![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগ এবং ফেবুতে অনেক কথা চলছে রাজিব বিষয়ে...। অনেকেই সমর্থন করছেন তার হত্যা সঠিক ছিল। এই সঠিক বলার দলে যে শুধু ছাগুরা আছে তা নয়, অনেকেই আছে যারা প্রজন্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা আলোচনা চলছে তার সার্বিক দিক খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে রাজাকাররা অত্যন্ত বুদ্ধি খাঁটিয়ে এই কুকাজটি করেছে ( ঠিক যেমনটি করেছিলো ১৯৭১ এ পরাজয়য়ের পূর্ব মুহূর্তে বুদ্ধিজীবী হত্যা কাণ্ড)। এই বাংলার মানুষেরা বরাবরই নিজ নিজ ধর্মের বিষয়ে স্পর্শ কাতর, তাই খুব সহজেই তাদের বিভ্রান্ত করা যায়। এই বিষয়টি আজ নতুন নয়, বহু আগেই ব্রিটিশরা এই বিষয়টি উপলব্ধি করে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে কৌশলে উপমহাদেশের মানুষগুলিকে বিভক্ত করে গেছে। জামাতও ঠিক একই কাজ করছে, এবং চেষ্টা করছে আবার কৌশলে ধর্মীয় বর্ম তৈরি করে নিজেদের রক্ষা করতে। রাজাকারদের প্রয়োজন ছিল আন্দোলনে সামিল মানুষগুলির মাঝে দ্বিধা তৈরি করা। কার্যত তারা আংশিক সফল বলে মনে হচ্ছে তবে আমার বিশ্বাস বিভ্রান্ত মানুষগুলি তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারবে আর যাদের ব্রেন ওয়াসড তাদের কথা ভিন্ন।
এখানে মানুষ একটি আর সে হল , রাজিব হায়দার। কিন্তু আমি তাকে দুই ভাবে দেখতে চাই ১, ব্যাক্তি রাজিব ২, দেশ প্রেমিক রাজিব।
প্রথমেই আসি ব্যক্তি রাজিব প্রসঙ্গেঃ যতটুকু জেনেছি তিনি কোন ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। এবং এই বিষয়ে অনেক কিছুই লিখেছেন যা বিতর্কিত এবং যে কোন বিশেষ করে মুসলমান ধর্মীয় অনুসারিদের আঘাত করবার মতন। হতে পারেন তিনি নাস্তিক, তাই বলে অন্যের বিস্বাস নিয়ে কৌতুক করা মোটেও গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না। একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে আমি এই ব্যাক্তি রাজিবকে কখনই করি না সমর্থন করবোওনা। তাকে শহীদ বলতেও আমি নারাজ।
কিন্তু এই অপরাধে তার হত্যাকেও সমর্থন করিনা। ইসলাম এমন হত্যা দুরের কথা যে কোন প্রকার অন্যায় হত্যাকে সমর্থন করেনা। যদি তাই করতো তবে রাসুল (সঃ) এর সময়ই যে কজন মানুষ প্রথমেই ধর্ম গ্রহণ করেছিলো সেখানেই ইসলাম থেমে যেত প্রসার লাভ করতো না।
নবিজির জীবিত কালেই তাকে কাফেররা জাদুকর বা অন্যান্য অপ-উপাধি দিয়েছিল, অকারনে তাকে পাথর মেরে রক্তাক্ত করেছিলো, সেই যে বুড়ী পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত; কই আমাদের প্রিয় নবী কখনোই তাদের হত্যা বা ধ্বংসের নির্দেশ দেননি। আমরা কি করে ভুলে যাই যে মক্কা বিজয়ের পর রাসুল (সঃ) শুধু ১০ জন নারীকে ছাড়া সমগ্র মক্কাবাসীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং ঐ ১০ নারীর অনেকেই পরবর্তীতে ক্ষমা প্রাপ্ত হন। রাসুল কি রাগ বশত বিজয়ের পর মক্কা বাসীদের ধংস করতে পারতেন না?
