![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যার অাড্ডা শেষে অভ্র নীল, সৈকতকে বিদায় জানিয়ে কানে এয়ার ফোন লাগিয়ে বাড়ির রাস্তা ধরল। খানেপুর স্কুলের সামনে আসার পর শামিম ফোন দিয়ে দেখা করতে বলল এক বড় ভাইয়ের অফিসে। ওইখানে যাওয়ার পর মিনিট দশেক কথা বলে আবারো বাড়ির রাস্তা ধরল। মেইন রাস্তা দিয়ে গেলে ঘুরে যাওয়া লাগবে। রাস্তাটা একটু জন মানবহীন, জঙ্গলময় হলেও শরীরটা কান্ত থাকায় সে খানেপুরের উপর দিয়ে শর্টকাটের রাস্তাটা ধরল।
রাস্তায় পা দিয়েই দেখল নিপাকে। অভ্রদের কলেজে পড়ে। ৩ ইয়ার জুনিয়র। নিপাকে অভ্র চিনতো না। অভ্রের বন্ধু শাকিল মেয়েটাকে পছন্দ করে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি শাকিল নিপাকে প্রোপজ করলে ঠাসস করে থাপর মেরে বসে। তাই মেয়েটাকে চিনে।
অভ্র ভাবল নিপা যদি অভ্রকে দেখে তাহলে ভাবতে পারে শাকিল ওকে পাঠিয়েছে। তাই হাটার গতি একটু কমিয়ে দিল।
হঠাৎ দেখলো নিপা একটু লাফিয়ে পিছিয়ে গেল। কানে এয়ার ফোন থাকায় কিছু শুনতে পারল না। তবে বুঝতে পারল এনি থিন্ক রং। কান থেকে এয়ার ফোন সরানোর পর শুনতে পারল মেয়েটার হাউ মাউ করে কান্নার শব্দ। রাস্তায় তেমন কেউ না থাকায় দৌড়ে গিয়ে নিপাকে জিঙ্গাসা করল ঘটনা কি??? নিপা কাঁদতে কাঁদতে হাতের আঙ্গুল দিয়ে কিছু একটা দেখল। অভ্র সন্ধ্যার আবচ্ছা অন্ধকারে বুঝতে পারল জিনিসটা সাপ। কোন জাতের সাপ দেখার জন্য মোবাইলের ফ্লাস লাইট জ্বালিয়ে যাহ দেখলো তাহ হলো তিন হাত খানেক লম্বা এক গোখরো সাপ। এক ছোবলের বিষে বিষময় করতে পারে সারা শরীর দশ মিনিটে।
অভ্র- তোমাকে কি কামড় দিছে???
নিপা হাউ মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলিল, জানি না। খুব ব্যাথা....
অভ্রর বুঝতে বাকি রইলো না কামড় দিছে। আশে পাশে কোন বাড়ি, দোকান নেই যে চিৎকার করবে। অবশেষে নিপার উড়না ছিড়ে শক্ত করেপটি বাধল হাটুর একটু নিচে, যাতে বিষ উপরে উঠতে না পারে। অভ্র স্কাউটিং করায় কাজটা জানা ছিল। এখন হেঁটে যাওয়া লাগবে সামনে। পাঁচ মিনিট হাঁটলেই কিছু দোকান পাট আছে। কিন্তু নিপা তো হাঁটতেই পারছে না। আর তাছাড়া তাড়াতাড়ি যেতে। অভ্র অবশেষে কোন রাস্তা না দেখে নিপাকে পাঁজকোলা করে নিয়ে ১০০ মিটার/ মিনিট বেগে দিলো ভৌঁ দৌড়। অভ্রের শরীল কান্ত থাকায় পারতেছিল না। কেমন করে যে পৌছালো ঐ দোকানের কাছে অভ্রের জানা নেই।
পৌছানোর পর এক টোলে নিপাকে বসিয়ে দিয়ে চিৎকার করতে থাকলো আর খুজতে থাকলো আহত স্হানটি। আশের পাশের লোক জড় হলে অভ্র কাহিনীটা বুঝিয়ে বলল। এদের মাঝে একজন ডাক্তার ও ছিলেন। ডাক্তার আহত স্হান খুঁজতে লাগলো। কিন্তু কোথাও কোন দাগ পাচ্ছে না। ভিড় থেকে একজন নিপার জুতা উচিয়ে বলল সাপের কামড় তো জুতার উপরের চামড়ায় লাগছে। ভয় থেকেই নিপা ব্যাথা অনুভব করছিল।
অভ্র ভিড় ঠেলে বের হয়ে ভাবতে লাগলো একেই বলেই মেয়ে মানুষ। ঠিক যেন মৌয়ের মত। আরো ভাবতে লাগলো নির্বোধ গোখরো সাপটার কথা। কতই না ভালবেসে কিসটা করল কিন্তু জুতার চামড়াটাই ঘটালো বিপত্তি। কিছুই পেল না সে এত ভালবাসে কিস করে। অতঃপর মুখের কোনে হাসি ফুটিয়ে নির্বোধ সাপটার ভালবাসার কথা চিন্তা করতে করতে আবারো পা বাড়ালো বাড়ির পথে.....
♥♥ উদীয়মান সূর্য ♥♥
©somewhere in net ltd.