![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, স্বপ্নের ঘুড়ি বানাই, আসেন না একত্রে সে ঘুড়ি উড়াই, তাহলে ধরেন নাটাইটা আমি আসছি একটু পরে, এসে একসাথে উড়াব সে ঘুড়ি আজীবনের তরে!
জীবন বৃত্তান্তটা খুব যত্নের সাথে খামে ভরে খামের মুখটা আঠা দিয়ে বন্ধ করলাম। খামের মুখটা বন্ধের সময় একটু সতর্কতার সাথে কাজ করছিলাম যাতে করে সিভির উপর আবার না ভুলবশত আঠার প্রলেপ লেগে যায়। এই সাধারণ কাজে অতিরিক্ত মনোযোগ আর একাগ্রতা দেখে পাশ থেকে আমার মা এক প্রকার তাচ্ছিল্যের সুরেই বলে উঠল 'উহ! ছেলে যেন আমার বড় ডাক্তার! ভাব দেখে মনে হচ্ছে কোনো মুমূর্ষু রোগীর ক্রিটিক্যাল কোনো সার্জারি করছে!' শুনে আমি শুধু মুচকি হাসলাম। আর মনে মনে ভাবলাম জীবনের প্রথম কোথাও সিভি জমা দিতে যাচ্ছি, হয়ত এজন্যে সবকিছুতে একটু বেশিই উত্তেজনা অনুভব করছি। সিভির কাজ শেষ হলেই সাথে সাথে বেরিয়ে পড়লাম বাসা থেকে ওদের অফিসের উদ্দেশ্যে। গত রাতে বন্ধু ফোন দিয়ে বলল যে ওরা সার্কুলার দিয়েছে। সিভি জমা দেয়ার শেষ তারিখ আজই। এক রাতের মধ্যে তাড়াহুড়া করে সব কাগজ-পত্র জোগাড় করতে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দুঃখিত। এখনো তো বলাই হয়নি কিসের জন্য সিভি জমা দেওয়ার কথা বলছি। একটা কমিউনিটি রেডিওতে আরজে বা উপস্থাপক হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন পত্র জমা দেওয়ার কথা বলছি। পোস্টের ছবিটা দেখে হয়ত কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন বলে মনে করি। আমার বন্ধুটা ঐ রেডিওতেই কাজ করে একজন উপস্থাপক হিসেবে। আমাদের শহরের একটাই মাত্র কমিউনিটি রেডিও। ওকে অবশ্য বেশ আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম আমার মনের খবরটা। বলেছিলাম উপস্থাপক নেয়ার জন্যে কোনো প্রকার সার্কুলার প্রকাশ হলেই যেন আমাকে জানায়। তাই গতরাতে ফোন দিয়ে আচমকা খবরটা দিলো। যাই হোক, ওকে আর পরে ধন্যবাদটা জানানো হয়নি। রাস্তায় যেতে ভাবলাম রেডিও স্টেশনে গিয়েই না হয় ওকে ধন্যবাদটা জানাব। রেডিও স্টেশনে পৌঁছেই সর্বপ্রথম ওর রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি ও কি যেন একটা কাজ করছে। আমাকে দেখে কুশলাদি বিনিময় শেষে বলল, ঐ তো সোজা গিয়ে বামের রুমটাতে যাও। গিয়ে দেখো একজন অফিসার আছেন তার কাছে সিভিটা জমা দিয়ে এসো। ওর কাছ থেকে জানতে পারলাম আজকে শুধু সিভি জমা নিবে। সিভি জমা নিয়ে পরবর্তীতে কোনো একটা তারিখ জানিয়ে দিবে এবং ঐ নির্ধারিত তারিখে ইন্টার্ভিউ অনুষ্ঠিত হবে। ইন্টার্ভিউ অনুষ্ঠিত হওয়ার ক'দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল জানিয়ে দিবে। ওর সাথে অারও কিছুক্ষণ কথা বলার পর সেদিনের মত বিদায় নিলাম।
.
