জয় বাংলা এবং শাহবাগ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

স্বাধিনতা পূর্ব পাকিস্তানি শোষকদের এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পুরোটা সময় যে স্লোগানটি পাক সেনা, রাজাকার, আলবদর বা স্বাধীনতা বিরোধী সকলের মনের ভিতরে তীব্র ভীতির সৃষ্টি করত তা হল " জয় বাংলা" ।মুক্তিযোদ্ধা আর জয় বাংলা হয়ে উঠেছিল সমার্থক শব্দ। শরণার্থীদেরও পরিচয় হয়ে উঠেছিল জয় বাংলার লোক বলে।



১৯৭৫ এর পত পরিবরতনে সুযোগ পেয়েই অন্য সবকিছুর মতন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে ততপর হয়ে উঠে রাজাকারের দল। পথভ্রষ্ট মোল্লারা ইসলামের নামে ১৯৭১ যা করেছে তা যেন প্রকাশ না পায় তার জন্য তৈরি হয় জঘন্য কিছু আইন। যার প্রভাবে বাংলার মাটিতে সকল ধরনের মিডিয়ায় তুলে ধরা সম্ভব হয়নি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র। রাজাকার শব্দটি উচ্চারণ করাই যেন হয়ে উঠল অপরাধের কারন, উল্লেখিত হতে শুরু হল আমাদের যুদ্ধ হয়েছিলো পাক সেনার বিরুদ্ধে নয়, ওরা হানাদার, আর রাজাকার আলবদর পরিচয় পেতে লাগলো হানাদার বাহিনীর এদেশীয় সহযোগী হিসেবে।



আর সেই ভীতি জাগানীয়া সেই স্লোগান !! হ্যাঁ "জয় বাংলা"কে মুছে দিতে চালু হল নতুন কিছু, যুক্তি জয় হিন্দু শব্দ, এটা ভারতীয়। ব্যাপক অপপ্রচারে জয় বাংলাকে বানিয়ে দেয়া হল তাদের ভাষায় ভারতীয় দালাল আওয়ামীলীগের করে। বাস্তবতায় শুধু আওয়ামীলীগ নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল দল, সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান "জয় বাংলা" কে বাঁচিয়ে রাখল।



শাহবাগে যে জাগরন শুরু হয়েছে তরুণ প্রঞ্জমের হাত ধরে, তার শুরুতেও কারও মুখে জয় বাংলা স্লোগান শুনলে মনে করতো " এই ব্যাটা নিশ্চিত আওয়ামীলীগ করে"



আজ ভুল ভেঙ্গেছে, জেগে উঠেছে বাঙ্গালীর ভিতরের বাঙ্গালী। যে কোনদিন এই স্লোগানটি দেয়নি বা যে এই স্লোগান শুনে ভ্রূকুটি করেছে তাদের মুখেও উচ্চারিত হচ্ছে। এটিই আমাদের আত্ম পরিচয়। আমরা প্রথমে বাঙ্গালী তারপর বাংলাদেশী। বাংলা ভাষার জন্য আন্দলনের পথে রক্ত ঝরানো শুরু তারপর স্বাধীনতা।



"জয় বাংলা" রাজাকার আর তার সমর্থনকারীদের ভিত কাঁপানোর মন্ত্র

"জয় বাংলা" বাঙ্গালীর রক্তের নাচন

"জয় বাংলা" আমার অহংকার

"জয় বাংলা" স্বাধিনতার স্লোগান

"জয় বাংলা" মানেই আমি বাঙ্গালী

"জয় বাংলা "মানে আমি জাগ্রত



জয় বাংলা কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর নয়।

ধন্যবাদ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর জয় বাংলা কে তার নির্ধারিত আসনে ফিরিয়ে আনার জন্য।

জয় বাংলা আমার, আমাদের।

৪ টি +০/-০