![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্তিকতা বা নাস্তিকতা এমনই একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যা নিয়ে লিখার সাহস বা দুঃসাহস কোনটিই আমার নেই। কিন্তু কিছু বিষয় আমাকে এমনভাবে ভাবিয়ে তুলেছে যার কারণে এই স্ট্যাটাস লিখতে বাধ্য হলাম। সরকারবিরোধী আন্দোলনের একটি পর্যায়ে কতিপয় বিপথগামী যুবকের কুরআন ও আল্লাহ্র রাসূল সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ লিখা ফেসবুক ও লেখকদের বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশ পায়। এই লিখাগুলো তারা বিভিন্ন সময়ে লিখেছেন, যদিও অনেকে এগুলো তাদের লিখা নয় বলে দাবি করেছেন। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে মুসলিমরা যেমন এই ধরণের লিখার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তেমনি ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী অন্য ধর্মের লোকজনও এই ধরণের লিখার বিপক্ষে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
এই ধরণের অবমাননাকর লিখার প্রতিবাদে সারাদেশ যখন অগ্নিগর্ভ রূপ লাভ করে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেরীতে হলেও এই বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন, যে কমিটিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট বিপথগামী লিখকদের একটি তালিকা বা তথাকথিত নাস্তিকদের একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গঠিত উক্ত কমিঠির সুপারিশের ভিত্তিতে কয়েকজনকে গ্রেফতার ও করা হয়।
অবমাননাকর লিখার প্রতিবাদে যার আন্দোলন করছিলেন তারা এবং তাদেরকে যারা সমর্থন জানিয়েছেন তাদের কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্তিকতা বিষয়ে কোন মন্তব্য কোথাও প্রকাশ করেননি, অধিকন্তু তাঁর উদ্যোগ কামনা করেছিলেন যাতে কেউ এই ধরণের লিখা লিখে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে না পারে বা দেশকে কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে না পারে।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কি হয়েছে জানি না, বিগত কিছুদিন যাবত তিনি নাস্তিকদের ব্যাপারে করা অভিযোগগুলো নিজের কাঁধে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং খন্ডনেরও প্রচেস্টা চালাচ্ছেন। এই বিষয়টাতে তিনি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়েছেন যে সংসদে, দলীয় সভায়, বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাথে ফোনে, এমনকি বিভিন্ন মিডিয়ার সামনে তিনি স্ব-প্রনোদিত হয়ে নামাজ পড়েন কিনা? পড়লে দিনে কয় ওয়াক্ত পড়েন? কুরআন পড়েন কিনা? পড়লে কখন পড়েন? দিন কিভাবে শুরু করেন? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আমার দুশ্চিন্তার বিষয়টা হল যাকে কেউ নাস্তিক হিসাবে আখ্যায়িত করল না বা যার আস্তিকতার বিষয়ে কোন সন্দেহ প্রকাশ করল না তিনিই বা কেন নিজেকে নাস্তিক নয় বরং উন্নতমানের আস্তিক প্রমাণের চেষ্টায় রত। দেশে হাজারো সমস্যা সমাধানের দিকনির্দেশনা দেওয়ার চাইতে নিজেকে আস্তিক প্রমাণ করা কি কারণে এত জরুরী হয়ে পড়ল?
আমি নামাজ পড়ি এই কথা বারবার বলার মাঝে সাধারণ মানুষ নামাজির বৈশিষ্ট্য খুঁজে পায় না। বরং আমি মনে করি নেত্রীর এই বিষয়ে নিজে না বলে যারা নেত্রীকে চিনেন, উনার পরহেজগারি দেখেছেন তারা বললেই কি বেশী ভাল হয় না।
“হযরত জুন্দব (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার কৃতকর্মের সুনামের জন্য লোকসমাজে ইচ্ছাপূর্বক প্রচার করে বেড়ায়, আল্লাহ তাআলাও (কিয়ামতের দিন) তার কৃতকর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকদের জানিয়ে ও শুনিয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও প্রশংসা লাভের উদ্দেশ্যে কোন সৎ কাজ করবে, আল্লাহও (কিয়ামতের দিন) তার প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকদের মাঝে প্রকাশ করে দেবেন।” (সহীহ বুখারী)
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
জহির উদদীন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী একটা ভিজা বিড়াল.....
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
মদন বলেছেন:
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
আখিলিস বলেছেন: গোলাপী বেগম যখন এই বয়সেও লুলমার্কা মেকাপ-ড্রেস পড়ে তেতুল হুজুরদের পাশে বসে দেশের একনম্বর ইসলাম সেবিকা হতে পারেন, তাহলে শেখ হাসিনার দোষ কি? বরং গোলাপী বেগমের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করার জন্যই শেখ হাসিনার বার বার আরও জোড়ালো ভাবে নিজের ধর্মানূভুতি প্রচার করা উচিৎ যাতে দেশের মানুষরা সত্য বুঝতে পারে যে কে আসলে প্রতি সত্যিকারের ধর্ম পালন করেন ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
তানভীর আরিফ বলেছেন: মন্তব্যটি অন্যভাবেও লিখতে পারতেন। আপনার আবেগ ঠিক আছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সব কিছুতেই কি নেত্রী গোলাপী কাউকে অনুসরণ করবেন বা মুখে বলার চাইতে কাজে প্রমাণ করা কি বেশী যৌক্তিক নয়? আমি নামাজ পড়ি এই কথা বারবার বলার মাঝে সাধারণ মানুষ নামাজির বৈশিষ্ট্য খুঁজে পায় না। বরং আমি মনে করি নেত্রীর এই বিষয়ে নিজে না বলে যারা নেত্রীকে চিনেন, উনার পরহেজগারি দেখছেন তারা বললেই কি বেশী ভাল হয় না।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই হাতে তসবি মাথায় হিজাব দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো, সেতো চলছেই--
একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে এদের সুরসুরি দেয়..
আবার আমজনতার সাধারন কমন ধর্মীয় অনুভূতি পেতে একবার মজলিসের সাথে চুক্তি করে আবার হেফাজত খেলাফত সবাইরেই পাশে পাইতে চায়- আবার আমি চিনি খাইনার মতো সব শেষে সুশীল আতেল বেশ ধরারও লোভ ছাড়তে পারে না!!!
তবে আম জনতাযে খুবই কনসাস- তা বারে বারে প্রমাণীত।
গেল বারের সরকারও টের পাইছে
এইবার সিটিতে টের পাইয়াই সরকার গেছে আউলাইয়া..
তাই এখন বিজ্ঞাপন বিরতি চলছে আওয়ামী রাজণীতিতে
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ বলেছেন: খিকজ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
তানভীর আরিফ বলেছেন: হাসিনা: আমি তো নামাজ পড়ি ... কোরআন তেলাওয়াত করি।
খালেদা: আমি জানি। আপনি খুব নামাজ পড়েন, কোরআন তেলাওয়াত করেন, আবার হুজুরও মারেন। সব কিছুই করেন।
পাঠকরা লক্ষ্য করবেন, হাসিনা অপ্রাসঙ্গিকভাবে দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছেন তিনি মুসলমান, নামাজ পড়েন, কোরআন তেলাওয়াত করেন।
বারবার কেন তিনি প্রমাণ করতে চান ধর্মীয়ভাবে তিনি একজন মুসলমান?