![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
একটু একটু করে হামাগুড়ি দিয়ে মাকে ছুয়ে দিতে চায় অনিন্দিতা। অথচ এই মা আজ সকালে খুব জোরে এক চড় লাগিয়েছেন তার ছোট তুলতুলে গালে! তার চিৎকারে ঘুম থেকে নানী উঠে এসে তাকে কোলে তুলে নিয়েছে। অথচ মা তাকে কোলে নেয় নি! অতপর নানী তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ভৎসর্নার সুরে বলেছেন,''কেন বাচ্চা মেয়েটাকে জোর করে দূরে ঠেলে দিচ্ছিস! দুধের শিশু! মায়ের শরীরের গন্ধের আশায় উন্মুখ হয়ে থাকে! একটু কোলে নিলে কি তোর শরীর খসে পড়বে?''
তবুও অনিন্দিতাকে কোলে তুলে নেয় নি আদৃতা। চোখে মুখে কৃত্রিম কাঠিন্য ফুটিয়ে মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে চলে এসেছে। নানীর কাছে থেকে অভ্যস্ত হোক। যত দ্রুত সে মাকে ভুলে যাবে ততই মঙ্গল! অথচ এই শিশুটিকে নিয়ে অনিক আর আদৃতার ভালোবাসার চাদরে থোকা থোকা ফুলের মত রঙিন সুতোয় বুনিত হয়েছিল স্নেহের আকাশ চুম্বি স্বপ্ন! অনিন্দিতার পৃথিবীতে আসার প্রতিটি অনুভুতি মনে রেখেছে আদৃতা! বারো সপ্তাহ পর যখন ডাক্তারের কি যেন এক যন্ত্রে প্রথম ফিটাল হার্ট সাউন্ড শোনা যায় সে খুশিতে উদ্বেলিত হয় অনিককে ডেকে বলেছে ,''দেখো আমার বাবু নিশ্বাস নিচ্ছে!''
একটু একটু অনিন্দিতার তার মাঝে বড় হওয়াকে সে গভীরভাবে অনুভব করেছে! তার শিশুর তার মাঝে নড়াচড়া দেখে গভীর বিস্ময়ে চেয়ে থেকেছে! এই নড়াচড়াকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় সম্ভবত বলে ব্রাক্সটন হিক'স সাইন। তার শিশুটি যে তার মাঝে আছে তার নিশ্চিত প্রমাণ! স্বতির নিশ্বাস ফেলেছে আদৃতা! তার সীমাহীন খুশি ইউটেরাসের ব্যাথাহীন সংকোচনে ছড়িয়ে পড়েছে তার রক্তের অববাহিকায়! মা হওয়ার এই সীমাহীন তৃপ্তি সে ছড়িয়ে দিয়েছে পরিবারের সবার মাঝে! আর আজ এই শিশুকে নিয়েই তার যত দুশ্চিন্তা! এমন কি তার গায়ে হাতও তুলেছে সে, যে অভিমানে শিশুটি মাকে ভুলে যাবে! মায়ের কাছে আর আসতে চাইবে না!
ঘরের লাইট নিভিয়ে ঘরকে আরো অন্ধকার করে দেয় আদৃতা! আজকাল অন্ধকার তার বেশি ভালো লাগে! একটু একটু করে নিজের ছায়াও মিলিয়ে যায়! রাত গভীর হয়! তার দু চোখে আসে কিছুটা প্রশান্তি! কোলাহল এখন আর আগের মত ভালো লাগে না! দম বন্ধ হয়ে আসে পাখির কিচির মিচিরে! আর যখন জীবনের কাটা ঘুরে ঘুরে হয় টাইম বোমের মত! যে কোন সময় শেষ হয়ে যেতে পারে সব কিছু, তখন অন্ধকারের চেয়ে বেশি আর কে ই বা নৈকট্য হতে পারে! এই আঁধারে নিমেষেই লুকিয়ে যায় জীবনের সব কষ্টগুলো!
আস্তে আস্তে স্বামীর কাছে সরে যায় আদৃতা। স্বামীর হাত দুটোকে শক্ত করে চেপে ধরে গভীর মমতায়। অনিক যে বিরক্ত হচ্ছে ঢের বুঝতে পারে আদৃতা। তবুও হাতদুটো ছাড়তে ইচ্ছে হয় না!
