নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Theological students and writers

তোফায়েল ইসলাম

Theological students and writers

তোফায়েল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআনের বর্ণনায় জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮



জ্ঞানের কারণেই মানুষ আল্লাহ তাআলার দরবারে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জ্ঞান ও প্রতিভা আল্লাহ তা’লার এক বিশেষ দান ও অনুগ্রহ। যারা জ্ঞানী তারা সমাজে যেমন মর্যাদাবান তেমনি আল্লাহর কাছেও প্রিয়। জ্ঞানী ও মূর্খ লোকদের মধ্যে চিন্তা-চেতনা, আচার-আচরণ, নৈতিকতা-মানবিকতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশাল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যুগে যুগে যত ধর্ম, সমাজ ও সভ্যতা বিগত হয়েছে সকলের কাছেই জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা ছিল অতুলনীয়। এই জন্যই বলা হয়ে থাকে- ‘মূর্খ বন্ধুর চেয়ে জ্ঞানী শত্রু উত্তম’। ইসলাম ধর্মে জ্ঞানার্জনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং জ্ঞানী ব্যক্তিকে সর্বাধিক মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে।

আসুন দেখি জ্ঞানী ব্যক্তির সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআল কি বলেছনেঃ-

১.‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের ভীতিশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত কামনা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না। বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান’(যুমার ৯)।

২.‘মানুষ, জন্তু ও চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে বহু বর্ণ রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মাঝে প্রকৃত জ্ঞানীরাই কেবল তাকে ভয় করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল’ (ফাতির ২৮)।

৩.‘তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভূত কল্যাণকর বস্ত্ত প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে যারা জ্ঞানবান’ (বাক্বারা ২৭৯)।

৪ .‘যে ব্যক্তি জানে তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে, তা সত্য, সে কি তার মত, যে অন্ধ? বুদ্ধিমানরাই শুধু উপদেশ গ্রহণ করে। (রা‘দ ১৯)।

মানুষ এবং জীব-জন্তুও সাদা, লাল, কালো এবং হলুদ রঙের হয়। আল্লাহর শক্তিমত্তা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞানময়তা, ক্ৰোধ, পরাক্রম, সার্বভৌম কর্তৃত্ব-ক্ষমতা ও অন্যান্য গুণাবলী সম্পর্কে যে ব্যক্তি যতবেশী জানবে সে ততবেশী তাঁর নাফরমানী করতে ভয় পাবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলীর ব্যাপারে যতবেশী অজ্ঞ হবে সে তাঁর ব্যাপারে তত বেশী নির্ভীক হবে।

এ আয়াতে জ্ঞান অর্থ দৰ্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, অংক ইত্যাদি স্কুল-কলেজে পঠিত বিষয়ের জ্ঞান নয়। বরং এখানে জ্ঞান বলতে আল্লাহর গুণাবলীর জ্ঞান বুঝানো হয়েছে। এ জন্য শিক্ষিত ও অশিক্ষিত হবার প্রশ্ন নেই। তাই আয়াতে العلماء বা ‘উলামা’ বলে এমন লোকদের বোঝানো হয়েছে, যারা আল্লাহ্ তা'আলার সত্তা ও গুণাবলী সম্পর্কে সম্যক অবগত এবং পৃথিবীর সৃষ্টবস্তু সামগ্ৰী, তার পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও আল্লাহর দয়া-করুণা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেন।

কেবল আরবী ভাষা, ব্যাকরণ-অলংকারাদি সম্পর্কে জ্ঞানী ব্যক্তিকেই কুরআনের পরিভাষায় ‘আলেম’ বলা হয় না। যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে না সে যুগের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হলেও এ জ্ঞানের দৃষ্টিতে সে নিছক একজন মুর্খ ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর গুণাবলী জানে এবং নিজের অন্তরে তাঁর ভীতি পোষণ করে সে অশিক্ষিত হলেও জ্ঞানী।
“আল্লাহকে না দেখে বা একান্তে ও জনসমক্ষে যে ভয় করে সেই হচ্ছে আলেম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:




শিক্ষিত মানুষ জ্ঞানী, নাকি অশিক্ষিত মানুষ জ্ঞানী?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৩

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: আবার পড়ুন সময় নিয়ে উত্তর পেয়ে জাবেন ।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৯

জ্যাকেল বলেছেন: যারা আল্লাহকে জানে তারা অবশ্যই যারা তাকে জানে না/জানার চেস্টা করে না শ্রেণির মানুষ অপেক্ষা উত্তম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৪

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: জি ধন্যবাদ মন্তবের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.