নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইটান ১

আমি টাইটান । ভালোবাসি অন্য সবার মতো নতুন চিন্তা করতে এবং তা কাগজে কাঠামো বদ্ধ করতে। ভালো লাগে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী । তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে উপন্যাস।

টাইটান ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহিমা চৌধুরী পর্ব ৬

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

সকালবেলা। অমিতের ঘুম ভাঙ্গল। বিছানার অন্যরকম সেন্ট। তার নাকে লাগল।

চারিদিকে তাকিয়ে সে বুঝল এটা হল নয়। এটা ম্যামের রুম। অমিত উঠে রান্নাঘরের দিকে এল। মাহিমা চৌধুরী রান্না করছিল।

কী হিরো ঘুম ভাঙলো?

সরি। আমি আসলে রাতে একটু...

তুমি মদ খাও জানতাম না তো?

কী করব খুব কষ্ট পেলে এছাড়া আর ভালো জিনিস নেই। আমি আত্মহত্যা করতে পারব না। তাই মদ খেয়ে নেশা করে সারারাত না ঘুমিয়ে চেষ্টা করি শরীরে বড় একটা রোগ বাঁধাবার। এভাবে আর বাঁচতে চাই না।

মাহিমা চৌধুরী এবার কেমন জানি অন্যরকম একটা ধাক্কা খেলো। তিনি যেন অন্য অমিতকে দেখছে।

স্নান করবে?

না। হলে গিয়ে করব।

অমিত বেরিয়ে যাচ্ছে। মাহিমা চৌধুরী তার হাত ধরে

স্নান করে নাস্তা করে যাও।

না। আমি হলে গিয়ে নাস্তা করব।

মাহিমা চৌধুরী নিরবে তাকিয়ে রইলেন। কিছুই বললেন না।



মাহিমা চৌধুরী তার দাদার বাড়ি এসেছেন। একাকী বাড়ি।

কয়েকজন চাকর ছাড়া এই বাড়িতে আর কেউ থাকে না।

মািল দাস বলল, দিদি আসুন।

কেমন আছিস তোরা?

আছি।



রাতে মাহিমা চৌধুরী বই পড়ছিলেন। মালি দাস এল।

কী খবর?

দিদি একটা কথা বলি। শুনেন না তো?

কী কথা?

বলি কী যে ঐ পশ্চিমের বাগানটাতেই আপনি পঞ্চাশ লাখ পেতে পারেন। কত ক্রেতা ঘুরে যায়। অথচ দুটো বাগানে তারা আপনাকে পঞ্চাশ লাখ দেয়।

ও কথা বলিস না। ওরা আমার দেশের লোক। বাইরের লোক বেশি দিলেও নেব না। আমার এত টাকার কী দরকার? যা পাই এতেই তো আচ্ছা।



গাড়ি চলছে। ঢাকায় এল মাহিমা চৌধুরী। তার বাড়ি এল।

অমিত ও মাহিমা চৌধুরী বসে আছে।

কেমন লাগল?

ভালো। তোমাকেই ফিল করছিলাম।

খুব বিরক্ত হতেন মনে হয়। আমি ঘন ঘন ফোন দিতাম।

না। মোটেও না। তুমি বিরক্ত করলে আমার ভালোই লাগে।

ম্যাম।

বলো।

আপনার মতো আরো কয়েকজন থাকলে পৃথিবীতে দুঃখ থাকত না। আপনাদের প্রজন্ম থেকে আমরা দূরে থাকি। আমরা ভুল করি। আপনাদের কাছে থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। পাওয়ার আছে।



রাতে ভাবছে মাহিমা চৌধুরী। ভাবনার পর ভাবনা।



আতিয়ার রহমান বসে আছে। মাহিমা চৌধুরী আসছে।

কীরে, এত সকালে, অফিস যাসনি?

অফিস থেকেই এলাম।

কী ব্যাপার?

অমিত...

অমিত । ও ঐ স্ক্রিপ্ট রাইটার। কী হয়েছে?

ঐ ছবিটাতে আমি প্রডিউস করব। তুই সহযোগিতা কর।

তাই নাকি? খুব ভালো কথা। তোর এত টাকা। তোর এই লাইনে আসা উচিত।

ছেলেটা ট্যালেন্ট। ওকে ফিল্ম মেকার হতে সহযোগিতা করা উিচত।

ওর কাহিনী খুব ভালো। এসব ছবি ফ্লপ হলেও এসব ছবিরও প্রয়োজন আছে। আস্তে আস্তে জনগণকে এসব ছবির প্রতি ইন্টারেস্টেড করে তুললে দেশ-জাতি অনেক এগিয়ে যাবে। আমরা আসলে বিজনেসের কারণে এটাকে ওভারকাম করতে পারি না। তুই সহেযািগতার হাত বাড়ািচ্ছস । খুবই ভালো পদক্ষেপ।

তো ওকে ভালো টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিস। আর আমি ওর ছবির প্রডিউসার। এটা তাকে জানানোর প্রয়োজন নেই। সে জানবে। তুই ই তার প্রডিউসার।

আচ্ছা। আচ্ছা।



আতিয়ার রহমান ফোন দিল অমিতকে। অমিত তখন পড়ছিল

স্যার। আপনি ভালো আছেন?

হ্যাঁ। তুমি কাল একবার দেখা করো আমার সাথে।

অবশ্যই স্যার।



আতিয়ার রহমান বসে আছে। অমিত বসে আছে।

স্যার। আমি আপনাকে কী বলে যে ধন্যবাদ জানাব এর ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। তবে আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।

কেন? তোমার ছবির ওপর আত্মবিশ্বাস নেই।

জীবনে যতবার বিমুখ হয়েছি। তাতে আত্মবিশ্বাস না থাকাটাই স্বাভাবিক। অনেকদিন থেকে সৌভাগ্য ব্যাপারটা আমার কাছে অধরা ছিল। আজ কুফা কাটল। আতিয়ার রহমান হাসলেন।

আমি আজ জীবনকে নতুনভাবে দেখছি। বইয়ে পড়েছি সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা কর। আমি সেই চেষ্টাটা খুব করেছি। আপনি আমাকে ছবিটা করার জন্য বলছেন আমি সত্যিই বিমুগ্ধ।



অমিত ফোন দিল মাহিমা চৌধুরীকে।

ম্যাম, আপনার বন্ধু আমাকে ছবি করতে বলেছে। ছবি করব ম্যাম। খুব ভালো লাগছে।

তুমি কোথায়?

জান্নাতের কাছাকাছি আছি। আপনার কাছেই আসছি।

এসো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.