আর অনিকও তো কম সহ্য করে নি! আর কত! অসুস্থ বউকে নিয়ে দিনের পর দিন ডাক্তারের কাছে ছুটে বেরিয়েছে! পাগলের মত দিশাহীন হয়ে ঘুরে বেরিয়েছে রাস্তায় রাস্তায়! তারও তো জীবন আছে নাকি! অসুস্থ বউকে নিয়ে আর কত দিন! মাঝে মাঝে আদৃতার খুব কষ্ট হয়! মনে হয় এখনই হয়ে যাক সব কিছুর অবসান। 'মার্সি কিলিং' নামে একটা কথা প্রচলিত আছে পৃথিবীর কিছু দেশে। ইংলিশে একে বলে EUTHANESIA. খুব অসুস্থ রোগীদের ওভার ডোজ ড্রাগ দিয়ে মৃত্যুকে এগিয়ে আনা হয়। এতে তাদের কষ্ট লাঘব হয়! তার ক্ষেত্রেও কি এমন কিছু হতে পারে না! .....না......না। ভয়ে শিউরে ওঠে আদৃতা! সে আরো কিছু দিন বাঁচতে চায়! আরো কিছু দিন সে থাকতে চায় অনিক আর তার একমাত্র মেয়ে অনিন্দিতাকে সাথে নিয়ে।
এ সময় ড্রয়িং রুম থেকে অনিন্দিতার কান্নার শব্দ ভেসে আসে। আদৃতা ছুটে যায় দরজার কাছে! আবার ফিরে আসে! আবার ছুটে যায়! কেউ কি তার মেয়েটি কোলে তুলে নিচ্ছে না? একটু পর থেমে যায় অনিন্দিতার কান্না। তার নানীর কন্ঠ ভেসে আসে ,''এই যে নানু , কাঁদছো কেনো? দেখো আমি তোমার জন্য কি নিয়ে এসেছি?'' অনিন্দিতার কান্না থেমে যায়। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আদৃতা। তবুও সাতপাঁচ ভাবনায় জটলা পেকে থাকে মন। আস্তে আস্তে তা গভীর শংকায় রুপান্তরিত হয়ে কালো মেঘে গর্জন তুলে আদৃতার দু চোখে দিয়ে যায় এক পশলা বৃষ্টি! সে যখন থাকবে না কে দেখে রাখবে তার মেয়েকে? অনিক যদি নতুন বিয়ে করে সৎ মা আনে? সে কি তাকে ভালোবাসবে আপন মায়ের মত?
আদৃতার শাশুড়ি ইতোমধ্যে ছেলের জন্য নতুন করে বউ খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন! ও পাড়ার এক ঘটকের কাছে সন্ধানও পেয়েছেন দুটি মেয়ের। আর চিবিয়ে চিবিয়ে বলেছেন ,''মেয়ে সুস্থ সবল হতে হবে। ছেলের বাচ্চার যত্ন নিতে হবে। দু দিন পর পর ব্যামো বাঁধাবে এমন রোগা পটকা হলে চলবে না।'' আদৃতা সব শুনেও না শোনার ভান করে থেকেছে! এগুলো তার অনাহুত ভবিষ্যতের জন্য আয়োজন! যেখানে সে মুছে যাওয়া স্মৃতি হয়ে কেবল ছবির সাটানো ফ্রেমে ঝুলে থাকবে! আচ্ছা EUTHANESIA কি এর থেকেও বেশি নিষ্ঠুর? সেখানেও কি এভাবে আমাদের সামাজিক নিয়মের মত মৃত্যুর আয়োজন করা হয়? হয়ত না! সেটি বরং এর থেকে ভালো! সেখানে কষ্ট লাঘব হয়, আর এখানে বুকের উপর পাথরের মত চাপিয়ে দেয়া হয় এক বোঝা কষ্ট! নিজের মত করেই উত্তর তৈরী করে নেয় আদৃতা!
