নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টাইটান ১

আমি টাইটান । ভালোবাসি অন্য সবার মতো নতুন চিন্তা করতে এবং তা কাগজে কাঠামো বদ্ধ করতে। ভালো লাগে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী । তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে উপন্যাস।

টাইটান ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোংরা ছাত্ররাজনীতি ও জাতিকে পেছনে রাখার ষড়যন্ত্রঃ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ছাত্ররাজনীতি যারা করে তারা এককথায় মাথামোটা। প্রশিক্ষণ দিয়ে, বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে মাথামোটা করে তৈরি করা হয়। যদি মাথামোটাই না হবে তাহলে এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে ট্রিট করে রাজনীতিতে আহ্বান জানায়। এই ডাকটা যে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করা, তারা চিন্তা করে দেখে না। ঐ যে একটা রীতি চলে আসছে। এভাবেই ট্রিট করে রাজনীতি করতে হয়। এককথায় সৃষ্টিশীলতা নেই। একজন কর্মী যদি স্বেচ্ছায় আসে তা কিন্তু শত শত বাধ্য করে নিয়ে আসা কর্মীর চেয়েও শক্তিশালী। এই কমন সেন্সটাই তো বোঝে না নেতারা।

এখন নেতাদের তথাকথিত বুদ্ধির মাপকাঠি হচ্ছে কীভাবে একজন শিক্ষার্থীকে মাথামোটা বানানো যায়। এটা যে পারে, সে হয় নেতা। এটা করার জন্য সে সহায়তা নেয় বিভিন্ন কৌশলের। একজনকে মিথ্যে ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে সিগারেট থেকে গাঁজা-সিদ্ধি-সবজি, তার ড্রাগ নেয়া, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে মদ্য পানে অভ্যস্ত করে তোলা। ব্যস হয়ে গেল। আর কিছুই করা লাগবে না। এখন ট্রেন চলবে।

এসব কৌশলের মাধ্যমে তারা বুঝিয়ে দেয় যে ছাত্ররাজনীতি ভালো ছাত্ররা করতে পারে না। এটা করতে হলে কিছু আক্রমণাত্মক, মাথাপাগলা ছেলে লাগবে।

এই ধ্বংসাত্মক বুদ্ধি যে কে কোন কালে প্রবর্তন করেছিল। এখনো তা চলছে।

একই পদ্ধতি, একই সিস্টেম। যুগের পর যুগ এভাবে ছাত্ররাজনীতি চলছে।

ব্যাপারটা হচ্ছে হল দখল, ক্যাম্পাস দখল। ক্যাম্পাসে যাতে বিরোধী দল ঢুকতে না পারে সেজন্য বেছে বেছে এমন এমন ছেলেকে এই রাজনীতিতে নিয়ে আসা হয় যাদের ভেতরে নিষ্ঠুরতা বেশি। যাদের সঠিক সেন্স নেই।

কোন কালে মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করত। এই শুনে কাজ নেই। বিষয় হচ্ছে এখন কারা ছাত্ররাজনীতি করছে? এরা আদৌ কি ছাত্ররাজনীতি করার উপযুক্ত কিনা? তাদের রাজনীতিতে দেশ ও জাতির মঙ্গল হবে কিনা? এসব ভালো সিনিয়র নেতাদের ভেবে দেখতে হবে।

বেছে বেছে কুটিল, বদমায়েশ, মিষ্টি শয়তান, টেররিস্ট টাইপের ছেলে-মেয়েদেরকে রাজনীতিতে নিয়ে আসা হয়। এটা কেন?

এটা কি শুধু বিরোধী দলকে ক্যাম্পাস, হল দখল থেকে বিরত রাখার জন্য? না, অন্য কোনো কারণ আছে?

