জীবন যেন সাপলুডুর নামান্তর!!!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

সকাল থেকেই ভাবছি কি লিখবো।
লিখালিখির জন্য চাই বিশেষ কিছু উপাদান, যা আমার নেই।
তাই আজ আর লিখালিখির বৃথা চেষ্টা নয়, জীবনের ছবি আঁকবো আজ।
কিন্তু ছবি যে আঁকবো, তুলি কোথায় পাই? শৈশবকে যদি তুলি ভেবে নেই, তাহলে রঙ কোথায়?
প্রশ্ন করতে পারেন, এতো সমস্যা নিয়ে আঁকাআঁকির ঝামেলায় যাচ্ছিই বা কেন!! কিই বা করার আছে বলুন?
সমস্যা দিয়ে যার জীবনের শুরু, ঝামেলাতো তার পিছু ছাড়বার নয়।
.
সাপলুডু খেলেছেন কখনো?
একপাশে সাপের খেলা, অন্য পাশে লুডু। একটা চতুর্ভুজাকৃতির কাগজ, কিন্তু চালের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দ্বিমুখী আচরণ! একপাশে ছয়ের কেরামতি, অন্য পাশে এক। মানুষের জীবনকে সাপলুডুর বোর্ডের সাথে নির্দ্বিধায় তুলনা করা যেতে পারে।
প্রতিনিয়ত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর তীব্র প্রতিযোগিতা। যখন এক এর প্রয়োজন, তখন উঠে ছয়। আর যখন ছয় এর প্রয়োজন তখন উঠে এক। পথিমধ্যে অসংখ্য সাপের ফোঁসফোঁসানি। সকল বাঁধা ডিঙিয়ে যখন চূড়ান্ত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সময়, তখনি বিষাক্ত সাপের দংশনে তলানিতে এসে ঠেকা!!
এটাই বোধয় জীবন।
যেখান থেকে শুরু, সেখানেই প্রত্যাবর্তন। অথচ এতকালের পথ চলা পুরোটাই বৃথা।
শুভাকাঙ্ক্ষীরা হয়তো মই এর গল্প বলবেন। তাদের স্মরণ করিয়ে দেই, মই এর মাথাটা কিন্তু সাপের মাথার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়।
মই দিয়ে খুব সহজে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চাই বিশেষ সাপোর্ট, যা কেবলমাত্র উপরতলার মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ভালো থাকুক উপরতলার মানুষেরা।
ভালো থাকাটা যে তাদের নিয়তি।
আর নীচতলার মানুষ?
তাদের জীবন ছোট বড় সাপের কামড়ে একাকার.........................

০ টি +০/-০