হঠাৎ সে মাথার প্রচণ্ড ব্যাথায় বিছানায় এলিয়ে পড়ে! একবার সংজ্ঞাহীনও হয়ে গিয়েছিল হয়ত! সেটা ঘুমের ঘোর নাকি তন্দ্রা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। হঠাৎ মনে হয় একটি শিশু বুঝি তার বুকের উপর খেলা করছে! তার তুলতুলে নরম পায়ের গদি তার পেটের উপর তুলছে সুড়সুড়ি। সে কিছুতেই শিশুটির নাম মনে করতে পারে না! শুধু মনে হয় খুব চেনা! খুব পরিচিত একজন! যে হুবুহু তারই মত দেখতে! অনেকক্ষন ভেবে বুঝে এ তার নাড়িছেঁড়া ধন! তার এক মাত্র মেয়ে অনিন্দিতা! এটা হয়ত ব্রেইন এবসিসের সব থেকে শেষের দিকের লক্ষণ! আস্তে আস্তে সব ভুলে যাবে। আচ্ছা তার শিশুটিকেও কি সে ভুলে যাবে? যে ছিল তার শরীরের অংশ? তার শরীর থেকে নিউট্রিশান , রক্ত, অক্সিজেন সব শুষে নিয়ে যে তিল তিল করে তার মাঝে বেড়ে উঠেছে? রোগের দাপটে মানুষ কি তার আত্মাকেও ভুলে যায়? হয়তবা!
বহুদিন পর হয়ত বড় হয়ে অনিন্দিতা লোকের মুখে শুনবে তার মায়ের কাহিনী। অনেকটা রুপকথার গল্পের মত! তারও এক মা ছিল! যে তাকে অনেক ভালোবাসতো! কখনো কখনো সেই মা তাকে দূরেও সরিয়ে রেখেছে! অনিন্দিতা কি বুঝবে তার মায়ের সীমাহীন ক্ষয়িষ্ণু ব্যাথার হৃদয় খনক কাহিনী! হয়ত বুঝবে! মেয়ে তো মায়েরই জাত! হয়ত সেও নিজের মত করেই সাজিয়ে গুছিয়ে নেবে তার মাকে। পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরী মায়াবতী নারীর স্থানে তাকে বসাবে। যেখানে রুপকথার রানীরাও হয় পরাজিত! রুপকথারা হয় সাঙ্গ!
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: আহারে! এখন তো সন্ধ্যা। আশা করি মজাদার ইফতার খেয়ে মন ভালো হয়েছে।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪০
নষ্ট কাক বলেছেন: কইলজার ভিতরে গিয়া ঢুকছে। চমৎকার লিখেছেন "পেলাস "
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনাকে থ্যাঙ্কস।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
বটের ফল বলেছেন: আমি খেলুমনা। এইটা কি হইল!!?? প্রথম লেখাটা পড়েই সকাল বেলা মন খারাপ হয়ে গেল । এটা কিন্তু ভালো হোলো না।
একগুচ্ছ প্লাস।
++++++++++++++++++++++++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
টুম্পা মনি বলেছেন: এখন তো সন্ধ্যা। আশা করি এখন মন ভালো।
৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
িটউব লাইট বলেছেন: টুম্পামনি কী আজ আমার মত সাহরী খাইতে পারেননি? +++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: কে বলছে? আমি সেহরী ,ইফতার সব খাইছি।
৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর লিখসেন।
শুভসকাল ||
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনাকে থ্যাঙ্কস।
শুভসন্ধ্যা।
৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭
মাহবু১৫৪ বলেছেন: উফফফ!!!
অসাধারণ
ভাল লাগা
++++++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০৩
আম্মানসুরা বলেছেন: আপনার গল্প স্বার্থক কারন পাঠক আপ্নারগ্লপ পরে মন খারাপ করেছে।
পোস্টে প্লাস।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
টুম্পা মনি বলেছেন: আপ্নাকেও প্লাস।
থ্যাঙ্কস
৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৭ম ভালোলাগা +++++++++++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
টুম্পা মনি বলেছেন: ৮ম থ্যাঙ্কস
৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বহুদিন পর হয়ত বড় হয়ে অনিন্দিতা লোকের মুখে শুনবে তার মায়ের কাহিনী। অনেকটা রুপকথার গল্পের মত! তারও এক মা ছিল! যে তাকে অনেক ভালোবাসতো!
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
টুম্পা মনি বলেছেন:
থ্যাঙ্কস
১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ++++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাঙ্কস
১১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
অদৃশ্য বলেছেন:
অপূর্ব...
অপূর্ব হয়েছে লিখাটি... খুবই অল্প সময়ের ভেতরে আপনি অপূর্ব একটি গল্পের অত্যন্ত সুন্দর একটি সমাপ্তি টেনেছেন...
