![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রেম, রোমাঞ্চও একদিন হাওয়ার মিলিয়ে যাবে, আর স্ট্যাটাস দিতে হবে না।
প্রতিদিন দৈনিকের খবর পড়তে পড়তে অনেক সাহসী ব্যক্তিও দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন, বিশেষ করে কষ্টার্জিত অর্থে ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলে যারা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিলেন তারা সবচাইতে বেশী আতংকে। অন্যদিকে বিরোধী রাজনীতিক কিংবা সরকারের মধ্যে যারা জনপ্রিয় রাজনীতিক তারাও রয়েছেন চরম আতংকে, যে কেউ যে কোন সময় হাওয়ায় মিশে যেতে পারেন।
ফকির, মিসকিন, শিশু, নারী, বৃদ্ধ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারী সহ কোন শ্রেণী হত্যা, গুমের বাইরে আছেন? সবার মনে একটি প্রশ্ন লাশগুলো যদি ভেসে না উঠত তাহলে কি এই সাত জনের গুমের মামলায় কম করে পাঁচ হাজার লোক আসামী হত? আর নারায়ণগঞ্জে খুনিদের বিরুদ্ধে যেই কথা বলত সেই কি আসামী হয়ে কারারুদ্ধ হত? ছয় কোটির পাশাপাশি আরো বারো কোটির অতিরিক্ত বাণিজ্য হত?
সরকারী দলের লোক হাওয়া হলেই যে লেজেগুবরে অবস্থা, বাকীদের ক্ষেত্রে না বুঝার কি কোন কারণ আছে? যতক্ষণ বেঁচে আছি আল্লাহ্র শুকরিয়া, হাওয়া হলেই কেউ ঠু শব্দটিও করতে পারবে না, অতি আপনজনেরা কয়েকদিন দোড়াদৌড়ি করবেন, তারপর তাদেরকেও থামিয়ে দেওয়া হবে, প্রশাসন তদন্তের নামে শোকাহত মানুষগুলোর পাশে না গিয়ে তাদেরকে প্রশাসনের অফিসে ডেকে নিবেন।
অপহরণে কোন দোষ নাই, গুমেও কোন দোষ নাই,
গুমের পরে খুন, ইহাতেও দোষ নাই।
লাশগুলি পানিতে ডুবাইল যারা তাদেরও দোষ নাই,
মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব যাদের, তাদেরও কোন দোষ নাই।
সরকারী দল, বিরোধী দল তাদেরও দোষ নাই।
এত চেষ্টা লাশ লুকানোর, আর তা কে বের করে দিলেন?
যত দোষ তার, যার কারণে লাশগুলো ভাসিয়া উঠিয়াছে।।
আল্লাহ্ তুমিই একমাত্র ভরসা।
এক দল আরেকদলকে দোষারোপ করতেই পারে, কারণ এটিই বাংলাদেশের তথাকতিত সুবিধাবাদীদের রাজনীতি। কিন্তু জনগণ দেখতে চায় খুন, গুম, হত্যা, নির্যাতনের পর যাদের এই সব বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তাদের ভূমিকা কি? আর তখনিই আমরা হতাশ হই।
©somewhere in net ltd.