নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জীবনদর্শন, আমার যত ভালোবাসা, আমার যত দায় ,,,,,,,,

Tania Farazee

আমি একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। ভাল লাগে প্রগতিশীল , যৌক্তিক লেখা ও কাজ।

Tania Farazee › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের উপর পুরুষদের অশ্লীল আচরণের জন্য নারীরাও কম দায়ী নয়

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

নারীদের উপর পুরুষদের অশ্লীল আচরণের জন্য নারীরাও কম দায়ী নয়
মানুষের গুণাবলী মানুষকে বড় করে এবং সমাজকে সুস্থ, উন্নত করে। কিন্তু বর্তমানকালে নারীরা নিজেদের গুণাবলীকে না বাড়িয়ে দেহ প্রদর্শনের দিকে বেশি ঝুঁকছে। যেটি সুস্থ, সভ্য সমাজের জন্য ভয়ানক বলে আমি মনে করি।
যে মেয়েরা অশ্লীল পোশাক পরে তারা যখন পুরুষদের অশ্লীল আচরণের শিকার হয় তখন আমার কম খারাপ লাগে। কারণ যে নারী তার শরীরের বিভিন্ন অংশ অশ্লীলভাবে প্রদর্শন করছে সে তা পুরুষদের উত্তেজিত করে তার প্রতি মনোযোগ আনার জন্যই করছে। এমন অবস্থায় যার মধ্যে মানবিক বোধ সৃষ্টি হয়নি এমন কোনো খারাপ পুরুষ যদি উত্তেজিত হয়ে উক্ত নারীর সাথে জোর করে যৌন সম্পর্ক করে ফেলে তবে পুরুষটিকে দায়ী করার তেমন কিছু থাকেনা, আর মেয়েটাকে নিষ্পাপ ভাবারও কিছু নেই। তাই এই ধরণের মেয়েদের প্রতি আমার সবসময় সমবেদনা কম। হ্যা, তবে আমাদের বর্তমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজই মেয়েদেরকে পণ্য বানাতে ব্যস্ত। তাই উগ্র উচ্ছৃঙ্খল মেয়েদের প্রতি একটু দয়া আমার হয়।
অনেক পুরুষ আছে যারা মানসিকভাবে অসুস্থ। এই ধরণের পুরুষদের সামাজিক, পারিবারিক শিক্ষার কথা মনে থাকেনা। তারা সহজেই নারীদের সাথে যৌন আচরণের ক্ষেত্রে বিকৃত রুচির পরিচয় দেয়। শিশু ধর্ষণ পুরুষদের বিকৃত মানসিক অবস্থার ফলাফল। এই ধরণের পুরুষদের ক্ষেত্রে সকল সামাজিক শিক্ষা মিথ্যে হয়ে যায়। এদের শাস্তি অনেক কঠিন হওয়া উচিৎ। কিন্তু যখন পূর্ণ বয়ষ্ক নারীরা কতক্ষণ ক্লিভেজ বের করে, কতক্ষণ অর্ধ পা বের করে মিনি স্কার্ট পরে, কতক্ষণ স্তন বের করে দেখায়, কতক্ষণ ব্রা, পেন্টি পরে দেখায়, কতক্ষণ শরীরের বিভিন্ন অংশগুলো কাটা ছেঁড়া পোশাক পরে, আবার কখনও আঁটসাট পোশাক পরে পুরুষদের দেখাতে ব্যাকুল হয়ে যায় তখন তাদেরকে শুধু টাকার লোভী বললে ভুল হবে, বলা যায় যে এই ধরণের মেয়েরা পুরুষদেরকে ধর্ষক বানাতে আর নারীদেরকে মূল্যহীন বানাতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে সহায়তা করছে। অশ্লীল পোশাক এবং আচরণ পছন্দ করে যেসব নারীরা সেসব নারীদের জন্যই পুরুষরা নারীদেরকে স্তন, যৌনাঙ্গ ও সামগ্রিকভাবে যৌন যন্ত্র হিসেবে ভাবতে শিখে। এর ফলাফল স্বরূপ যেসব নারীরা শিক্ষিত, সভ্য হয়ে উঠেছে তারা অনেকক্ষেত্রে অবমূল্যায়িত হতে থাকে এবং পুরুষদের দ্বারা সহজেই যৌন আক্রমণের শিকার হয়।
যে পুরুষরা পরিবার থেকে, সমাজ থেকে সুশিক্ষা গ্রহণ করে মানুষকে সম্মান করতে শিখেছে তারা নারীদের সাথে কখনও অশালীন আচরণ করেনা। সুশিক্ষিত, সভ্য পুরুষরা কোন নারীকে একা কিংবা উলঙ্গ পেলেও ধর্ষণ করবেনা; বরং লজ্জিত হবে। কিন্তু সুস্থ, সভ্য পুরুষদের মধ্যে সুস্থ যৌন রুচি সৃষ্টি এবং তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে নারীদের মুখ্য ভুমিকার কথা আজকাল আমরা অনেক নারীরাই ভুলে যাচ্ছি। আমরা নারীরা আজকাল প্রায়ই যৌন আচরণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছি। ফলে পুরুষরা আরও কয়েকধাপ বেশী অসভ্য হয়ে যাচ্ছে। কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রশ্রয় পুরুষদেরকে অনেকটা নিরাপদে রাখে। তাই পুরুষদের বেশী বেশী খারাপ হতে দোষ নেই। তবে সভ্য সমাজের ক্ষতির কথা আমাদের ভাবা দরকার।
অতি পর্দাপ্রথা নারীদের জন্য যেমন অপমানজনক তেমনি অতি বেপর্দা হওয়া নারীদের মান সম্মান ধ্বংসের একটি কারণ। আমাদের দেশেও অনেক বাঙ্গালী মুসলিম মেয়েরা বর্তমানকালে হলিউডের তারকাদের মত পোশাক আশাকে "সেক্সি সেক্সি" ভাব আনার চেষ্টা করতে গিয়ে ক্লিভেজ বের করছে, ব্রেস্ট, পেটের সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে নির্লজ্জভাবে। এই ধরণের মেয়েদেরকে পুরুষরা বিয়ে করেনা, শুধুমাত্র ব্যবহার করে। পুরুষরা সভ্য, সাধারণ মেয়েদের বিয়ে করে, কিন্তু স্ত্রীদের নিকট থেকে অসভ্য মেয়েদের মত আচরণ না পেলে আবার অসভ্য মেয়েদের সাথেই গোপন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। অর্থাৎ যৌন জীবনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সুস্থ রুচিবোধকে সমাজ অসভ্য নারীদের সহযোগিতা নিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেই পুরুষরা এক স্ত্রী নিয়ে সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই নেতিবাচক আচরণ করে।
সবদিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে, আমাদের নারীদের পোশাক ও অচরণে শালীন হওয়া সমাজের সবার মঙ্গলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। পুরুষরা সমাজে অনেক নিরাপদ, কিন্তু তারপরও তারা প্রায়ই শালীন পোশাক পরে। নারীরা সমাজে নিরাপদ নয় অথচ তারাই বেশী উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছে নিজের শরীর প্রদর্শনের ব্যাপারে।
এই বিষয়টি অবাক করার মত। সেটি হল- নারীরাও পুরুষের সুঠাম শরীরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। পুরুষদের মধ্যেও কাউকে কাউকে সেক্সি বলা হয়, সবাইকে সেক্সি বলা হয়না। কিন্তু তাই বলে বেশীরভাগ পুরুষরাই নিজেকে সেক্সি বানানোর জন্য খালি গায়ে, বুক পিঠ, পেশী দেখিয়ে সমাজে বা নারীদের নিকট সেক্সি ইমেজ তৈরীর চেষ্টা করেনা। ফ্রি সেক্সের দেশেও বেশীরভাগ পুরুষ ভদ্র পোশাক পরে বাইরে বের হয়। কারণ পুরুষরা নিজেদের গুণাবলীকে সবসময় বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোতেও নারীরা নিজের সেক্সি ইমেজ সৃষ্টির জন্য নানারকম অশ্লীল পোশাকের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এটা শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ষড়যন্ত্রের ফল নয় ; বরং নারীদের নিজেদের সস্তা মানসিকতার ফল, নারীর আত্মমর্যাদাহীন হয়ে পড়ার ফল। আমরা অনেকে নারীরাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে অনেক ফালতু নিয়ম কানুনের চাপাচাপির মধ্যে আছি, কিন্তু পণ্য হচ্ছিনা। কেউ বাড়িতে এসে আমাদেরকে পণ্য হতে বাধ্যও করছেনা। ভাল, সভ্য পুরুষরা আমাদেরকে দেখে প্রেমেও পড়ছে। ভালভাবে পুরুষের প্রেম নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকার জন্য অশ্লীল পোশাকের সহযোগিতা আমাদের অনেকেরই প্রয়োজন হয়নি এবং হবেনা। তাহলে সব নারীদের ভদ্র হতে দোষ কোথায়?
আমাদের দেশে পূর্বের দিনে শাবানা, ববিতা, কবরীসহ বেশীরভাগ নায়িকারা সুন্দর করে শাড়ী চুড়ি পরে অভিনয় করত এবং তাই দেখে নারী পুরুষ সবাই পাগল হয়ে যেত। তাহলে সেসময়ের নায়ক, নায়িকা, দর্শকরা কি কুরুচিপূর্ণ অশিক্ষিত ছিল -নাকি বর্তমানকালের নগ্ন, অর্ধনগ্ন নায়িকা আর দর্শকরা কুরুচিপূর্ণ, অশিক্ষিত? মানুষের রুচি যত নিচে নামবে তত তাদেরকে নিয়ে অশিক্ষিত কুরুচিপূর্ণ একটা শ্রেণি সমাজে খেলতে থাকবে। আর এই খেলার মাঝে ভদ্র শ্রেণীর নারী পুরুষ অসভ্যতা, বর্বরতার শিকার হবে- যার বিচার করে শেষ করা যাবেনা।
যে নারীরা গরীব বা দারিদ্র্যের কারণে খারাপ পেশায় চলে যায় তাদের কথা আলাদাভাবে বিচার্য। কিন্তু যারা টাকা পয়সা, সামাজিক সুস্থ অবস্থান থাকার পরও বিভিন্নভাবে দেহ প্রদর্শনে ব্যস্ত থাকে তাদেরকে নারীজাতির অবনতির ক্ষেত্রে সহায়ক বলা যায়। এই শ্রেণির নারীদের ক্ষমা করা যায়না। আমাদের সমাজে অনেক সুন্দরী মেয়ে আছে যারা সুন্দর মত পোশাক পরিধান করে এবং সুস্থ পারিবারিক, সামাজিক অবস্থাকে সম্মান করে জীবনযাপন করে। যারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অনেক চাপাচাপির পরও নিজেদেরকে পণ্যে পরিণত করেনা ; বরং কেউ পণ্যে পরিণত করতে চাইলে তা প্রতিহত করে। নারীদের মধ্যে এই শ্রেনিটাই জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, মূল্যবোধে বড়। যারা কাজী নজরুলের কবিতায় ঠাঁই পেয়েছিল "জ্ঞানের লক্ষ্মী, সুষমা লক্ষ্মী " বলে। এরাই নিজেদেরকে এবং সমগ্র সমাজকে মর্যাদাপূর্ণ করে গড়ে তুলতে পারে। এরাই জন্ম দিতে পারে সেই শিশুদের যারা সকল পাশবিক প্রবৃত্তিকে হার মানিয়ে মানুষের জন্য সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারে। গড়ে তুলতে পারে নারী পুরুষের সম্মানজনক মিলিত সমাজ।
বর্তমানকালের নায়ক নায়িকা এবং অতি আধুনিক নারী পুরুষরা সমাজকে ভিতরে বাইরে যৌন কারখানা বানানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত। সুস্থ, স্বাভাবিক নারী পুরুষের উচিৎ এই ধরণের নারী পুরুষদের বিষয়ে সচেতন থাকা এবং তাদের কুপ্রবৃত্তি প্রতিহত করা- যাতে তনুদের মত সকল ভদ্র, পরিশ্রমী নারীরা হেসে খেলে বেঁচে থাকতে পারে ও ভদ্রভাবে পুরুষের দ্বারা মূল্যায়িত হতে পারে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৭