অনেক কষ্টের গল্পে শেষে এসে চরম এক প্রাপ্তির কথা বলেছেন... যেটা মায়েদেরকে সৃষ্টিকর্তা অকৃপণ হাতে দিয়ে রেখেছেন... মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা...সন্তান তার মাকে সবসময়ই '' পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরী মায়াবতী নারীর স্থানে তাকে বসাবে। যেখানে রুপকথার রানীরাও হয় পরাজিত! রুপকথারা হয় সাঙ্গ!
শুভকামনা...
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। আপনার উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা আমার পথ চলায় পাথেয় হবে। কৃতজ্ঞতা।
১২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব নিষ্ঠুর এবং মায়াময় একটা গল্প। চমৎকার।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিগ হামা।
শুভরাত্রী।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
দি সুফি বলেছেন: +++++
মন খারাপ হয়ে গেল
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: আহারে!
শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আগে খুব সহজেই মরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারতাম। কিন্তু এখন ভুলেও সেটা ভাবি না।
খুবই মন খারাপের একটা গল্প। প্রার্থনা করি এমন ঘটনা যেন শুধু গল্পেই ঘটে।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
টুম্পা মনি বলেছেন: প্রার্থনা করি এমন ঘটনা যেন শুধু গল্পেই ঘটে।
বাস্তবেও ঘটে আপু। আমি নিজেই এমন ৩টি ঘটনা দেখেছি। চারপাশের প্রভাবে এমন মায়েদের মনের অবস্থা কি হতে পারে তা জাস্ট আঁকতে চেষ্টা করেছি।
শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: মা নিজেকে সরিয়ে রাখছে মেয়ের কাছ থেকে, প্রস্তুতি নিচ্ছে চিরবিদায়ের । এরকম কঠিন একটা বিষয় কি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে !
ভালোলাগা ++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
টুম্পা মনি বলেছেন: এভাবে বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে অনেক সময় সমাজ বাধ্য করে!
শুভেচ্ছা
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
একজন আরমান বলেছেন:
আমি আপনার যতোগুলো লেখা পড়েছি তার মধ্যে এইটি আমার কাছে সর্ব শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে।
অফ টপিকঃ আপু কি ডাক্তার?
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন: এখনো না। তবে হবো ইনশাআল্লাহ্।
শুভেচ্ছা আরমান।
১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন:
কৈলজার ভিতর ঘা খাইলাম।
ভাল লিখছেন
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০
টুম্পা মনি বলেছেন: আহারে! কইলজা সিরোসিস হয়া যায় নাই তো আবার!
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! একটা লেখা লিখে মানুষের মন খারাপ করিয়ে দিতে পারাটা সহজ কিছু নয়। অনেক ভালো লাগল।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা। এই কমপ্লিমেন্টগুলো মনের খাঁচায় তোলা থাকবে।
১৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এ সময় ড্রয়িং রুম থেকে অনিন্দিতার কান্নার শব্দ ভেসে আসে। আদৃতা ছুটে যায় দরজার কাছে! আবার ফিরে আসে! আবার ছুটে যায়! কেউ কি তার মেয়েটি কোলে তুলে নিচ্ছে না?
আহ এই লাইন ক'টিতে ফুটে উঠেছে সন্তানের জন্য মায়ের চিরকালীন উৎকন্ঠা।একজন মা যে মাত্র কিছুদিন পরেই মারা যাবে, চাচ্ছে তার শিশু সন্তান তাকে ভুলে যাক; তাই সে সন্তানকে দূরে রাখতে শুরু করে, তাকে আঘাতও করে। কিন্তু যখনই তার শিশুটির কান্নার শব্দ কানে আসে সে অস্থির হয়ে ওঠে।আহারে, তাকে সে কোলেও নিতে পারে না, তার কাছেও যেতে পারে না। স্বেচ্ছা বারণ যে।
এই মায়ের বেদনা, সব উৎকন্ঠা হৃদয় দিয়ে অনুভব করলাম।
কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। মা একদিন সুস্থ হয়ে যাবেন। আদরের শিশু মেয়েটিকে কোলে তুলে নিবেন। মায়ের কোলে শিশুটি খুনসুটিতে মগ্ন হবে।এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর হয় নাকি।
চমৎকার লিখেছেন। ভাল থাকবেন। আর বেশি বেশি করে স্বপ্ন দেখবেন, কেননা স্বপ্নই সম্ভাবনা।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: '' কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। মা একদিন সুস্থ হয়ে যাবেন। আদরের শিশু মেয়েটিকে কোলে তুলে নিবেন। মায়ের কোলে শিশুটি খুনসুটিতে মগ্ন হবে।এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর হয় নাকি। ''
ঠিক তাই! এর থেকে বেশি সুন্দর হয় না। আসুন আরেকটু বেশি স্বপ্ন দেখি। আদৃতা অসুস্থ হবার পর তার স্বামীর ভালোবাসা আরো বেড়ে গেছে। তার শাশুড়ি ঠিক তার মায়ের মত। সে তার ছেলের জন্য নতুন বউ দেখা শুরু করে নি। বরং পুত্রবধুর এত সেবা করছে যে সে সুস্থ হয়ে উঠতে বাধ্য। একদম আপন মেয়ের মত সে তাকে ভালোবাসে। বলুন তো আমার স্বপ্নটি কেমন?
