নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চড়ুই পাখির বাসা

চড়ুই পাখির ডিম

চড়ুই পাখি ডিম পাড়ে, সেই ডিম ফুটে বাচ্চা হয়, এখানে ডিমের কোন ভূমিকাই নেই, ডিম শুধু পাখি প্রজাতির বিবর্তন ও বংশবৃদ্ধির একটি মাধ্যম মাত্র। সেই ডিমের মত আমিও পৃথিবীর প্রয়োজনে জন্মেছি, আবার বিলীন হয়ে যাব, যদি কখন ও পৃথিবীর বুকে দাগ কাটতে পারি, সেদিন আমি ডিম থেকে মানুষ হব। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।

চড়ুই পাখির ডিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চণ্ডাল রাগ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪১

(১)

আমার অনেক রাগ । অনেক মানে অনেক বেশি, অন্ধ রাগ, পাষণ্ড রাগ। অনেকে রাগলে কি করে কোন ঠিক থাকেনা, কিন্তু আমি যখন রেগে যাই, তখন নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতায় কিছু কাজ করি। রাগ যখন উঠতে থাকে, তখন প্রথমে আমার চোখ মুখ লাল হয়ে আসে। কান দিয়ে গনগনে ধোঁয়া বেরুতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণের জন্য খানিকটা হতভম্ব হয়ে যাই, কথা বলতে পারিনা, তারপর রাগ যখন চড়ে যায়, সামনে যাকে পাই তার ওপর রাগ ঝারি, কুৎসিত ভাষায় গালাগালি করি, জিনিস ভাংচুর করি, অনেকক্ষণ রাগ দেখানোর পর যখন ক্লান্ত হয়ে যাই, হাতের কাছে আর কিছু থাকেনা ভাঙার বা ছুঁড়ে ফেলার মত, সামনে আর কেউ থাকেনা অভিযোগ, অপমান বা গালি দেয়ার মত, তখন কাঁদি... যেনতেন কান্না না, বুক ভাঙা আর্তনাদ করতে থাকি, পশুর মত গোঙ্গানোর আওয়াজ হয়, মা মা বলে চিৎকার করি, তারপর... যখন ক্লান্ত লাগে, আর পারিনা কিছু করতে...তখন আমার রাগ ধীরে ধীরে কমে আসে।



আমাদের পরিবারের রাগের ইতিহাস ভালই পুরনো। আমার বাবা আর মা দুজনেই রাগের জন্য সমান বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত?)...তবে বাবার রাগ একরকম, মায়ের রাগ অন্যরকম, বাবা বদমেজাজি, কথায় কথায় রেগে যায়, রাগলে বেশ কিছু ধমকা-ধমকি করে, তারপর ঝট করে রাগ কমে যায়, আবার হাসিখুশি। ওদিকে মা এত সহজে রাগেনা, তার মাথা সব সময় ঠাণ্ডা , কিন্তু একবার কোন জিনিস নিয়ে রাগলে আর ছাড়াছাড়ি নেই, কখনও উত্তেজিত হয়না, চেঁচামেচির তো প্রশ্নই আসেনা, কিন্তু মনের মধ্যে চিরকাল সেই রাগ পুষে রাখে, কোনভাবেই কাউকে মাফ করেনা। আমি বাবা-মায়ের যোগ্য সন্তান, দুই রকম রাগই আমার রক্তে বইছে।



ছোটবেলায় আমি ছিলাম নাদুসনুদুস, বোকাসোকা একটা বাচ্চা মেয়ে, সারাদিন নিজের মনে খেলতাম, কোথাও গেলে মাকে ছেড়ে একটুও নড়তাম না, শিশুরা চঞ্চল প্রকৃতির, এই কথা ভুল প্রমাণ করার জন্য আমি একাই ছিলাম যথেষ্ট। স্কুলে ভর্তি হবার পর আমার কোন বন্ধু হলনা, সারাদিন একা একা থাকি, নিজের মনে পড়াশুনা করি, একা একাই টিফিন খাই, পড়তে শিখেই বই পড়ার তীব্র নেশায় ধরেছিল। ক্লাস টু'তে উঠেই চশমা নিতে হল, তবুও নিজের মত করে ভালই ছিলাম, কিন্তু যত বড় হতে লাগলাম পৃথিবীটা আর এত সুন্দর থাকলনা, স্কুলে অন্যান্য বাচ্চারা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, আমি অসুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে না পারলে পড়া বলে দেয়ার কেউ থাকেনা, ক্লাস টিচার আমার বাবা-মাকে ডেকে পাঠাল, বলল আমার মধ্যে অ্যান্টি সোশ্যালের লক্ষণ স্পষ্ট। আমাকে মানুষের সাথে মিশতে শিখাতে হবে। কেউ এই সহজ কথাটা বুঝলনা যে আমার কাউকে দরকার নেই, আমি একা একা অনেক ভাল আছি, আর এভাবেই থাকতে চাই, মা আমাকে জোর করে অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে পাঠাত, আমাকে নাচ আর গানের ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিল, বই পড়ার ওপর কারফিউ জারি করল, তখন থেকেই আমার রাগের সূত্রপাত, সারা দুনিয়ার ওপর আমি রেগে ছিলাম, এই সমাজ নিজেদের মত করে নিয়ম বানায়, যারা সেই নিয়ম মানতে চায়না, তাদের অ্যান্টি সোশ্যাল নাম দিয়ে দূরে ঠেলে দেয়।



