নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Trying to be simple and honest man. :)

তানজিল মিঠুন

Work like a worker, Think like a thinker.

তানজিল মিঠুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীর লেখা চিঠি

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

প্রিয় চকোলেট বয়,
তোমার আমার ভালোবাসার দুরন্ত দিনগুলো কী অপূর্ব সুন্দর ছিল, তাই না?
নতুন নতুন সব জায়গা আর গ্রামের পথে পথে বেড়ানো, কী দারুণ লাগতো!
Each step was a new excitement...
একটা ঘটনা খুউব মনে পড়ে।
সময়টা আশ্বিন মাসের শুরুর দিকে। সকালে
একচোট ধুম বৃষ্টি হলো। তারপর হ্যালোজেন
রোদ্দুর আর মাতাল হাওয়ার মাখামাখি।
শরৎকাল কিন্তু কেমন বসন্ত বসন্ত একটা
আবেশ। প্রকৃতির বোধহয় মাঝেমধ্যে আমার
মতো মাথা নষ্ট হয়ে যায়। যাই হোক That
was a windy day!
তুমি তো জানো Windy day আমার অনেক প্রিয়। মুড ভালো। তবুও ঝগড়া হয়ে গেল। রাগ করে একটা রিকশা নিয়ে এলোমেলো ঘুরছি, যাতে তোমার সামনে না পড়তে হয়।
ছোট্ট শহর, হঠাৎ দেখি রিকশার সম্মুখে ব্যারিকেড—ভাঙা হেডলাইটওয়ালা মোটর বাইক নিয়ে তুমি।
বাধ্য হয়ে উঠে বসলাম।
এদিকে সন্ধ্যা মিলিয়ে রাত নামছে কিন্তু আমাদের
দুজনের মনের রাগ মিটে কোন সন্ধি তখনও হয়নি। অকস্মাৎ কথা নেই, বার্তা নেই রওনা হলে গ্রামের পথে। আমি মানা করছি। তুমি মানছো না। আর্ধঘণ্টার রাস্তা। আলোহীন চারপাশ। আমি
সেলফোনের টর্চ জ্বালছি একটু পরপর। রাগে ভয় টের পাচ্ছি না। অন্ধকারে তো ভালোই
যাচ্ছিলে। অচমকা আরেকটা মোটরসাইকেল ক্রস করতেই; সেটার হেডলাইট চোখে লেগে তুমি আর আমি বাইক নিয়ে ধপাস পড়লাম। আজব কান্ড! ভাগ্যিস আশপাশ সমতল ছিল!
গ্রামে পৌঁছে দেখি নিকষ কালো আঁধার এবং কীটপতঙ্গের গুঞ্জন ভিন্ন অন্যকিছু নেই। ঢালু পথ বেয়ে সোজা জংলা জায়গাটায় গিয়ে থামলে। বাঁশঝাড়, পাশে দুধকুমার নদী, ঝিঁঝির ডাক, ইতিউতি দুই-চারটা জোনাক পোকার ওড়াউড়ি আর আমার প্রিয় বাতাস।
চেষ্টা করেও
রাগগুলো জমা রাখাতে পারলাম না। মনটা ভীষণ ভালো হয়ে গেল। তবুও ভাব দেখানোর জন্যে তোমার সাথে কথা বন্ধ রেখে, নদীর পাড় ধরে হাঁটছিলাম। একটু পর তুমি এসে রাগ ভাঙালে। আমিও এর অপেক্ষায় ছিলাম। বাতাসে উন্মুক্ত চুল উড়িয়ে এক পা দুই পা করে এগোচ্ছি। সঙ্গে তোমার আদর।
কয়েকটা ভূতের গল্প বলেছিলে। ওই পরিবেশে ভয় পেতে ভালো লাগছিল। কী Adventures night!
খুব সম্ভবত রাত সাড়ে দশটায়, বাসার সামনে গলির মোড়ে নামিয়ে দিয়েছিলে আমাকে। চোরের
মতো খোলা রান্নাঘরে বসে ঘণ্টাখানেক
মশার কামড় খেয়ে; শেষমেষ বড় বোনের
কল্যাণে রুমে ঢুকতে পেরেছিলাম।
সকালে ভাইয়ার সে কী বকুনি...
কত্ত সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত।
সব মনের মধ্যে আছে! কিন্তু তুমি নেই কেন মিঠুন?
ইতি
তোমার পত্নী স্যরি পেত্নী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.