মিঃ আতিক বলেছেন: একজন সচেতন শিক্ষক হিসেবে আপনার সচেতনতা দেখে খুশী হলাম।

ভালো থাকবেন।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪২

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার লিখার সাথে পুরোপুরি একমত । খুব ভাল লাগল আপনার লিখা ধন্যবাদ আপু

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: যেন আমার মনের কথাগুলোই। প্রতিটা বাক্যের সাথে একমত পোষণ করি। প্রিয়তে গেল।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: Kindly watch this video
Sexual abusing on women

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পুরুষরা সভ্য, সাধারণ মেয়েদের বিয়ে করে, কিন্তু স্ত্রীদের নিকট থেকে অসভ্য মেয়েদের মত আচরণ না পেলে আবার অসভ্য মেয়েদের সাথেই গোপন সম্পর্কে লিপ্ত হয়।---------------দ্বিমত ! একপেশে হইয়া গেলো !

এই ধরণের মেয়েদেরকে পুরুষরা বিয়ে করেনা, শুধুমাত্র ব্যবহার করে----------------সহমত। তবে বেশিরভাগ মেয়েরাই যদি এমন হয় বেশিরভাগ ছেলেরাও এমনি হবে। সেক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের মতোই বাধ্য হইয়াই সবাই বমি খাইবে !

আরেক পাঁঠা আইসা এইখানে তাহার বিচি ফাটাইয়া গেলো ! ইসলামের কিছু দেখলেই তাহাদের গোল টেবিল বৈঠক শুরু হইয়া যায়। এরপর একে একে আইসা তাহাদের বিচি গ্রেনেড ফাটাইয়া পরিবেশ দূষিত কইরা যায় !

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এক হাতে তালি বাজে না, পোশাকের কারনে মেয়েরা ধর্ষিতা হয়!!!
এক হাতে তালি বাজে না
এক হাতে তালি বাজে না। মেয়েরা ছোট ছোট কাপড় পরে ঘুরে বেড়াবে, আর ছেলেরা কিছু করলেই দোষ।পুরুষদের কিছু দোষ থাকলেও মূল দোষটা আসলে মেয়েদের, মেয়েরা ঠিক থাকলে এত ধর্ষণ হয় না। ঠিকঠাক মত পর্দা করলে কখনোই রেপ হয় না…..
ধরেন আপনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হলেন। ছিনতাইকারীর ছুরির মুখে সাধের মোবাইল আর মানিব্যাগটা তুলে দিলেন। তবে আশার কথা হচ্ছে ছিনতাইকারী ধরা পড়লো। বিচার ও হলো। কিন্তু আদালতে উকিল এক অদ্ভুত যুক্তি দেখালো। যেহেতু এক হাতে তালি বাজানো যায় না সুতরাং এই ছিনতাইয়ের পেছনে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যাক্তিটিরও সমান অবদান আছে।

পোশাকের কারনে মেয়েরা ধর্ষিতা হয়
একজন মানুষকে জোর-জবরদস্তি করে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে যখন তার পোশাকটা দোষ দেন বলেন এক হাতে তালি বাজে না, মেয়েরও দোষ আছে। তখন আমার কাছে বড় অদ্ভুত লাগে সেই যুক্তি। সেই আপনাকেই একাত্তরের তিন লক্ষ ধর্ষণের কথা বললে বলেন পাকিস্তানিরা খারাপ ছিলো পুরান প্যাচাল ছাড়েন। শিশু ধর্ষণ হলে বলেন সিক মেন্টালিটির মানুষ। হিজাব পরা মেয়ে ধর্ষিত হলে বলেন পাগল।

