আরেকটা মাল খাওয়াস!

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৩

মধ্যবয়স্ক রমণীর নেড়ে দেখা পেটিকোট দেখে আজও সময় কাটে ,

বিদ্ধগ্ধ হৃদয় নিয়ে দেখতে থাকি

সুন্দর কালোপেড়ে শাড়িপরা চলন্ত মেয়েদের বাড়ন্ত বুক ,

বাস ট্রেন কিংবা লঞ্চে আজো দেখি

হাঁটুর বয়সী ছেলেরা প্রেমময় মুলাকাতে

আবদ্ধ করে রাখে ;পায়রার মত প্রেয়সী ,

আমি হাত গুটিয়ে থাকি ।







বিষণ্ণ সময় কাটাতে

একবার গিয়েছিলাম পাশের বাড়ির ছাদের রিনুর কাছে ,

ক্লাস নাইনে পড়ুয়া মেয়ে --

আমাকে অবাক করে মেয়ে বলে, তুমি পারো না ।

আমি ওর বেডরুমে গিয়েছিলাম----

সত্যি ই লজ্জা, ভয়ে সেদিন আমি পারিনি ।





আমাকে শান্ত করতে পারে একমাত্র প্রেমময় রাত ,

আমি রাতজেগে থাকি

আবদ্ধ ঘরে একাকি আমি ; অনুভব করি ,

আমি ভীষণ ক্ষুধার্ত ।



নিখিলেশ টা আগে খোঁজ নিতো

খোঁজ দিতো--

পার্কের কোন কোনায় চকচকে মলাটে কি পাওয়া যায় ,

গার্লস কলেজের কোন মেয়েটা আজ স্যানিটারি কিনলো।

ও আর আসেনা ;

ও আজ এক বিবাহিত রমণীর দায়িত্ববান স্বামী ।







আমার দুঃসময়ে সুনীলের মত এক বাবা পেয়েছি ,

এখনো আছে ; আমার মেজ কাকা ,

বিষাক্ত নীলছবিতে বুদ হয়ে এখনো বলে ,

দেখিস একদিন হবে ।

কাকা এখনো আশাবাদী ,

আমি মুখ থুবড়ে পড়ি দেবযানীর জামাইয়ের কাণ্ড দেখে ,

অফিস যাবার আগের এক সেকেন্ড ও ছাড়তে যে নারাজ ।









নিষিক্ত হতে ফুলের যে প্রয়াস ,

যে টানে ভোমরের ছুটে চলা্‌

আমি সে টান কোথাও পাই না , কেউ আমাকে বলেনা ,

কারো মুখ ফসকে বেরিয়ে আসেনা ,

"এই প্রথম শান্তি পেলাম ।"

হোক না সেটা বৈধ অথবা অবৈধ ।







মাল খেয়ে শুয়ে থাকি ;

বিলাতি , বাংলা, রাম , ব্রান্ডি

আমাকে দুদণ্ড শান্তি ই দেয় বটে ।

ললাট খণ্ড খণ্ড করলে ও যখন একটা মেয়ে জুটবে না

তখন শুধু ই মাল খাওয়াস ।



আবার বলি, বিশ্বনাথ আরেক টা মাল খাওয়াস ।

০ টি +০/-০