সিভি জমা দেয়ার সপ্তাহখানেক পরে ইন্টার্ভিউয়ের ডেট নির্ধারিত হলো। নির্ধারিত দিনে যথারীতি, যথাসময়ে উপস্থিত হলাম ওদের অফিসে। গিয়ে দেখি আঁশি জনের মত আগ্রহী প্রার্থী উপস্থিত হয়েছে আমার মত। মনে হলো একটা মফস্বল শহরের কমিউনিটি রেডিওর আরজে হওয়ার জন্য প্রতিযোগির সংখ্যাটা একেবারে কম না। ইন্টার্ভিউ শুরুর আগে কয়েকজন অফিসার এসে আমাদেরকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে গেল। বলে গেল লিখিত পরীক্ষাসহ মোট ৩ ধাপে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ইন্টার্ভিউ সম্পন্ন হবে। মনে মনে নিজের মধ্যে বেশ একটা অাত্মবিশ্বাস অনুভব করতে লাগলাম আর ভাবতে লাগলাম ভাগ্য সহায় হলে সবকিছু ভালোমতই সম্পন্ন হবে। লিখিত পরীক্ষা শুরু হলো। প্রশ্নের ধরণ দেখে বেশ হাসি পেলই বটে! প্রথম কয়টা প্রশ্নের উত্তর একেবারে ৩/৪ এর বাচ্চাদেরও জানার কথা। ভাবলাম এই যদি হয় এদের প্রশ্নের ধরণ তাহলে না জানি এদের প্রতিষ্ঠানের ভিতরকার লোকজনের কারিগরি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার অবস্থা কতটা নিদারুণ! প্রথম প্রশ্নটা ছিল 'বাংলাদেশ ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম লিখুন'। দ্বিতীয় প্রশ্নটা হলো 'আপনার জেলার ৫ জন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম লিখুন'। ছোটো বেলা থেকে আমাদের জেলায় যারা বড় হয়েছে তাদের এ প্রশ্নের উত্তর অনায়াসেই পারার কথা। বুঝলাম না এ ধরণের প্রশ্ন করার যৌক্তিকতা কি। শেষের কয়টা প্রশ্ন অবশ্য মোটামুটি যুতসই ছিল বলা চলে। ঠিক মনে আসছে না পুরোপুরি। তবে কয়েকটা বাংলা সিনেমার গানের নাম উল্লেখ করে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এগুলো কোন সিনেমার গান। এর মধ্যে একটা দেখলাম আয়নাবাজি সিনেমার গানের নাম দেয়া। 'ধীরে ধীরে যাও না সময়'। নামটা দেখলাম তাও আবার ভুল লিখেছে। লিখেছে 'ধীরে ধীরে গাও না সময়'। মনে মনে কতক্ষণ ভাবলাম এটা আবার কোন সিনেমার গান? সময়কে আবার কিভাবে গায়? ভাবলাম বাংলা সিনেমায় যেহেতু আজকাল সুন্দরবনে শুধু বাঘ না সিংহও পাওয়া যায় সেহেতু এটা দেখে আবার অবাক হওয়ার তেমন কি হলো! হঠাৎ মনে হলো ক'দিন আগেই তো আয়নাবাজি মুভিটা রিলিজ হলো। মুভিটার একটা গান ছিল ধীরে ধীরে যাও না সময়। ভাবলাম বোধহয় ওটা লিখতে গিয়ে ভুলে 'ধীরে ধীরে গাও না সময় লিখে ফেলেছে'। সে যাই হোক, অনুমানের উপর ভিত্তি করে লিখলাম এটা আয়নাবাজি সিনেমার গান। পরে অবশ্য বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছিলাম ওটা আয়নাবাজি সিনেমার গানই হবে। ভুলে 'যাও' এর জায়গায় 'গাও' লিখে ফেলেছে। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শেষ করলাম লিখিত পরীক্ষাটা বেশ ভালোভাবেই।
.