যাইহোক মায়ের শত চেষ্টাতেও কাজ হলনা, আমি কোন বন্ধু ম্যানেজ করতে পারলাম না, মেয়েদের জন্য খেলাধুলার এত সুযোগই বা কোথায়...নাচ আর গানের ক্লাসেও একি অবস্থা, তবে বই পড়া চলতে লাগলো। রেজাল্টটা চলনসই হত বলে মা-বাবাও আর কিছু বলতনা। ততদিনে আমার চরিত্রের আরেকটা দিক বের হয়ে এসেছে, আমি রাগ করা শিখে গেছি...পান থেকে চুন খসলেই লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে দিতাম, আমার প্রতিটা জিনিস আমি আমার মত করে চাইতাম, এর কোন ওলটপালট হলে আমাকে সামলানো মুশকিল হয়ে যেত। মা ভয়ে আমাকে চটাত না। যা বলতাম তাই শুনত। আর আমার চাহিদাও তো বেশি ছিলনা, শুধু নিজের মত করে থাকতেই তো চাইতাম, এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন অন্যায় নেই?



বুয়েটে ভর্তি কোচিং করার সময় আসিফের সাথে পরিচয়। ছেলেটা একেবারে আঠার মত পিছনে লেগে থাকত, রাস্তায় আসার সময় আমার সাথে সাথে হেঁটে আসতো, আমি কথা বলা পছন্দ করিনা বলে সেও চুপ করে থাকত। তবু তার আমার সাথে থাকা চাই। আমাকে ফোন করলে ফোন ধরে কথা বলতাম না, আসিফও চুপ করে থাকত, দেখা যেত কয়েক ঘণ্টা আমরা কথা বলেছি, অথচ কিছুই বলা হয়নি...প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও আমার জীবনে আসিফের উপস্থিতি একসময় মেনে নিলাম। এই প্রথম আমি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালবাসতে শিখলাম।

(২)

আজ আসিফের সাথে আবার ঝগড়া করেছি, ঝগড়া বললে ভুল হবে, ঝগড়া হয় দুই পক্ষ মিলে, আমাদের ঝগড়ায় আসিফের কোন ভূমিকা ছিল না। আমি একাই যা করার করেছি, রাগে আমার সারা গা জ্বলছিল...হাত এত জোরে মুঠ করেছিলাম যে নখ বসে যাচ্ছিল... আমি ভেবেছিলাম আসিফ ইন্ডিয়া যাচ্ছে... আমাকে না বলে...আমি ভেবেছিলাম ও আর ফিরে আসবে না, আমাকে ও আর সহ্য করতে পারেনা... ও আমাকে ভালবাসতে ভুলে গেছে...ও আসলে কোথাও যাচ্ছেনা, ফেসবুকের ইভেন্টটাতে এমনিতেই গোয়িং সিলেক্ট করেছে সেটা বোঝার আগেই আমি তীব্র তাণ্ডব চালিয়েছি ওর ওপর, অকথ্য ভাষায় ওর সাথে কথা বলেছি, এবং কখনও যা করিনি আজ তাই করেছি...ওর মাথায় গ্লাস ছুঁড়ে মেরেছি... গ্লাসটা মাথায় না লেগে কাঁধে লেগেছে, ও কিছুক্ষণ অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, তারপর কিছু না বলে বেরিয়ে গেছে।

(৩)

অন্যদিন আমার রাগ ঠাণ্ডা হতে যতক্ষণ লাগে আজ তার চেয়েও অনেক বেশি সময় লাগছে। কিছুতেই কান্না বন্ধ করতে পারছিনা...আসিফ আবার আমাকে মিথ্যা কথা বলেছে, সে আর আমার কথা শোনে না, আমি ওকে পইপই করে ওই ছেলেগুলোর সাথে ঘুরতে মানা করেছি, অথচ ও কাল বিকেলে ওদের সাথেই ছিল... আমাকে বলেওনি...আজ জিজ্ঞেস করাতে বলেছে, আমাকে নাকি ভয়ে বলেনি, আমাকে সবাই ভয় পায়...মা-বাবা, আসিফ পর্যন্ত...কেউ আমাকে কোনদিন ভালবাসতে পারবেনা... আমি কারও ভালবাসার যোগ্য না... আমি শুধু সবাইকে কষ্ট দিয়ে বেড়াই। কিন্তু আমার ভেতরে যে কষ্ট বাস করে তার খবর কে রাখে? আমি যে অনেক ভয় পাই...আমাকে ছেড়ে সবাই চলে যাবে এই ভয়... তা কি কেউ বোঝে? এই ভয়ে আমি কোন মানুষের সাথে কাছে ঘেঁষি না...কারন একবার তারা জীবনে জায়গা করে নিলে শুধু কষ্টই দেয়... আসিফ ও কি তাই করছে না? আমার ভেতরে যে রাগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তা তো আমার নিয়ন্ত্রনে নেই, কেউ কেন বোঝেনা?



