![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্র।
গণতান্ত্রিকভাবে গঠিত দলের সফলতার জন্য যে নীতি ও পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, তা হল:-
১। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে দলীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে কর্মীদের ভোটে বিভিন্ন পদে নেতা নির্বাচন করা, দলের মধ্যে ভিন্ন মত থাকলেও সংখ্যা গরিষ্ঠদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, যদি কেউ সংখ্যা গরিষ্ঠদের মতামতকে মেনে নিতে না পারেন , তবুও দল ভেঙ্গে নতুন দল গঠন করবেন না । প্রয়োজনে নিজের মতামতের ভাল দিক তুলে ধরে নিজ দলের অভ্যন্তরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন, যাতে পরে দলীয় সমর্থন পান । দলের সুনামের খাতিরে বিশৃঙ্খলা করবেন না ।(আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামা ও হিলারী দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, দলীয় কাউন্সিলরদের ভোটে হিলারী পরাজিত হন, কিন্তু একই দলে আছেন । পরে হিলারী ওবামার অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন । এ উদাহরণ মনে রেখে কাজ করতে হবে ।)
২।প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কেউ দুইবারের বেশী ক্ষমতায় থাকবেন না ।এতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠাকি রূপ লাভ করবে ।ফলে মেধাসম্পন্ন নেতার আবির্ভাব ঘটবে ।
৩। সরকার প্রধান এবং দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি হবেন না । মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর কেউ দলীয় কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন না ।
৪। মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ শুধু মাত্র আইন প্রনয়ণের কাজ করবেন । ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কাজের কোন স্তরে নিজেদের জড়াবেন না । তাহলে সংসদে আর কোন কোরাম সংকট হবে না ।
৫। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও দূর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন ।
৬। স্বাধীন সম্প্রচার নীতিমালা থাকবে, তবে মত প্রকাশে কোন বাধা থাকবে না । তবে দেশের ক্ষতি হয় এমন কোন বক্তব্য বা মন্তব্য প্রকাশ করবেন না ।
৭। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্ষমতা ও কাজের সুনির্দিষ্ট সীমা আইন দ্বারা নির্ধারিত থাকবে । এসব পর্যায়ে কাজের জন্য সংশ্লিষ্টরা দায়ী থাকবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় তাঁদের কাজের তদারকী করবেন ।
৮। ভোটের সময় প্রশাসনিক সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত থাকবে। নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্বের নির্বাচিত সরকার নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন । ফলে পূর্বের নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে না । নির্বাচনের পর নতুন নির্বাচিত দল বা জোটের নিকট ক্ষমতা হস্থান্তর করবেন ।
৯। সরকার ক্ষমতা বিকেন্দীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কোন স্তরে দলগুলো নির্বাচন বর্জন করবে না এবং মাননীয় সাংসদবৃন্দ সংসদে অনুপস্থিত থাকবেন না ।
১০। গণভোটের ব্যবস্থা রেখে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সুষ্টু গণতান্ত্রিধারা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তিগত সমালোচনা পরিহার করে “নীতি”-র আলোচনা- সমালোচনা করে ভালটা গ্রহণ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্ত্তুত থাকবেন ।
১১। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
বর্তমানে এমন কোন গণতান্ত্রিকমনা ও পরমতসহিষ্ণু নেতা বা নেতৃবৃন্দ আছেন কি, যাঁরা উপরোক্ত পদ্ধতিতে দল ও দেশ চালাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন ।
আসুন সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সকলে এক সঙ্গে কাজ করি । পরমতসহিষ্ণু ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীলদের জন্য রইল শুভ কামনা ।।
লেখক: - মোহাম্মদ আজিজুল হক, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
নিলু বলেছেন: আপনার মতামত ভালো লাগলো , তবে ৫ নম্বর ও ১১ নম্বর নিয়ে কিছু বলতে চাই , তা হোলও ছাত্র সংসদ হবে শুধু মাত্র ছাত্রদের লেখাপড়ার সমস্যা নিয়ে আন্দোলন বা দাবী উপস্থাপন হবে , সেখানে রাজনীতির কোনও কথা থাকবে না , বিচার বিভাগ , নির্বাচন কমিশন , দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন হবে না , যেহেতু সব প্রতিষ্ঠানই এখন স্বাধীন হতে , তাই একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে আর একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারছে না , কারন আমরাই তো সেখানে পদ/ পদবীতে বহাল আছি বা আছে । তাছাড়া রাষ্ট্রে যদি সুশাসন থাকে তাহলে কোনও কিছুরই প্রয়োজন হয় না । সুতারাং সরকার সকল ক্ষমতার অধিকারী হবে ।