লিখিত পরীক্ষা শেষে বসে আছি বেশ কিছুক্ষণ। ইতোমধ্যে পাশে বসে থাকা বেশ ক'জনের সাথে পরিচিত হবার চেষ্টা করলাম। যদিও এটা আমার স্বভাব কোথাও গেলে সকলের সাথে আগ বাড়িয়ে পরিচয় হওয়াটা। প্রথম প্রথম দেখি কেউ কোনো কথা বলছে না। সবাই গুম মেরে বসে আছে। মনে মনে চিন্তা করলাম এসব মুখচোরা, গম্ভীর প্রকুতির লোকেরা কিভাবে একজন রেডিওর উপস্থাপক হওয়ার আশা পোষণ করে? যেখানে মূল দ্বায়িত্বটাই হচ্ছে কথা বলা। যখন দেখলাম কারো মুখের তালা খোলার সম্ভাবনা নেই তখন নিজ থেকেই সবার সাথে কথা বলা শুরু করলাম। কথায় কথায় বিভিন্ন বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞেস করলাম। দেখলাম আমি কথা বলার পরেও বেশ ক'জন তেমন কোনো সাড়া দিচ্ছে না। আসলে তারা যে ব্যক্তিত্ববান বা খুব জ্ঞানী গোছের কেউ বলে কথা বলতে চাচ্ছে না বিষয়টা তেমন না। কয়েকজনের তো এও দেখলাম বাংলা উচ্চারণে মারাত্মক ধরণের কিছু সমস্যা রয়েছে। একজনকে বললাম ভাই বলেন তো বাংলাদেশে কয়টা বিভাগ আছে? প্রশ্ন শুনে বলল এ আবার কোন ধরণের প্রশ্ন? আমি বললাম বলেন না কোনো সমস্যা নেই। হাতের কর গুণে বলতে লাগল। প্রথম তিন চারটা বলার পরে অামি থামিয়ে দিলাম। বললাম রাজশাহীর নামটা আবার উচ্চারণ করেন তো। তখন দেখলাম ফিক করে হেসে দিল। আমি বললাম ওরা সাধারণত ইন্টার্ভিউ বোর্ডে এগুলোই জিজ্ঞেস করে। আমরা অধিকাংশই রাজশাহী উচ্চারণের সময় মাঝের 'জ' স্পষ্টভাবে উচ্চারণ না করে 'শ' এর সাথে একসাথে মিলিয়ে উচ্চারণ করি। আর ওরা এ ধরণের ভুলগুলোই খেয়াল করে থাকে। আমার প্রশ্নের ধরণ আর সামান্য রসিকতা দেখে কয়েকজন দেখলাম বেশ মজা পেয়েছে এবার দেখলাম তারাও নিজ থেকে সাড়া দেয়া শুরু করল। আমার মিশতে ভালো লাগে মানুষের সাথে। খোলাখুলি কথা বলতে ভালো লাগে। অনেকে আমাকে বাঁচালও বলে থাকে। কিন্তু তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমি কিছু মনে করি না। আর এ ক্ষেত্রে তো নয়ই। কারণ রেডিও কতৃপক্ষ তো বাঁচাল প্রকৃতির লোকই খোঁজে। যারা ওদের শ্রোতাদেরকে কথার জাদুতে মাতিয়ে রাখতে পারবে তাদেরকেই ওরা খোঁজে। মুখ মরা, গোমরা কিসিমের মানুষদেরকে নিয়ে ওরা কি করবে? শো-পিস হিসেবে সাজিয়ে রাখবে? ওরা যদি আগে থেকে বুঝতে পারে তাহলে তো ইন্টার্ভিউ নেয়ার আগেই বলে দিবে রাস্তা মাপার কথা। বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব করার পর আমার ডাক আসল ভিতর থেকে, যেটির জন্য এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম।
.
ভিতরে ঢুকেই প্রথমে সালাম দিয়ে নির্ধারিত আসনে বসলাম। বলল যে এটা মোখিক পরীক্ষার ১ম ধাপ। এ ধাপে শ্রোতাদের পাঠানো বিভিন্ন বাংলিশ ম্যাসেজ দ্রুত পাঠ করতে পারি কিনা সেটা পরীক্ষা করবে। কম্পিউটারের মনিটরটা সামনে এগিয়ে দিল ম্যাসেজ পড়ার জন্য। দেখলাম মাশাআল্লাহ! এদেশে মুরাদ টাকলা ভাষার চর্চার বেশ ভালোমতই হয়। ম্যাসেজ দেখে মনে মনে তিরস্কার করে বললাম, মুরাদ টাকলা এদেশের মানুষের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকুক। ৪টা ম্যাসেজ পড়তে দিলো। প্রথম ৩টা একেবারে নির্ভুল ভাবে খুব দ্রুত পড়তে পারলাম। শেষেরটায় এসে এক জায়গায় আটকে গেল। বাক্যটা অনেকটা এরকম ছিল, 'tmi amar gibon namok rater cader mugdokar al.' 