অসংখ্য শুভেচ্ছা।
২০| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মন খারাপের গল্প !
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম!
শুভেচ্ছা রইল।
২১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
এরিস বলেছেন: কখনো কখনো সেই মা তাকে দূরেও সরিয়ে রেখেছে! অনিন্দিতা কি বুঝবে তার মায়ের সীমাহীন ক্ষয়িষ্ণু ব্যাথার হৃদয় খনক কাহিনী! হয়ত বুঝবে! মেয়ে তো মায়েরই জাত!
টুম্পামণি একটি নিষ্ঠুর গল্প লিখে আমাদের মন খারাপ করিয়ে দিয়েছে। আদৃতা হয়তো অসুস্থতার জন্যে চলে যাবে, কিন্তু নিয়তি সবার জন্যে সত্য। আজ হোক, কাল হোক, সব মা গত হবে। অনিন্দিতা, ওই অবুঝ শিশুটি মাকে যতটা মিস করবে, একটি প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান ও তেমন করেই মাকে মিস করবে।
টুম্পামণি কি করে লিখল? অনেক সাহস তার। সেওতো মায়ের জাত!!
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: ''আজ হোক, কাল হোক, সব মা গত হবে। অনিন্দিতা, ওই অবুঝ শিশুটি মাকে যতটা মিস করবে, একটি প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান ও তেমন করেই মাকে মিস করবে। ''
ঠিক। অনেক মাই পান মাতৃত্বপূর্ণের আস্বাদন। কিন্তু যে সব মায়েরা পান না আসুন একটু ভাবি তাদের নিয়ে। পৃথিবী থেকে সীমাহীন দুঃখ নিয়ে বিদায় নেয়ার আগে একটু ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে চেপে ধরি তাদের হাত।
অনেক শুভেচ্ছা এরিস এত সুন্দর মন্তব্য দিয়ে আমার উৎসাহিত করার জন্য।
২২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
পেন্সিল চোর বলেছেন: টুম্পা মনি,
আপনেরে না কইছিলাম যে দুঃখের কাহিনী না লিখতে!!!
আপনে খালি পেন্সিল চোররে কষ্ট দেন!!আপনের লগে আড়ি !!!
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৩
টুম্পা মনি বলেছেন: পেন্সিল চোর জিব্লা বের করে সব সময় আমাকে ভেঙ্গায়। এ জন্যই দুঃখের কাহিনী লিকছি।
২৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এভাবে মন খারাপ করে দেয়ার জন্য মাইনাচ! আর এই পোষ্টের বাবুটা ও কিউট!
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৪
টুম্পা মনি বলেছেন: খালি ছবি দেখার জন্য থাংকু
মাইনাচের জন্য ওয়েলকু
২৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ওসাধারন!কিন্তু কষ্টের !
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এভাবে মন খারাপ করে দেয়ার জন্য মাইনাচ! আর এই পোষ্টের বাবুটা ও কিউট!!
বাবুটা আসলেই বেশি সুন্দর! +++++++
২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: বাবুটা সত্যি খুব কিউট। তাই তো তার ছবি ইউজ করেছি।
শুভেচ্ছা রইল গল্প পাঠের জন্য।
২৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: হৃদয়ের ভেতরে নাড়া দেয়া লেখা ।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য।
২৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
শহুরে আগন্তুক বলেছেন:
২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
টুম্পা মনি বলেছেন:
২৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম!