যদি তাই হয় তাহলে দুর্ভাগ্য জাতির। আর যদি বলা হয়, না, এটাই ছাত্ররাজনীতির নিয়ম। আমরা এভাবেই রাজনীতি করি। আমাদের চৌদ্দ পূর্বপুরষেরা এভাবেই রাজনীতি করে এসেছে। তাহলে সংবিধানে একটা আইন পাস হওয়া প্রয়োজন। দেশের লোকজন এটা জানুক। কীভাবে একজন নিরীহ ছাত্রকে নিষ্ঠুর বানানো হচ্ছে? কীভাবে একজন ভালো ছাত্রকে নষ্ট করা হচ্ছে?

একটা দেশ কি এমনি এমনিই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বড় বড় স্বপ্ন দেখলে, স্বপ্ন কি এমনি এমনি পূরণ হয়ে যাবে?

ছাত্ররাজনীতির মতো অনেক জায়গা আছে যেগুলোকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নষ্ট করা হচ্ছে। সরকার এতে প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ন হচ্ছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কারো এদেশকে লিড করার মতো আদর্শ নেই। কোনোটাই কম্পিøট নয়। দেশে বাম সংগঠন আছে। ওরা প্রগতিশীল। তবে তারা মৌলবাদকে ঘৃণা করে। আবার জামায়াত আছে তারা আবার প্রগতিকে ঘৃণা করে। লীগ ও বিএনপি একদল ন্যাশনালিস্ট আর আরেক দল ততটা ন্যাশনালিস্ট নয়। তাহলে এরকম ইনকম্পিøট কোনো দলের যে কাউকে ক্ষমতা দিলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক্ষেত্রে আমি নতুন নেতৃত্ব চাই। যে নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটা বন্ধনের মধ্যে রাখতে পারে। কাউকে কাছে টেনে, কাউকে দূরে ঠেলে যেন রাজনীতি না করে। লিডার এমন হওয়া উচিত যাতে সে তার বিপক্ষের লোকজনকেও কৌশলে দেশের জন্য প্রোডাক্টিভ করে তুলতে পারে। এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র জনগণকে দিয়ে মোকাবিলা করতে পারে। এদেশের মানুষের জন্য কেমন নেতৃত্ব দরকার? এটা শুধুমাত্র জানে আন্তর্জাতিক রাজনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করে। আর জেনেই সমানতালে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পেছনে।



জোর করে, সুবিধা দিয়ে, অর্থ দিয়ে, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে যদি রাজনীতি হয় তাহলে সেটাকে রাজনীতি বলব কেন? ওটা তো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এখন কোনো লিডার বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে যে, তার কর্মীরা তাকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা করে? বলতে পারবে না। আবার কেউ কেউ বলতে পারে। এরা জানেই না যে কীভাবে একজনের কাছে শ্রদ্ধা নিতে হয়। তারা শ্রদ্ধার চাঁদাবাজি করে। আমাদের একটা স্বভাব আছে কেউ যদি ভেবে নেয় যে সে করিমের চেয়ে বড়। তখন করিম যদি কিছু বিষয়ে তার চেয়ে হাজার বড় হয় তাও সে তাকে ছোটই ভাবে। আমাদের লিডাররা এই নষ্ট সাইকোলোজিতে আটকা পড়ে আছে। তারা বুঝতেই পারে না। তার পাশের কর্মীটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি বোঝে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজার চেয়ে অভিজ্ঞ লোক রাজ্যে থাকতেই পারে। আসল কথা মানুষ নিজেকে কখনো বড় করে দেখতে পারে না। যারা দেখে, এটা তাদের রোগ।

এখন ছাত্ররাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্যটা হচ্ছে অর্থ ইনকাম করা। সাথে সাথে পাওয়ারও থাকবে। আশেপাশের অনেক ফিল্ড আছে। ঐসব জায়গা থেকে অর্থ আয় করা সম্ভব। হাত পাতলেই হবে। (কেউ আবার তাদের ভিক্ষুক ভাববে। যদিও যারা দেয় তারা ভাবে।) কিছুই করা লাগবে না। শুধু একবার হলের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি হতে পারলেই হল। আর ক্যাম্পাসের লিডার হলে তো কথাই নেই।

কিন্তু কেন? টাকার অভাব?

