নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের পতনের পথ মানুষ নিজেই তৈরি করে

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৯


অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে পারাটাও এক ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। কখনো কখনো সেটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।

একজন শক্তিমান মানুষ যখন প্রতিপক্ষের আক্রমণে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, তিনি যদি তখন আক্রমণাত্মক রূপ পরিত্যাগ করে আত্নসমর্পনের রূপ ধারণ করেন তখন তার পরিচয়টি আর মুখ্য বিষয় থাকে না, সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রতি একটি বিশেষ অনুকম্পা তৈরি হয়। তারা তখন বিপর্যস্ত মানুষটিকে বাঁচাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। এটা মানুষের স্বভাবজাত। এক্ষেত্রে বিপর্যস্ত মানুষটি যদি তার কৃতকর্মের জন্য চরম ধিক্কৃত একজনও হন, তথাপিও তার এই দুঃসময়ে সেসব কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে ধর্তব্যের মধ্যে থাকে না। তারা তখন তাকে কেবল একজন অসহায় মানুষ বলেই দেখে থাকে এবং তাকে রক্ষার চেষ্টা করে। যার ফলে প্রবল প্রতাপশালী মানুষটিও বিপর্যস্ত মানুষটির ঐ কৌশলের কাছে কখনো কখনো খুব সহজেই ধরাশায়ী হন। এর প্রমাণ আমরা যেমন ব্যক্তি জীবনে দেখতে পাই ঠিক তেমনি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও লক্ষ করি।

আমরা এক সময় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে দেখেছি আর এখন দেখছি বেগম জিয়াকে। তারা উভয়ই তাদের ক্রান্তিলগ্নে আক্রমণাত্মক না হয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নিয়েছেন। ভরসা সেই সাধারণ মানুষ। যার ইতিবাচক ফল কিন্তু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পেয়েছেন। সম্ভবত বেগম জিয়াও পাবেন। আওয়ামী লীগ কি বিষয়টা বুঝতে পারছে? যদি না বুঝতে পারে তাহলে তার ফল কি তাদের জন্য শুভ হবে? সম্ভবত না।

আওয়ামী লীগের উচিৎ তার প্রতিপক্ষ বিএনপিকে এমন জায়গায় ঠেলে না দেয়া, যা তাদেরকে নয় বরং বিএনপিকেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। বেগম জিয়া এবং বিএনপি সম্পর্কে এ দেশের মানুষকে নতুন করে আর কিছু জানানোর নেই। তাদের সম্পর্কে সম্পূর্ণটা জেনে বুঝেই কেউ কেউ তাদের সমর্থন করে আবার কেউ কেউ করে না।

আওয়ামী লীগের এই যে- সব ছেরে কেবল বেগম জিয়া ও তার নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা- এটা যে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের লক্ষ্যে সে তো সবাই বোঝেন। সারা দিন মান ধরে একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজালে কি বেগম জিয়ার বা বিএনপির জনসমর্থন কমবে? মোটেই না। ওটা যতটুকু কমার তা আগেই কমেছে এখন উল্টো মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি বিরক্ত হবে এবং বিএনপির প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করবে, যা তাদের সমর্থনেরই নামান্তর।

আওয়ামী লীগের উচিৎ এখন বিএনপি থেকে নজর সরিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া। দলটির নেতা মন্ত্রীরা তো ভেবে বসে আছেন তারা নিশ্চিত ক্ষমতায় আসছেন। যে কারণে তারা সাধারণ মানুষের ত্রিসীমানায়ও কেউ যান না। কে জানে আগামীকালটি কার?

দিন শেষে সাধারণ মানুষই যে সবথেকে বড় শক্তি তা আওয়ামী লীগেরই ভাল জানার কথা। তবে ইতিহাস বলে মানুষ নিজের পতনের পথ নিজেই তৈরি করে, আর তা সে জেনে শুনেই করে। একগুঁয়েমি আর আত্মঅহমিকা মানুষকে বাধ্য করে ক্রমাগত ভুল করে যেতে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পেছনের ইতিহাস থেকে রাজনৈতিক দল গুলো যদি শিক্ষা নিত তবে সবাই ভাল হয়ে যেত।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তাহলে ত হয়েই যেত!

