নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, স্বপ্নের ঘুড়ি বানাই, আসেন না একত্রে সে ঘুড়ি উড়াই, তাহলে ধরেন নাটাইটা আমি আসছি একটু পরে, এসে একসাথে উড়াব সে ঘুড়ি আজীবনের তরে!
প্রসঙ্গ:- সানি লিওনের বাংলাদেশে আগমন
আগমন তথ্য:-
"বাংলাদেশে আসছেন সানি লিওন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় একটি কনসার্টে যোগ দেবেন সানি , সানি লিওনের নিজস্ব কনসার্টের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ, সানি লিওনের এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছেন মূলত সেই প্রতিষ্ঠানই ঢাকায় এই কনসার্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে আরো জানা যায়, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর বসুন্ধরার কনভেনশন হলে সেখানে ৪ ক্যাটাগরির আসন বিন্যাসের মাধ্যমে শো-টি অনুষ্ঠিত হবে এই শো-এর জন্য মোট ৪০০০ টিকেট ছাড়া হবে সানি লিওনের চাহিদা বুঝেই নাকি ঢাকার বুকে এই কনসার্টের টিকেটের সবনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা! একই সাথে সানি লিওনের নাচের পারফর্মেন্সের জন্য তার পুরো দলও ঢাকায় আসবে" (সংগৃহীত)
প্রতিহত করতে সম্প্রতি গৃহীত কিছু ব্যবস্থা:-
১| সানি লিওনের ঢাকায় আসা ও না আসার পক্ষে বিপক্ষে সরগরম ফেসবুক দুনিয়া, একের পর এক বিদ্রোহী স্টাটাসের ভিত্তিতে একেকজন তাদের মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন,পতিতাদের জন্য বাংলাদেশ নয় ! ধর্মপ্রাণদের বাংলায়, পর্ণস্টারদের ঠাই নাই এমনই স্লোগানের ভিত্তিতে চলছে প্রতিবাদ সানি লিওন বাংলাদেশের আসার সংবাদের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে একাধিক অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম! তারা ফেসবুকে একাধিক ইভেন্টে ঘোষণা দিয়েছে যেকোন মূল্যে সানি লিওন কে বাংলাদেশে আসা প্রতিহত করা হবে, উল্লেখযোগ্য ফেসবুক ইভেন্ট ২টি হলো পতিতা সানি লিওনকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না ও পর্ণস্টার ‘সানি লিওন’ বাংলাদেশে আসতে পারবে না !
২| ঢাকায় আসছেন আলোচিত সমালোচিত সানি লিওন এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো এ নিয়ে থেমে থেমেই চলছে সভা সমাবেশ সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে কঠোর হুশিয়ারীও এ দিকে দেশের ইসলামী মনা বেশ কিছু সংগঠনও সানি লিওনের ঢাকা সফর ঠেকাতে আন্দোলনে নেমেছে বিশেষ করে চট্টগ্রামভিত্তিক ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এ অভিনেত্রীর ঢাকায় আগমন ঠেকাতে নানা বক্তৃতা, বিবৃতি দিচ্ছে ।
জনপ্রিয় প্রতিবাদী কয়েকটি স্ট্যাটাস:-
Abdul Baqi Arjan
এই পতিতাকে বাংলার জমিনে আসতে দিবনা
প্রয়োজনে রক্ত দিব ,জীবন দিব,আবার বাংলার মুসলমানরা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে
এদেশ মুসলমানদের দেশ নাস্তিকদের নয়
Atikur Rahman MuZahid
প্রতিবেশী ভারত যখন ৮৫৭ টি পর্ণগ্রাফীর সাইট বন্ধ করে আর সে সময়ে আমার দেশে পর্ণগ্রাফীর কুশীল পতিতাকে ভাড়া করা হয় আর যাই হোক চুপ করে থাকা যায় না ধিক্কার জানাই আয়োজকদের, বন্ধের আহবান জানাই সরকারকে।
বিশ্লেষণ:- আমি এখন নতুন কথা বলে স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করব না। তবে চুলচেরা বিশ্লেষণপূর্বক যে বিষয়গুলো নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে সে বিষয়গুলো তথকথিত সুশীল দাবিদারদের কাছে উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি। সম্প্রতি ব্যাপকভাবে প্রতিবাদে মুখরিত না হয়ে পূর্ব হতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা কি সকলের কাম্য ছিল না? যেহেতু আমরা সকলেই ধমপ্রাণ! তাই না? সুশীলতার চক্ষু দ্বারা যা দেখা যায়:-
(১) ৯০% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পতিতালয় স্থাপনের জন্য প্রতিবাদ ও তা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল কিনা?
(২) দেশের পর্ণগ্রাফীর ও নিষিদ্ধ গল্পের সকল সাইটগুলো বন্ধ করার জন্য কি প্রতিবাদের দরকার ছিল না?