অভাব তো সবারই আছে। অভাব থাকবে। অভাবের শেষ আছে? তাই বলে মানুষের এই বিশ্বাসের জায়গাগুলোকে দূষিত করে টাকা ইনকাম! কী হবে এই টাকা দিয়ে? আমার বিশ্বাস ভালো কিছু হয় না। অন্যায় করলে তাকে যেভাবেই হোক জ্বলতে হবে। এবং জ্বলেও।

সাবেক এক নেতার সাথে দেখা হল। ‘ভাইরে, কী যে ভুল করেছি এই ছাত্ররাজনীতি করে। শান্তি পাই না।’

সে শান্তি পাক, এটাই আমরা চাই।

ভুল মানুষই করে। কিন্তু একটা ভুল যদি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকে, তখন সেটাকে আর ভুল বলা যায় না। যদিও সেটা ভুল। ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে যুগ যুগ ধরে ভালো ছাত্ররাকে বঞ্চিত করা হয়। তাদেরকে নষ্ট করার শেষ চেষ্টাটা পর্যন্ত করা হয়। সেই সব ভালো দম্য মেধাবীরা ভাবে, এই তো আর কয়েকটা বছর। সার্টিফিকেট পাওয়ার পর আর আসব না। আমরা কতটা স্বার্থপর। যুগ যুগ ধরে ভালো শিক্ষার্থীরা মার খেয়ে যাচ্ছে আর কোনো প্রতিবাদ নেই। এই প্রতিবাদ না করার অবশ্য একটা ভালো দিক আছে। শাসক টের পাবে না, কখন বিপ্লব হবে? শুরু হলে আর থামবে না।



একজন শিক্ষার্থীকে লিডার বানিয়ে সারাজীবনের জন্য জ্বালিয়ে দেয়ার কী অধিকার আছে এই ছাত্ররাজনীতির?

আপনারা ছাত্ররাজনীতি করবেন। অবশ্যই করবেন। এমন রাজনীতি করবেন যাতে হৃদয় থেকে আপনাদের শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা জাগে। যাতে আপনাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিতে মনে চায়।

এতে আপনিও শান্তি পেলেন, যে শান্তির কাছে টাকার হিসাবটা অতি তুচ্ছ। দেশ-জাতিও উপকৃত হল। আপনারা বড় বড় লিডারদের এমনভাবে শ্রদ্ধা করেন যে তাদের অন্যায় নির্দেশও আপনারা মাথা পেতে নেন। শুধু একটু সান্নিধ্য থাকার জন্য। দেশের ষোল কোটি মানুষের সান্নিধ্যে থাকার চেয়ে ঐ সান্নিধ্য আপনার কাছে বড় হয়ে গেল?

শ্রদ্ধার জায়গার একটা ধর্ম আছে।

এটাকে সংরক্ষণ করতে হয়। আপনি যদি স্রষ্টাও হোন আর যদি অন্যায় নির্দেশ দেন সে স্রষ্টা থাকবে না। থাকতে পারে না। শয়তান হয়ে যাবে। আর তাকে শ্রদ্ধা করার কোনো মানে হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেছে। হ্যাঁ বলেছে, তো কী হয়েছে? এই বলে অন্যায় মেনে নেবো কেন?

