নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
বাংলাদেশে একটি মাত্র উপায়ে ঘটিত হত্যাকাণ্ড সর্বদাই বৈধ। যা নিয়ে কখনোই কেউ উচ্চকিত হন না। আর সেটা হল সড়ক দুর্ঘটনার নামে চালানো হত্যাকাণ্ড। সম্ভবত দেশে প্রতিদিনের স্বাভাবিক মৃত্যুকেও ছাড়িয়ে যাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার।
সমস্যা নেই, আমরা ভবিতব্য বলে মেনে নিয়েছি!
আমাদের দেশে ঘোষিত অপরাধীকে বিনা বিচারে হত্যা রোধে মানুষ উচ্চকিত হন। আমাদের দেশে বন বাঁচাতে মানুষ উচ্চকিত হন।
বাঘ বাঁচাতে কিংবা অতিথি হাতি বাঁচাতে মানুষের কান্নার রোল পরে।
অতিথি পাখী বাচাতেও আমরা যথেষ্ট সচেতন।
কেবল মাত্র গাড়ী চালক গন যখন কোটি প্রাণকে নিয়ে নিত্য ছিনিমিনি খেলে। যখন প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দেখি দেশ জুড়ে। আমরা তখনই কেবল ভাগ্যের উপরে দায় চাপাই। তখন সব দায় নিয়তির। কেবল তখনই আমরা মনে করি মৃত্যু তো অবধারিত। যার যখন যেভাবে মৃত্যু নির্ধারিত তার সেভাবেই মৃত্যু হবে। আমাদের দেশের মত এমন সৌভাগ্যবান চালক পৃথিবীর আর কোন দেশে কি আছে?
তারা হত্যা করবেন কিন্তু তাদেরকে হত্যাকারী বলা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে কদাচিৎ কোন মামলা হলেও তারা বায়বীয় হয়ে যান তাদের ধরা যায় না। যদিওবা কখনো ধরা পরেই যান তাদের নামকাওয়াস্তে সাজা হয়। কখনো কখনো সাজাই ভোগ করতে হয় না।
যে যায় সে যায়। যে ক্ষত সে রেখে যায় তা দেখার কেউ নেই। সাজানো গোছানো একেকটি পরিবার মুহূর্তে পথে নেমে আসে এটা যেন কোন ব্যাপারই না! আর যে মৃতপ্রায় হয়ে বেঁচে থাকেন?
পরিবারের একমাত্র সক্ষম ব্যক্তিটিই তখন হয়ে পরেন পরিবারের বোঝা! চোখ বুঝে নিজেকে সেখানে নিয়ে গিয়ে ভাবুন তো কতটা দুর্বিষহ হতে পারে সে জীবন। আমরা এখনো রুখে দাঁড়াচ্ছি না। কেন দাঁড়াচ্ছি না ? কেন প্রত্যেকটি দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী চালক এবং গাড়ীর মালিকদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কদিন আগে এনা'র একটি গাড়ী দুর্ঘটনা কবলিত হল আক্রান্ত মাইক্রো বাসটির একটি তাৎক্ষনিক ভিডিও ফেস বুকে কে বা কারা পোষ্ট করেছিল সেই বীভৎস ভিডিও দেখে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমি নিজেও পুরোটা দেখতে পারিনি। এভাবে যদি প্রতিটি দুর্ঘটনার ভিডিও চিত্র জনসম্মুখে চলে আসত তাহলে হয়ত আমরা বুঝতে পারতাম প্রতিদিন রাস্তায় কি পরিমাণ মানুষকে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়। সে দৃশ্যও কতটা ভয়াবহ। যারা ঢাকা ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করেন তারা ভাল করেই জানেন এনা গাড়িগুলো কতটা বাজে ভাবে চালানো হয়। ঐ গাড়ী দেখলেই আত্ম রক্ষার্থে সবাই জায়গা করে দেয়। আমাদের প্রশাসন দেখে না!
