নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপদেষ্টা নাহিদ পাকিস্তানের কাছে ৭১ এর ক্লিয়ার স্ট্যান্স চাইসে। পাকিস্তান'ও বলসে তারা এই ব্যাপারে আলোচনা করতে আগ্রহী। পাকিস্তানের মানুষ অনেক বছর ধরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের পতাকা উড়াচ্ছে, জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছে, মাঠে বাংলাদেশের জার্সি পরে খেলা দেখছে। খোদ পাকিস্তানীরাই বাঙালি প্রেমী হইয়া গেলো, কিন্তু এখনো পাক প্রেমী থাইকা গেল একটা দল।
জামায়াতকে যখনই ৭১ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখনই তারা ইনায়েবিনায়ে কথা বলা শুরু করে। আরেহ ঝেড়ে কাশনা ভাই! বলে দেন যে আমরা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করসি, ভুল করসি, মাফ চাই। ইনানো বিনানো মানেই হইলো বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আমরা চাই নাই। এই দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পাকিস্তানের যেমন ক্ষমা চাইতে হবে, জামাতের'ও এই দেশে ভোট চাইতে হইলে ঝাইড়া কষ্টে হবে।
বাকস্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ একটা সময় পার করতেসি সবাই। ঝেড়ে কাশুন। দিল মে পাকিস্তান কে লিয়ে দার্দ হ্যায় - হইলেও ক্লিয়ারলি বলেন। তারপরেও সংসদে আসন পাবেন নিশ্চিত। শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করলেও আসন পাবেন, গোলাম আজম রাজাকার ছিল স্বীকার করলেও পাবেন, কোনো এক অদ্ভুদ কারণে আপনাদের মনে এখনো পাকিস্তান প্রেম আছে স্বীকার করলেও আসন পাবেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই।
চোখের সামনে হাসিনার খুন, দুর্নীতি দেখার পরেও যেমন এই দেশ থেকে হাসিনার সাপোর্টার মুছে যায় নাই, ৮৫ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও জার্মানিতে এখনো নাৎজি সাপোর্টার আছে, তেমনি এই দেশেও জামাতের সাপোর্টার আছে অনেক। জামাতের আমির মিডিয়া ক্যাম্পেইন করে এই দলকে রীতিমত 'জনপ্রিয়' করে ফেলসেন। কিন্তু যেই দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখি নাই, এখনো পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান খোলাসা করি নাই, রাজাকারের সুযোগ্য পুত্র সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক কিছু জিনিস নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তখন কেন জামাত ফান্ডামেন্টালি ভোট চাওয়ার অধিকার রাখেনা, সেইটা বুঝার ক্ষমতাও ধর্মপ্রাণ বাঙালির নাই। তারা যেখানে হুজুরের দোষ ধরাকেই পাপ মনে করে, সেখানে দেশকে ইসলামের দোহাই দিয়ে শান্তি নিয়ে আসার ওয়াদা যারা করে তাদের নাম কথা বললে তো আপনার ঈমান-ই থাকার কথা না! জামাতের রাজনীতি যারা চায় না তাদের এই রিয়েলিটি গুলা মেনে নিতে হবে।
যাই হোক, কঠিন কথা বইলা লাভ নাই। আমরা কঠিন কথা বুঝি কম। সহজ কথায়, দাঁড়ি-টুপি থাকলে জর্দা-পানের নেশা করা জায়েজ আছে, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'র কথা বইলা দেশ দেউলিয়া করা জায়েজ আছে, এখনো ভারত-পাকিস্তান আলাপ থেকে বাহির হইতে না পারা জাতির কপালে শনি আছে।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: জামায়াত ভুল স্বীকার করবে - তারা ভুলটা করেছে কি? তখনকার সিচুয়েশন অনুযায়ী তারা যে পক্ষ নেয়াটা জরুরী মনে করেছে, সেটাই করেছে। সেই মুহূর্তে তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে যাবার কোন সুযোগই ছিলনা। আওয়ামী লীগও মুক্তিযুদ্ধ করবে বা হবে - এমন কোন ইঙ্গিত দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই হয়েছে। এই মুহুর্তে যদি চট্টগ্রাম অঞ্চল আন্দোলন করে আলাদা হয়ে যায় এবং বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রামের মানুষের উপর নির্যাতন শুরু করে, তারপরেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের একটা বড় অংশই চাইবে যেন চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সাথেই থাকুক। জামায়াত, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ - এরাও সেটাই চেয়েছে।
তবে স্বাধীনতার পালস না বুঝতে পারে তাদের জন্য অবশ্যই ভুল ছিল। সেই ভুল স্বীকার করে ক্ষময়া চাইতে আমি কোন অসুবিধা দেখিনা।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনি আমার মনের কিছু কথাই শেষ প্যারাতেই বলেছেন। জামাতের উচিত ক্ষমা চাওয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৩৮
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। জামায়াতের উচিত পরিস্কারভাবে ভুল স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সং্খ্যা ৩০ লাখ না হয়ে ৩ লাখ হলেও জামায়েত সমান অপরাধী। বাংলাদেশ প্রতিষ্টার বিরোধিতা করে ক্ষমা না চেয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করাটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।