'তুমি আমার জীবন নামক রাতের চাঁদের মুগ্ধকর আলো।' মুগ্ধকর শব্দটাতে এসে বেঁধে গেলাম। পাশে বসে থাকা পরীক্ষক আমাকে ধরিয়ে দিল ওটা মুগ্ধকর হবে। পড়া শেষ হলে বলল যে, অনেক ভালো করেছেন। এবার পাশের রুমে যান ওখানে আপনার উচ্চারণের শুদ্ধতার পরীক্ষা নেয়া হবে। রুম থেকে বেরিয়ে পাশের রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখলাম সবাই সিরিয়াল করে দাঁড়িয়ে আছে। আমার সামনে বেশ ক'জন মানুষ দাঁড়িয়ে। দাঁড়িয়ে থেকে মনে মনে ভাবতে লাগলাম, মুরাদ টাকলা নিয়ে যতই স্যাটায়ার করি না কেন, আমি নিজে কিন্তু বেশ পারদর্শী মুরাদ টাকলা টাইপের লেখা পড়তে। যদিও আমি ফেসবুকে হোক বা যেখানেই হোক বাংলিশ টাইপ একেবারেই পারি না। তবুও পড়ার ক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী মনে হলো নিজেকে। এক সময় সিরিয়াল শেষ হলে আমার পালা আসল। ভিতরে ঢুকলাম। ঢুকেই পূর্বের মত সালাম দিয়ে চেয়ার গ্রহণ করে বসলাম। দেখলাম এই রুমটাতে দুইজন প্রশ্নকর্তা বসে আছেন। একজন ছেলে আর আরেকজন মেয়ে। বসার পরপরই নাম ঠিকানা আর প্রাথমিক কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করল। দেখলাম প্রশ্ন করতে করতে মহিলা অফিসারটা আমার সিভি উল্টেপাল্টে দেখছে। হঠাৎ থেমে জিজ্ঞাসা করল আপনি মাদ্রাসার স্টুডেন্ট? হঠাৎ করে অন্য প্রশ্নের মাঝে এমন ধরণের প্রশ্ন করায় কিছুটা বিব্রত হলাম। কিন্তু সেটা না বুঝতে দিয়ে নতস্বরে বিনম্র গলায় বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র। তবে আগে ছিলাম এখন নেই। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মাদ্রাসায় পড়েছি। উত্তর শুনে মহিলাটা তেমন একটা তৃপ্তি পেল না বুঝতে পারলাম তার মুখচ্ছবি দেখে। এবার শুরু করল নানাবিধ অপ্রত্যাশিত আক্রমণাত্মক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা। পুরুষ অফিসার যতটা না তীর্যক প্রশ্ন করে তার থেকে দেখলাম মহিলাটা কিছুটা এগিয়ে।
.
কিছু কথা বলে বলা শুরু করল, মাদরাসায় তো জঙ্গীবাদ শিক্ষা দেওয়া হয়? আপনি যেহেতু মাদ্রাসা ছাত্র সুতরাং আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, আপনি একজন জঙ্গী। আপনি কি আসলেই একজন জঙ্গী? ভাবলাম জিজ্ঞাসা করি আমার গায়ে কি লেখা আছে যে আমি বলদ? নাকি আপনি বলদ? পৃথিবীর কোনো ইন্টার্ভিউ বোর্ডে এমন বিবেকহীন, নির্লজ্জের মত প্রশ্ন করা যায় জানতাম না। উত্তরে বললাম, আমি যদি আদতেই জঙ্গী হয়ে থাকতাম তাহলে আপনার এতক্ষণ আমার সামনে বসে থাকার কথা ছিল না। এতক্ষনে আপনি হয় হাসপাতালে থাকতেন না হয় মর্গে। উত্তর শুনে মনে হলো কিছুটা যেন দমলো। তারপর বিভিন্ন যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করে বোঝালাম আমি একজন সরকারী মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। আর আমাদের দেশের এক শ্রেণীর বেসরকারি বিশেষ মাদ্রাসার কিছু ছাত্র ইতোপূর্বে জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হলেও সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ নেই। থাকলে দেখান তাহলে আমি এখুনিই এখান থেকে উঠে চলে যাব। এবার জিজ্ঞাসা করল ১০ বছর পরে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান? আগ পিছ না ভেবেই উত্তর দিলাম বেশি কিছু চাই না। আজকে আমি টেবিলের এ পাশে পরীক্ষার্থী হিসেবে বসে আছি। ১০ বছর পরে টেবিলের অপরপার্শ্বে নিজেকে একজন প্রশ্নকর্তা