নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইটান ১

আমি টাইটান । ভালোবাসি অন্য সবার মতো নতুন চিন্তা করতে এবং তা কাগজে কাঠামো বদ্ধ করতে। ভালো লাগে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী । তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে উপন্যাস।

টাইটান ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেওয়া আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তঃ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

যদি ইউনিভার্সিটির একশ জন শিক্ষার্থীর কাছে থেকে মন্তব্য নেওয়া হয় তবে একশো দশজন বলবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার এভাবে প্রয়োগ তারা চায় না। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরাও মাঝে-মধ্যে বিব্রত হয় এই কোটা নিয়ে। যাদের আত্মসম্মান বেশি তারা তো বিব্রত হবেই। বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য। কত বড় আত্মত্যাগী ছিলেন তিনি! তার ছেলের আত্মসম্মানবোধ না থাকলে কীভাবে বিশ্বাস করব যে তার বাবা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা?

মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। পরে সেটার স্বীকৃতিস্বরূপ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। নির্লজ্জের মতো কাজ হয়েছিল সে সময়। এদেশে সার্টিফিকেটের মূল্যটা খুব বেশি। এত বেশি যে আপনার সার্টিফিকেট না থাকলে আপনাকে মানুষ বলে গণ্য করা হবে না। মুক্তিযোদ্ধারা তো মানুষ। তাই তাদের সার্টিফিকেট খুব প্রয়োজন।

সার্টিফিকেট সংস্কৃতি মানবতাকে অবমূল্যায়ন করার সংস্কৃতি। এটা মানুষকে ছোট করে। মানুষকে অহংকারী করে তোলে। আমার একটা সার্টিফিকেট আছে। অনার্স মাস্টার্স ইন ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট ফ্রম ডি.ইউ। সো আমি গ্রাজুয়েট। আর তুই শালা বোকাচোদা।

সার্টিফিকেট না থাকলে মানুষ বোকাচোদা হয়ে যায় বাংলাদেশে। তাহলে বাংলাদেশ কতটুকু সামনে এগিয়ে যাবে এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। দীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছর পার হলো। ঐ একই অবস্থান? মানুষের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সেই সার্টিফিকেট যখন মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় ঝুলানো হয় তখন এর চেয়ে বড় অপমান মুক্তিযোদ্ধাদের আর কী হতে পারে?

এই অপমানটা বড় তারা করল কীভাবে?

এখনো চলছে সেই অপমান...

আর অপমান এমন এক দল করছে যা তাদের সাথে যায় না। মাঝে মাঝে ভাবি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তগুলোতে খুবই সূক্ষ্মভাবে জামায়াতের হাত আছে। তা না হলে এমন সিদ্ধান্ত লীগ নেবে কেন?

এক মুক্তিযোদ্ধা কোটা দিয়েই আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আন্দোলন করা যায়। যা লীগকে চিরতরে শেষ করে দিতে পারে।

নিজেদের ধ্বংসের জন্য এমন পরিকল্পনা লীগ নিজেই করতে পারে না বলে আমার বিশ্বাস। লীগ কারো দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বৈষম্যের জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছিলাম। আর এখন এই বৈষম্য কেন?

মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দিয়ে তাদেরকে দলের একনিষ্ঠ কর্মী বানাতে চায় লীগ? কয়েকলাখ মুক্তিযোদ্ধাকে ষোল কোটি মানুষের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভাবল লীগ? এটা কি তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে?

আমার দৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়-স্বজনকে কোটা দেওয়ার আরো একটা কারণ আছে। কোটা না দিলে তো ঐসব আসনগুলোতে লীগের কেউ যেতে পারবে না। কারণ লীগ তো মেধা তৈরি করে না। মেধা তৈরি করতে চায় না। দলীয়ভাবে নিয়োগ, হিন্দুদের অগ্রাধিকার দেওয়া (আমি হিন্দুবিদ্বেষী নই, সত্যটা বলছি।), মুক্তিযোদ্ধা কোটা এসব করে দলের কোনো লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না।

আসল পথে ফিরে আসুন। জনগণকে ভালোবাসতে শিখুন। সমতার দৃষ্টিতে তাকান। পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়, কলেজের হলগুলোতে যে কুকুরগুলোকে লালন-পালন করছেন তাদেরকে মানুষ করুণ, মানুষ হতে সহযোগিতা করুন। তা না হলে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। পতন অনিবার্য।

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা বন্ধ করুন। এসব নষ্টামির পলিসি থেকে বেরিয়ে ্আসুন। সত্যকে ভালোবাসুন। টিকে থাকুন।

মেধার দাম দিন, যোগ্য মেধাকে আসতে দিন। এটাই ভালো হবে। যোগ্য লোক আর যে-ই হোক বাম হোক, শিবির হোক, লীগ হোক আর বিএনপি হোক যোগ্যতার জায়গায় কোনো পলিসি করা যাবে না। কারণ দলের চাইতে দেশ বড়। যদি না মানেন তাহলে ক্ষমতাতে যাওয়ার কোনো আশা কোনোদিন রইবে না।

শেখ মুজিবের দল ক্ষমতায় আসতে পারছে না। খারাপ শোনাবে না?

লীগ ও বিএনপি ঘুরে দাঁড়ালেই হবে। কারণ তাদের অনেক বড় প্লাটফর্ম। তারা ভালো করলে দেশের লাভ। দলেরও লাভ।

যে জামায়াতকে আপনারা ভয় পাচ্ছেন। ভয় পেয়ে এটা-ওটা করে বেড়াচ্ছেন। বন্ধ করুন। ভালো হোন, আদর্শের কাছে ফিরে আসুন। দেখবেন, অটোমেটিক্যালি সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাচ্ছে। আর মাথামোটাদের দল থেকে বিতাড়িত করার সাথে সাথে কিছু মোনাফেক আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আটক করুণ। লাইন ক্লিয়ার থাকবে। দেশ শত্রুমুক্ত থাকবে এটা শুনলেই ভালো লাগে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.