নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইটান ১

আমি টাইটান । ভালোবাসি অন্য সবার মতো নতুন চিন্তা করতে এবং তা কাগজে কাঠামো বদ্ধ করতে। ভালো লাগে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী । তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে উপন্যাস।

টাইটান ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মহীনতা ও সভ্যতাঃ

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০

এই যে আমরা দিন দিন ধর্মহীন হয়ে পড়ছি। কে স্রষ্টা আর কে সৃষ্টি মানছি হয়তো কিন্তু স্রষ্টাকে ওভাবে মূল্যায়ন করছি না। একবার ভেবে দেখেন কতটা ধর্মহীন হলে স্রষ্টাকে মূল্যায়ন করার সাহস হয়। স্রষ্টাকে এখন মানুষ মনে করে দূরের কেউ। হৃদয়ে সবসময় দোলা দেয় না। এতে স্রষ্টা কি খুশি না অখুশি?

যদি খুশি হোন তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।

অখুশি হলে বলার আছে। তুমি আমাদের পাশে রাখোনি। রাখতে চাওনি। বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছ ভালো-মন্দ বোঝার। তারপরও বুঝি না। এখন তোমার যা করার করিও।

এখন আমরা কেউই তার ধর্ম পালন করতে পারি না। না মুসলিম পারি। না হিন্দু না খ্রিস্টান না বৌদ্ধ। কেউই পারি না। স্রষ্টা কি এটাই চেয়েছিলেন?

আমার কথাই বলি। আমি মুসলিম। নামেমাত্র। একদিনও নামাজ পড়ি না। রোজা রাখি না। ইসলামের নিয়ম-কানুন মানি না। যেগুলো মনে হয় মানার মতো। ঐগুলো মানি। বাকিগুলো মানি না। আবার জান্নাত পাওয়ার আশা করি। জান্নাত ছাড়া যাবে না। এটা পাওয়াই লাগবে। আমার এই প্রত্যাশা করা স্রষ্টা তোমার কাছে অযৌক্তিক মনে হলেও আমার কাছে ঠিক।

আমার মতো নামেমাত্র মুসলিমের কি তোমার কোনো প্রয়োজন আছে। যদি থাকে তাহলে কিছু বলার নেই। আর যদি না থাকে তাহলে আমি বেঁচে আছি কেন? ভবিষ্যতে কি আমি সাধক টাইপের মানুষ হয়ে যাব। সারাক্ষণ শুধু তোমার নাম জপব। না এখন যে শয়তান আছি তার চেয়ে আরো বড় মাপের শয়তান হবো?

কোনটা হবো?

আর কোনটা হলে তুমি খুশি।

যা হোক তোমার খুশিতে কী যায় আসে? হয় জান্নাত না হয় জাহান্নাম। তোমার যদি মনে হয় আমাকে জাহান্নাম দিয়ে খুশি তাহলে তোমার খুশিতেই খুশি। যেহেতু তুমি স্রষ্টা।

কিন্তু কথা আছে স্রষ্টা। জাহান্নাম দিন আর জান্নাত দিন। ঐ ক্যাটরিনার নাচ আর সানি লিওনের কয়েকটা ভিডিও ক্লিপস দেখতে চাই। ওটা ছাড়া জীবন চলে নাকি?

আমি তোমার কোনো নির্দেশই পালন করতে পারব না। তোমার যদি কোনো অপশন থাকে তাহলে জান্নাতটা দিও। জাহান্নামটা না দিলেই ভালো। একটু দেখিও। আমি লবিং করছি না। একটু বলছি আর কি? এখন মানুষকে তেল দিতে দিতে তোমাকেও তেল দেওয়ার কথা ভাবছি। যদিও সবই তোমার। কী করবো বলো? বেঈমান হয়ে গেছি।

এগুলো তো আমার কথা। অন্যরা কী ভাবে? অন্যরা হয়তো আমার মতো ভাবে না। তবে আমার কাছাকাছি। পৃথিবীর প্রায় নাইটি পার্সেন্ট মানুষ চায় ধর্মের কাছে যেতে। কম্পিøট মুসলিম কিংবা কম্পিøট হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধ হতে। কিন্তু পারে না।

সবাই ধর্মের কাছে আসতে চায়। কিন্তু কেউ তা পারে না। সব তোমার ষড়যন্ত্র। কেন পারি না আসতে তোমার কাছে। কী এমন বেড়া দিয়ে রাখছো?