কিন্তু এখন কিছু মানুষ ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কথায় কথায় জ্বিহাদ ঘোষণা করে, এই সবই তাদের নিজ নিজ স্বার্থই হাসিল করার জন্য। ইসলামের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা করে এরা মনে করে " মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী" ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ বা গাজী হতে হলে তাকে ইসলামের পথেই থাকতে হবে। কোন নাস্তিক বা রাজাকারের কর্মকাণ্ড সত্য ইসলামের আওতায় পড়েনা।
এবার আসি দেশ প্রেমিক রাজিব প্রসঙ্গেঃ আমার দৃষ্টিতে রাজিব একজন দেশ প্রেমিক। দেশের মান বাঁচাতেই তিনি যুদ্ধে নেমেছিলেন। এই রাজিবকে আমি শ্রদ্ধা জানাই, সন্মান করি। লোকান্তর প্রেমিক রাজিব এখন আমার জন্য আগামীর লড়াই চালিয়ে যাবার একটি প্রেরনা। ব্যাক্তি রাজিব এবং দেশপ্রেমিক রাজিব এই দুয়ের মিশ্রণই তাকে রাজাকারদের টার্গেটে পরিনত করেছিলো।
রাসুল (সঃ) কে একবার জিজ্ঞেস করা হল কোন ভাষা তার প্রিয় " উনার উত্তর ছিল, আরবী"
কারন হিসেবে উনি বললেন " আরবী কোরআনের ভাষা এবং আরবী তার মুখের ভাষা" অর্থাৎ মাতৃভাষা। রাসুল (সঃ) এর মাঝে জন্মস্থান মক্কায় ফিরবার তাগাদা ছিল দুটো কারনে; প্রথম কাবা শরিফ দ্বিতীয় জন্মস্থানে ফেরের তাগিদ। অর্থাৎ মাতৃভূমি কে ভালবাসতেন।
সুতরাং ভাষা এবং দেশ দুটোকেই ভাসবাসা রাসুলের সুন্নত পালনও বটে।
কিন্তু রাজাকাররা এই দেশেই জন্মে, খেয়ে বড় হয়ে এই দেশেরই বিরধিতা করে, নিজ মাতৃভাষার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে যারা তাদের সহায়তা করে আবার ইসলাম বাস্তবায়নের কথাও বলে, এমন ধর্মীয় বিপথগামী মানুষের চাইতে আমার কাছে একজন নাস্তিক অধিক নিরাপদ মনে হয়, কারন নাস্তিক আমাকে কনফিউজড করতে পারবেনা কিন্তু যদি সচেতন না হই ধর্মীয় লেবাসধারী আমায় দিধাগ্রস্ত করতেও পারে।
সবাইকে সতর্ক থাকবার চেষ্টা করতে বলবো কারণ রাজাকার জামাতীরা ফ্যাসাদ সৃষ্টি কারী ভিন্ন অন্য কিছু নয়, পাকিস্তানের দিকে তাকান, সবাই মুসলমান কিন্তু স্বার্থ হাসিলের জন্য শিয়া-সুন্নি-অন্য মতবাদ ভাগ করে কেমন বীভৎসতা চলছে। সেই সাথে নাস্তিকদেরও বলছি আপনার অবিস্বাস নিয়ে আপনি থাকেন প্লিজ আমার ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবেন না।
শুধুই রাজাকার নয়, সকল প্রকার ধর্মীয় ব্যবসায়ী মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
তাওহীদ বলেছেন: আমায় এমন একজন মুসলমান খুজে দিনতো যে তার যে কোন ভালো কাজ শুরুর আগে আল্লাহ্কে স্মরণ করেনা।
স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে তাকালেও তো দেখি, টেনশনের মুখে সবাই দুই হাত তুলে মুনাজাত করতে থাকে, মাথায় কাপড় দিয়ে মেয়েরা আল্লাহ্ আল্লাহ্ করতে থাকে অথচ হয়তো অনেকেই মনের ভুলেও কেবলা মুখি হয়না।
সন্তানের ভালো চেয়ে মা রোজা রাখে। পরীক্ষায় ভালো ফলের আশায় নামাজ পরতে পরতে কপালে দাগ করে ফেলে, রেজাল্ট বেরুলেই সব শেষ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারগন ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে যেভাবে অপকর্ম করেছে তা আপনি কোন যুক্তি দিয়েই ঢাকতে পারবেন না। ঐ অপরাধের কোন ক্ষমা নাই। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অপরাধের জন্য কোন যুদ্ধাপরাধীকে কোন জাতি ক্ষমা করেনি। এই রাজাকাররাও ক্ষমা পাবেনা।
নাস্তিকতা হতে পারে তার বিশ্বাস, কিন্তু সে তার ঘরকে ভালবাসতে পারবেনা এমনটা ভাবা ঠিক না। আপনার পক্ষে সম্ভব হলে তাকে দীক্ষা দিন না পারলে ছেড়ে দিন। আপনার ধর্ম মতে তার যা প্রাপ্য তা সৃষ্টিকর্তা দিবেন, তাকে হত্যা করার অধিকার ধর্ম আপনাকে দেয়নি। রাসুল (সঃ) এর কথা " এমন মূর্খের সাথে তর্ক করতে যেও না, তোমার ঈমান হারাবার শঙ্কা আছে"
আবারও বলছি নাস্তিক তার নিজ বিশ্বাস নিয়েই থাক তবে কারও ধর্মকে যেন আঘাত না করে।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: শুধুই রাজাকার নয়, সকল প্রকার ধর্মীয় ব্যবসায়ী মুক্ত বাংলাদেশ চাই......।
শিরোনামের কথার সাথে সহমত।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭
তাওহীদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩১
আশফাক সুমন বলেছেন: হাসিনা -খালেদাও ত ধর্ম ব্যবসায়ী, চোরা এরশাদ সাহেব ছিলেন সবচেয়ে বড়
ধর্ম ব্যবসায়ী ।
রাজাকার এবং ধর্ম ব্যবসায়ী মুক্ত বাংলাদেশ চাই.--- ধর্মীয় রাজনিতি মুক্ত নয় ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
তাওহীদ বলেছেন: বিএনপি ধর্মীয় অনুভুতি কে কাজে লাগানর জন্য প্রতিষ্ঠা কালে
ধর্মীয় রাজনীতি উন্মুক্ত করে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোগ করে। এরশাদ ইসলাম কে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করে এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।
আওয়ামীলীগ কিভাবে ধর্ম ব্যবসায়ী হল একটু বুঝুইয়ে দিবেন, প্লিজ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
JINDA SAHJALAL বলেছেন: সবচেয়ে বড় ধর্ম ব্যাবসায়িতো হাসিনা।নিবার্চনের সময় সে পট্রি মাথায় ,তাসবিহ হাতে ন্যায়।আর বলে ইসলামরে বিরুদ্ধ্যে সে আর কিছু করবেনা।আবার ক্ষমতা আসলে সে কথা ভূলে যায়।তাহলেতো আগে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
নাস্তিকতো নাস্তিকই তার আবার দেশ প্রেম???? যে তার প্রতি পালককে অস্বিকার করতে পারে,সে নিজের স্বার্থে গোটা দেশকে অস্বিকার করতে পারে।
সকল যুদ্ধপারাধী ও নাস্তিক-মুরতাদদের এক রশিতে ফাসি চাই।