হিসেবে দেখতে চাই। মুখের উপর এ ধরনের উত্তর আশা করে নি। তাই বোধ হয় এবার ফাজলামির চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে প্রশ্ন করে বসল মাদ্রাসায় তো শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয়াদি শিক্ষা দেয়া হয়। তাদের কর্মক্ষেত্র তো শুধু মসজিদ আর মাদরাসা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এর বেশি তাদের আর কোনো যোগ্যতা নেই। সুতরাং, আপনি কেন নিজেকে আমাদের রেডিওর একজন আরজে হওয়ার জন্য যোগ্য বলে মনে করেন? মেজাজটা এবার চরমভাবে বিগড়ে গেল। ভাবলাম আবারও একটা রাগচটা উত্তর দিয়ে দিই মুখের উপরে। পরক্ষণে মনে হলো না, এর থেকে নম্রতা বজায় রেখে শালীন ভাবে উত্তর দেয়াটাই মঙ্গলজনক হবে। বললাম আমি যদি নিজেকে যোগ্য না মনে করতাম তাহলে আমি এখানে আসতামও না এবং আপনি আমাকে প্রশ্ন করার সুযোগও পেতেন না। একজন স্কুলের ছাত্র যতগুলো বই পড়ে পাশ করে আমরা ঠিক সেই একই বইগুলো পড়ে পাশ করি। উপরন্তু আমাদের তার থেকে অারও অতিরিক্ত বেশ কিছু বই পড়ে মাধ্যমিক/দাখিল এবং উচ্চমাধ্যমিক/আলিম পাশ করতে হয়। শুনে বলল যেমন? আমি বললাম দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার জানা উচিত ছিল আপনার দেশে কত ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে এবং কোন কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় কি কি ধরণের সাবজেক্ট পড়ানো হয়। এবার ভেঙে ভেঙে সব বুঝালাম। অামাদের মাদ্রাসায় থাকাকালীন কি কি সাবজেক্ট ছিল। আর স্কুলে কি কি সাবজেক্ট ছিল। আমরা সর্বমোট কত মার্কস পড়েছি আর স্কুলের ছাত্ররা কত মার্কস পড়েছে। সব বুঝিয়ে বলার পরে তাও যেন কেমন উসখুস করতে লাগল। ভাবলাম আমি বোধহয় বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি অথবা তিনি বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। পরে তার দিকে ভালো করে খেয়াল করলাম। দেখলাম ঘটনা অন্যরকম। এতক্ষণ তার দিকে সেভাবে না তাকিয়ে কথা বলছিলাম। এখন দেখি পুরুষ অফিসারটা তার একটা হাত মহিলাটার উরুর উপরে দিয়ে হাতড়াচ্ছে মোলায়েম ভাবে। টেবিলটা বেশ উঁচু থাকায়ও টেবিলের উপর দিয়ে কিছুটা দেখা গেল। এতক্ষণ তাদের দিকে সেভাবে লক্ষ্য না করায় বিষয়টা নজরে আসে নি। ভাবলাম এক ধরণের মাদ্রাসার সাথে আরেক ধরণের মাদ্রাসাকে মিলিয়ে ফেলে তিনি যে বিদ্বেষ সবসময় নিজের মধ্যে পোষণ করেন সেজন্য তার চুলকাচ্ছে না। চুলকাচ্ছে কামুক পুরুষটার পুরুষালী হাতের মোলায়েম উরু মর্দনের কারণে।
.
পরে আমি আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এ ব্যাপারে। সে পরে সব বুঝিয়ে বলেছিল। তারা দুই কলিগ অফিসে মাঝে মধ্যেই এসব অনৈতিক দৃশ্যের অবতারণা করে। এর মাঝে ধরাও খেয়েছে কয়েকবার। স্টেশন ম্যানেজার সাবধান করেছে কিন্তু তাতে কাজ হয় নি। আবার হাতেনাতে ধরা খেলে নাকি বড়সড় শাস্তির ব্যবস্থা আছে। উনারা দু'জনও খেয়াল করেছেন যে আমি তাদের বিষয়টা দেখে ফেলেছি। সেজন্যে আমাকে আর প্রশ্ন করার প্রয়োজনবোধ করলেন না। সামান্য থতমত খাওয়ার সুরে বললেন, জ্বী, ঠিক আছে, আপনি এখন আসতে পারেন। ছোটোখাটো একটা তর্কযুদ্ধের পর বের হয়ে মৌখিক পরীক্ষার সর্বশেষ ধাপ অর্থাৎ, ৩ নম্বর ধাপের জন্য স্টেশন ম্যানেজারের রুমে প্রবেশ করলাম। ঢুকে যথারীতি সৌজন্যতা দেখানোর