নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Trying to be simple and honest man. :)

তানজিল মিঠুন

Work like a worker, Think like a thinker.

তানজিল মিঠুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অসমাপ্ত গল্প এবং পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু কথা

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২২

সারারাত এপাশ ওপাশ করে ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঘুম আসছে না হুমায়ুনের । কোনক্রমেই চোখের পাতা এক করতে পারছে না। চোখ বন্ধ করলেই এলাকার মহামারীর দুশ্চিন্তা মাথায় এসে ভর করে।
.
.
সমস্ত পৃথিবী যখন সভ্যতার দিকে এগোচ্ছে, হুমায়ুনের এলাকাটা তখন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। সকাল হলেই বাইক এর হর্ণ ক্রমাগত বাজিয়ে বখাটে ছেলেগুলো মেয়েদের উত্যক্ত করে। যে মানুষগুলোর কর্মব্যস্ততায় দিন পাড়ি দেয়ার কথা তারা সকাল হলেই বাঁশ ঝাড়, বিকালে কলেজ মাঠে ও বিভিন্ন চিপা চাপায় গিয়ে জুয়া খেলতে বসে।
মতিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে দক্ষিণে গিয়ে মধু (ফেন্সিডিল) খেয়ে দিন শুরু হয়।
বুড়ার বাড়ি থেকে সারে বারো গ্রাম গাঁজা কিনে এনে বসে চিপা চাপায় । সারাদিন নেশা করে সময় কাটিয়ে রাতের বেলায় ঢুলতে ঢুলতে বাড়ি যায়।
আগে প্রাইমারি স্কুলের মাঠে ছেলেপেলে ক্রিকেট কিংবা ভলিবল নিয়ে দাপাদাপি করতো। অথচ এখন স্কুলের বারান্দাটায় কয়েকটা উঠতি বয়সের ছেলেদের দেখা যায় শুধু, যাদের ঠোঁটে ধোঁয়া উড়ে আর পাশাপাশি বসে মোবাইলে খুব মনযোগ দিয়ে কি সব দেখাদেখি করে আর ফিসফাস করে।
এইসব চিন্তা করতে করতে হুমায়ুনের চোখ লেগে এসেছে মাত্র। হঠাৎ দূরে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকা ভারী হয়ে ওঠে।
পাশের বাড়ি থেকে দুলু চাচা চেঁচিয়ে বললো, "বর্ডার-এ আইজ হাফিজদ্দিন ডাকাত মারা পড়ছে। ঠিকই আছে, দেশটারে মগের মুল্লুক বানাই ফালাইছে।"
সকালে নাস্তা শেষে হাঁটতে হাঁটতে রব্বানীর ওষুধের দোকানে গিয়ে বসে পেপার হাতে নিল হুমায়ুন। পাশের চায়ের দোকান থেকে এক কাপ গরম দুধ চা দিয়ে গেল টুকু।
হুমায়ুন আপন মনে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে আর পেপার পড়ছে। পেপারের কয়েক পাতা উল্টাতেই বিরক্ত হয়ে টেবিলের উপরে ছুড়ে মারলো পেপারটি। প্রতিদিন সেই একই ধাচের খবর।
"বখাটের উৎপাতে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা"
"পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পরম যত্নে লালিত শিশুকে হত্যা করলো নিষ্ঠুর মা"
"৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার"
"টেন্ডারবাজির জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৭ জন"
-----------------------------------------------------------------
হুমায়ুনের এলাকা পুরো দেশের বাস্তব চিত্রের প্রতিনিধিত্ব করছে। আপনি আমি এমন এক দেশে বসবাস করছি যেখানে খবরের কাগজ উল্টালে কিংবা চোখ-কান খোলা রাখলে উপরের চিত্রগুলো কমন দৃশ্য হিসেবে আবির্ভূত হবে। হুমায়ুনের এই বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কারণ সে দেশের একজন সচেতন নাগরিক।
আপনি হুমায়ুনের ভূমিকায় থাকলে দেশকে এই মহামারী থেকে মুক্ত করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন? কিংবা একটা সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গঠনে কি কি আইডিয়া আপনার মাথায় আছে একটু শেয়ার করবেন কি? আপনি কি চান না একটা দিন অন্তত খবরের কাগজ কিংবা মিডিয়ায় কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না ছাপুক? আপনার কি মনে হয় না, জুয়া, নেশা কিংবা সকল অপরাধ প্রবণতা থেকে দেশ পরিত্রাণ পেতে পারে?
প্লিজ, মস্তিস্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কিছু একটা আইডিয়া দিন। এর থেকে পুরো দেশ একবারে বদলে না গেলেও অন্তত একটা পরিবারকে কলুষ মুক্ত করা যাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হুমায়ুন কাজকর্ম করে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.