নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদায় জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়াই

তারেক ফাহিম

অজানাকে জানতে গিয়ে অস্থিরতার বোঝা নিয়ে স্পষ্টতাকে পুড়ে দিয়ে অন্ধকারে বুক পুলাই

তারেক ফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাই মানুষ নয় কেউ কেউ মানুষ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১


বয়স্ক মানুষের প্রতি মানুষের অবহেলা ও অবিচার বেড়েই চলেছে। আর আমাদের কাছ থেকে যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য যেন হারিয়ে গেছে ঠিক কালের গর্ভে। যেমন, দিন, মাস, বছর, যুগ শতাব্দি হরিয়ে যায়। বৃদ্ধদের তাদের ছেলেমেয়েরা গ্রামে রেখে আসে, নয়তো বা ওল্ড হোম বা বৃদ্ধাশ্রম আবার এমনও হয় ওল্ড হোমে রেখে আসার পর তারা ভাল আছে কী মন্দ আছে, বেঁছে বর্তে আছে কী না, সে খবরটাও নি না। অথচ নিজেদের বলি একবিংশ শতাব্দির সভ্য সমাজের লোক চাকচিক্যের আলোরনে আবৃত মানুষ এরই পরিনতী কী আমরা দেখি না। ড্রাগে আশক্ত নিজের সন্তানদের মা-বাবা হীন খালি ঘরে তরুন-তরুনীদের অসমাজিক কাজ কর্ম শুধু টাকা দিয়ে গড়া মনুষত্বহীন আপন সন্তান। নবিনের মানুষিকতার সঙ্গে প্রবিনের মানুসিকতা মেলে না বলেই কী তাদের দুরেই ঠেলে রাখি কী এই মানুসকিতা? কোথা থেকে ধার করা? কোন শিক্ষার ফল? তা আমাদেরকে ভাবতে হবে। হয় আমরা নিজেদের ঐতিহ্য আরও দৃড়ভাবে আকড়ে ধরবো, নয়তো বা পুরোপুরি পাশ্চাত্যমুখি হয়ে যাব। মধ্যখানে সমাজের এই ভ্ঙ্গান সহ্য হয় না। প্রবিন হলে মানুষ শিশুর মত হয়ে যায় তখন তাদের বিত্ত বৈভব, স্ট্রাসের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় শুধু একটু নিজের ছেলেমেয়েদের সহানুভুতি, পূর্ণ আচরণ মিষ্টি কথা, একটি আদর যত্ন, আর নাতি-নাতনীদের আনন্দপূর্ণ হাসিমাখা মুখ। কিন্তু এতটুকুই কী দিতে পারি না আমরা। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই বদলাবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষতো মানুষ হিসাবে জন্মাবে। তার মধ্যকার ভালবাসা ত্যাগ তিতীক্ষা, সমযোতা, মানবিক অনুভুতি এগুলো তো বদলানোর নয়, এগুলো আছে বলেই হয়তো আজও আমি ভাবতে বসি, যদি আমার জন্মের আগে আমার দাদা-দাদি ইন্তেকাল করতেন তবে তাদের আদর সোহাগ আমার ভাগ্যে জুটতো। আর যে নবীন আগামীতে বয়সের ভারে সেও হয়ে যাবে নিস্তেজ। অকমন্য, স্থবির প্রবীন। আমরা যদি আমাদের বৃদ্ধ মা বাবার অথবা আত্মীয় স্বজনের সাথে খারাফ ব্যবহার করি, অথবা দায়িত্ব এড়িয়ে চলি, একদিন আসবে যেদিন আমরা হয়তো আস্থাকুড়ে আবর্জনার মত পড়ে থাকবো। পড়ে থাকবো নিজেদের ছেলে মেয়েদের অবহেলার জন্য।
আজ যারা ওল্ড হোমে বা ঘরে অবহেলাপূর্ণ দিন অতিবাহিত করছেন তারাতো একদিন প্রতিষ্ঠিত সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যত তৈরিতে অনেক কিছু¦ই করেছেন। কিন্তু প্রতিদান কী পেলেন। বৃদ্ধ বাবা মা কেন, কোন বাবা মা’ই তার প্রতিদান চান না। কিন্তু এতটুকুতো প্রত্যাশা করতে পারেন যে, তার ছেলে মেয়েরা তারা কী খেয়েছেন, কেমন লাগছে, এগুলো বলোক। খোঁজ খবর নিবে বিশেষ দিনে অন্তত মাসে একদিন এখন কী সমস্যা তা জানতে পারে। শুধু দেয়াই কী সবকিছু? আন্তরিকতার সঙ্গে মা বা বাবা বলে ডাকলেইতো তথা কথিত আধুনিক জীবনের যন্ত্রনা অনেকটা লাগব হয়। না আমরা তাও করতে রাজি নাই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। যারা মা-বাবাকে বোঝা মনে করে তারা নিজেরাই সমাজের জন্য বোঝা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, যারা মা-বাবাকে বোঝে না তারাই সমাজের জন্য বোঝা।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

