![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, নেতা-নেত্রিদের দাবি করা সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তুচ্ছ করে কোন বিষয়গুলোকে জনগণ বড় করে দেখছে? একে একে সব সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক হার। সরকারের জাঁদরেল নেতারা, অবসরে থাকা নেতারাও তাদের সর্বশক্তি দিয়ে পরাজয়কে বিলম্বিত বা স্থিমিত কোনটিই করতে পারে নি। অধিকন্তু লজ্জায় গতকাল কাউকে কোন বিবৃতি দিতে দেখা যায় নি। তবে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবার আওয়ামীলীগ ৩০০ আসনেই হারতে যাচ্ছে?
আগামীর সরকার মহা বিজয়ে বর্তমান সরকারের নির্মূল নীতি কি দ্বিগুণ উৎসাহে এগিয়ে নিবে? নাকি তারা দেশকে নতুন দিকনির্দেশনা দিবেন যেখানে থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, চেতনার নামে নির্মূল অভিযান, হত্যা-গুম; থাকবে শুধু ভালবাসা, ভালবাসা যেমনি থাকবে নিজের দলের নেতা-নেত্রিদের জন্য তেমনি থাকবে বিরোধীদের জন্যও।
অন্যথায় দেশ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের প্রথম দিন হতেই অস্থির হয়ে উঠার ব্যাপক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আগামী নৈরাজ্য হতে দেশকে বাঁচাতে হলে বর্তমান সরকারের চরম নীতির পরিবর্তন ঘঠিয়ে এখনই জনগণের সাথে সদ্ভাব তৈরি করা প্রয়োজন। প্রতি বছর পুলিশের দেওয়া মামলায় আসামির সংখ্যা চার হতে পাঁচ লাখ (অজ্ঞ্যাত সহ রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক মামলা), ফলে হয়রানির শিকার হয় প্রায় ২০ হতে ২৫ লাখ লোক। এর মানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে (২৫*১০) ২ কোটি ৫০ লাখ লোক এইসব ঘঠনার প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়াও রাজনৈতিক দমন পীড়ন, হয়রানির কারণে যদি আরও ১ কোটি লোক সরকারের প্রতি নাখোশ হন, তাহলে কোন কৌশলই কাজে আসবে না। শেয়ার বাজার কেলংকারী, হলমার্ক কেলংকারি, ডেস্টিনি, ইত্যাদিতে জনগণ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় জনগণের আরেকটি অংশও সরকারের উপর হতাশ। তাই সরকারের প্রাতি অনুরোধ এখনই হিংসা-বিদ্বেষের পরিবর্তে ঐক্যবধ্য জাতি গঠনের প্রচেষ্টা চালান, ঐক্যবধ্য জাতি গঠনে সচেষ্ট হন। অন্যথায় আপনাদের কড়ানীতির মাশুল আমাদেরকে আরও কত বছর দিতে হবে তা অনুমান করা সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.