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই কথার উপরে তো আর কোনো কথা নেই- ''নিজের পতনের পথ মানুষ নিজেই তৈরি করে''।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যিই তাই। তবে দলটি আওয়ামীলীগ বলেই এত কথা।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

বারিধারা ২ বলেছেন: আওয়ামী লীগ কি মানুষ? এটি একটি রাজনৈতিক দল, যাকে দেশ পরিচালনায় পদে পদে মুরুব্বিদের সহযোগিতার আশায় চেয়ে থাকতে হয়। মুরুব্বিরাও তাদের সব চাহিদা পুরণে আওয়ামী লীগকেই সবচেয়ে যোগ্য বিবেচনায় রেখেছে।

তবে জেনে রাখুন, জনগন যতই বিএনপির প্রতি সহানুভুতিশীল হোক না কেন - এসব শক্তিশালী মুরুব্বিদের মোকাবেলায় সত্যিই অসহায়। তাই জনগণের অসহায়ত্ব দিন দিন প্রকাশ প্রকাশ পাচ্ছে। সেই সুত্রে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থার পর এখন শেয়ার বাজারও চরম ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কি যে বলেন। বাঙ্গালীর উনসত্তরের নির্বাচনের কথা মনে আছে? দোর্দন্ড প্রতাপ থাকা সত্বেও সেদিনের নির্বাচনে আইয়ুব খানের ভরাডুবি হয়েছিল। সাধারন মানূষ যদি সত্যিই একবার বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে পাশা ওল্টাতে সময় নেবে না। সমস্যা হল বিএনপি তো আওয়ামীলীগের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে নি।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন, ভালো লাগলো।
কথা হচ্ছে, বিএনপি কি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নামে মামলা বিগত শাসনামলে করেনি? দুদকও তো অনেকগুলো মামলা করেছিল শেখ হাসিনার নামে। বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় যে মামলাগুলো করেছিল সেগুলো না হয় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তুলে নিয়েছে। কিন্তু দুদক যে মামলাগুলো করেছিল সেগুলো তো এমনি এমনি শেষ হতে পারেনি, সেগুলো তো শেখ হাসিনা আইনি প্রক্রিয়াতেই শেষ করেছেন। মামলার সংখ্যাও কিন্তু কম ছিল না শেখ হাসিনার নামে! সেগুলো মিথ্যে প্রমাণিত হয়ে খারিজ হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, খালেদা জিয়া কেন মিথ্যে প্রমাণ করতে পারলেন না?

আপনার তিন নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য ভালো লাগলো, সুন্দর লিখেছেন।
তবে, এক্ষেত্রেও আপনি উনসত্তুরের বাংলার মানুষের অধিকারের সাথে খালেদা জিয়া বা বিএনপিকে এক করে ফেলেছেন। খালেদা জিয়া এমন কোন মহৎ নেতা নন যে তার জন্য বাংলার মানুষ সর্বস্ব ত্যাগী হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সুবিধা অসুবিধা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন এতদিনে।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার উচিত, উনার বাবার কবরের উপর গড়ে উঠা বিএনপির রাজিস্ট্রেশন বাতিলের চেষ্টা করা; শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামী উহার সভাপতি এখন, এবং দলটি করা হয়েছে রাইফেল হাতে দেশের সরকার দখলের পর।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেসব লিলিপুটিয়ানরা বেগম জিয়ার নামে ভোটে জয়ী হতো, তারা আছে ছবিতে, শেখ হাসিনা গণ-স্বাক্ষরের দাম দেয়ার মত মানুষ নয়; শেখ হাসিনার সবকিছুতে উনার বাবা ও পরিবারের হত্যাকান্ডটা উনার মাথায় থাকে, এবং সেটাই স্বাভাবিক

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



৩৮ বছরে শেখ হাসিনার পতন হয়নি, এখনও হবে না; উনি সাধারণ মানুষের জন্য ভালো তেমন কিছু করেননি, উনি যা করেছেন, তাতে উনার বাবার হত্যাকারীরা, রাজাকাররা ও বেগমজিয়া উপকৃত হয়েছেন, কেহ বিনা চেষ্টায় রশি পেয়েছেন, কেহ লালকুটি দেখেছেন।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: সাধারন মানুষের এখন একটাই চাওয়া সেটা হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন।কিন্তু নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন নাম নীশানাও দেখা যাচ্ছে না। ভয়ের বিষয় এটাই। আওয়ামিলীগ খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে বিএনপিকে বাধ্য করতে চাইছে আওয়ামিলীগের প্রহশনমূলক নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করতে। খালেদা জিয়া নিজের মুক্তির পরিবর্তে হয়ত দলকে আদেশ দিতে পারে বিএনপিকে এই প্রহশনমূলক নির্বাচনে অংশ নিতে। বিএনপি এই ফাদে পা দিলে মহাবিপদ এই জাতির।
মানূশ বিএনপিকে পছন্দ করে কি না করে সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু অবৈধ দানবীয় আওয়ামিলীগ সরকারের পতন চায় যে কোন মূল্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.