করুণাধারা বলেছেন: ভাল বিষয়ে লিখেছেন। কিন্তু কিছু টাইপো রয়ে গেছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
তাড়াহুড়ো ছিলো লিখাতে তাই টাইপো আছে, ঠিক করে দিবো।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

কালীদাস বলেছেন: পরিবার প্রথা এখনও বাংলাদেশে সমাজে খুব ভালভাবেই আছে। শুনতে খুব রুড শোনাতে পারে, আমাদের বাবামারা শেষ জীবনেও যেভাবে পরিবারের সাথে থাকতে পারে, ডেভেলপড দেশগুলোতে এগুলো কেউ স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারবে না। অমানুষ দুচারজনের কথাটা জেনারালাইজ না করাই ভাল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ডেভেলপড দেশগুলোতে এগুলো কেউ স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারবে না।

স্বদেশের ওল্ডহোমগুলোতে এখনো এত আন্তরিকপূর্ণ সেবা শুরু হয়নি।
তাছাড়া তাদের কালচার এইরকম।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অমানুষ যুগে যুগেই ছিল, এখন একটু বেশী হচ্ছে। তবে তারা সুখে নেই...

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

তারেক ফাহিম বলেছেন: যারা বৃদ্ধাদের বোঝা মনে করে আসলে তারা সুখে নাই।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। আইন হওয়ার পরও অনেক বাবা মা খেতে পায় না। মানুষ দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫১

ওমেরা বলেছেন: ওল্ডহাম এখন জীবনের বাস্তবতা । এর জন্য শুধু সন্তানরা দায়ী নয় দায়ী বাবা,মারাই , বাবা মা সন্তানেকে নৈতিক শিক্ষা দিতে পারছে না আবার ১/২ টার বেশী সন্তান নিচ্ছে না । কাজেই ওল্ডহাম ছাড়া গতি নাই ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা !!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপুকে আমার ব্লগে পেয়ে খুবই আনন্দিত।

ধন্যবাদ আপু মন্তব্যে প্রেরণা হয়ে থাকবেন।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ব্যাপারটা ভাবায়, তবে আধুনিকতার তালে তালে সবাই শেকড় ভুলে যাচ্ছে।
আমিও যাচ্ছি।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভুঁলে গেলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদেরকেও ভুলে যাবে।

ধন্যবাদ অনিক ভাই, মুল্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

এজাজ ফারিয়া বলেছেন: আর কিছুই না শুধুমাত্র মূল্যবোধের অভাব। তবে লেখাটি ভালো লেগেছে :)

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ফারিয়া ভাই, পোষ্ট খুঁজে খুঁজে পাশে থেকে কমেন্টস্ করায় কৃতজ্ঞ।
আপনিও লিখতে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.