পর্বটা শেষ করে সামনে রাখা চেয়ারে বসলাম। উনি আর অন্যদের মত তেমন কোনো প্রশ্ন করলেন না। সামান্য কিছু জিজ্ঞাসা করে বললেন, ঠিক আছে আপনি যান। ফলাফল প্রকাশ হলে সময়মত জানতে পারবেন। আপনি পরীক্ষায় টিকলে আপনাকে জয়েন লেটার পাঠানো হবে। উনার সাথে সামান্য কথাবার্তা বলে যা মনে হলো উনি নিতান্তই একজন সাধাসিধে বয়স্ক ভদ্র মহিলা। উনার সাথে কথা শেষ করে আর ওখানে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করলাম না। সোজা বাহিরে বেরিয়ে আসলাম। বাহিরে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম জড়বস্তু হয়েও আকাশটা কত উদার! কিন্তু আফসোস! আমরা জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী হয়েও ছোটোখাটো বিষয় বা মানুষের উপরের আবরণ দেখে একজন আরেকজনের প্রতি কতটা বিদ্বেষ পোষণ করে থাকি। কবে সত্যিকারের উদার হতে শিখব আমরা? বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবতে লাগলাম চাকুরিটা কি হবে? আমি এটাকে কখনো চাকুরি হিসেবে ভাবিনি। এটাকে ব্যক্তিগত একটা শখ হিসেবে নিতে চেয়েছিলাম। আমার কেমন যেন সময় কাটতে চায় না। মূলত সময়টা ভালোভাবে কাটানোর জন্য আর সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষের সংস্পর্শে যেতে পারব বলে, যেটা আমি সবসময়ই চেয়ে এসেছি, সেজন্যে আমি আরজে হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম। এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বাসায় পৌঁছালাম।
.
ইন্টার্ভিউ দিয়ে এসেছি বেশ কয়েক সপ্তাহ হতে চলল। কোনো খোঁজখবর পেলাম না। ধৈর্য ধরতে ধরতে এক সময় অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। না পেরে বন্ধুকে ফোন করলাম খবর জানার জন্য। কয়েকবার ফোন দেয়ার পর অপরপার্শ্ব থেকে বন্ধুর কণ্ঠ শুনতে পেলাম। ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে সরাসরি ইন্টার্ভিউ এর খবর জিজ্ঞেস করলাম? বন্ধুর কথাবার্তার আভাস শুনে মনে হলো কোনো ভালো খবর হয়ত আমার জন্য অপেক্ষা করছে না। কিন্তু আমার অনুমানকে মিথ্যা প্রমাণ করে সে বলে বসল, তুমি প্রথম হয়েছ! আমি বললাম, কি? সত্যি বলছো? প্রথম হয়ে থাকলে এতদিন তোমাদের রেডিও কর্তৃপক্ষ আমার সাথে যোগাযোগ করল না কেন? আমাকে জানালো না কেন? বা তুমিও তো জানাতে পারতে অন্তত অামাকে। এবার প্রতিউত্তরে ও যা বলল সেটা শোনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলেও তার অবস্থাও একই হতো। ও যা বলল তার মূল ভাষ্য হলো অনেকটা এ রকম: ৮০ জনের মধ্যে আমি ১ম হয়েছি। খুবই গর্বের ও খুশির খবর। কিন্তু বিষয়টা দুঃখে পরিণত হলো তখনই যখন রেডিও কর্তৃপক্ষের নজরে আসল, পরীক্ষায় যারা প্রথম ১০ জনের ভিতরে অবস্থান করছে তাদের মধ্যে ৬ জনের এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড হলো মাদ্রাসার। এ বিষয়টাকে তারা ভালোভাবে দেখেনি। তারা মোট জনবল নিবে ১০ জন। তার মধ্যে ৬ জনই মাদ্রাসার। তাদের কর্তৃপক্ষের উপর পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এ নিয়ে পরামর্শ করেছে। তারা ধারণা করেছে আমরা সঙ্ঘবদ্ধ জঙ্গী চক্র। যেহেতু মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্ররা ট্যালেন্ট হয় আর ইতোপূর্বে দেশে যতজন জঙ্গী ধরা পড়েছে দেখা গেছে এরাও সবাই মেধাবী ছাত্র ছিল। তাই অামরা ৬ জন