![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরো দেশটাই আজ নীতি বিরুদ্ধ সম্পর্কের অভয়ারণ্য!
খুন করা একটি মনোজাগতিক বিষয়, একজন খুনি কখনোই স্বাভাবিক চরিত্রের নয়। খুনিকে সংশোধনের প্রচেষ্টা ব্যতিরেকে বরং খুনকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে। ধর্ষণ একটি মনোজাগতিক বিষয়, অনিয়ন্ত্রিত জীবনে নিয়ন্ত্রণ আনয়নের প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে, শিক্ষা বাদ দিয়ে, সংশোধনের চিকিৎসা বাদ দিয়ে এটিকে বৈধতা দিলে কেমন হয়?
আমি আমরা প্রতিটি মানুষই কম বেশী অসুস্থ, এই অসুস্থতা নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ প্রশ্নে, এরপরেও সংশোধনের অথবা ক্ষমার পথ খুজে বেড়ায়। তাইতো কিছুক্ষণ আগে ওজনে কম দিয়ে আসা মানুষটিও প্রার্থনায় সামিল হয়, স্রস্টার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আকন্ঠ ডুবে থাকা মানুষটিও চায় না তার সন্তানসন্তদি একই দোষে দুষ্ট হোক।
আর এখন কি হচ্ছে? সংশোধনের প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে নীতি ও মূল্যবোধ বিরোদ্ধ প্রায় সব কাজকেই বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। পাশ্চাত্যে মনোজাগতিক এবং দৈহিক সীমাবদ্ধতার বিষয় টেনে এনে নীতি ও রীতি বিরুদ্ধ কাজকে বৈধতা দেওয়ায় আজ আমরা অনেক ক্ষুদ্ধ। ক্ষুদ্ধ হওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে, আর তাইতো দুশ্চিন্তা আমার এই ক্ষোভ সকল ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে আসা কি প্রয়োজন নয়? এই দারিদ্র পীড়িত জনপদের হাজার হাজার কোটি টাকা যারা রাত দিন লুন্টন করে আমাদের ভিখারি বানায় তাদের এই লুন্টনের বৈধতা কি রাষ্ট্র সমাজ দিচ্ছে না? ধর্ষণের শতক উদযাপনকারীর উৎসবের বৈধতা কি এই রাষ্ট্র দেয় নি? আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের অবমাননাকারীদের কর্মের বৈধতা কি আমরা দিই নি? সাগর রুণির হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া কি হত্যাকারীদের বৈধতা দেওয়া নয়? কত গুমের কুল-কিনারা নাই, ইহা কি গুমকারীদের গুমের বৈধতা নয়? আমেরিকাকে নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই, আমরা কি ভুলে গেছি এই দেশীয় মন্ত্রী নীতি বিরুদ্ধ সম্পর্কের বৈধতা প্রশ্নে বাংলাদেশের ইতিবাচক অবস্থান প্রকাশ করে এসেছিল কয়েক বছর আগে। দুদকের প্রশ্নে আজো জনগণ ভাবে দুদকের মাধ্যমে দূর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে কি? নীতি বিরুদ্ধ মানুষের নীতি বর্জিত প্রতিটি কাজকে এই রাষ্ট্র যেভাবে বৈধতা দিচ্ছে তাতে কি বলা যায় না পুরো সমাজই আজ নীতি বিরুদ্ধ সম্পর্কের জালে নিপতিত, সমকামী।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
তাল পাখা বলেছেন: ধন্যবাদ,অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সামাজিক অবক্ষয়গুলোর কথা তুলে ধরেছেন।তবে আপত্তিটা নতুন নামে বিশেষায়িত করণের ক্ষেত্রে।সমকামী বলতে আমরা পুরুষ-পুরুষ বা নারী-নারী দৈহিক মিলনকেই বুঝি। খুন,গুম,ধর্ষণ,ঘুষ,লুটপাট ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধিগুলো আমাদের সয়ে গেছে বা সয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি। এগুলো জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আনেকটা হালকাভাবেই আমরা নিয়ে নিয়েছি। তাই বলছি খুন,গুম,ঘুষ,লুট তরাজকে সমকামী নামে বিশেষায়িত করে পুরুষ-পুরুষ বা নারী-নারীর দৈহিক মিলনের সমকামীতাকে হালকা করে জীবনের অংশ বানাতে চাই না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
নাসীমুল বারী বলেছেন: ধন্যবাদ, সমাজ বাস্তবতা নিয়ে আপনার লেখাটার জন্যে।
আপনি 'সমকামী' উপমায় যে চিত্র তুলে ধরেছেন তার জন্যেও ধন্যবাদ। আসলে 'সমকামী' মানেই স্বজ্বাতিতে সমদোষে দুষ্ট হওয়া। পুরুষে-পুরুষে দৈহিক মিলনে যেমন সমকামী; নারী-নারীতেও সমকামী। আর আজ আপনার উপমায় বুঝলাম ঘুষখোর-ঘুষছাড়দাতা সমকামী, খুনি আর খুনিকে ছাড়দাতা সমকামী। ব্যাংক লুটকারী আর আর তাদের সহযোগী সমকামী।
কেন এমন হয়? কেন আমরা সমকামীর নতুন উদাহরণ হলাম?
এর পেছনে অনেক কারণ থাকলেও প্রধান কারণ আমাদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রকাশের কোনো চেতনা নেই। তাই আমি আমার পাড়ার ঘুষখোর কর্তা ব্যক্তিকে সবচেয়ে সম্মান দেখাই। তিনিও ঘুষের টাকায় প্রসাদ বারিনিয়ে দিব্যি নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। প্রচণ্ড খুনি হিসেবে যাকে চিনি তাকেই এলাকার কোনো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করি। আজ আমাদের চেতনা ঘুনে ধরেছে। তাই আমরা অমন সমকামীকে মূল্যায়ন করি। কিন্তু একবারও কি বলেছি পাড়ার সেই ঘুষখোর ব্যাক্তিকে আপনি এত টাকা কোথায় পেলেন? না, সে নৈতিকতাও আজ আমাদের ভোঁতা হয়ে গেছে। আমার জন্ম বিশ্বাসকেই আমি অবজ্ঞা করছি। আমার জন্ম যে ধর্মমতেই হোক, তার বিধিনিষেধগুলো মানলেই আমরা আমাদের ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করতে পারি। সমাজকে সুন্দরে পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
ধন্যবাদ, আমার ব্লগে স্বাগতম।