আমাকে একটু বোঝান কোন ধর্ষকটা ভালো ??
আমাকে শুধু একটা কেইস দেখান যে খুব নম্র, ভদ্র, বিনয়ী একটা ছেলে, যার নামে কোন মামলা নাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র, বাবা-মার গৌরব। একটা উগ্র পোশাক মিনি স্কাট পরিহিতাকে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ঝোপে ফেলে ধর্ষণ করলো। এরকম একটা কেইস দেখান।

পোশাকের কারণে ধর্ষিত হয়েছে এরকম শুধু একটা কেইস দেখান।

আমি কয়েকটা কেইস দেখাই।
আপনারা বলেন;
অনেক দিন পর পর মা’কে দেখার জন্য ১৯৯৫ সালের ২৪ আগষ্ট ঢাকা থেকে বাড়ী যাচ্ছিল গার্মেন্টস কর্মী কিশোরী ইয়াসমিন। পথমধ্যে ইয়াসমিনকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে পুলিশ, এবং তাকে হত্যা করে লাশ দিনাজপুর শহরের পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় ফেলে দেয়। বলেই এই মেয়েটার কি দোষ ছিলো । মিনি স্কাট পরে কি সে পুলিশের সামনে…

২৮ অক্টোবর ২০১৩, ইয়াং ওয়ান গার্মেন্টস এর এক কর্মী সকালে কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশ্যে সাভার বাস স্ট্যান্ড থেকে আনন্দ সুপার পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠে। ওই গার্মেন্টস কর্মী গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অন্যযাত্রী না নিয়ে দরজা বন্ধ করে গাড়ি ছেড়ে দেয় সুপারভাইজার। গাড়িটি সাভারের আমিন কমিউনিটি সেন্টার ছেড়ে আসার পর গাড়ির হেলপার ও সুপারভাইজার গার্মেন্টস কর্মীকে জড়িয়ে ধরে তার গলায় থাকা চেইনটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। বলেন এই ঘটনায় কিভাবে জড়াবেন মেয়েটার পোশাক ?

৩০-১১-২০১২, সাজিয়া দক্ষিণখানের নোয়াপাড়া আমতলার একটা ক্লিনিকের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ছিলেন। ঘটনার আগের রাত বৃহস্পতিবার ওই ক্লিনিকে তাঁর রাতের পালায় দায়িত্ব ছিল। কাজ শেষে রাত ১২টার দিকে ওই ক্লিনিকের বিশ্রামাগারে ঘুমাতে যান। এরপর দুবিত্তরা ধর্ষণ করার চেষ্টা করে তাঁকে এরপর হত্যা করা হয় রাজিয়াকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে রাজিয়া নিয়মিত হিজাব করতেন। হিজাব করার কারণে রাজিয়াকে ছেড়ে দেয়নি ধর্ষক।

পরিমল জয়ধর রাজধানীর একটি নামকরা স্কুলের শিক্ষক। নিজের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিওচিত্র ধারন করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতা মেয়েটাকে আরও অনেকবার নির্যাতন করে। মেয়েটার জীবন থমকে গ্যাছে। ক্লাস এইটের মেয়ে, পোশাক কে কিভাবে দুষবেন বোঝান..

এভাবে একটার পর একটা লিখতে থাকলে রাত পার হয়ে যাবে। আমি মাত্র কয়েকটা ঘটনার উদাহরণ দিলাম। এই সবগুলো ঘটনাই আলোচিত। আপনি আমাকে শুধু এমন একটা ঘটনার কথা বলেন যেখানে শুধুমাত্র পোশাকের কারণে একটা মেয়েকে রেপ করা হয়েছে এবং ছেলেটা নিরীহ ছিলো।

সুব্রত শুভ’দার অনেক পুরনো একটা লেখা থেকে খানিকটা কোট করছি ;

