নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগে সকলকে শুভেচ্ছা

দেশকে ভালবাসি

ত্বহির

দেশকে ভালবাসি

ত্বহির › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান রাজনীতির ভয়ঙ্কর পরিণতি!

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না। শীঘ্রই দেশে ব্যাপক এক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আমরা সকলে অনুধাবন করতে পারছি বেশ স্পষ্টভাবেই। তবে দেশ কোথায় যাচ্ছে? কখন যাচ্ছে? কেন যাচ্ছে? কারা নিয়ে যাচ্ছে? তা বুঝতে হলে কিছু কঠিন বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে বিশ্লেষণ করলেই আমরা দেশের শত্রুদের মূল লক্ষ্য চিহ্নিত করতে পারবো। সেই সাথে আরো কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে যা সাধারণ জনগণের পক্ষে বিশ্লেষণ ব্যতীত বুঝতে পারা কঠিন।



সাম্প্রতিককালে আমরা বিশ্ব মুসলিম দেশসমূহে দেখতে পাই ব্যাপক রাজনৈতিক হানাহানি আর ধ্বংসযজ্ঞ। সেই আলজেরিয়া থেকে শুরু করে পাকিস্তান পর্যন্ত, ৬টি মুসলমান দেশে বর্তমানে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনী ড্রোন দিয়ে অকাতরে মুসলমানদের শহীদ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে যে কোনো একটি মুসলমান দেশে দুইটি দলের মধ্যে বিবাদ শুরু করে দিয়ে যুদ্ধ বাঁধানো তাদের জন্য একটি ধারালো ছুরি দিয়ে আপেল কাটার মতোই সহজ কাজে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশে চলমান রাজনৈতিক হানাহানির জন্য পত্র-পত্রিকায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা সকলেই উদ্বেগ প্রকাশ করবে। তাদের কিছু হোমরা-চোমরা এদেশ ঘুরে যাবে, সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবে, তাদের উদ্বেগের কথা জানাবে।



আসলে সবই হচ্ছে ভাওতাবাজি আর ভুয়া মিডিয়া কার্যক্রম। সরকারকে তাদের গোপন পরামর্শ হবে। “এরা আল কায়দা, শেষ করে ফেল এদেরকে আমরা তোমাদের সাথে আছি।” আবার অপরদিকে সউদী রাজার বিভ্রান্ত ইসলামিক দল সমুহ যেমন, জামাত-শিবির, আহরে হাদীছ, হিজবুত তাহরীর, হেফাজতে ইসলাম গং এদেরকে বলবে, “এ সরকার নাস্তিক, আত্মঘাতী বোমারু দিয়ে এদেরকে খতম করা ছাড়া পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মাঝে টিকে থাকার কোনো উপায় নেই।”



সউদী রাজার মগজধোলাইকৃত হুজুররা এদেশের মাদরাসা সমূহে শিক্ষকতা করে, ওরাই কিশোর বয়সের ছেলেদের আত্মঘাতী বোমারুতে পরিণত করে। সরকার যতো বেশি শক্তি প্রয়োগ করবে, নিষ্পেষণ চালাবে। নাস্তিকতাকে প্রশ্রয় দিবে ততই তাদের জন্য সুবিধা আত্মঘাতী বোমারু তৈরিতে।



দেশব্যাপী যে খবরটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে তাহলো, হাজার হাজার হেফাজতের নিরীহ সমর্থকদের হত্যা করা হয়েছে, রাতের আঁধারে তাদের লাশ প্রজ্জ্বলিত ইটের ভাটায় নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং সব্জির ট্রাকের নিচে রেখে ভারতে পাচার করা হয়েছে, আলামত নিশ্চিত করার জন্য। সত্য মিথ্যা মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন, তবে এটা ঠিক খবরটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং উপযুক্ত তাদের জন্য, যারা আত্মঘাতী বোমারু তৈরি করে। এখন ওইসব নিরীহ কিশোরদের আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োগ করা হলে কে সবচেযে বেশি দায়ী?

আজ আমাদের দেশে যে সাংঘর্ষিক পরিবেশ তার ধারাবাহিকতার দিকে যদি নজর দেই তবে দেখতে পাবো নরকের কীট কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিলে নাস্তিক ব্লগারদের শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয় না। আর সরকারি তত্ত্বাবধানে ওই নাস্তিকতার আন্দোলন চলতে না থাকলে ‘হেফাজতে ইসলাম’ জন্ম হয় না, আর ‘হেফাজতে ইসলাম’র আন্দোলন না হলে শাপলা চত্বরে এহেন নিষ্পেষণমূলক ঘটনা ঘটে না। সবশেষে বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হয়, শত শত, হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যার গুজব / খবর যা যে কোনো একটি দেশকে ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির গ্রহণযোগ্যতা বেশি এই কারণে যে, ঘটনা ঘটার পূর্বে অত্র এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়, সাংবাদিকদের সরিয়ে দেয়া হয়, সরকারি কিংবা দলীয় টিভি চ্যানেলসমূহ ব্যতীত অন্যান্য চ্যানেলসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, প্রচুর গোলাগুলির শব্দ আশেপাশের এলাকাবাসী শুনতে পায়।



সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত যে দুইটি তা হচ্ছে ঘটনার পূর্বে বেশ কিছু মিউনিসিপালিটির আবর্জনা পরিষ্কার করার ট্রাক অত্র স্থানে জড়ো করানো হয় এবং ঘটনার পর অত্র এলাকাতে ফায়ার ব্রিগেডের পানির বাউজারের পানি দিয়ে এলাকা পরিষ্কার করা হয়। সকাল হওয়ার পূর্বে আবর্জনা পরিষ্কারের ট্রাক এবং ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িসমূহ যার যার কাজ সম্পন্ন করে স্থান ত্যাগ করে।



খ্রিস্টান শক্তি আজ সমস্ত পৃথিবী জুড়ে মুসলমানদের শহীদ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাশের দেশ ভারত নির্বিচারে ওই দেশের মুসলমানদের তো শহীদ করছেই তার উপর প্রতিনিয়ত সীমান্তের ৪/৫ জন বাংলাদেশী মুসলমানকেও শহীদ করে যাচ্ছে। অপর একটি পাশের দেশ মায়ানমারের মুসলমানরাও শান্তিতে নেই, লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে ওই দেশেও শহীদ করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভিটামাটি ছাড়া করা হচ্ছে। আর আমরা আমাদের দেশের মুসলমানদেরকে নিয়ে কি করছি? নাস্তিকদেরকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পবিত্র দ্বীন ইসলামের বিশ্বাস এবং মর্যাদাকে জঘন্যভাবে আঘাত করে ভ্রান্ত আক্বীদার হেফাজতে ইসলামের পতাকা তলে মুসলমানদেরকে আন্দোলনে নামিয়ে, প্রতিবাদী করে তারপর মরণ আঘাত করা হচ্ছে। এ যেন মুসলমান ধ্বংসের একেবারে ছকে বাধা ধারাবাহিক কার্যক্রম।



আমাদের বুঝতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, আমেরিকা এবং তদীয় ইহুদী-খ্রিস্টান শক্তি এদেশের মুসলমানদের ধ্বংস দেখতে চায়। আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ওই ধ্বংস ছাড়াও ৯৫ ভাগ মুসলমানের এই দেশটিকে দখল করতে চায়। এদেশের চিন্তাশীল নিরপেক্ষ বিবেকবানদের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ, আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। বুঝতে হবে এই অসম যুদ্ধে পৃথিবীর সকল মুসলমান দেশ প্রতিনিয়ত পরাজিত হচ্ছে। তাদের সেনাবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা বাহিনী কিছুই করতে পারছে না, দেশ তথা জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে। বিশ্ব মুসলমানকে ওহাবী চেতনা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।



এই বাস্তবতাটুকু যতোদিন মুসলমানরা বুঝতে না পারবে ততোদিন পর্যন্ত পরাজয়ের ধারা থেকে কস্মিনকালেও জয়ের ধারায় প্রত্যাবর্তন করতে পারবে না। বুঝতে হবে যে, মুসলমান দেশসমূহের নেতৃত্বে পচন ধরেছে বলেই বিশ্ব মুসলমানদের আজ এই করুণ পরিণতি। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের দেশকে মুসলমানদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন। মুসলমানদের নেতৃত্বে, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, অন্তর্দৃষ্টি ও দূরদৃষ্টি দান করুন। আমীন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০১

বাংলার হাসান বলেছেন: আমাদের বুঝতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, অতএব সাধারন মানুষের লাশ মাড়িয়ে এদের ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়ার চেষ্টা চলবে অভিরাম। দিন শেষে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরবে নিরিহ সাধারন মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.