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
সবশেষে কষ্টটাই মানুষের কাছে মূল্যবান হয়ে ওঠে। কেননা কষ্টই মানুষকে খাঁটি করে গড়ে তোলে। আপনার এই কষ্টময় মায়াধরা গল্পটি পড়ে আমার মনে হলো আমি গল্প লিখতে পারলে আপনার মতো এত ভাল লেখক হতে চাইতাম না, কারণ আমি আপনার মতো করে পারতাম না।
গল্পের মাঝ থেকে শেষ পর্যন্ত ভাষার ব্যবহারটি আমার খুব ভাল লেগেছে।
এরকম হৃদস্পর্শী গল্প ভাল না রাগার কোন কারণ নেই।
খুব করে ধন্যবাদ টুম্পা মনিকে।
ভাল থাকুন সোনালি দিনের প্রীতিভরা অঙ্গনে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: এমন উৎসাহ পথ চলায় পাথেয় হবে খেলোয়াড়। কৃতজ্ঞতা।
২৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২২
দ্য েস্লভ বলেছেন: পড়লাম পুরোটা। অনেক দু:খ কষ্টে ভরা। সমাজেরই চিত্র। খারাপটা গ্রহন করতে না চাইলেও সেটা ক্রমাগত ঘটে চলেছে। আপনার লেখার হাত শক্ত আছে। তবে শুধু দু:খ কষ্ট নিয়ে লিখলে পাঠক ক্ষোভে দু:খে কালাতিপাত করবে,তাই তাদের কথা ভেবে আনন্দময় পোষ্টও হতে পারে......
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
টুম্পা মনি বলেছেন: আনন্দময় পোষ্ট লিখব? মজার কথা কি জানেন কয়েকটি দুঃখের গল্প মাথায় ঘুরছে,কিন্তু সময়ের অভাবে তাদের ভাষারূপ দিতে পারছি না।
আমার এই লেখাটি Click This Link পড়বেন। আশা করি ভালো লাগবে। শুভেচ্ছা।
৩০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৩
রোমেন রুমি বলেছেন: ছুঁয়ে যাওয়া একটা জীবনের গল্প ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুমি।
৩১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
ইসসস ! কি অসম্ভব মন খারাপ করা গল্প ! পড়তে পড়তেই নিজের বাচ্চাটাকে আদর করে নিলাম
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি। আমার তরফ থেকেও বাবুর জন্য অনেক অনেক আদর।
৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: এক খন্ড বাস্তবতা যা রূপকথাকেও হার মানায়। অনেক ভাল লিখেছেন +++++++
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৯
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিয়াজ। আমার ব্লগে স্বাগতম।
৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
ইখতামিন বলেছেন:
অনেক সুন্দর লিখেছেন
+
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন।
৩৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এত আবেগ দিয়ে কিভাবে লেখেন! অবাক লেখা!!
অনিন্দিতার জন্য মায়ের যে আকুতি ভালবাসা লেখনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তা এক কথায় অসাধারন। সন্তানের জন্য সব মায়েরই অসীম মমতা থাকে, কিন্তু তা ভাষায় বলে প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য, লেখনিদ্বারা সেটা আরো কঠিন। আপনি এই কঠিনতম কাজটাই অবলিলায় করে ফেলেছেন।
আপনার বাকি লেখাগুলো ঘুরে ঘুরে পড়ে ফেলতে হবে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: এমন উৎসাহ পথ চলায় পাথেয় হবে। অনেক ধন্যবাদ।
৩৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ে দেখতে হবে অন্য লেখাগুলোও। এই লেখাতাও সুন্দর।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৬
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা প্রোফেসর।
আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
আর কৃতজ্ঞ হচ্ছি আপনার অনুপ্রেরণায়।
৩৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++++++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস।
৩৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কেমন মন খারাপ করে দেপ্লাসটা নিওয়া গল্প । পড়লে কেমন অস্থির লাগে ! অনেকককককককককককক ভালো লাগলো ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
টুম্পা মনি বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার পাঠের জন্য। গল্পটা অনেক মায়া দিয়ে লেখা। কতটুকু বাস্তবতা ফোটাতে পেরেছি জানি না। তবে আমার চেষ্টার কোন কমতি ছিল না।
শুভদুপুর।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৩
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
টুম্পামনি , এটা কি লিখলেন!!! ভোর বেলায় মন খারাপ করে বসে আছি!!