![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ শব্দটা আমাকে খুব ভাবায়। একটা শিশু জন্মের পর ক্রমান্বয়ে মানুষে পরিণত হয়। কেউ শারীরিক দিক থেকে আবার কেউ মনুষ্যত্বপূর্ণ প্রকৃত মানুষ। নশ্বর পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত সফরে ৩টা স্তর অতিক্রম করা, অতঃপর স্মৃতির মণিকোঠায় স্থান প্রাপ্তি।
শিশুকাল, যৌবনকাল এবং বার্ধক্য। এর মধ্যে শিশুকাল এবং বার্ধক্য মানেই অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকা। পার্থক্য শুধু একসময়ের পুঁজি হচ্ছে আদর সোহাগ আর অন্যসময়ে বিরক্তি।
বিরক্তিকর হবে না কেন? বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষটাকে বহন করা যা তা ব্যাপার! এর চেয়ে ভাল পড়ে থাক ঐ অন্ধকার ঘরের ভাঙ্গা চৌকিতে।
সম্প্রতি একটা পোস্ট পড়লাম।
একজন বৃদ্ধা মহিলা অসুস্থ হয়ে সারারাত চিৎকার করে। ব্যথার তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে মৃত্যু কামনা তার নিশ্বাসে নিশ্বাসে। একবার ছেলে কে ডাকে, অন্যবার ছেলের বউ কে। কখনো নাতি-নাতনি, আবার কখনো পরিবারের অন্য সদস্যদের। মজার ব্যাপার হলো পরিবারের সকলেই বধির (শুধুমাত্র বৃদ্ধার ডাক শোনার ক্ষেত্রে)। বৃদ্ধার আর্তনাদ তাদের মনে বিন্দুমাত্র দয়ার (অথচ কর্তব্য হওয়ার কথা ছিল) সৃষ্টি করেনা।
বৃদ্ধার জন্য কিসের এতো দয়া?
প্রায় ১ বছর যাবৎ অসুস্থ। চিকিৎসা করিয়েও লাভ হয়নি। প্রতি রাতে ঘ্যানঘ্যান আর চিৎকারে পরিবারের কেউ ঘুমাতে পারেনা অনেকদিন। বুড়িটা মরে না ক্যান? সেজন্যে হুজুর ডেকে জালালী খতম পড়িয়েছে।
"হয় সুস্থ করে দাও, নতুবা নিয়ে গিয়ে আমাদের এই উটকো বস্তু হতে রক্ষা কর।"
একটা গ্রাম্য প্রবাদ মনে পড়ছে, "আম পাকিলে মিঠা, আর বুড়াবুড়ি পাকিলে তিতা"।
অথচ এই মানুষটা পুরো পরিবারকে আগলে রেখেছিল। পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে নির্ঘুম রাত্রি কাটাতো। সকলকে খাইয়ে পাতিলের লেগে থাকা পোড়া ভাত পেটে জুটতো। সকলের প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে নিজের প্রতি অবহেলা করে সময়ের ১০ বছর আগেই বার্ধক্য বরণ করেছে। আর বার্ধকই আজ তার জন্য অভিশাপ!
ওহে, তাঁরা বৃদ্ধ নন।
তাঁরা বটগাছ।
প্রচন্ড ঝড়ের ভেতরেও সকলকে আগলে রাখতে সক্ষম। শরীরের চামড়া জড়সড় হয়ে যাওয়া মানুষটার দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন। বলিরেখাগুলো মুচকি হেসে জানান দেবে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাগণ হাজার ঐতিহাসিক অধ্যায়ের তরতাজা কালি। শ্রদ্ধা এবং যত্ন তাদের অর্জিত দাবী।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
তানজিল মিঠুন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯
কালীদাস বলেছেন: