![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
নাফিসার জায়গায় অন্য কোন পেসেন্ট হলে হয়ত এতক্ষণে মানসিক রোগী হিসেবে একটি ডায়াগনোসিস ধরিয়ে দিয়ে মেন্টাল ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে দিতাম। কিন্তু ওর ক্ষেত্রে কিছুতেই মানসিক রোগ মেনে নিতে মন সায় দিচ্ছে না। এই তো বিকেলেই ওর সাথে কথা হল। সুন্দর সাদা চামড়ায় ভাঁজ পড়ে ধুতরা দিয়ে গেছে। তবুও দেখে বোঝা যায় এক সময় অসম্ভব রুপবতী ছিল। মোটা ফ্রেমের চশমার নিচে পুরু কালো দাগ, তবুও চোখ জোড়া তীক্ষ্ণ। তাতে বুদ্ধিদীপ্তি চাহনী।
আমার দিকে ভ্রু নাচিয়ে বলল ,''তুমি কি আমাকে পাগল ভাবছো?''
আমি কিছু না বলে ওর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
আমি আর নাফিসা ছোটবেলায় একই স্কুলে পড়েছি। তুখোড় ব্রিলিয়ান্ট ছিল নাফিসা, এস এস সি, এইচ এস সি তে স্টার মার্ক্স, তারপর ভার্সিটি থেকে পাস করতে না করতেই সেই ভার্সিটিতে বায়োকেমেস্ট্রিতে চাকরী। আর আমি হলাম সাইকিয়াট্রিস্ট। যৌবনের সেই দুরন্ত সময় নাফিসার রুপে ক্রাশ খেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তার কাছে ভালোবাসা প্রকাশের আগেই তার বিয়ে হয়ে যায়। সে স্বামীসহ চলে যায় ইউ কে। তারপর শুনেছি সেখানে তার একটি মেয়েও হয়েছিল। সব মিলিয়ে পুরোদুস্তুর সুখের সংসার। এখন আবার বহু বছর পর ফিরে এসেছে। একদম একা! স্বামী এবং মেয়ে দু জনই রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। এমন অবস্থায় মানুষ POST TRAUMATIC STRESS DISORDER এ ভুগতেই পারে। নাফিসার ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হয়েছে কিনা বুঝতে চেষ্টা করছি।
নাফিসা আবার বলল ,''তুমি বিশ্বাস করো আর নাই করো আমি সত্যি বলছি! আমার মেয়ে বিপদে আছে। সে স্বপ্নে আমাকে বার বার কিছু বলতে চাইছে! কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না!''
-''নাফিসা,তোমার মেয়ে আসিফা এখন সব প্রয়োজনের ঊর্ধ্বে। সে কি করে বিপদে থাকবে? তার জীবনের সব থেকে বড় বিপদটিই সে উতরে যেতে পারে নি। তাই সে তোমাকে ছেড়ে বিধাতার কাছে চলে গেছে। বিশ্বাস করো সেখানে সে ভালো আছে! তুমি অযথাই তাকে নিয়ে ভাবছো।''
নাফিসার মুখে এবার কিছু বিরক্তির ছাপ। ''আচ্ছা তোমরা সাইকিয়াট্রিস্টরা বিধাতায় বিশ্বাস করো?''
-নাফিসা, তুমি ভালো করেই জানো আমি মনে প্রাণে একজন আস্তিক। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। এ প্রশ্ন কেন করছো?
-কারণ আমি বুঝতে চাইছি তুমি টেলিপ্যাথিতে বিশ্বাস করো কিনা? আমার ধারণা বিধাতা আমাদের মা এবং মেয়ের মাঝে যোগাযোগের অদৃশ্য ব্যবস্থা সৃষ্টি করে দিয়েছেন! জানো ,আসিফার বয়স যখন আট বছর তখন সে স্কুল থেকে ফেরার পথে একবার রাস্তার পাশের কুয়াতে পড়ে গিয়েছিল। তারপর আমরা সবাই খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। তিন দিন তাকে খুঁজে পাই নি। তারপর একরাতে ঘুমের ঘোরে আমি স্বপ্নে দেখি আমার মেয়ে কুয়াতে বসে কাঁদছে। তারপর সবাইকে নিয়ে সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখি সে আসলেই সেখানে ছিল!
অঝোরে কাঁদতে শুরু করে নাফিসা। আমি তাকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করি না। সন্তান হারা মাকে সান্ত্বনা দিয়ে লাভ নেই। কাঁদুক। কেঁদে যদি মন হালকা হয়! তারপর না হয় অন্যভাবে কাউন্সেলিং করা যাবে।
কিছুক্ষণ পর রুমাল দিয়ে চোখ মুছে আবার বলতে শুরু সে। যেন কথা বলার ঘোর চেপেছে। ''জানো, এখন আমি প্রায় রোজ রাতে স্বপ্নে দেখি আমার মেয়ে একটি রুমে বন্দী, তাকে পাড়ার বোখাটে শিম্পাঞ্জিমুখো চিকনা ছেলেটা এসে বিরক্ত করছে! এই ছেলে আসিফা বেঁচে থাকতেও তাকে বিরক্ত করতো! এজন্য আসিফার বাবা একবার পুলিশ কেইসও করেছিলেন।''
-কিন্তু নাফিসা, তোমার মেয়েকে সে এখন কি করে বিরক্ত করবে? তুমি তো নিজের চোখে তোমার মেয়ের লাশ দেখে এসেছো! তাকে কবর দিতে দেখে এসেছো! একটা মৃত মেয়ের কাছে তার কি প্রয়োজন হতে পারে! তুমি একদম অযথা ভাবছো। তুমি স্বামী ,সন্তান এক সাথে হারিয়ে স্ট্রেসে আছো। তাই এমন হচ্ছে!
-'আমি জানি না' বলে আবার কাঁদতে শুরু করে নাফিসা।
''আমার মেয়ে রোজ রাতে এসে আমাকে বলে, 'মা তুমি আমাকে একা ফেলে কোথায় চলে গেছো! ঐ কুকুরটা রোজ রাতে এসে আমাকে বিরক্ত করে। আমাকে রেপ করতে চায়! তুমি এসে আমাকে বাঁচাও মা!''
নাফিসার মাঝে স্ট্রেস আর এংজাইটি ছাড়া আমি মেজর কোন মেন্টাল এবনরমালিটি পেলাম না। তাকে কিছু সিডেটিভ ড্রাগ দিয়ে বললাম ,''ঠিক মত খাও আর নামাজ পড়ে আসিফার জন্য দোয়া করো। দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে। মানুষ যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় তখন সে আপনজনদের কাছে একটি জিনিসই চায়। তা হল দোয়া। দেখবে এরপর থেকে স্বপ্নে তুমি আসিফাকে খুশি দেখবে। দেখবে সে ভালো আছে।''
নাফিসা বুদ্ধিমতি মহিলা। তার চেহারা দেখে মনে হল সে আমার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।
তারপর প্রায় মাসখানেক পর লন্ডন থেকে নাফিসার ফোন। ''জানো আমি স্বপ্নে ঠিকই দেখেছিলাম। আমার মেয়ে সত্যি বিপদে ছিল। সে দিন যখন তোমার সাথে কথা বলে বাড়ি গিয়েছি সে দিন রাতে মেডিসিন নেয়ার পরও আমি একই স্বপ্ন দেখেছি! তারপর আর নিজেকে বেঁধে রাখতে পারি নি। সোজা টিকিট কেটে দু দিন পর চলে এসেছি লন্ডনের গোরস্থানে আমাকে মেয়েকে দেখতে! এসে দেখে ওর কবর অনেক খানি খোড়া হয়েছে। এখানে আরো কয়েকটা কবর থেকে নারী শব গায়েব! তারপর রাতের বেলা পুলিশ নিয়ে লুকিয়ে অপেক্ষা করছিলাম! দেখি ঐ জানোয়ার বোখাটে ছোকরাটা ওর সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে এসে আমার মেয়ের কবর ধরেছে। সেই রাতে ওর লাশ গায়েবের কথা ছিল! ওরা নারী শবের সাথে সংগমে মিলিত হয়। তারপর বডি নদীতে ফেলে দেয়। এ নিয়ে এদেশের পত্রিকায় বিশাল রিপোর্টও হয়েছে। আমি তোমাকে ইমেইলে লিঙ্ক সেন্ড করেছি, দেখো। ভাগ্যিস আমি সময় মত এসেছিলাম! নয়ত ওরা আমার মেয়েও......।''
নাফিসার কন্ঠ ধরে আসে। সে লাইন কেটে দেয়।
আমি নিস্তব্ধ হয়ে শুনছিলাম! বহু আগে মেডিকেলে NECROPHILIA বলে একটি টার্মের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। কিন্তু কখনো তেমন পেসেন্ট চোখে পড়েনি। আজ বাস্তবতা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। আরো বেশি অবাক হচ্ছি নাফিসা আর তার মেয়ের মাঝে সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন জগতের মধ্যে মমতার সেতু বন্ধন দেখে। মাতৃত্ব হয়ত সীমানা, কাল, মহাবিশ্বের সীমারেখা এমন কি পরজগতকেও বশ মানিয়ে মনের অদৃশ্য দরজাগুলো খুলে প্রিয়জনের কাছে পৌছে দিতে পারে কান্না,হাহাকার, অথবা সুখ-দুঃখের কথাগুলো। ব্যাখ্যার অতীত কত কিছুই তো ঘটে পৃথিবীতে!
ইমেইল খুলে রিপোর্টটা পড়লাম। নাফিসা তার মেয়ের একটা ছবিও পাঠিয়েছে। নীল চোখের হাস্যজ্জ্বল সতের কি আঠারো বছরের একটা মেয়ে! হঠাৎ করে কেন যেন মনটা বিষাদে ছেয়ে গেলো। আস্তে করে বললাম, যেখানেই থাকো ভালো থেকো আসিফা।
তারপর আবার পেসেন্ট দেখায় মনোযোগ দিলাম।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম আসলেই বাজে ব্যাপার!
শুভেচ্ছা জানবেন শীলা।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সম্ভব ?? হয়তো !
তবে টুম্পা মনির দুর্দান্ত লেখনীতে মন টা বিষাদ আক্রান্ত হতে সময় নেয় নি !
আম্মু ও নাকি নানাভাই কে মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে ! স্বপ্নে নাকি উনি আম্মুকে উপদেশ ও দেয় ! মহাবিশ্বের রহস্য আর মায়ার বাঁধন গুলো সব সময় এমনি হয় !
অনেক শুভকামনা প্রিয় গল্পকার !
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: আসলেই সম্ভব অভি। মানুষের কিছু রেয়ার ডিজিজ থাকে। এটা তার মধ্যে একটি। বাংলাদেশে অবশ্য এখনো এমন কিছু শুনি নি। তবে পাশ্চাত্যে শোনা যায়।
আর স্বপ্ন সত্যি হও্য়ার ব্যাপারটা শুনেছি অনেক বিজ্ঞানীও বিলিভ করেন। তবে এটা ঠিক স্বপ্ন বেশির ভাগ সময়ই সারা দিন আমাদের চিন্তা, কাজ, ভাবনার প্রতিফলন। আপনার আম্মুর জন্য অজস্র শুভকামনা আর দোয়া।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: আমি নিস্তব্ধ হয়ে শুনছিলাম! বহু আগে মেডিকেলে NECROPHILIA বলে একটি টার্মের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। কিন্তু কখনো তেমন পেসেন্ট চোখে পড়েনি। আজ বাস্তবতা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। আরো বেশি অবাক হচ্ছি নাফিসা আর তার মেয়ের মাঝে সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন জগতের মধ্যে মমতার সেতু বন্ধন দেখে। মাতৃত্ব হয়ত সীমানা, কাল, মহাবিশ্বের সীমারেখা এমন কি পরজগতকেও বশ মানিয়ে মনের অদৃশ্য দরজাগুলো খুলে প্রিয়জনের কাছে পৌছে দিতে পারে কান্না,হাহাকার, অথবা সুখ-দুঃখের কথাগুলো। ব্যাখ্যার অতীত কত কিছুই তো ঘটে পৃথিবীতে
আপনার লেখার হাত অসাধারন !!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হয়ত বা এতখানি ভালোও লিখি নি, তবুও আপনার অনুপ্রেরণায় প্রাণিত হলাম।
শুভেচ্ছা সতত।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
খাটাস বলেছেন: ইন্টারেস্টিং গল্প। শুরু থেকে শেষ টা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।
কল্পনা শক্তির সাথে নগণ্য বাস্তব দিয়ে অবাস্তবতার অসাধারন মিলন। অনেক গুলো +++++।
( আমি বিষাদ আক্রান্ত হউয়া ভুলে যাওয়ার চেষ্টায় আছি, তাই কষ্ট পাই না আর। লেখা পড়ে পাঠকের মন খারাপ হবেই- এটাই আপনার সার্থকতা)
শুভ কামনা আপনার জন্য।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনি কেন বিষাদে আক্রান্ত হচ্ছেন! সব বিষাদ ঝেরে ফেলে সব সময় সুখী থাকুন। এই প্রার্থনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রারণার জন্য।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
অদৃশ্য বলেছেন:
গল্পটা চমৎকার ... খুবই ভালো লেগেছে আমার
আর আপনি খুব সিম্পলি লিখটি সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করলেন... এই লিখাটিতে দারুন একটি টার্ণ দেখতে পেলাম যেন...
শুভকামনা...
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য।
লেখাটি আসলে ভালো হয়েছে নাকি পচা হয়েছে জানি না। তবুও আপনার অনুপ্রেরণা লেখায় প্রাণ সঞ্চার করল।
অজস্র শুভকামনা জানবেন।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন গল্পে অন্যরকম একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো। মায়ের সাথে সন্তানের যে আত্মিক সম্পর্ক তা আসলেই সব ব্যাখ্যার উর্ধ্বে ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
টুম্পা মনি বলেছেন: মায়ের সাথে সন্তানের যে আত্মিক সম্পর্ক তা আসলেই সব ব্যাখ্যার উর্ধ্বে ।
সত্যিই তাই। কিছু সম্পর্ক নিজেস্ব মহিমায় মহিমান্বিত।
শুভকামনা আপু।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
খাটাস বলেছেন: এই তো আপনি ইন্সালট করে ফেললেন আপু। আমি কখন বললাম যে আমি বিস্বাদে আছি? আমার কোন বিস্বাদ নেই, সুখে থাকার ও ইচ্ছা নাই। নিজের মত থাকতে চাই।
(প্রথম লাইনটা মজা করে বললাম, বাকি গুলো সত্যি। )
আরেক বার শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
টুম্পা মনি বলেছেন: এই যে বললেন সুখে থাকার ইচ্ছা নেই?
দুঃখে থাকা তো চলবে না। সুখে থাকুন।
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
সুমন কর বলেছেন: গল্পের প্লটটা সুন্দর।
ভালো লেগেছে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন।
ভালো থাকুন। সুন্দর থাকুন।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভয়ানক বাস্তবতা । গল্প ভাল লাগল
ভাল থাকুন ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
মাক্স বলেছেন: গল্প ভাল্লাগসে!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস মাক্স।
ভালো থাকুন।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর গল্প ভাললেগেছে।মা আর মেয়ের মধ্যে সত্যি টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ থাকতো পারে।মা মেয়ের সম্পর্ক নাকি সবচেয়ে গভীর হয় পোস্টে ২য়+
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: হু বর্তমানে পেলাস দেয়ার দুর্লভ ক্ষমতা যে কয়েকজনের মধ্যে আছে আপনি তাদের একজন। আমার নেই।
অজস্র শুভকামনা।
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মায়ের মনের মানসিক পীড়া।
এভাবে স্বামী ও কন্যা হারাবার পর তার চিন্তাশক্তি একই দিকে পরিচালিত হয়েছে। রাতে সেটাই স্বপ্নে দেখেছে। কী বিভৎস!
গল্প লেখার হাত আছে আপনার, টুম্পামনি
শুভেচ্ছা রইলো!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রেরণার জন্য মইনুল ভাইয়া।
ভালো থাকুন।
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালা লাগছে পইড়্যা
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: আমারও জাইনা ভালো লাগসে।
থ্যাংকস।
শুভকামনা।
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
শাওণ_পাগলা বলেছেন: সুন্দর গল্প।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন,
শুভরাত্রি।
১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মাতৃত্ব হয়ত সীমানা, কাল, মহাবিশ্বের সীমারেখা এমন কি পরজগতকেও বশ মানিয়ে মনের অদৃশ্য দরজাগুলো খুলে প্রিয়জনের কাছে পৌছে দিতে পারে কান্না,হাহাকার, অথবা সুখ-দুঃখের কথাগুলো।
এটাই শেষ কথা ।
দারুণ ইন্টারেস্টিং গল্প । ভাল লেগেছে ++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া।
শুভরাত্রি।
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
তাসজিদ বলেছেন: ভাল লাগল।
তবে মানুষ যতই নিচ হোক না কেন, কবর থেকে লাশ তুলে.........।
এটা একটু বেশি কাল্পনিক হয়ে গেল।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য শুভেচ্ছা জানবেন তাসজিদ।
মানসিক রোগ কি নিচ নাকি উচু এ সব মানে? ইন্ডিয়া না যেন পাকিস্তানে বছরখানেক আগেই এমন এক রোগীর সন্ধান মিলেছিল। সে কবর থেকে মহিলাদের লাশ চুরি করে এ সব করতো। ইন্টারনেট ঘাঁটলে এ ব্যাপারে আরো তথ্য হয়ত পাও্য়া যাবে।
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো গল্প !!!
অইটা অসম্ভব।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: সুস্থ মানুষ দ্বারা আসলেই অসম্ভব। তবে পাগল দিয়া সম্ভব। নেটে সার্চ দিয়া দেখেন। নিশ্চিত ডরাইবেন। নয়ত মানি ব্যাক গ্যারান্টি।
১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
খাটাস বলেছেন: ও বলতে ভুলে গেছি, এই ধরনের ঘটনা একটা আমি জানি, ১০০০ ভাগ সত্য। বাংলাদেশের ই ঘটনা। :-&
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা এটা মেডিকেলের ফরেনসিকে আছে। সো সত্য না হয়ে যাবে কই।
আবারো শুভেচ্ছা খাটাস।
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৬
অনির্বাণ প্রহর বলেছেন: গল্পের হাত কেমন সেটা লেখা দেখেই বুঝে গেছি। তবে ক্ষুদ্র একটা বিষয় নিয়ে যে এত সুন্দর গল্প লেখা যায় সেটা কখনো মাথায় আসে নি।
আসলে এই কারনেই গল্প লেখার সাহস করিনি আজো।
গল্পকারদের কাজ তারাই করুক!!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪
টুম্পা মনি বলেছেন: আমার ধারণা আপনি পদ্য যেমন চমৎকার লিখেন, গদ্যও তেমন চমৎকারই লিখবেন। আমি তো পারি না। তবুও লিখি।
শুভেচ্ছা অনির্বাণ।
২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পটা পড়ে প্রচন্ড সকড ! এমনও হতে পারে !!
আপনার লেখার হাত খুব ভাল, সাবলীল, চালিয়ে যান।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অনুপ্রেরণায় প্রাণিত হইলুম।
শুভেচ্ছা জানবেন দেবদূত।
সদা শান্তিতে থাকুন।
২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
তাসজিদ বলেছেন: মাতৃত্ব হয়ত সীমানা, কাল, মহাবিশ্বের সীমারেখা এমন কি পরজগতকেও বশ মানিয়ে মনের অদৃশ্য দরজাগুলো খুলে প্রিয়জনের কাছে পৌছে দিতে পারে কান্না,হাহাকার, অথবা সুখ-দুঃখের কথাগুলো।
+++++++++++++++++++++
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তাসজিদ,
সুন্দর থাকুন।
২২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২২
সায়েম মুন বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প!
আপনার গল্পের সাথে রিলেটেড নেক্রোফিলিয়া বা শবাসক্তি টার্মটা নিয়ে আগে একটা পোস্ট পড়েছিলাম।
পৈশাচিক নেক্রোফিলিয়া বা শবাসক্তি (পর্ব-১)
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৮
টুম্পা মনি বলেছেন: লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ সায়েম। এই পোষ্ট পড়ে নিশ্চয়ই অনেক চমকপ্রদ জিনিস জানতে পারবো।
অজস্র শুভেচ্ছা জানবেন।
২৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত টুম্পা মনি।
এই ধরনের সাইকোর কথা আমিও শুনেছি। আবার নর খাদকের কোথাও সেদিন পত্রিকাতে পড়লাম। পাকিস্থানে দুই ভাই এক যুবতির লাশ কবর থেকে উঠিয়ে রান্না করে খেতো !!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম!!!! কত রকম যে সাইকো আছে দুনিয়াতে! চিন্তাও করা যায় না এমন কত কিছুই তো ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত!
শুভেচ্ছা রইল আরমান।
২৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
গল্পটা খুব ভাললেগেছে।
++++
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ,
শুভসকাল।
২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ ভালো একটা প্যারানরমাল গল্প। আরেকটু রহস্য জমাইতে পারলে ভালো হতো। নেক্রোফিলিয়ার কথা আগে শুনসি। সিনেমাও দেখসি এটা নিয়া।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: সিনামাও দেখসেন! আমি দেখি নাই। সম্ভব হইলে সিনামার নাম, লিঙ্ক জানাইয়েন পিলিছ,আমিও দেখতাম চাই।
আর রহস্য আরো জমাইতে ভয় পাইতেছিলাম। যদি পাঠক বড় গল্প দেইখা পলাই যায়, তাই।
শুভ দুপুর বিগ হামা।
২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প ভালভাবে লিখেছেন। চমৎকার লাগল।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ শঙ্কু ভাইয়া,
শুভ দুপুর।
২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
তুষার কাব্য বলেছেন: এমনও হতে পারে !
তবে ভালো লাগলো ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: হু এমনও হতে পারে!
শুভ দুপুর।
২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সুন্দর গল্প। তবে খানিকটা কম গভীরতার। যাই হোক, তাও গল্প বইলা কথা। অভিজ্ঞতা মানুষেরে পাকায়।
মায়েদের ব্যাপারটা খুবই সত্যি, এবং এ ব্যাপারটা নিয়ে আমি কখনো যুক্তি উত্থাপন করি না বা সম্ভাব্যতা নিয়েও ভাবি না। মায়েরা সত্যিই বোঝেন এমন কিছু কিছু ব্যাপার। আবার কোনো কোনো মানুষ। যেমন আমি, আমাকে নিয়ে কেউ মনের গভীরে ভাবতে আরম্ভ করলে তার কণ্ঠস্বর তখনই শুনতে পাই, যে অবস্থাতেই থাকি না কেন।
ভালো থাকুন আর ভালো ভালো গল্প লিখুন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
টুম্পা মনি বলেছেন: ইচ্ছে করেই ছোট করেছিলাম। যা হোক কন্ঠস্বর শুনতে পাওয়াটা অনেক সময় হেলুসিনেশনও হয়। সে দিকেও দৃষ্টি রাখা উচিত। আর মন!!!??? সেটা তো অনেক বিশাল ব্যাপার! এর ক্ষমতাত জোরেই তো মানুষ টিকে আছে।
শুভেচ্ছা জুলিয়ান ভাইয়া পড়ার জন্য।
২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
+++ রইল। দারুন লেগেছে লেখাটা।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী,
ভালো থাকুন।
৩০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
রোহান খান বলেছেন: 'ওরা নারী শবের সাথে সংগমে মিলিত হয়' - কথাটা ভাবতেও অসুস্থ্য লাগে। মরা মানুষের সাথে -। এরা '৬৬৬' শয়তান। মানুষের মাঝেই বাস করে আর অপশক্তি পাবার আশায় মানুষ হয়েও নরপিচাষে পরিনত হয় নিজের ইচছায়। সত্যি বরই আজব এ মানব সভ্যতা। বেশী দুর যেতে হবে না। গোপন হলেও আমাদের দেশে এর চলন আছএ তবে -প্রকাশ্যতা কম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম!
শুভেচ্ছা জানবেন রোহান। অন্নেক ভালো থাকুন।
৩১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
ইমানুয়েল নিমো বলেছেন: আপ্নের লেখার হাত তো চমৎকার!!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।
ঈদ মোবারক।
৩২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
অপ্রচলিত বলেছেন: দারুণ লিখেছেন, মুগ্ধ বিস্ময়ে পড়লাম। ব্যতিক্রমী এবং অসাধারণ। গল্পে ভালো লাগা আর আপনার জন্য শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অপ্রচলিত। আমার মত অলেখিকাকে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
শীলা শিপা বলেছেন: এরকম রোগির কথা শুনেছিলাম।কি বাজে ব্যপার!!