“ভাইয়েরা আমার!!! পিলিজ বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে।

আমরা চলাফেরার সময় আপনারা অসচেতনার সহিত অনেক কিছু গায়ে জড়িয়ে বের হন, যা আপাদের করা উচিত না। যেমন- আপনারা ফরমাল ড্রেস পরে বের হন। একবার ভাবুন আপনাদের পেছনের শেপ বোঝা যায়, আপনাদের বুকের মাপ বোঝা যায় আপনাদের অনেক আর্কষনীয় লাগে এতে মেয়েরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং এর জন্য মেয়েটি দায়ী নয় বরং আপনি দায়ী কারণ আপনি এমন পোশাকটি পরে আসছেন।

ভাইয়েরা, একবার ভেবে দেখুন; আপনি যখন টি র্শাট গায়ে দেন তখন আপনার বাহু দেখা যায় তাতে একটি মেয়ে উত্তেজিত হতে পারে তাই এমন পোশাক অবশ্যই পরা উচিত না। আর যদি আপনি বডি বিল্ডার বা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন তাহলে তো কথাই নেই প্রতিটি মেয়ে আপনাকে ডেব ডেব করে দেখবে। আপনি কেন আপনার বাপ, ভাই কে এমন টি শার্ট গায়ে দিয়ে রাস্তায় বের হতে দেন। একবার ভাবুন তো কেউ আপনার ভাই ও বাবার দিকে তাকালে আপনার কেমন লাগবে? আসুন এই পোশাক পরিহার করি।

ভাই একবার ভাবুন আপনি যখন থ্রি কোয়াটার পরে বের হোন তখন আপনার সুন্দর পা দেখে কী মেয়েরা খাদকের মতন তাকিয়ে থাকে না? তাহলে কেন আপনি সেই পোশাকটি পরেন। অনেকেই না বুঝে পরে তাই পোশাক বাছাইয়ে সাবধান হোন এবং সুন্দরের পথে আসুন। ভাইয়েরা আপনার গরম লাগে বলে হাফ হাতা জামা পড়েন যা একেবারেই উচিত না। কারণ আপনার বাহু বের হয়ে থাকে যা একদম অনুচিত। আপনে ধর্ষিত হলে কিন্তু মেয়েটার দোষ নেই বরং আপনার পোশাকটি ও আপনি দায়ী।

ভাইরা আমার, চুল দেখিয়ে হাঁটবেন না প্লিজ। আপনার সুন্দর সিল্কি চুল দেখলে মেয়েরা চুলে হাত বুলাতে চাইবে। আপনার চুলের দিকে তাকিয়ে থাকবে। প্লিজ ভাইয়েরা মাথা ঢেকে চলাফেরা করুন।

ভাইয়েরা, আপনারা স্টাইল করে বুকের বোতাম খুলে চলা ফেরা করেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার খোলা বুক সাথে যদি পশম থাকে তাহলে মেয়েদের কেমন অবস্থা হয়। ধর্ষন হলে কিন্তু আপনাকে দায় নিতে হবে। কারণ যে কোন মেয়ে খোলা বুক দেখলে উত্তেজনা অনুভব করবে। এটাই স্বাভাবিক। লক্ষ্মী ভাইরা আমার প্লিজ বুকের বোতাম লাগিয়ে রাস্তায় বের হোন। কোন মেয়ে যাতে উত্তেজিত না হয় সে রকম পোশাক পরে বের হোন। একটি মেয়ে আপনার বাপ, ভাইয়ের দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে থাকুক তা নিশ্চই চান না। আসুন ভাইয়েরা আমরা সত্যের পথে আসি, সুন্দরের পথে আসি।“
এক হাতে তালি বাজে না, পোশাকের কারনে মেয়েরা ধর্ষিতা হয়!!!

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: আরো কিছু সৌদী আরবের দৃশ্য আপনাদের দেখা উচিৎ
Sexual harassment in Saudi Arab on the covered women 1


Link 2

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আরো যদি দেখতে চান তাহোলে আপনি নিজে এই লিংক খুলে পাশে আরো ভিডিও আছে দেখতে পারেন

Sexual Harassment in Saudi Arabia - التحرش بفتاتي جدة

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

Fahim shariar বলেছেন: ভাল বলছেন কিন্তু অনেকে নেতিবাচকভাবে নিবে।আল্লাহ আপনার মংগল করুক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.