তুমি হয়তো শুনে খুশি হতে পারো তোমার আগামী ভবিষ্যত ধর্মহীনতার দিকে এগুচ্ছে। এখন তো আমরা তোমার কাছে যাওয়ার চিন্তা করছি। ভবিষ্যতে এই চিন্তারও মানুষ তোমার দলে থাকবে না। তোমাকে আমরা একা করে দেবো। অনেক জ্বালিয়েছো। অনেক খেলেছো। আর নয়। এখন বুঝে ফেলেছি তোমার খেলা।

আবার ধরো দেখা গেলো ধর্মহীন হয়ে ভবিষ্যত প্রজন্ম কোনো শান্তি পাচ্ছে না। তখন কি তারা তোমার পথে আসবে? না তখন আর কোনো উপায় থাকবে না? যদি তখন সবাই তোমার ধর্মে চলে আসে তখন তুমি তো পৃথিবীকে ধ্বংস করতে পারবে না। অথচ তুমি চাও পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাক। তুমিও ক্লান্ত হয়ে গেছো। আর তোমারও ভালো লাগে না। আমারও লাগে না। কালকেই যদি পৃথিবী ধ্বংস করে দাও। আমি প্রথম লাইক দেবো। তবে ক্যাটরিনা, কারিনা যেন অক্ষত থাকে। কী সুন্দর তাদের নাচ! ওটা দেখতেই হবে। এখানে একটু স্বাধীনতা চাই।

আমি পারিনি স্রষ্টা তোমার আনুগত্য পালন করতে। আর এটা পারবও না। হ্যান্ডসআপ। আমি অসহায়। তোমার পরীক্ষা দেওয়ার মতো জ্ঞান আমার নাই। থাকলেও আমি তা প্রয়োগ করতে চাই না। তুমি পারলে জান্নাত দিও।

কিছু ক্ষেত্রে তোমাকে মানব আর কিছু ক্ষেত্রে তোমার কাচকলা দেখাব, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমিই স্রষ্টা আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে তুমি।

যদি রাজী থাকো। তাহলে জান্নাতটা দিও। কারণ পৃথিবীতে এত কষ্ট পাচ্ছি। আবার যদি ঐখানেও কষ্ট দাও তাহলে ওভারডোজ হয়ে যাবে না। তোমারই বান্দা। তোমার খারাপ লাগবে না। তাই দয়া করে জান্নাত দিও। কবরের আযাব থেকে মুক্তি দিও। শান্তিতে থাকতে দিও। নিঃস্বার্থভাবে দিও। বিনিময়ে কিছু চেয়ো না।

তোমার মতো করে গোলামি করতে পারব না। যেভাবে গোলামি করছি এতে যদি হয় হলো, না হয় হলো না। তোমার নিয়মানুযায়ী গোলামি করা সম্ভব নয়।

পারলে তুমি একবার মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসো। তুমিও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়বা। পরিপূর্ণভাবে তোমার গোলামি করার কোনো উপায় নেই।

এখন আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি বেশি হয়ে গেছে। এখন তোমাকেও টেক্কা দিতে মনে চায়। কী করবো বলো?

তো যাই করো জান্নাতটা দেয়ার চেষ্টা করিও। জাহান্নাম দিয়ো না। আর যদি কোনো উপায় না থাকে জান্নাত দেওয়ার তাহলে.... তাহলে দিও।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পড়ার আহবান জানাই

Click This Link

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

টাইটান ১ বলেছেন: পড়লাম আপনার লেখাটি। দেখুন আমি কিন্তু নাস্তিক আস্তিক বুঝি না। মনের চিন্তাভাবনাগুলো বলতে চেয়েছি।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

আমি পিচ্চি পোলা বলেছেন: প্রাচীন কালেন দাস দাসীর প্রথার সাথে জড়িয়ে দ্বীন ইসলাম কে নিয়ে যারা আজেবাজে কথা তাদের একটা দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হয়েছে এইখানে। সরাসরী এই লিংকে চলে যান। না পড়লে নিশ্চিত মিস করবেন ভাই

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

টাইটান ১ বলেছেন: পিিচ্চ মানুষ, আপনার দেয়া লিংকটিও খুলে পড়লাম। ভালো লিখেছেন। কিন্তু দাঁতভাঙ্গা জবাব পাইনি। দাঁত কিন্তু ঠিক জায়গাতেই আছে। লেখাটিতে ইসলামের বিপক্ষে বলা হয়নি। বললে সবার কথাই বলেছি। আমাদের ধর্ম যে দিন দিন হেরে যাচ্ছে। ধর্মকে হারাতে গিয়ে নিজেরাও হেরে যাচ্ছি। এটাই বলতে চেয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মানুষের জন্য সত্যি কথা বলতে কি আস্তিক-নাস্তিক কোনো দর্শনেরই প্রয়োজন নেই। নিজের চিন্তা দিয়ে চলাটাই আসল। মুক্ত চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষের রয়েছে। যারা মুক্ত চিন্তা করতে পারে না তারা আসলে মানুষই নয়। লোভ আর ভয় থেকে মহৎ কিছু্ই আসে না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

টাইটান ১ বলেছেন: ধন্যবাদ। ফ্রি থিংকাররা মানবতাকে আদর্শ ধরে। তাদের এই চিন্তাকে আমি শ্রদ্ধা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.