প্রধানমন্ত্রী যদি তার শ্রদ্ধার জায়গাটুকু নিজে থেকে নষ্ট করে আমরা কেন তা চাইব? কেনই বা তার ভুল আমরা ধরিয়ে দিই না। এই দাসত্ব ছেড়ে দিন। দেশের কল্যানের জন্য মানুষের এসব বিশ্বাসের জায়গাগুলোর মর্যাদা রাখুন। এতে করে হেরে যাবেন না। জিতে যাবেন। আপনাদের জিতে যাবার জন্যই বলছি। আপনাদের তো আবার জিতে যাবার খুব ইচ্ছা। হেরেও যে জিতা যায় এই সেন্স মনে হয় আপনাদের নেই। কুমিল্লা, নোয়াখালির লোকজন হারতে পারে না। ওরা হারতে জানে না। দিনাজপুর রংপুরের লোকজন শুধু হারতেই এসেছে। এসব সংস্কৃতি কতটা ক্ষতিকর গর্ব করার সময় বুঝবেন না। দক্ষিনবঙ্গ উত্তরবঙ্গের কাছে সবসময় জিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। মনে করে তারা উত্তরবঙ্গের চেয়ে সভ্য। যেমনটা পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের মনে করে। এসব সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় ঐক্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তা যদি একবার ভাবতেন, এসব ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা করতেন না। কথাগুলো যদিও ছোটমনের কথা। তবুও এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো অবহেলা করতে করতে আমরা বড় একটা ক্ষতির দিকে এগোচ্ছি।

যাহোক, লিডাররা জিতবে মানেই তো আমরা জিতব। আপনারা জিতে যান। তবে জিতে যাবার আগে জয় ব্যাপারটা কী এটা জেনে নিয়েন। এটা আপনারা অনেকেই জানেন না। আপনাদের আচরণে তা প্রকাশ পায় না।

আমাদের অমুক লিডার খুব ভালো। শুনলে বুকটা ভরে যায়। প্রধানমন্ত্রী একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুকটা ভরে যায়। দেশের লিডাররা কি তা জানেন?

মনে হয় জানেন না।

তাই আসুন, জনগণের কাছে থাকুন। বুঝতে পারবেন, আমরা আপনাদের পাশেই থাকতে চাই। সহযোগিতা করতে চাই। আর জঙ্গিরা (কত টাকা যে দিয়েছে আপনাদের আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রক শক্তি আল্লায় জানে), আপনারা একটু শান্ত হোন। প্রধানমন্ত্রী জনগণের সাথে মিশতে পারছেন না। আপনারা তার জীবন নিয়ে নেবেন। জীবন নিলেই দেশে ধর্ম প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আপনি যে খুনি হয়ে যাবেন। খুনিরা জান্নাত পায়?

জনগণের ক্ষতি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের জেনারেশন গ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে। উনি আপডেট হতে পারছেন না। আমরাও তাকে পাশে পাচ্ছি না। আমাদের কথা তিনি বুঝতে পারছেন না। একটু সুযোগ করে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের মাঝে দেখতে চায়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মো কবির বলেছেন: ওদের কাছে আর কিছু চাওয়া মানে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য শিয়ালের কাছে মুরগি লালন পালন করার মতো কাজ দেয়া।
এত বড় বড় ঘটনা রেল, পদ্মা, বিশ্বজিৎ, শেয়ার মার্কেট ইত্ত্যাদি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে তবু তাদেরকেই আবার শাস্তির বদলে দেয়া হচ্ছে দেশপ্রেমিকের মর্যাদা।

দেশের মানসম্মানের চেয়ে ব্যক্তি আবুল-হাসিনা,খালেদা এদের মানসম্মান ই বেশি,দেশের স্বার্থের কাছে এদের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়।
ওদের লোভের কাছে সব কিছু তুচ্ছ।

তাই আসুন একজন অচেতন নেতা না হয়ে বরং একজন সচেতন নাগরিক হই।

যোগ দিতে পারেন আমাদের গ্রুপ পেজে

লাইক পেজ


সবার সার্বিক সহযোগিতায়, সবার জন্য তথা আগামী প্রজম্নের জন্য গড়ি সুন্দর শ্যামল সবুজ একটি বাংলাদেশ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

টাইটান ১ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের জন্য। আমরা কার কাছে চাইব? স্রষ্টার কাছে অবশ্যই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.