![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
কফিতে বিস্কুট ভিজিয়ে ভিজিয়ে খাচ্ছিলো মাইশা। ঠিক সে সময়ই বিছানার পাশে রাখা ফোনটা বেজে উঠলো। স্ক্রিনের ওপর চোখ পরতেই চমকে বিষম খেলো মেয়েটা।
আড়াই বছর পর সেই মানুষের চেনা নাম্বার থেকে ফোন। মাঘের শীতেও কপালে ঘামের
বিন্দু বিন্দু ফোঁটা জমে উঠেছে। একবার ভাবছে ফোনটা ধরবে , আবার ভাবছে না থাক অভিমানটাই বেঁচে থাক। কিন্তু আর থাকতে পারলো না... তৃতীয়বার বেজে উঠতেই কাঁপা হাতে ফোনটা তুলে নেয় মাইশা।
- হ্যাএএএএএ লো
- .....!!
- হ্যালো মাইশা!
- হু
- কেমন আছো? চুপ কেন ??
- এমনি...
- কি হয়েছে?
- জানিনা
- মানে কি?
- জানিনা ...
- ও আচ্ছা
- কি
- তোমার 'জানিনা'র কারন
- কি কারন?
- বলবো না...
- কেন ??
- জানিনা
- কেন জানো না??
- তুমি জানো না তাই আমিও জানি না...
- কেন ফোন করেছো?
- তোমার গলা শুনতে ইচ্ছে করছিলো
- এসব এখন শুধুই স্মৃতি...
- হাহাহা......আমার জন্য পিছুটান রেখো না।
.... ওপাশটাতে শুধু কান্নার শব্দ গুলোই কানে আসে হাসিবের। কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিজেই আবার বলতে শুরু করলো ছেলেটা
- বিয়েতে দাওয়াত পাবো তো?
- অবলীলায় কথাগুলা বলে ফেলছো? তোমার খারাপ লাগে না?
- একটা সময় লাগতো....এখন আর লাগে না। সকালের কুয়াশার মতো সবই ঝাপসা হয়ে গেছে।
আর সহ্য করতে পারে না বলে ফোন রেখে দেয় মাইশা। সেদিন এই মাইশাই লাল শাড়ি পরে হাসিবের অপেক্ষায় ছিলো কমলাপুরের রেলস্টেশনে, কিন্তু হাসিব আসে নি। হাসিব কেন আসে নি সেটা অবশ্য জানা হয় নি। যদি জানতো বাসের ধাক্কায় সেদিন থেকে ছেলেটা আর হাঁটতে পারে না তাহলে হয়তো ওর আর তার গল্পটা 'তাদের' হতো...
-বিশ্বাসঘাতক
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব অর্ডিনারি হয়ে গেল গল্পটা। এমন হাজার হাজার গল্প ফেসবুকের গল্পের পেজগুলো খুঁজলে পাওয়া যাবে!