যেহেতু প্রথম ১০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছি সুতরাং, নিঃসন্দেহে আমরা ট্যালেন্ট। এবং আমরা পূর্ব থেকে সবকিছু পরিকল্পনা করে এসেছি। পরিকল্পনামত এই রেডিওতে প্রথমে আরজে হিসেবে ইন্টার্ভিউ দিয়ে ঢুকব এবং সময় সুযোগমত বড় ধরণের সন্ত্রাসী হামলা চালাব। ও আর বেশি কথা বলল না। বা বলতেও চাইল না। ওরও এ ধরণের কথা বলতে খারাপ লাগছিল সেটা ওর কথা শুনে বুঝতে পারছিলাম। আমিও আর কথা বাড়ালাম না। সবথেকে বেশি আফসোস লাগল এই ভেবে যে, ইস! আমি তো ঐ ৬ জনকে চিনিও না। অন্তত ওদের সাথে যদি আমার পূর্ব পরিচয় থাকত তাহলেও অপবাদ ও ধারণার কিছু অংশ সত্যি বলে মেনে নেয়া যেত। আমি বাদে বাকি ৫ জনকেও বেছে বেছে বাদ দেয়া হয়েছে। কাউকেই নেয়া হয়নি। ভাবলাম পৃথিবীটা এত সুন্দর কেন? আসলেই পৃথিবীটা কিন্তু অনেক সুন্দর। মনে হলো পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর আমাদের মত তথকথিত জঙ্গীদের কারণে। ফোনটা নামিয়ে রাখলাম কান থেকে। ভাবলাম এখন আমার কি করা উচিত? কিভাবে নিজের দুঃখকে সংবরণ করতে পারি? ভেবে যেটা পেলাম সেটা হলো, এখন আমার ইউটিউব খুলে বিভিন্ন মোটিভিশনাল স্পিকারদের বক্তব্য শুনে নিজেকে সামাল দেয়া উচিত। কারণ আমার আশেপাশে ঠিক এ মুহূর্তে অন্য কেউ নেই যে আমাকে শান্তনা দিবে। ঠিক করলাম যে ক'জন মোটিভেশনাল স্পিকারকে চিনি সবার বক্তব্যই দেখব। সুলাইমান সুখন, আইমান সাদিক, জ্যাক মা, মুনিবা মিজারি আরও অনেকের। কিন্তু হঠাৎ যেন মনে হলো দরকার নেই এটার। তাদের সবার গল্পই তো ব্যর্থতা থেকে সফলতার। কিন্তু আমারটা? আমারটা কি ধরণের? সফলতা থেকে ব্যর্থতার? এরকম কারো কি সফলতার পরে ব্যর্থ হওয়ার গল্প আছে? থাকলেও এরকম গল্প যেন আর তৈরি না হয়। কারণ এমন গল্প তৈরি হওয়াটাও যে পাপ!
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৫
নাঈম মুছা বলেছেন: আমি জানি, এত দীর্ঘ পোস্ট কেউ পড়বে না। পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণও উদ্দেশ্য না। এমনকি আপনিও হয়ত পড়েন নি। আসলে এগুলো ব্যক্তি জীবনের চরম আক্ষেপ থেকে লেখা। ইচ্ছা করলেও হাতকে থামাতে পারি না। নিজের ব্লগে লেখাগুলো স্মৃতি হিসেবে টুকে রাখছি। পরে যখন ক'বছর পরে লেখাগুলো পড়ব তখন ভালো লাগবে। নিজের লেখাগুলো নিজের ছেলের মত। যতই দেখি ততই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। পাশে থাকবেন।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: কারো কাছ থেকে শান্ত্বনা আশা করবেন না। নিজেই নিজেকে শান্ত্বনা দেন।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৭
নাঈম মুছা বলেছেন: ভালো বলেছেন। নিজেকে নিজেই শান্ত্বনা দেয়া উচিত। কিন্তু কিছু মুহূর্তে নিজেকেও অসহায় লাগে। নিজেকে নিজে শান্ত্বনা দেয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৮
জগতারন বলেছেন: বাহিরে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম জড়বস্তু হয়েও আকাশটা কত উদার!
কিন্তু আফসোস!
আমরা জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী হয়েও ছোটোখাটো বিষয় বা মানুষের উপরের আবরণ দেখে একজন আরেকজনের প্রতি কতটা বিদ্বেষ পোষণ করে থাকি।
কবে সত্যিকারের উদার হতে শিখব আমরা?
বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবতে লাগলাম চাকুরিটা কি হবে?
