নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
- আপনি আমায় ভালোবাসেন?
- হ্যাঁ..সে জন্যই তো প্রপোজ করলাম।
- এখন যদি হ্যাঁ বলি, কি করবেন? প্রতিদিন আমার সাথে মোবাইলে লুতুপুতু টাইপের কথা বলবেন, কথা বলতে বলতে একসময় ফোন সেক্স শুরু করবেন, হলে ছবি দেখতে গিয়ে আড়ালে অন্ধকারে আমার শরীরে হাত দিবেন, আমাকে দামী গিফট দিয়ে আমার কাছে অন্যায় আবদার করে বসবেন, হুড তুলে রিক্সায় করে ঘোরার সময় জায়গায় আমার শরীরে হাত দিবেন, বিভিন্ন ডে সেলিব্রেটের নাম দিয়ে লিটনের ফ্ল্যাটে নিয়ে যাবেন, তারপর আমায় শুষে নিয়ে আমার অস্তিত্ব ভুলে যাবেন, সম্পর্কের বাঁধনটা ছিন্ন করবেন তাইনা ?আমি আপনাকে ভালবাসতে পারবোনা....
এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে ছেলেটির দেওয়া সতেরোটি লাল গোলাপের তোড়াটা ছুড়ে ফেলে পায়ের মোচড়ে ঘুরে উল্টোদিকে চলে যাচ্ছিলো মেয়েটি। কিন্তু...থমকে দাড়ালো ছেলেটির কন্ঠ শুনে...
- আপনার বলতে চাওয়া কথাগুলো শোনার জন্য নির্বাক শ্রোতা হয়ে মোবাইলের অপর প্রান্তে অপেক্ষা করবো , প্রতিদিন আপনাকে এক পলক দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে পারবো ,আপনার রুপালী অশ্রু বিন্দুকে এক চিলতে হাসিতে পরিণত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো , আপনার অবাধ্য চুলগুলোকে আলতো করে ধরে কানের পেছনে গুঁজে দেবো, বর্ষনমূখর দিনে দুহাত ভর্তি কদম ফুল নিয়ে আসবো, ছাদের কার্নিশে গিটার নিয়ে বসে আপনার পছন্দের গানটি আমার ভাঙা গলায় শেখার ব্যর্থ চেষ্টা করবো, দুর্বা ঘাস দিয়ে বানানো নূপুরটা আপনার পায়ে পড়িয়ে দেবো, সাইকেলের সামনে আপনাকে বসিয়ে তেপান্তর পাড়ি দেবো, মাসে একবার আপনার সাথে বিকেলের সূর্য ডোবা দেখবো...
এককদম সামনে বাড়া মেয়েটা ঠায় দাড়িয়ে ছিলো। ছেলেটা ওর সামনে থাকলে দেখতে পেতো অদ্ভুত এক হাসি ফুটে উঠেছে মেয়েটার ঠোঁটের কোণে।
-শুনুন.. কালকে কোচিং বারোটায় ছুটি হবে। একটু আগেই আসবেন, ফুচকা খাবো। আর আমাকে আপনি করে ডাকবেন না লজ্জা লাগে...
কথাটা বলেই নিচু হয়ে গোলাপের তোড়াটা উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলো মেয়েটি।
আর ছেলেটি? মুচকি হেসে পকেট থেকে ফোনটা বের করলো। 'জান ৩' লেখা সেভ করা নাম্বারটা এডিট করতে হবে।
-বিশ্বাসঘাতক
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
স্টিক্স অ্যাকিলিস বলেছেন: না ফিনিশিংটা এমন হলো কেন। ছেলেটা ভালো হতে পারতো তো।।। ভালো লিখেছেন