উত্তর বেঙ্গলে আছে ন্যাশনাল, হানিফ এরা যেন মানুষ মারতেই রাস্তায় নামে। এভাবে দেশের প্রতিটি রুটেই দু একটি পরিবহন কোম্পানি আছে যারা এতটাই বেপরোয়া যে, অন্য সব গন পরিবহন রাস্তায় তাদের জায়গা করে দিতে পারলেই বাঁচে। প্রশাসন নীরব! এর বাইরে আছে মটর সাইকেলের দৌরাত্ব্য। কি হাইওয়ে, কি জনপদ এদের অত্যাচারে মাঝে মাঝে রাস্তার ফুটপাতে হাটাও দায়। অনেক সময়ই এদের কারণে হাইওয়েতে দ্রুত যান গুলি দুর্ঘটনার কবলে পরে। এ ছাড়াও হাইওয়েতে রয়েছে স্বল্পগতির অজস্র বাহন। এর বিরুদ্ধে আইন রয়েছে অথচ প্রশাসন নীরব।
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে গাড়ী চালকদের রক্ষার জন্য আছে অনেক গুলি সংগঠন যাত্রীদের রক্ষার্থে আছে কেবল ফাকাবুলি। আর সে কারণেই নির্বিচারে মারা পড়ছে মানুষ। দেখার কেউ যেন নেই। এমনকি আমরা নিজেরাও নিজেদের রক্ষার্থে সোচ্চার নই। আমাদের বাঁচাবে কে?
[email protected]
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একদিকে গরু আর ছাগল চিনলেই রাস্তায় গাড়ী চালানোর লাইসেন্স মেলে অন্যদিকে ভুক্তভোগীরা নীরব। সমস্যা সমাধান চাওয়াটাই তো পাপ।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়ে বিষয়ে যথাযথ কোন অাইন নেই।যে অাইন অাছে, তারও অাবার ফাক দিয়ে অপরাধীরা পারপেয়ে যাচ্ছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেটাই বোধ হয় সব থেকে বড় সমস্যা@সামিউল ইসলাম বাবু
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
আহলান বলেছেন: দূর্ঘটনা ঘটলেই ড্রাইভাররা দোষী হয়, আমি এই কথার সাথে সব সময় একমত নই .... অনেক পথচারীকে দেখি কানে মোবাইল ধরে রাস্তা পার হয়, আবার অনেকে জমিদারী স্টাইলে রাস্তা পার হয়, ভাবখানএমন যে সে জানে তার জন্য গাড়ি থামবেই বা স্লো করবে অনেক রিক্শা ওয়ালা পিছনে না তাকিয়েই ডানে বামে রিক্শা চালিয়ে দেয়।
তবে ড্রাইভারদেরও চরম নেগলেজেন্সি আছে, শাস্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা করলে হয়তো সুফল পাওয়া যাবে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আহলান আপনি আমি আপনার সাথে একমত পথচারীদের অনেক সমস্যা আছে। এমনও দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় দরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে পথচারি আটকাতে! সমাধান কিন্ত ঐ একটাই যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
করুণাধারা বলেছেন: গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার সময় দেখি শ্যামলী শিশুমেলার সামনের রাস্তায় জিন্সের প্যান্ট, টি সার্ট পরা যুবক মরে পড়ে আছে, মাথাটা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। একটি বাস মেরে দিয়ে চলে গেছে। বাসের যাত্রীরা কেন চালককে ধরিয়ে দিল না? আজকে কাগজ, নিউজ পোর্টাল সব খুঁজেও এই এক্সিডেন্ট এর খবর কোথাও পেলাম না। এরকম রোজ কত দুর্ঘটনার খবর আমরা পাই না!
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বাসের যাত্রীরা কেন চালককে ধরিয়ে দিল না? এই প্রশ্নটা আমারও। চালকদের বেপরোয়া হয়ে ওঠার পেছনে এটা অন্যতম প্রধান একটা কারন। অনেক ধন্যবাদ করুণাধারা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন
আমাদের দেশে ঘোষিত অপরাধীকে বিনা বিচারে হত্যা রোধে মানুষ উচ্চকিত হন।
অতিথি হাতি বাঁচাতে মানুষের কান্নার রোল পরে।
বহুবিধ চরিত্র । কন্ট্রাডিক্টরী । এটাই মনে হয় বাঙালীর চিরন্তন স্বভাব ।
যেখানে গরু আর ছাগল চিনলেই রাস্তায় গাড়ী চালানোর লাইসেন্স মেলে বলে আমরা ব্যাপারটিকে জায়েজ করি, সেখানে এই চরিত্রের কোনও সংশোধন সম্ভব নয় ।
ছোট্ট, তবে ভেবে দেখার মতো পোস্ট ।
( লেখাটি ২ বার হয়ে গেছে )