![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রদ্ধেয় জনাব -মোহাম্মদ আজিজুল হক, (অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) –এর লিখাটি খুবই যুগোপযোগী মনে হওয়ায় হুবহু প্রকাশ করলাম ।
দীর্ঘ দিন হতে বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোগুলো দেখে আসছিলাম। তাতে সুবিধাবাদীদের পক্ষপাতমূলক বক্তব্যের কলাকৌশল দেখে হতাশ হয়েছি । তাঁদের অধিকাংশই দলবাজী করেন এবং নিরপেক্ষভাবে কথা বলেন না । খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিবর্গই দেশের শান্তি ও উন্নতির বিষয়ে আংশিক মতামত দিতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয়েছে । এখন সুশীল সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ টকশোতে আসতে চান না । কারণ সত্য বললে তাঁদের হুমকি-ধমকির সম্মুখীন হতে হয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভীত থাকেন ।
কোন দল যখন “ব্যক্তি কেন্দ্রীক” হয়ে যায়, তখন সেই ব্যক্তি স্বৈরাচার হয়ে যান এবং তাঁর চারিদিকে চাটুকারের ভীড় হয়। “ব্যক্তি কেন্দ্রীক” দলে চাটুকার ছাড়া আর কোন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা থাকতে পারেন না এবং কোন মেধাবী নেতাও পাওয়া যাবে না ও তৈরীও হবে না । কারণ “ব্যক্তি কেন্দ্রীক” দলে গণতন্ত্র থাকে না এবং একজনের ইচ্ছার উপরই সব কিছু নির্ভর করে। যে দলে গণতন্ত্র থাকবে, স্বধীনভাবে নিজ মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকবে এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতাদের রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকবে, শুধু সেখানেই মেধাবী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা তৈরী হবে । দেশের অগ্রগতি, শান্তি-শৃ্ঙ্খলা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এরূপ উদার মনের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেধাবী নেতার প্রয়োজন।তাই যে সব দল তৃণমূল থেকে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন করে দলীয় পদ পূরণ করবে এবং নিম্নে প্রদত্ত বিষয়গুলো জনগণের কাছে উপস্থাপন করে এগিয়ে যাবে, তারাই ভবিষ্যতে বিপুল জনসমর্থন পাবে বলে আমি আশা করি ।এই ধারার রাজনৈতিক দলে আমি নিজেও সম্প্রিক্ত হতে ইচ্ছুক ।
সেই লক্ষেই সংবিধানে সংযোজনের নিমিত্তে আমার প্রস্তাব-
(১) একজন ব্যক্তি দুই/তিন মেয়াদের বেশী প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না ।
(২) বিচার বিভাগ, দূর্ণীতি দমন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন ।
(৩) পূর্বে নির্বাচিত সরকার, নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক/ অস্থায়ী সরকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন । নির্বাচনে কোন হস্থক্ষেপ করতে পারবেন না এবং শুধু দৈনন্দিন রুটিন কাজ সমাধা করবেন । নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তা করবেন।নতুন কোন উন্নয়ন মূলক কাজ নির্বাচনকালীন সময়ে গ্রহণ করবেন না । মন্ত্রী পরিষদ ১৫/১৬ সদস্যের বেশী হবে না । (৪)মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ সংসদে শুধু আইন প্রণয়নে কাজ করবেন । অন্য কোন কাজে জড়িত হবেন না । তাহলে সংসদ বর্জনের ঘটনা ঘটবে না এবং অনেক অনৈতিক কাজ হতেও তাঁরা বিরত থাকতে পারবেন । মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ ইউনিয়ন/উপজেলা/জেলা পরিষদে টাকা ভাগে/উন্নয়ন কাজে অংশ নিবেন না । এগুলো নিজ নিজ মন্ত্রণালয় দেখবেন । (৫) ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণে ব্যবস্থা নিবেন ।
©somewhere in net ltd.