আমি এটাকে কখনো চাকুরি হিসেবে ভাবিনি।
এটাকে ব্যক্তিগত একটা শখ হিসেবে নিতে চেয়েছিলাম।
আমার কেমন যেন সময় কাটতে চায় না।
মূলত সময়টা ভালোভাবে কাটানোর জন্য আর সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষের সংস্পর্শে যেতে পারব বলে,
যেটা আমি সবসময়ই চেয়ে এসেছি,
সেজন্যে আমি আরজে হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম।
এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বাসায় পৌঁছালাম
পড়লাম, মনোযোগ সহকারেই পড়লাম আপনার মনের কথাগুলো।
শুধু বলি- ধৈর্য ধরো, বন্ধু। আরও উদ্দোম চেষ্টা করো, বন্ধু।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একদিন ঠিকই তুমি তোমার জীবনের গতি পথ পেয়ে যাবে।
তোমার এ প্রচেষ্টা দেখে আমার ফেলে আসা জীবনের স্মৃতি মনে এসেছিল;
১৯৮০-৮১ সালে আমি যখন ছাত্র ভিসায় অ্যামেরিকা আসার চেষ্টা করতেছিলাম।
চেষ্টা করতে করতে দু'বার ভিসা ইন্টার ভিউ'তে বার্থ হওয়ার পর তৃতীবার ঠিকই ভিসা পেয়েছিলাম।
যদিও অ্যামেরিকায় ছেলে পড়ানোর আমার বাবার ন্যূন্যতম অর্থ ছিল না ও অন্য কোনও আত্মীয় ও শুভাকাংক্ষীর মানুষীক বল বাড়িয়ে দেয়ার ও ছিল না।
তাই তোমাকে বলি বন্ধু তুমি চেষ্টা করতে থাকো, আল্লাহ তোমাকে নিশ্চয়ই সহায় রাখবেন, প্রার্থনাও করি তুমি জীবনে সফল হও।
যতদূর জানি গাজী সাহেব সকলের পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করে থাকেন;
জানিনা আজকে এ পোষ্টটি তিনি সম্পূর্ণ পড়েছিলেন কিনা।
আমার মনে হয় তিনি পড়েন নাই।
এভাবে পুরো পোষ্ট না পড়ে মন্তব্য করা মানে একটি যুবকে তার উদ্দোম থমিয়ে দেয়া।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৭
নাঈম মুছা বলেছেন: কি বলে প্রতিউত্তর দিব জানা নেই। তবে এটুকু বলব আপনি প্রকৃত অর্থেই আমার উদ্দ্যোমকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও অনেক লেখাটা দীর্ঘ করে আপনাদেরকে কষ্ট দিলাম। শুধু হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা রইল নিজের জীবন থেকে মূল্যবান টুকরো অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এবং সফলতা কামনা করার জন্য। ভালো থাকবেন। আপনাদের মত মানুষগুলোর ভালো থাকাটা খুবই জরুরি।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক জমলো না। ঐটা কি ইসলামিক রেডিও নাকি যে, এত মাদ্রাসার ছাত্র ওখানে ইন্টার্ভিউ দিতে যাবে? ইয়ো ইয়ো গান আর লাভ গুরু প্রোগ্রাম কি মাদ্রাসা ছাত্রদের মানায়?
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮
নাঈম মুছা বলেছেন: এখানে জমাজমির কিছু দেখছি না। উপরের গল্পটা নিরেট সত্যি ও আমার জীবন থেকে নেয়া। সব রেডিওতেই যে ইয়ো ইয়ো টাইপের গান আর লাভ গুরু শোনানো হয় বিষয়টা এমন না। আমি আগেই বলেছি এটা একটা কমিউনিটি রেডিও। ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি রেডিও। যেখানে সবধরণের অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এটা ঢাকার নামিদামি বাণিজ্যিক রেডিওগুলোর মত না। রেডিওটিতে 'পবিত্র সুর' নামে একটি ইসলামিক গজল পরিবেশনের অনুষ্ঠাত পরিবেশিত হয়। অামার মূলত ঐ অনুষ্ঠানটির দ্বায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা ছিল। ওটা না দিলেও সমস্যা হতো না। ওটা ছাড়াও আরো কয়েকটি ইসলামিক প্রোগ্রাম ছিল যেগুলোর একটাতে আমি উপস্থাপক হিসেবে কাজ করতে পারতাম। বাকিদের কথা জানিনা তারা কি উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। আর তাছাড়াও আমাদের ৬ জনকেই বাদ দেয়া হয়েছে। কাউকেই নেয়া হয়নি। আক্রমণাত্বক মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরেক অনেক সংক্ষিপ্ত করে লিখুন।