![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে কিছু কিছু অনুভূতি অব্যক্ত থাকে। কারন এই অনুভূতিগুলো প্রকাশের ভঙ্গি আমাদের জানা নেই। এই অনুভূতিগুলো সারাজীবন অপ্রকাশিতই থেকে যায়!!!
চারুকলার সামনে সকালের হালকা রোদটা এসে পরেছে ঠিক সেখানটায় বসে আছে ছেলেটা। হাতে একটা ওয়ান টাইম কাপে কফির ধোঁয়া উড়ছে। আজ কেন জানি খেতে ইচ্ছে করছে না।
-কিরেএএএএ!! রাফিইইইদ!!
পেছন থেকে কে যেন চোখদুটো আলতো করে চেপে ধরে। হাতের স্পর্শেই রাফিদ বুঝে নেয় এটা নিপা ছাড়া আর কেউ না। এমন পাগলামি শুধু তাকে দিয়েই সম্ভব..
-কি রে কেমন আছিস?
চোখ থেকে হাত সরিয়ে পাশে এসে বসে মেয়েটা। বসার আগে রাফিদের ঝাকড়া চুলের ওপরই হালকা করে একটা গাট্টা মেরে নেয়...
-কিরে হারামি!! কই ছিলি এই সপ্তাহ! একবারও তোর খোঁজ পাই নি। বিয়ে টিয়ে করে ফেললি নাকি?
- বাদ দে তো! রুপা কেমন আছে?
-রুপা... সেদিন বিয়েতে তোর কথাই বারবার জিজ্ঞাসা করছিলো। তুই গেলেই বোধহয় ব্যাপারটা ফেয়ার দেখাতো..
-আমার কিছু করার ছিলো না..
- এসব আলতু ফালতু এক্সকিউজ আমাকে শোনাবি না। আচ্ছা কি জন্য ব্রেক আপ করলি মেয়েটার সাথে?
- আচ্ছা তোর কি মনে পড়ে ক্যাম্পাসে আমাদের দুই জনের ছুটে চলার দিন গুলো।
-মনে পড়বে না কেন? তোদের মতো রোমান্টিক জুড়ি আর কয়টা ছিলো!!
- আচ্ছা মনে পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মাঠের ঠিক মাঝখানে হাটু গেড়ে বসে রুপাকে প্রোপোজ করা?
-পড়বে না কেন?
- অন্তত তুই তো জানিস আমার জীবনের প্রথম ও শেষ রুপা। যদিও শেষটায় আর এ...
- মেয়েটা কিন্তু আসতে চেয়েছে। তুই না করে
দিয়েছিস।
- তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
-কেন? কি হয়েছিল.. তুই অনর্থক অভিমান
দেখিয়েছিলি.. জানি তোর খারাপ লেগেছিল। তাই বলে এই রকম করা উচিৎ হয়
নি।
-আমার কিছু করার ছিল না
-ছিল। তোর অহংকার আর অভিমান বেশি ছিল..
- আচ্ছা আমি উঠি। আর আমার কেমোথেরাপি চলছে।
নিপাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রাফিদ
হাঁটা শুরু করলো। হাজারো মানুষের ভীড়ে নিঃসঙ্গ ছায়ার সাথে হেঁটে চলা...
- বিশ্বাসঘাতক
©somewhere in net ltd.