বই পুস্তক নিষিদ্ধ করবে। মুসলিমদেরকে ধরে ধরে হি*ন্দু বানাবে, অস্বীকৃতি জানালে হত্যা করবে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ই"সর|য়েলও এমনই এক পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুচ্ছে। তারা মক্কা মদীনা সহ ৭ টি আরবদেশ দখল করে গ্রেটার ই"সর|য়েল গঠন করতে চায়। যেখানে মুসলিমদের থাকার কোন অধিকার থাকবেনা। কেউ থেকে গেলে তার সাথে বর্তমান ফিলিস্তিন ও গ|য|য় মুসলিমদের সাথে যেমন আচরণ করা হচ্ছে তেমন আচরণ করা হবে।
এই উদ্দেশ্য পূরণে ভ|র'ত ও ই"সর|য়েল অনেকদূর এগিয়ে গেছে। অ**স্ত্র, অর্থ, প্রযুক্তি, জনবল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয়দেশের অগ্রগতি চোখে পড়ার মত। ভারত শক্তিশালী বাহিনী গড়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণ এমনকি নারী ও শি/শুদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলছে। ই"সর|য়েল তার সকল জনগণের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে ভর্তির নিয়ম করে রেখেছে। তাদের দেশের যুবকরা শুধু বিনোদন আর ক্যারিয়ারের চিন্তায় সময় পার করেনা। তাদের বড় একটা অংশ যু*দ্ধপ্রস্তুতি, নতুন কিছু উদ্ভাবন ও অন্যদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার পেছনে সময় ব্যয় করে। দুই দেশের ধর্মগুরুদের বড় একটা অংশও মুসলিমদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা এবং আসন্ন যু*দ্ধের জন্য জনগনকে উদ্বুদ্ধ করাকে নিজেদের রুটিন কাজ বানিয়ে নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রস্তুতি কী? শত্রুদের ভয়ংকর সব অ**স্ত্র শস্ত্রের মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনাই বা কী? আমাদের যতটা সময় গল্প-গুজব, আড্ডা গান, মোবাইল গেমস, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং ইত্যাদি অনর্থক কাজে ব্যয় হয় তার অর্ধেক সময়ও কি উম্মাহর জন্য ব্যয় হয়? ভবিষ্যত পরিকল্পনা আর রুটি রুজির চিন্তায় আমরা যতটা সময় নির্ঘুম কাটাই তার সিকিভাগ সময়ও কি উম্মাহর মুক্তির চিন্তায় জেগে থাকি?
উত্তর যদি না বাচক হয় তাহলে প্রশ্ন হল কিভাবে আমরা এই আগ্রাসী শত্রুর হাত থেকে উম্মাহকে রক্ষা করবো। উম্মাহর কথা নাহয় বাদই দিলাম নিজেকে এবং নিজ পরিবার পরিজনকেই বা কিভাবে রক্ষা করবো? শুধু সমালোচনা হা-হুতাশ আর অনর্থক কাজে ডুবে থেকে কি আগ্রাসী শত্রুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচানো সম্ভব হবে?
-
ইসলাম সর্বদা আমাদেরকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চায়। আমাদের ভয়ে শত্রুকে সদা সর্বদা কম্পমান রাখতে চায়। তাই তো আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রস্তুতি নেবার এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকার আদেশ দিয়েছেন। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন-
وَ اَعِدُّوۡا لَهُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّ مِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡهِبُوۡنَ بِهٖ عَدُوَّ اللّٰهِ وَ عَدُوَّكُمۡ وَ اٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِهِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَهُمۡ ۚ اَللّٰهُ یَعۡلَمُهُمۡ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ یُوَفَّ اِلَیۡكُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
আর তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখো। যার দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভয় দেখাবে, আর তাদের ছাড়াও অন্যান্যদেরকেও যাদের ব্যপারে তোমরা জানোনা কিন্তু আল্লাহ তাদের ব্যপারে জানেন।' -(সূরা আনফাল, ৬০ নং আয়াত।)
এই আয়াতের ব্যখ্যায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
عن عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: (وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ) أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ، أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ، أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ
জেনে রাখো, শক্তির অর্থ হল নিক্ষেপন শক্তি। জেনে রাখো, শক্তির অর্থ হল নিক্ষেপন শক্তি। জেনে রাখো, শক্তির অর্থ হল নিক্ষেপন শক্তি। - সহীহ মুসলিম ১৯১৭, সুনানে আবু দাউদ ২৫১৪
-
এই আয়াত ও হাদীস থেকে আমরা ইসলামে শক্তি অর্জন বিশেষত নিক্ষেপন শক্তি অর্জনের গুরুত্ব যে কত বেশি সেটি বুঝতে পারি। তাই আসুন হে প্রিয় ভাইয়েরা! একটু সিরিয়াস হই, ঈমানী ও সামরিক শক্তিতে বলিয়ান হওয়ার চেষ্টা করি। শত্রুকে মোকাবেলার জন্য অবাস্তব চিন্তা না করে সাহাবায়ে কেরামের মত বাস্তবসম্মত চিন্তা করি এবং যথাসাধ্য প্রস্তুতি নেই। যদি আমার রক্ত, ঘাম, মেধা, শ্রম ইসলাম বিজয়ে একটুও ভূমিকা রাখতে পারে তাহলে সেটি হবে আমার জন্য বিরাট সৌভাগ্যের ব্যপার। পক্ষান্তরে যদি শুধু দুনিয়া উপার্জন আর ভোগ বিলাসের পেছনেই ব্যয় হয় তাহলে সেটি হবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। তাই আমার রক্ত, ঘাম, মেধা ও শ্রম যেন ইসলামের বিজয়ের পথে ভূমিকা রাখতে পারে তার জন্য চেষ্টা এবং দোয়া জারি রাখা চাই।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইসলামের সৈনিক হিসেবে কবুল করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.