আমি কাঁদতে থাকি, কাঁদতে কাঁদতেই আসিফের মোবাইলে ফোন করি... ও রিসিভ করেনা...আমি আরও কাঁদি...আমার কান্না ফুরায় না... আজ আমার রাগের বদলে ভয় লাগতে থাকে... তবে কি আসলেই সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে?

(৪)

দু’পাতায় বিশটা ওষুধ। বুঝতে পারছিনা এতগুলো লাগবে কিনা। না লাগলেও খেয়ে ফেলতে হবে...রেখে দিয়ে কি হবে? তাছাড়া বলা যায়না, কম খেলে কাজ নাও করতে পারে। আমি পানি দিয়ে একে একে ওষুধগুলো গিলতে থাকি, তারপর বাতি নিভিয়ে শুয়ে পরি, জীবনে শেষ বারের মত আমার রাগ লাগতে থাকে...কেন এখনও ঘুমিয়ে পড়ছি না...কিন্তু আমি আর রাগ করার সময় পাইনা... প্রতিটা অর্থহীন রাগের মত এই রাগটাও অর্থহীন করে দিয়ে আমার ঘুম এসে যায়। সবাই আমাকে ত্যাগ করার আগে আমিই সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে থাকি।





মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫১

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: চড়ুয়ের পাখির ডিম! কি অদ্ভুত সুন্দর নিক :-*

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০১

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: হেহে.... শরমাইলাম :)

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০০

সাদাসিধা মানুষ বলেছেন: এক নিশ্বাসে পড়ে যাচ্ছিলাম...খুব ভাল লাগছিল পড়তে :)

কিন্তু..

কিন্তু...

কি ভয়ংকর সমাপ্তি! :||

একটু মিস্টি করে শেষ করা যেত না????

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৬

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: আসলে অতিরিক্ত রাগ একধরনের মানসিক সমস্যা, যা প্রায়ই ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। সেজন্যই এভাবে শেষ করেছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৭

অকৃতজ্ঞ বলেছেন: ভাল ছিল।কিন্তু এমন ধাম করে মেয়েটাকে মেরে ফেললেন?? :(
ভালই তো লাগছিল রাগী মেয়েটার রাগারাগি :(

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০২

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: হুম....মেরেই ফেললাম, এত রাগ নিয়ে কেউ বেঁচে থাকতে পারেনা :( :(

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৫

ঝুমকু বলেছেন: আমি তো ভেবেছিলাম াপনার রাগের কথাই বলছেন বুঝি ভাবছিলাম রাগ কমানোর জন্য কিছু উপদেশ ঝাড়ব কিন্তু সে সুযোগ তো দিলেন না
গল্প সুন্দর হইছে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৬

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: আমার রাগও কিন্তু কম না, রাগ কমানোর উপদেশ চাইলে দিতে পারেন, অনেক কাজে লাগবে :D

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪১

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: বাব্বাহ!!এত্ত রাগ...!তবে সুন্দর হয়েছে...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৭

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৮

সাবিহা তন্বী বলেছেন: "রাগলেন তো হারলেন "

এটা জানি কিন্তু কখ্নও মানিনা।

নাহ এটাই আমাকে শেষ করল।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২২

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: আমারও একই অবস্থা :(

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৩

মাহ্‌মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: তমাপুর সাথে আমার অনেক মিল দেখি। :( আমার রাগের কোন আগামাথা নাই।

গল্প ভাল্লাগছে। :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৬

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: থ্যাঙ্কু :D

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩২

জাতির নানি বলেছেন: নামের সাথে গল্পটাও সুন্দর ++ :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৭

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: ধইন্যবাদ নানি :D

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯

একটু স্বপ্ন বলেছেন: কেও এই অদ্ভুৎ রাগী মেয়েটাকে না বুঝলেও আসিফের বুঝার কথা ছিল, তাকে সে বুঝে বলেই তো ওকে স্রোতের উল্টোতে গিয়ে ভালবেসেছে। কিন্তু ছেলেটি নিজেকে সাধারণের দলে নামিয়ে নিল। এটুকু নির্দোষ সমালোচনা ছাড়া পূরোটাই উপভোগ করেছি। লেখার জন্য আপনার হাত নিশ্চয়ই নিশপিশ করতে থাকে, আমারতো তাই মনে হয়। ভাল হোক।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৩

