নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীরু, লোভী, বর্বর, অসভ্য, নির্গুণ, কৃপণ, অশ্লীল, রগচটা, স্বার্থপর, বেআদব, প্রতারক, দুরাচারী, অকৃতজ্ঞ,স্বার্থাণ্বেষী,পরনিন্দুক, মিথ্যাবাদী, উচ্চাভিলাষী, ইঁচড়ে পাকা, অসামাজিক, অবমূল্যায়নকারী ও ভাল মানুষের ভান ধরা আদ্যোপান্ত একটি খারাপ ছেলে...

মিহাল রাহওয়ান

মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!

মিহাল রাহওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্মাদনা

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

গতরাতে কি হয়েছিল ঠিক মনে পরছে না ফারিয়ার। মাথাটা ঝিম ধরে আছে। হাত পায়ে তেমন বল পাচ্ছে না। নিজেকে কেবল মাংসপিন্ড বলেই মনে হচ্ছে। জোর করে একটা চোখটা খুলে দেখার চেষ্টা করলো ফারিয়া...

উউফ...!! এটা কোথায় ? না, এটা তো তার রুম না ! তার রুমতো এতো বড় নয় ! দেয়ালে নীল রঙের বদলে সাদা। বেশ কয়েকটা বড় পেইন্টিং রুমটায়। আর তার রুমে তো টিভিই নেই, সোফাতো দূরের কথা...

আহহ...এবার একটু একটু মনে পরছে। সামিহা ওকে মিথ্যা বলে কয়ে অনেকটা জোর করেই বের করেছিলো বাসা থেকে। কাল রাতে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে সে রেডিসনের একটা মিডনাইট পার্টিতে এসেছিলো। এমন পার্টিতে আগে সে কখনোই আসেনি। বেশ রাত পর্যন্ত নাচ গান চলছিল...

চোখ বন্ধ করে আরো বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর উঠে বসতে চেষ্টা করলো। পরক্ষণেই চমকে উঠলো ফারিয়া। এ কি !
টের পেলো তার গায়ে এক টুকরো কাপড়ও নেই। মানে কি ! গায়ের লেপটা ভালোমতো গায়ে জড়িয়ে নিলো সে...

ডান পাশে নড়াচড়ার আভাস পেয়ে ছিটকে সরে এলো বিছানার কোনে। মানে কি এসবের ! শীতের সকালেও ফারিয়ার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে। ওটা কে ? আরে ওটা রাসেল না !!

রাসেল ওর ক্লাসমেট। গতকাল পার্টিতে অনেকক্ষণ একসাথে দুজনে নেচেছিলো বলরুমে। তারপর নীল আলোয় ভরা রুমটায় ওকে নিয়ে যায় রাসেল। তারপর ...

বিছানা থেকে দ্রুত উঠে সোফার উপর থেকে নিজের কাপড় তুলে নিলো ফারিয়া। কয়েকজায়গায় ছিঁড়ে গেছে। সোফায় নবীন উল্টো হয়ে নাক ডাকছে। বাথরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে পেছন ঘুরতেই প্রায় চিত্‍কার দিয়ে ফেলেছিলো ফারিয়া। নওশীন আর টিপু একজন আরেকজনকে জড়িয়ে বাথটাবে পরে আছে। দ্রুত কোনোমতে কাপড়টা পরে নিলো ফারিয়া। মুখে কয়েকবার পানির ঝাপটা দেবার পর আরেকটু সংবিত্‍ খুঁজে পেলো।

হ্যাঁ স্পষ্ট মনে পরছে এবার। নাচতে নাচতে ওরা বারে যায়। বলরুমের সাথেই লাগোয়া বার। সেখানে ওরাও ছিলো সামিহা, রাতুল, ফাহাদ, নবীন, টিপু, নওশীন। ফারিয়া আগে কখনো ড্রিংকস করেনি। কাল রাতে ওরা অনেকটা জোর করেই কয়েক গ্লাস খাইয়ে দেয়। অবশ্য পরে ওদের আর জোর করতে হয়নি সে নিজে থেকেই চেয়ে নিয়েছে...

ফাহাদ ওকে টেনে নিয়ে যায় করিডোরে। হঠাত্‍ চুমু দিতে শুরু করে। ফারিয়ারও...
কোনোমতে লিফটে করে দেহটাকে টেনে নিয়ে রুম নাম্বার পাঁচশ ছিয়াশিতে ঢোকে ওরা। পেছন পেছন আসছিলো অন্যরাও। রুমে ঢোকেই ফাহাদকে জাপটে ধরে ফারিয়া...
রাসেলের ঘুম এখনো ভাঙেনি। চুলটা হাত দিয়েই কোনমতে ঠিকঠাক করে ফারিয়া দ্রুত বের হয়ে আসলো। লবিতে প্রায় ছুঁটতে শুরু করেছে সে। পেছনে ফেলে এসেছে রুম নাম্বার পাঁচশ ছিয়াশির দরজাটা...

ঘটনাটা কাল্পনিক তবে আজরাতে ঠিক এমন দৃশ্য যে ঘটবে তা যে কেউ বাজি ধরতে পারেন। দিনটির জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে থাকে হাজার হাজার উচ্ছৃঙ্খল তরুণীরা আর সেই সুযোগটাকে লুফে নেয় প্লেবয় টাইপ বয়ফ্রেন্ড আর বন্ধুরা...

Be carefull Be safe...

'উন্মাদনা'
-বিশ্বাসঘাতক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওরা ওদের মত থাক
হ্যাপি নিউ ইয়ার

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আমার যতটুক জানা আছে - নোংরাদের সাথেই এমন নোংরা কিছু ঘটে। মানে এখন। কয়েক বছর আগে অবস্থা খারাপ ছিল। ঘটনাগুলো তখন বেশি ঘটতো। এখন অনেকেই সতর্ক হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.