(৩) আত্মপ্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সকল পতিতাকে কি আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন বোধ হয়নি? যেহেতু মদিনা সনদে দেশ চলে সেহেতু এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।
(৪) দেশের যুব সম্প্রদায়কে পর্ণগ্রাফীর ভয়াবহতা সম্বন্ধে অবগত করতে সুশীলগণ কি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ অথবা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন? সরকারকে কি এ সম্পর্কে অবগত করেছেন? ফেসবুকে বতমানে প্রতিবাদের জন্য ইভেন্ট খোলার আগে কি সামাজিক,ধমীয়,আচার-ঐতিহ্যের দৃষ্টিতে এর থেকে দূরে থাকার জন্য সচেতনতামূলক কোন ইভেন্ট খুলেছেন?
(৫) ভিডিওর রাজধানী নামে পরিচিত জনপ্রিয় ওয়েব সাইট YouTube-এ কি কোন সচেতনতামূলক বা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অথবা প্রতিকার চেয়ে কি কোন ভিডিও আপলোড করেছেন?
*** এসব প্রশ্নের উত্তর অন্যকে জিজ্ঞাসা না করে প্রত্যেকে নিজ বিবেককে প্রশ্ন করুন এবং ভাবুন এসব কিছুর জন্য কে দায়ী? ম্যাচ যখন হাতের বাহিরে তখন মুস্তাফিজ কাটার কেন নতুন অন্য কোন কাটার আবিষ্কার করেও কোনই লাভ নেই। এখন প্রতিবাদ করে সব ভেঙে-চুরমার করা এটা তো অতি ধমভীরুতার লক্ষণ! ধামিক মহলের আকষ্মিক এই উদয় সত্যিই বিষ্ময়কর। কতিপয় বিদ্রোহি পোস্ট কখনোই এর প্রতিকার হতে পারে না। কোন কোন সুশীল তাদের নব্য চেতনাকে কাজে লাগিয়ে এইসকল সমস্যা হতে উত্তরণের পথ খুজছেন। তাদের মতাদর্শে তো আবার ধার্মিকতা প্রাধান্য পায় না। তারা আকাশে অট্টালিকা নিমার্ণের ব্যার্থ চেষ্টা ব্যাতীত অন্য কিছুই করছেন না।
কিছু খোলা কথা:-
“ধার্মিকতায় প্রকৃত সুশীলতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা কুশীলতাই বটে” আপনারা আপনাদের এসব উদ্ভট চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে জাতিকে কত নতুন কিছু উপহার দিতে পেরেছেন তা তো আমরা চাক্ষুস দেখতেই পাচ্ছি। এগুলো তার নিম্নতর ফলাফল মাত্র! এবার বলতে চাই ইসলামী ঐতিহ্য ও চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে কে কতটুকু অগ্রসর হতে পেরেছে শুনতে চান? তাহলে শুনুন, “বিরাট মুলূক করেছি বিজয় মাত্র সতের ঘোড়সওয়ার, জায়নামাজকে কিস্তি বানিয়ে উতলা সুরমা হয়েছি পার” “তরবারি নয় শুধু তাকবির, করেছি আনত দুশমন শির, সেই নাদে আজও জালালাবাদের নারাঙ্গি বন কম্পমান” “গড়েছি আমরা বাশের কেল্লা ভয় করিনি কো তোপ-কামান, শির দিছি তবু দিইনি আমামা প্রাণ দিছি তবু দিইনি মান” সাড়ে আটশত বছর আমরা স্পেনকে শাসন করেছি কোন চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে? বারবার জেরুজালেম বিজয় করেছি কোন জিনিসকে সম্বল বানিয়ে? ১৯৪৭-এর কথা কি ভুলে গিয়েছেন? স্বাধীনতার লাল সূর্য কাদের হাত দিয়ে এসেছে? বাংলার আলেম সমাজের অবদান কি মনে নেই? মনে নেই কি শহীদ সৈয়দ আহমদ বেরলভীর কথা? কিন্তু আফসোস, আজ স্বজাতীয় কিছু গাদ্দারদের কারণে যারা ক্ষমতার মসনদে বসে আমাদের টুটি চেপে ধরে প্রতিদিন সাম্যবাদিতার নিত্য নতুন গল্প শুনাচ্ছে! তাদের কারণেই আজ আমরা অধ:পতনের অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়েছি। সুতরাং, সকলের একক বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং নব্য উত্তরণের পথ আবিষ্কার হতে পারে এসকল সমস্যাসমূহ সমাজ-রাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের কার্যকরী হাতিয়ার।
(উৎসর্গ:- তথাকথিত সুশীল দাবিদার ও আধুনিকতার নামে যারা এই বেহ্য়াপনার নেতৃত্ব দিচ্ছে সেই সকল জারজ সন্তানদের হেদায়েতের উদ্দেশ্যে)
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১১
Nayem ibn reza বলেছেন: Amiin.