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: অনেকটা পথ একসাথে চলতে গিয়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়, তারপর হাল ছেড়ে দেয়। আসিফের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, সে হয়ত আর মেয়েটির রাগ সামাল দিতে পারছিলনা।

হ্যাঁ, লেখার জন্য হাত আসলেই নিশপিশ করে, লেখিও অনেক, তবে বেশিরভাগই অসমাপ্ত থেকে যায়, শেষ করা হয়না। :(

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ৬ রিপুর ২য় রিপু হচ্ছে ক্রোধ। এটা মানুষকে এভাবেই শেষ করে দেয়।

গল্প ভালো হয়েছে। চরিত্রায়ন চমৎকার।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৪

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। :)
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ :)

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

অদম্য১২৩৪ বলেছেন: দারুণ হয়েছে

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৬

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: থ্যাঙ্কু :)

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৫

গোর্কি বলেছেন: "এক্সেস অফ এনিথিং ইজ ব্যাড"। ভাল লেগেছে ঝরঝরে লেখা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৬

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৩

একটু স্বপ্ন বলেছেন: আসিফ সম্পর্কিত ব্যাখ্যাটি যথাযথ হয়েছে। তবে সে কিন্তু হাল ছেড়ে না দিয়ে নিজেকে অসাধারণ ছেলেতে উন্নীত করতেই পারতো। কে জানে হয়তো মেয়েটির চরিত্রের গ্রহনযোগ্য মাত্রার পরিবর্তনও আনতে ছেলেটি।
আচ্ছা আপনি কি গল্পটির দ্বিতীয় একটি উপসংহার লিখবেন, বিশেষ করে ছেলেটি কাধে আঘাৎ পেয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে? লিউ টলষ্টয় তাঁর "শয়তান" নামক উপন্যাসে তিনটি ভিন্ন উপসংহার লিখেছেন। আমার কাছে ভাল লেগেছিল।

যদি বিরক্ত না হন তবে আমার এ ছোট লেখাটি পড়তে অনুরোধ জানাই?
Click This Link

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩০

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: "শয়তান" পড়িনি, তাই এক্সপেরিমেন্টটা আপাতত করতে পারছিনা, পড়ে ভাল লাগলে অন্য কোন গল্পে এভাবে লেখার চেষ্টা করব।

আপনার লেখা পড়েছি, ভাল লেগেছে। :)

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর লিখা, নিকটাও :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৭

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:


চড়ুই পাখির ডিম আমি দেখেছি ---এই এত টুকুন ---হা হা :) :)

সুন্দর লিখা

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৮

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: চড়ুই পাখিই এত্ত ছোট, তার ডিম আর কত বড় হবে? :p

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: চড়ই পাখি ১২টা,ডিম পেরেছে ১৩টা।একটা ডিম নষ্ট,চড়ুই পাখির মনে বড় কষ্ট" :P
আজবতো!!আপনার নিক দেখে ছোটবেলার এই লাইনগুলো কেন মনে পড়ল!!
গল্পের মেয়েটার মত আপনার আবার এত রাগ নেইতো?ভাংচুরের অভ্যাস আছে নাকি? :P

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১০

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: হুম....কবিতাটা আমারও মনে আছে :D

১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৮

জয় রাজ খান বলেছেন: রাগ আসলেই ভয়ংকর জিনিস! রাগের মাথায় করা কোন কাজি ভাল হয় না। :| গল্প ভাল হয়েছে।।

অফটপিক- রাগ নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম অনেক আগে, আপনার লেখাটা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল, যদিও ওটা পুরোপুরি রাগের বিপরীত! কেন জানি রাগতে পারি না!!! পড়ার আমন্ত্রণ রইলো :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৩

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: হুম...আপনার লেখা পড়লাম, আমার তুলনায় আপনাকে তো সাধু সন্ন্যাসী মনে হয়। :P
আমার রাগ আসলেই অনেক বেশি। কন্ট্রোল করতে পারিনা। :(

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: গতিময় গল্প। কাহিনী ভালোই এগুচ্ছিলো। কিন্তু ফিনিশিংটা মনঃপুত হলনা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫১

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: হুম... :(

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

জয় রাজ খান বলেছেন: ইয়ে কিঞিত লজ্জা পেলুম :!>

হা হা মেডিটেশন করেন। কন্ট্রোল হবেই...শুভকামনা।। :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

চড়ুই পাখির ডিম বলেছেন: হাহা... পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু মেডিটেশন এর সময় বা ধৈর্য কোনটাই নাই :/ :/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.