নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি

দেশের জন্য উজাড় করা ভালবাসা

তানভীর আরিফ

চিন্তা সবুজ, জীবন সবুজ

তানভীর আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজরারা বংশ রক্ষার্থেও অক্ষম (এই লিঙ্গের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিখছি)।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০

হিজরারা বংশ রক্ষার্থেও অক্ষম (এই লিঙ্গের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিখছি)।



আজকে আমার ক্লাশে জিজ্ঞেস করা একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর শেয়ার করছি। একটি বিষয়ের অবতারণা করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলাম তাদের মধ্যে কারা হাঁ এর পক্ষে এবং কারা না এর পক্ষে। ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশকে দেখলাম তারা হ্যাঁ এবং না উভয়ের পক্ষে। আরেকটি অংশ হ্যাঁ এবং না কোনটির পক্ষে নয়। এরপর আমি একটু বিরক্তি প্রকাশ করে জানতে চাইলাম এইখানে ছেলেও আবার মেয়েও এমন কারা আছে; আবার ছেলেও না মেয়েও না এমন কারা আছে? এই কথা শুনে বিচক্ষণ ছাত্রছাত্রী মাত্রই বুঝতে পারল, এই ধরণের যারা তাদের নিকট হতে খুব ভালো কিছু আশা করা যায় না। অধিকন্তু হিজরারা বংশ রক্ষার্থেও অক্ষম (এই লিঙ্গের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিখছি)। আজকে দেখলাম জাতীয় পার্টি নাকি সরকারী দলেও থাকবে, আবার বিরোধী দলেও থাকবে। এখন আপনারাই বলেন বিরক্ত হয়ে আমার কি মন্তব্য করা উচিত?



আমার ফেসবুকে বন্ধু বিষয়টি একেবারেই সাম্য নীতি অনুসারে চলছে। হেন দল নাই যে দলের অনুসারী আমার বন্ধু লিস্টে নাই। আবার জেন্ডার ইস্যুতেও সমতা নীতিতে ছাড় দেওয়া হয় নি। ফলে আমার লিখার পক্ষে এবং বিপক্ষে বলার মতন বন্ধু আমার তালিকায় সব সময়ই ছিল, আছে এবং থাকবে। আমি শুধুমাত্র তাদেরকেই বন্ধু লিস্ট হতে বাদ দিয়ে থাকি যাদের শব্দ চয়নে আদব কায়দার অভাব থাকে, আর এটি আমার জন্য করি না কারণ আদব কায়দা বর্জিত লোকজনের সাথেও চলার অভিজ্ঞতা আমার আছে, এই কাজটি আমি করতে বাধ্য হই অন্য বন্ধুদের অনেকে এই সব দেখে মর্মাহত হন বলে। এইরকম একটি বন্ধু তালিকা থাকার পরও আমি আমার একজন বন্ধুকেও এমনকি সরকার সমর্থক বন্ধুকেও বর্তমান সরকারকে অভূতপূর্ব একটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য অভিনন্দন দিতে দেখি নি, আর এটিই বলে দেয় দেশের কতিপয় রাজনৈতিক যেভাবে তাদের কর্মকে দেখছে দেশের মানুষ সেভাবে দেখছে না।



এই দেশে আবার কিসের ব্যবস্থা! ব্যবস্থা নেওয়ার কি কেউ আছে? নিজ সম্প্রদায় আক্রান্ত হলে স্বীয় সম্প্রদায়ের লোকজনই এগিয়ে আসে না, উল্টো রাজনীতি আর রাজনীতি, শুধু মানুষ মরছে আর মরছে, আর আমরা দেখি কে মরল এবং কে মারল। পারলে আরো কিছু উস্কানি যাতে মূল বিষয় আড়াল হয়ে যায়। এরপর বুঝে শুনে কোথাও প্রতিবাদ আর কোথাও সমর্থন। ধিক সব কুলাঙ্গারকে যারা স্বীয় স্বার্থে পারে না হেন নীচ কাজ করতে। একদিকে মার দেওয়ার রাজনীতি, আর অন্যদিকে মার খাওয়ার রাজনীতি। জনগণের নিজস্ব একটি জগত তৈরী হয়েছে। এইখানে কে মারল আর কে মার খেল এগুলো এখন আপেক্ষিক। যারা জীবনে একবার কারো দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে তারা আর বুঝার চেষ্টা করে না কে মারল আর কে মার খেল। জনগণ ঠিকই বুঝে কে বা কারা মার দিচ্ছে? কেন মার দিচ্ছে? কে বা কারা মার খাচ্ছে? কেন মার খাচ্ছে? জনগনের মতামত প্রদানের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক, তাহলে জনগণই বুঝিয়ে দিবে এই সব কুলাঙ্গারদের কিভাবে শায়েস্থা করতে হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.