![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, স্বপ্নের ঘুড়ি বানাই, আসেন না একত্রে সে ঘুড়ি উড়াই, তাহলে ধরেন নাটাইটা আমি আসছি একটু পরে, এসে একসাথে উড়াব সে ঘুড়ি আজীবনের তরে!
শেষ বিকেলের সূর্যটা এখনও চেষ্টা করছে বিকিরত হতে যদিও একটু পরে অস্তমিত হয়ে যাবে। জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে বসলাম, যাতে করে সূর্যের শেষ বিকিরণটা ভালোমত নজরে আসে। সারাদিন ও সারারাতের মধ্যে কয়েকটি আবেগঘণ মূহুর্ত আছে। পড়ন্ত বিকেলটাও এর মধ্যে অন্তর্গত। এই ধরণের মূহুর্তগুলো জীবনের পাতাকে সামনে মেলে ধরে অবলীলাক্রমে। বর্তমানের অনুভূতিটা এমন, ছোটো ছিলাম, বড় হচ্ছি, বড় হবো, বুড়ো হবো এবং মারা যাব। ভাগ্যের লিখন অন্যথা হলে কাহিনিটা অন্য রকম। আপাতত সেটা নিয়ে ভাবছি না।
.
কিছুদিন আগে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, আপনার শখ কি? উত্তরে বলেছিলাম, প্রিয়জনদের কাছে ডাকযোগে চিঠি লেখা। আদতে আমার সেরকম কোনো প্রিয়জন নেই এবং আমি এমন করে কারো কাছে চিঠিও লিখি না। তবুও তার ঐ কথার মধ্যে কেমন একটা বিশেষ আবেগ ছিল। আর তার আবেগে ঢেউ খেলানোর জন্য রঙচঙ লাগিয়ে কথাটা বলেছিলাম। যাতে করে মনে মনে সে পুলকিত অনুভব করে। আবেগপূর্ণ প্রশ্নের আবেগপূর্ণ উত্তর। মানুষের শখ থাকতে হয়, শখটা হতে হয় আবেগপূর্ণ, সাধারণ কোনো কাজের থেকে আলাদা। এ যেন এক অলিখিত আইন। আসলে শখের উৎপত্তিটাও আবেগজনিত একটি ব্যাপার। আবেগের কথা বলতে গিয়ে আবার প্রিয়জনের কথা চলে আসল। এটাও আবেগের পরম্পরা।
.
কেউ একজন লিখল,সুন্দর করে কাঁদানোর জন্য প্রিয়জনেরাই যথেষ্ট। কথাটি সত্য। সম্পর্কের মধ্যে আবেগ না থাকলে প্রিয়জন সৃষ্টি হয় না। আবার প্রিয়জনেরাই আবেগ নিয়ে খেলা করে আমাদেরকে কাঁদায়। আবেগ কথাটির সৃষ্টিও আবেগ থেকে। আবেগ না থাকলে মনের মধ্যে অনুরণ সৃষ্টি হয় না। আর মনের মধ্যে অনুরণের উদগীরণ না ঘটলে শব্দের আঁকিবুঁকিও তৈরি হয় না। আর শব্দ সৃষ্টি না হলে ভাষার উদ্ভবও অসম্ভব। যারা কথায় কথায় বিবেকের দোহায় দিয়ে আবেকগে দূরে ঠেলে দিতে চায় তারাও জীবনের কোনো না কোনো অংশে আবেগের কাছে নতী স্বীকার করে। আমরা সবাই আবেগের কাছে ধরাশায়ী। আবেগকে প্রশ্রয় না দিতে পারা মানুষের সংখ্যাটা নেহায়েতই কম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সৃষ্টিশীল সবকিছুই আবেগ মিশ্রিত।
.
শিল্পীর তুঁলি হতে শুরু করে কামারের হাঁতুড়ির বাড়ির মধ্যেও আবেগের বহমানতা বিদ্যমান। আমরা আবেগকে সম্বল করে বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজে বেড়াই। আবেগ ছাড়া আমাদের জীবন নিরর্থক। আমাদেরকে শুধু নিরেট আবেগ ও বাস্তবতা মিশ্রিত আবেগের পার্থক্য নিরুপণ করতে শিখতে হবে। কারণ বেশী মাত্রার নিরেট আবেগ অনেকাংশে ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। আর বাস্তবতা মিশ্রিত আবেগটা সবসময় আমাদের ভিতরের প্রকৃত আমিকে সুন্দর রুপে ফুটিয়ে তোলে। প্রতিটা কাজকে সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। সুতরাং, বাস্তবতা থেকে আবেগকে একেবারে পৃথক করে ফেলাটা বোকামির কাজ হবে। অনেকটা কাটখোট্টা মরুভূমির সমতুল্য হয়ে যাবে তখন। স্বল্পমাত্রার আবেগ ছাড়া কোনো কিছুতে সৌন্দর্য আশা করা যায় না।
.
সূর্যটা এতক্ষণে ডুবে গেছে। পর্দাটা টেনে দিলাম। তবে সূর্যাস্তের সাথে সাথে আমার ভিতরকার আবেগটাও অস্তমিত হয়ে যায় নি। জিইয়ে রেখেছি সযত্নে। কারণ এটা ছাড়া জীবন কল্পনা করা অযৌক্তিক। আমাদের মৃত্যুর সাথে সাথে আবেগেরও মৃত্যু ঘটবে। ততদিনে চাইলেও আমরা আবেগ থেকে পৃথক হতে পারব না। যতদিন আবেগ আছে ততদিন আমরা আছি। আবেগ নির্ভর এ জীবনে এটাই একমাত্র পাওয়া।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
নাঈম মুছা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
সুমন কর বলেছেন: পরপর ২টি পোস্ট একই ব্লগারের দেখতে ভালো লাগে না !!!
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২
নাঈম মুছা বলেছেন: ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তী থেকে এমন আর হবে না। অবশ্যই দুটি পোষ্টের মধ্যে সময়ের বিরতি রাখা হবে। সুমন কর ।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:২৯
নাঈম মুছা বলেছেন: সুমন কর আসলে এমনটা করার কারণ হলো ব্যস্ততা। কিন্তু পাঠকের প্রতিক্রিয়াটা ধরতে পেরেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।