নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীরু, লোভী, বর্বর, অসভ্য, নির্গুণ, কৃপণ, অশ্লীল, রগচটা, স্বার্থপর, বেআদব, প্রতারক, দুরাচারী, অকৃতজ্ঞ,স্বার্থাণ্বেষী,পরনিন্দুক, মিথ্যাবাদী, উচ্চাভিলাষী, ইঁচড়ে পাকা, অসামাজিক, অবমূল্যায়নকারী ও ভাল মানুষের ভান ধরা আদ্যোপান্ত একটি খারাপ ছেলে...

মিহাল রাহওয়ান

মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!

মিহাল রাহওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুরু

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

ক্যান্টিনে ঢুকে এদিক সেদিক তাকিয়ে কোনের একটা টেবিলের দিকে এগুতেই বাধা পেলো মেয়েটা। পাশের একটা টেবিল থেকে তাকেই ডাকছে ছেলেগুলো
-এই এই মেয়ে শোন না!
-জ্বি... (অপ্রস্তুত হয়ে)

-কোন ব্যাচ ?
-নতুন ব্যাচ ৪১

-ও নতুন পয়দা ...হুম, সোজা হয়ে দাড়াও। হ্যা এদিকে তাকাও..
-বলেন

-বাহ দেখতে তো খারাপ না.. ভালোই বাঁক টাক আছে !
-মানে ?

-যাক ঐটা পরে এখন একটা গান করো। তোমার চেহারায় একটা গায়িকা ছাপ আছে লক্ষ্য করেছো সেটা ? কিরে ঠিক কইসি না !
-ভাইয়্যা, আমি গান গাইতে পারি না..

-এই মেয়ে বেশি কথা বলো না, বেশি কথা আমাদের পছন্দ না !!
-ভাইয়্যা প্লিজ আমি গান পারি না...

-আচ্ছা আরেকটা চান্স, নাচো.. ঐযে মিলার 'দোলা দে রে পাগলা' ঐটা...
-প্লিজ ভাইয়া আমি ...

-শোনো মেয়ে, আমরা এখানের মাথা। এখানের সবকিছু এই আমরাই চালাই। এই ডিপার্টমেন্টে থাকতে হলে আমাদের কথামতো চলতে হবে। নাহলে ...
-স্যরি ভাইয়্যা..

-আপু নাচো তাড়াতাড়ি ক্যান্টিনে আসছি খিদা লাখছে খাবো সময় বেশি নাই! তাড়াতাড়ি করো..
-কিন্তু ভাইয়্যা

-না তোরে নাচতে বলছি নাচবি নাহলে...
-প্লিজ

হাতের আধখাওয়া সিংগারাটা রেখে শুভ্র উঠে দাড়ায়,
-ভাইয়্যা ওকে যেতে দিন। যা করার আমার সাথে করেন প্লিজ...
-ও ও ও রে... দেখ নায়ক আসছে! ঐ মেয়ে তুই যা। বের হ.. ঘোড়ার ডিম কোথাকার। আচ্ছা এবার তুই.. হ্যা তুই.. নায়ক এখানে শুয়ে পর ! ...এ এ শার্ট খুলে...

ঘন্টাখানেক পর ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এলো শুভ্র। গা থেকে ময়লা ঝাড়ছে, একদম নাজেহাল করে ছেড়েছে ওরা। মনে পরতেই আরেকবার বিষিয়ে উঠে মেজাজটা। জ্যাকেটের হুডটা উঠিয়ে বাসার দিকে হাঁটা শুরু করেছে...

মাথা নিচু করে হাঁচছে শুভ্র। পাশেই কেউ একজন তার সাথেই হাঁটছে খেয়াল করে নি।
-স্যরিইই !!
-অঁ ! ..চমকে পাশে তাকালো শুভ্র। ক্যান্টিনের সেই মেয়েটা। বেরিয়ে এসে এদিকেই বোধহয় ঘুরঘুর করছিলো।

-থ্যাংকস
-কেন ?

-একটু আগে ক্যান্টিনে এভাবে হেল্প করার জন্য...
-কোন ক্যান্টিন কিসের হেল্প ?

-এই যে একটু আগে...
-একটু আগে তো আমি বাথরুমে ছিলাম...

-ধুর ছাই.. ফাজলামি করছে বুঝতে পেরে গালদুটো লাল হয়ে উঠেছে মেয়েটার
-হা হা বাদ দাও... ওসব ওখানেই চাপা দাও। ওহ আমি শুভ্র...

-আমি আনিলা
-তারপর..

-কোথাও যাবার তাড়া আছে ?
-না কেনো বলো তো ?

-ওদিকটার বেঞ্চিটায় কখনো বসা হয় নি... যাবে ?
-বডিগার্ড ?

-ছিঃ ছিঃ
-হা হা... চলো বসি

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মনে হয় ছোট হয়ে গেল

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

রাজু বলেছেন: বাকীটা কই!! এক্ষুনী দেন, নাইলে কিন্তু কইয়া দিমু.....হুম

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: রেগিং এর ভাল দিক-মন্দ দিক দুইটাই আছে, পুরা ব্যাপারটা নির্ভর করে রেগারের উপরে।
গল্প কি এখনেই শেষ নাকি শিরোনামের মতোই 'শুরু'?

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

দর্শনপ্রিয়কার্তিকেয় বলেছেন: খুব ভাল হয়েছে

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: রেগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে রেগই ভালো।
যা হোক, সুন্দর গল্প।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: শুরুটা ভাল হয়েচে।
++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.